এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সীমান্তহত্যার সুলুক সন্ধান! - ০৪ 

    bikarna লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৭ জুলাই ২০২৫ | ৩৫ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • পুশ-ইন! ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে পশ্চিমবঙ্গবাসীর খুব একটা আগ্রহ না থাকলেও পুশ ইন নিয়ে বেশ কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে এখন। কারণ সারাদেশ থেকে বাংলায় কথা বললেই ধরে সীমান্তে এনে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের দিকে। একটু সরলীকরণ করে ফেললাম হয়ত কিন্তু এইটাই সত্য। আর এই কারণেই পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আমাদের সীমান্ত নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। 

    এইটা নিয়ে কথা বলার আগে একটু অন্য প্রসঙ্গে কথা বলি। তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে পুশ ইনে আসলে সমস্যাটা কোন জায়গায়। পুশ ইন বলতে আসলে আইনের দিক থেকে কোন আইন নাই। এইটা চোখ বন্ধ করে একটা অন্যায় করে যাচ্ছে ভারত। এর কোন ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারবে না। কিন্তু দিনের পর দিন করে যাচ্ছে এই কাণ্ড। অন্য আলাপ যা করতে চাচ্ছি তা হচ্ছে আমাদের এখানে আমার ভাগ্যক্রমে অবৈধ ভারতীয় একজনের কথা জানার সুযোগ হয়েছিল কিছুদিন আগে। এখান থেকে পুশ ইনের গল্প কেউ কোনদিন শুনে নাই। তাঁকে ধরে যে আদালতে তোলা হয়েছিল সেখানে আমার বন্ধু হচ্ছে বিচারক। আমি গল্পটা ওর মুখ থেকেই শুনছি। ও বলল আমি দেখতে চাচ্ছিলাম আমি আইন অনুযায়ী গেলে কী কী করতে হবে আমাকে। ধাপ গুলা কী? এই প্রশ্ন মাথায় নিয়ে ও আগায়। প্রথমে জানাতে হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানাবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ভারতীয় দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করবে। তারা তাদের নাগরিক কি না তা নিশ্চিত করবে। পরে তাঁকে ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা করবে। এখন এই যে লম্বা প্রক্রিয়া এতে মহা বিপদ হচ্ছে সময়। দীর্ঘদিন জেলে থাকতে হবে বেচারাকে। আমার বন্ধু তাঁকে ছেড়ে দেয়। ওর পেশকার ওকে বলে যে স্যার, একে আটকে রাখলেই বিপদ। ছেড়ে দিলে দুইদিনেই সীমান্ত দিয়ে চলে যাবে। যে ভাবে আসছে সেভাবেই চলে যাবে। এরপরেই ও আসলে ছেড়ে দেয়।  পরে খোঁজ নেয় আবার। খবর পায় সে সীমান্ত অতিক্রম করে চলে গেছে ভারতে। 

    ভারত এই দীর্ঘ প্রক্রিয়াটাকে সহজ করে ঠেলে দিচ্ছে বাংলাদেশে। এতে কাজটা সহজ হয় কিন্তু বিপদটা যে অন্যদিক থেকে আসে তা দেখার ইচ্ছা তাদের নাই। ফলাফল প্রায় নিয়ম করে দৈনিক পুশ ইন করছে ভারত। আইন তৈরি করাই হয়ছে নিরাপদ মানুষকে বাঁচানোর জন্য। সময় লাগে, আমাদের এখানে প্রচুর মানুষ, কতজনকে কয়দিন ধরে বিচার করবে? এইটার জন্য তো এই মানুষ গুলো দায়ী না! আইনের দীর্ঘসূত্রতার জন্য তো যে কাওকে বিপদে ফেলে দিতে পারেন না। সহজ সমাধানের একটা বুদ্ধি বের করতে হবে। কিন্তু যাদেরকে মনে হচ্ছে বাংলাদেশী তাদেরকে ধরে ঠেলে দিলে তো মুশকিল। মৌলিক অধিকারী ক্ষুণ্ণ হয়ে যায় এতে। যেমন গেছে হাসান শাহর ক্ষেত্রে। 

    হাসান শাহর জন্ম গুজরাটের সুরাটে। গত এপ্রিলে ঘুম থেকে টেনে তোলে তাঁকে পুলিশ, রশি দিয়ে বেঁধে, চোখ বেঁধে তাঁকে ধরে নিয়ে যায় এক নৌকায়। তিনদিন সমুদ্রে পথে চলার পরে লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে তাঁকে বলা হয় লাফ দাও, পিছনে তাকালে গুলি করব! তিনি লাফ দেন। কিছুদূর সাঁতারের পরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড তাঁকে উদ্ধার করে। ধরারপ ওরে সে যে পরিচয় পত্র দেখায় ভারতীয় পুলিশকে তা তারা নিয়ে নেয়। এখন এই লোক বাংলাদেশে রাষ্ট্রহীন অবস্থায় রয়েছে। ভারতে তার স্ত্রী ও চার সন্তান রয়েছে। যোগাযোগ নাই কারো সাথে। ওয়াশিংটন পোস্ট এইটা নিয়ে রিপোর্ট করে। শাহর মা ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিকে তাঁর জন্ম সনদ দেখিয়েছে, ভোটার কার্ড দেখিয়েছে। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ বলছে তারা এমন একশর ওপরে কেস পেয়েছে! তাদেরকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে! 
     
    এখন ভাবুন একজন বৈধ নাগরিকের অবস্থা! সে কেন এই ঠেলাঠেলির মধ্যে পড়বে? তাঁর মৌলিক অধিকার কই এখানে? শুধুমাত্র সন্দেহের বসে কালকে আমাকে ধরে ঠেলে দিবে কেউ সীমান্তে? এবং এই হয়ে আসছে। ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্যই হোক, বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্কে চিড় ধরার জন্যই হোক, হুট করেই ভারত পুশ ইন করে যাচ্ছে প্রায় দৈনিক। 

    পত্রিকা খুললেই পাওয়া যাচ্ছে পুশ ইনের খবর। পঞ্চগড় দিয়ে ২৪ জন, সিলেট দিয়ে ৫৩ জন, শেরপুর দিয়ে ২১ জন! লেগেই আছে। এর মধ্যে ভারতীয় যেমন ভুলে চলে আসছে তেমনই আছে রোহিঙ্গা!  ২৪ জুলাই শেরপুর দিয়ে আসা ২১ জনের সবাই রোহিঙ্গা! এই দায়ও এখন আমরা নিব? এমন পরিস্থিতিতে যেন না পড়তে হয় তার জন্যই তো আইন কানুন। রোহিঙ্গারা তো কপাল পুড়িয়েই আসছে। এখন আবার ধরে ধরে চালান করা হচ্ছে এখানে। এর সমাধান কী? 

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইটা নিয়ে বেশ সরব। তীব্র ভাষায় শুধু মাত্র বাংলায় কথা বলে দেখে ধরে ধরে বাংলাদেশে পাঠায় দেওয়ার সমালোচনা করেছেন তিনি। এইটা শুধু মমতা কেন করছে আর বাকিরা কেন চুপ করে রয়েছে তা আমার জানা নাই।  এইটা নিয়ে তো রাজনীতি অন্তত পশ্চিমবঙ্গে থাকার কথা না। কিন্তু  অবাক হয়ে দেখতে হচ্ছে যে তাই হচ্ছে। শাসক দলের কর্মকাণ্ড চোখ বন্ধ করে সমর্থন দেওয়ার যে রীতি প্রচলিত আছে তা এখানেও কাজ করে চলছে। অথচ এই বিষয় নিয়ে দলমত নির্বিশেষে এক থাকলে চেহারাটা অন্য রকম হতে পারত। গুজরাটে হাসান শাহর কথা লিখেছি ওপরে, তাঁকে সম্ভবত ধর্মের কারণে ধরে ফেরত পাঠিয়েছে, বাংলাদেশের মিডিয়া তেমনই প্রচার করেছে। যদিও তার পরিবার পশ্চিমবঙ্গের বলে সে জানিয়েছে। কিন্তু বাকিদের ক্ষেত্রে? বীরভূমের বাসিন্দা আর্জিলা বিবি জানিয়েছে তার পুত্রবধূ সুইটি বিবি ও দুই নাতি– ১৬ বছর বয়সী কুরবান শেখ ও ছয় বছরের ইমাম শেখকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে জানা যায় দিল্লীতে বাংলাদেশী বলে আটক হয়েছে তাঁরা। একই রকমের গল্প হচ্ছে সোনালি খাতুন, তার স্বামী দানেশ শেখ ও তাদের ছেলে সাবির শেখের। বীরভূমে বাড়ি তাদের। বাংলাদেশী বলে আটক! এই দুই পরিবারকে ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ ইন করা হয়েছে! এমন আরও কত কত নাম আছে। মুর্শিদাবাদের লোক আছে, পুরুলিয়ার লোক আছে। ভাষার কারণে বাংলাদেশে বিপদে পড়ছে। এমন একটা সময় যখন এই দেশে ভারতীয় নাগরিক এইটা খুব স্বাচ্ছন্দ্যকর তথ্য না। তাই তারা কেমন আছে, সুস্থ আছে না বিপদে আছে তা জানাও এখন সহজ না। বাংলাদেশের মিডিয়া পুশ ইন নিয়ে যতটা আগ্রহী, পুশ ইন হয়ে যারা আসল তাদের অবস্থা কেমন, কই আছে তা নিয়ে তাদের আগ্রহ কম। 

    পুশ ইন নিয়ে সীমান্ত হত্যার লেখায় লিখলাম কারণ এইটা হচ্ছে বড় প্রমাণ ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আইনের প্রতি কতটা উদাসীন। যে আইন নিজেরা তৈরি করেছে তা মানতেই তারা নারাজ। যে চুক্তিপত্রে নিজেরাই সাক্ষর করেছে যে মারণাস্ত্র ব্যবহার করবে না সেই চুক্তিপত্র তারাই ভাঙে। তিনদিক ঘেরা বাংলাদেশ ঠিকমত গলার স্বরটা পর্যন্ত তুলতে পারে না। অথচ নিজেদের নিরাপত্তার খাতিরেই এইদিকে নজর দেওয়া উচিত - ভারতীয় কর্তা ব্যাক্তিদের এবং সকল ভারতীয় নাগরিকের। 

    গুলি করতে করতে কিছুদিন আগেই সেম সাইড গুলি হয়ে গেছে একটা। জাহানুর আলম নামের এক ব্যাক্তিকে বাংলাদেশী ভেবে গুলি করে বিএসএফ। পরবর্তীতে দেখা যায় সে ভারতীয়, বাড়ি কোচবিহার। সীমান্ত হত্যা নিয়ে কতটা উদাসীন হলে এমন একটা ঘটনাও ভারতীয়দের মনে আলোড়ন তুলে না? অবিশ্বাস্য। 

    আমাদের আর কী! আমরাও যেন কপালে লিখেই নিয়ে আসছি এই গুলি খাওয়া। প্রতিনিয়ত খবর আসছে সীমান্তে গুলির। কী অদ্ভুত অপচয়! বন্ধু বলে গুলি! সর্বশেষ গতকাল ( ২৫ জুলাই, ২০২৫) ফেনির পরশুরাম সীমান্তেও দুইজনকে গুলি করে মেরে ফেলেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী। না, অন্য কেস গুলোর ক্ষেত্রে যেমন কারো কাছে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়নি, তেমনই মিল্লাত হোসেন আর মোঃ লিটন, কারো কাছেই কোন অস্ত্র পাওয়া যায়নি। কোন একজন সীমান্ত রক্ষীর মনে হয়েছে এরা তার জন্য, তার দেশের জন্য মরণঘাতী হতে পারে তাই সোজা গুলি। বন্দুক হাতে সেই রক্ষীর অত ভাবার দরকার নাই আসলে। তার রাষ্ট্র তাকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে রাখছে। বলে রাখছে তুমি গুলি মেরে দাও, আইন কানুন কখন দুমড়ে মুচড়ে দিতে হয় তা আমরা দিব সময় মত। বেশি চিল্লাফাল্লা করলে আবার একটা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে। বল হবে আর হবে না সীমান্তে গুলি! রাষ্ট্র মানে কী? শহীদ কাদরি লিখেছেন - 
    "রাষ্ট্র বললেই মনে পড়ে
    ধাবমান খাকি জীপের পিছনে
    মন্ত্রীর কালো গাড়ি
    কাঠগড়া গরাদের সারি সারি খোপ্,
    কাতারে কাতারে রাজবন্দী
    রাষ্ট্র মানেই লেফট রাইট" 

    এইটা অবুঝ মন ভেবেছিল শুধু বাংলাদেশের জন্য লেখা কবিতা। এখন প্রতিনিয়ত মনে হয় এইটা সার্বজনীন,সকল সময়ের জন্য, সকল রাষ্ট্রের জন্যও প্রযোজ্য। লেফট রাইটের ঊর্ধ্বে আর উঠা হয়ে উঠে না রাষ্ট্রের। তাই প্রাণের মূল সবচেয়ে সস্তা। তাই ভারতে গুলি করে একটা গরু মারা হলে যতখানি আলোড়ন তৈরি হয় ততখানি শব্দও হয় না মানুষের মৃত্যুতে। খুব বেশি হলে যা বলা হবে সীমান্তে গেছে কেন? ঠিকই তো আছে! চোরাকারবারিকে মারবে না? দাওয়াত করে খাওয়াবে? এই হল অবস্থা। আমরা কল্পনার রাজ্যে যারা থাকি তারা ভাবি ভারত তো বন্ধু রাষ্ট্র! আমরা তো আজ পর্যন্ত তেমন কোন ক্ষতি করি নাই ভারতের প্রতি। উল্টো নীল কণ্ঠ পাখির মত কত বিষ সহ্য করে গেছি ভারতের তার কোন হিসাব নাই। বিনিময়ে প্রাপ্তি হচ্ছে গুলি মার দো!   

     
     https://www.jagonews24.com/country/news/1039046
     
    https://www.jagonews24.com/country/news/1012285

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৭ জুলাই ২০২৫ | ৩৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • MP | 2409:4060:e9a:1c06:fda1:9f11:bf57:***:*** | ২৭ জুলাই ২০২৫ ০৭:৩২732747
  • ভালো হচ্ছে লিখুন l আপনিই কি কিংবদন্তী ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন