এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • চব্বিশে বৈশাখ

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ১৪ মে ২০২৫ | ১৪৩ বার পঠিত
  • তিথি যে ঠিক কার সঙ্গে ছক করছে বুঝতে পারিনা। সেবার ভ্যালেন্টাইন্স ডেতে চকলেট এনেছিলাম, বলল মাথাব্যথা, এখন কিছু হবেনা। কে জানে ভাই, এ কী ধরণের মাথা। আমার তো শরীরেই মাথাব্যথা সারে। অষ্টমীর দিন নিয়ে এসেছিলাম একটা বোতল, বলে পিরিয়ড চলছে। মাসে একদিন ওসব হয়, সব্বাই জানে, কিন্তু বেছে বেছে আমি থাকলেই হতে হবে?  এবার এই চব্বিশে বৈশাখটাও শুকনো যাবে কারণ, তিথি আজকে নাকি খেলা দেখছে। ঠিক এক হাত দূরত্ব রেখে বসে, থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে বলল, এই প্রথম উইকেটটা পড়ল। খুব উত্তেজনা, কিন্তু সেটা আমায় দেখে না। খেলায় এত আগ্রহ তো জানতাম না। ওদিকে আবার নাকি রবীন্দ্রভক্ত। সব ফালতু কথা। রবীন্দ্রসঙ্গীত চালালে মুড এলেও আসতে পারত। কিন্তু টিভি চললে ওসব অসম্ভব। উত্তেজনা সবই টিভি খেয়ে নেবে। 

    এসব তাও একরকম ছিল, কিন্তু এর মধ্যে আবার নানারকম অর্ডার। এসিটা গড়বড় করছে। ফ্রিজ থেকে একটু ঠাণ্ডা জল এনে দাও তো। বলতে ইচ্ছে করে, জমিদারের বেটি, আমি কি তোমার হুঁকোবরদার? ভাত দেবার নাম নেই, কিল মারবার গোঁসাই। কিন্তু ওসব বলা যাবেনা। যেটুকু চান্স বাকি আছে সেটা ভোগে দিয়ে লাভ কী? আমি গোবেচারাভাবে জল এনে বললাম, টিভিটা বন্ধ করি এবার? যেন বাপ তুলে খিস্তি দিয়েছি, এমন ভাবে আঁতকে উঠে তিথি হাত পা ছুঁড়ে বলল, পাগল নাকি? এই সময় কেউ বন্ধ করে? দাও জল দাও। 

    এটারও একটা রাবীন্দ্রিক রেফারেন্স আছে। জল দাও আমায় জল দাও। চণ্ডালিকা। জলের আবার নানারকম অর্থ হতে পারে। মানেবইতে লেখা আছে। কিন্তু সেসব শুনছে কে। খালি দাও দাও। ওদিকে দেব আবার কী, ধরে তো দাঁড়িয়েই আছি। তিথি শুনে শুধু বলল, ও। বলে ঢকঢক করে এক গ্লাস ঠাণ্ডা জল মেরে দিল, নইলে যেন কী ফস্কে যাবে। তারপর উল্টো দিকে তাকিয়ে বলল, বোসো না। এসব শুনলেও গা জ্বালা করে। আমি যেন বসতে এসেছি এখানে। এর চেয়ে সোজা বলে দিলেই হত, যাও বাড়ি চলে যাও। সেটাও বলবেনা, কোনোদিকে এগোবেও না। এখানে বসেই ব্রহ্মচর্য পালন করতে হবে। বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহার, সেইখানে প্রেম তোমার সাথে আমার। 

    এসবও ঠিক ছিল, কিন্তু বসার পর আবার পরের আবদার। দেখো দেখো কী বলছে। এ কী মামারবাড়ি, আমাকেও কেন টিভি দেখতে হবে? এতক্ষণ এদের চিল চিৎকার কানে নিচ্ছিলাম না। এবার তাকিয়ে দেখি তিন-চারটে আধবুড়ো দামড়া লোক খুব চিৎকার করে খেলা বিশ্লেষণ করছে। শুনে যা বুঝলাম, আমাদের টিমটা দুর্ধর্ষ। আর ওদেরটা একদম এলেবেলে দুধেভাতে। তাই যদি হয়, তো দেখার দরকারটা কী। এর চেয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত চালালেই হয়। একটু বেশ ঘর অন্ধকার করে। সঙ্গে শুকনো নেশাও আছে, জমে যাবে। কিন্তু বলব কী, বলার আগেই কে একটা বেল দিল। তিথি বলল, পিৎজা এসেছে, নিয়ে এসো তো। ওর বাড়ি, ওর পিৎজা, কিন্তু নিজে উঠবেও না । বিনি পয়সার চাকর যেন। 

    পিৎজার ছেলেটা আবার আরেক যন্তর। বলে, তাড়াতাড়ি করুন করুন। কেন রে ভাই, এত তাড়া কীসের। কিন্তু জিজ্ঞাসা করব কী, ওদিকে চিল চিৎকার। আরও একটা পড়ে গেছে। ছেলেটা বলল, স্যার টিভি দেখছেন না? এই জিনিস আর দেখতে পাবেন না কিন্তু। তাড়াতাড়ি করুন।  তিথি বলল, এসো এসো। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস পুরো ছিটকে গেল এই মাত্র।

    এ কি খেলা হচ্ছে না ট্রেন দুর্ঘটনা? নাঃ ওটা বোধহয় কোনো খেলোয়াড়ের ডাকনাম। এই আজকাল হয়েছে। একজনের নাম বিশ্বগুরু, মোগলাই পরোটার নাম দীনদয়াল, তাজমহলের নাম মহালয়া। ভোটপ্রার্থীর নাম ক্যাপ্টেন, নির্বাচনের নাম খেলা হবে। সে হতে থাক, কিন্তু কতক্ষণ? তিথি বলল, এই তো শুরু। দাঁড়াও সারা রাত চলবে। কই পিৎজা দাও। আরে একটা প্লেট আনো। ভাবটা এমন, ওর বাবা যেন আমাকে মাইনে দেয়।  

    তাতেও কোনো গোলমাল হয়নি। একটু রাগ হচ্ছিলনা তা নয়। সেই জন্য আমি বাথরুমে চলে গেলাম। একটু মাথায় জল দিতে হবে। কিন্তু তাতেই বা শান্তি কোথায়? আবার চিল চিৎকার। আরও একটা গেল। কোথায় গেলে? ই কি রে ভাই, আমি কি ঘন্টাঘর নাকি রে ভাই, যে উইকেট পড়লেই ঢং ঢং করে বাজব? আর এত তাড়াতাড়ি এদের উইকেট পড়েই বা কেন? টিম না তাসের ঘর? ফিরে এসে দেখি তিনজন নতুন বিশেষজ্ঞ। একজন বলছেন, আপনি বাথরুমে গেলেন, আর এদের ক্যাপ্টেনই আউট? এ তো দু ঘন্টায় তাসের ঘরের মতো অল আউট হয়ে যাবে মনে হচ্ছে। সবাই শুনে হাততালি দিল। আমি শুনে চমকে গেলাম। বাথরুম মানে? এ কি অন্তর্যামী, না তিথির বাথরুমে সিসিটিভি আছে? 

    কিন্তু জানার কোনো উপায় নেই। তিথি খপ করে আমার হাত ধরে বলল, এই টেনশন নেওয়া যাচ্ছেনা। বোসো বোসো। হাত ধরা ব্যাপারটা ভালই। কিন্তু এই ভাবে না। হাত দেখি বরফের মতো ঠান্ডা। হার্ট-অ্যাটাক ফ্যাটাক হবে না তো? কোভিডের পরে নাকি খুব হচ্ছে। সে আরেক ঝকমারি। তখন আবার হাসপাতালে দৌড়তে হবে। তবুও বাড়িতে  থাকলে যা একটু চান্স ছিল, হাসপাতালের বেডে তো গিয়ে তো আর বলা যায়না, আমিও পাশেই শুয়ে পড়ি। তিথিকে ভয়ের কথাটা বলতে কী বুঝল কে জানে,  বলল, ধুর, তুমি এক কাজ কর, এইখানেই শুয়ে পড়। আমার কোলে মাথা দিয়ে। সম্ভবত কিছুই শোনেনি। 

    এতেও ঝগড়ার কোনো কারণ হয়নি। খেলা আমি এমনিও দেখতে ভালোবাসিনা। বরং কোলে শুয়ে উপর দিকের শোভা দেখব। যতটা যা হয়। তিথি বলল, হাত দিওনা কিন্তু। কনসেন্ট্রেট করতে পারবনা। এইবার আমার আবার একটু রাগ হল। ওরে আমার মহারানী রে, কনসেন্ট্রেট করার কথা আমার দিকে। তুমি টিভিতে কনসেন্ট্রেট করবে, আর আমাকে বলবে, হাত দিও না? এ কি ইয়ার্কি? 

    তাতেও অবশ্য আমি ঝগড়া করার কথা ভাবিনি। দুগ্গাপুজোয় হয়নি, স্বরস্বতী পুজোয় হয়নি, এখন এই একটাই চান্স, যা হয় তাই সই, ফালতু নষ্ট করব কেন।  সেই জন্য আমি কোলে মুখ গুঁজে উল্টো হয়েই শুয়ে রইলাম। ধরাই যদি যাবেনা, তো উপর দিকে তাকিয়ে লাভ কী। ওদিকে খেলা চলতে লাগল। মাঝে-মাঝে দুমদাম উইকেট পড়ে। তিথি নড়াচড়া করে, গরম উরু কেঁপে কেঁপে ওঠে। আমি নাক দিয়ে গাল দিয়ে টের পাই। বিশেষজ্ঞরা খুব চিৎকার করে মাঝে মাঝেই। ধারাবিবরণী যেমন হয়। তিথি তখন আমার চুলে টেনে ধরে, খুব উত্তেজনায়। ব্যাপারটা ওই ধাঁইধপাধপ জিনিসের চেয়ে খুব খারাপ কিছু না। হ্যাঁ, ওটা হলে ভালই হত। কিন্তু মধুর অভাবে গুড়, অতটা খারাপ কিছুও না। 

    এতে ঝগড়া করার কিছুই ছিলনা। কিন্তু গোলমালটা হল ঠিক এর পরে। টিভি চলতে লাগল, ধাঁইধপাধপ উইকেট পড়তে লাগল। চারদিকে চিল চিৎকার। তিথি কেঁপে কেঁপে উঠতে লাগল। প্রথমে ভেবেছিলাম এমনি। কিন্তু সেই কাঁপুনি বাড়তে থাকল ক্রমশ। যেন ভূমিকম্প হচ্ছে। লে বাবা, এ আবার কী। মাথা পড়ে যাবে তো। আমি চেপে ধরলাম। তিথিও কোথাও কিচ্ছু নেই, পা একটু ফাঁক করে, শক্ত করে দুই উরু দিয়ে আমার মাথা পিষে ধরল। এটা আবার কী হচ্ছে? তিথি তীক্ষ্ণ গলায় বলল, চুপ। বলে দুই হাত দিয়ে আমার চুলের মুঠি হাতে নিল। 

    ওদিকে চিৎকারও ক্রমশ উচ্চগ্রামে উঠছে। খুব উত্তেজনাপূর্ণ খেলা চলছে, আর তিথিও সঙ্গে সঙ্গে দুলছে। উরু তো বটেই, গোটা শরীর শক্ত হয়ে গেছে টের পেলাম। এটা মনে হয় শেষ ওভার। তিথি শক্ত করে আমার চুলের মুঠি ধরল। তারপর তীক্ষ্ন স্বরে একটা আওয়াজ করে উঠল। টিভিতেও তখন প্রচণ্ড শব্দ। তারপর সব একসঙ্গে শিথিল হয়ে গেল। টিভিতে বিশেষজ্ঞরা হইহই শুরু করলেন। মুখ ঘুরিয়ে দেখি একটা সুট পরা লোক দুই হাত তুলে নাচছে। 

    আমি বললাম, হচ্ছেটা কী? যদিও কী হচ্ছে না বোঝার কিছুই ছিলনা। কিন্তু মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল আর কি। 

    তিথি হিসহিসে গলায় বলল, হয়ে গেছে প্রায়। 

    এরপর চুলোচুলি ঝগড়া না হওয়াটাই অসম্ভব। ছক কিছু একটা করছে, আগেই সন্দেহ ছিল। কিন্তু এ তো সুররিয়াল কেস, পরকীয়ার বাবা। আমি প্রচণ্ড রেগে গিয়ে বললাম, হয়ে গেছে মানে? তুমি আমার সামনে এইসব করছ? ওই দামড়া লোকটাকে দেখে? তাও আমাকে কোলে শুইয়ে রেখে? 

    তিথি একটুও না টসকে বলল, ব্যাপারটা কীরকম এক্সাইটিং না? 

    এটা কি ইয়ার্কি? কী এক্সাইটিং শুনি? ওই ওই ওই হোঁদলকুতকুত ভোঁদড়টা? তিথি মিষ্টি হেসে বলল, ধুর, ও কেন। খেলার এই যুদ্ধ যুদ্ধ ব্যাপারটা, এক্সাইটিং না?  বলে, বেমালুম আমার মাথাটা নামিয়ে দিয়ে উঠে পড়ল। 

    কোথায় যাচ্ছ? আমি উঠে বসে পড়লাম। তিথি বলল, কেন, রবীন্দ্রসঙ্গীত চালাতে বললে যে? 

    এর কি মাথাটা পুরো খারাপ হয়ে গেছে? বোধবুদ্ধি কাজ করছেনা? এর মধ্যে রবীন্দ্রসঙ্গীত? কিন্তু ঝগড়া করব কি, আমার তখন অধিক- শোকে-পাথরাবস্থা। পাগলই যদি হয়ে গিয়ে থাকে তো পুরো লস্ট কেস। আর পুরোটাই যদি হারিয়ে ফেলি তো কিসের ঝগড়া? তিথি খটাস করে কী একটা অন করল,  ও মা দেখি সত্যিই গান চালিয়ে দিয়েছে। তোমায় নতুন করে পাব বলেএএ। তিথি বলল, ওই জন্যই তো হারাই ক্ষণে ক্ষণ। বলে একটা খুনে হাসি দিল। তারপর বলল, ভাব, টিভিতে উত্তেজনা, রবীন্দ্রনাথে শান্তি, কী ডেডলি ককটেল। নতুন করে পাব বলে। উফ। 

    এইবার আমি ব্যাপারটা একটু একটু বুঝতে পারলাম। তিথি আর কোনো কথা না বলে, সোজা আমার কোলে এসে বসল। গানে তখন লাইনটা শেষ হচ্ছে। তোমায় নতুন করে পাব বলে, হারাই ক্ষণে ক্ষণ। আমিও তিথিকে জাপটে ধরলাম। ওপাশে টিভিতে চলছে যুদ্ধোন্মাদনা। লোকে পুরো শেষ সময়ের মতো চেঁচাচ্ছে। শুনলেই গা গরম হয়ে যায়। আর ঠিক সেই সময়ই পাশ থেকে রবীন্দ্রনাথ বলে উঠছেন, ভালোবাসার ধন। উফ। সত্যিই উফ। 

    সুতীব্র উত্তেজনার মধ্যে আমাদের পঁচিশে বৈশাখ শুরু হয়ে গেল। বাংলা কোন বছর কে জানে, ইংরিজি ২০২৫। 

    ** এইসব ফ্যাক্ট চেকিং-ফেকিং দায়ে পড়ে করতে হয়। আসলে তো গপ্পো লিখতে ভালোবাসি, তাই লিখলাম। আমরা গুরুর লোকেরা আসলে শিল্পী। সমস্ত জিনিস নিয়ে সৃজনশীল কাজকম্মো পাবেন, আমাদের বিশ্বব্যাপী দোকানে। এইটা এইমাত্র লিখলাম। কিন্তু গুরুচণ্ডা৯র গল্পের বইগুলো নেড়ে চেড়ে দেখুন। গুছিয়ে মণিমুক্ত পাবেন। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ১৪ মে ২০২৫ | ১৪৩ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    দূরত্ব - Kunal Basu
    আরও পড়ুন
    বাবর - upal mukhopadhyay
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দেবদাস | 2001:4490:889:dc45:f042:c2dd:de50:***:*** | ১৪ মে ২০২৫ ০৮:৫৪731335
  • তুলনাহীনা রেএএএএ!!! 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন