এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা  শনিবারবেলা

  • সেই দিন সেই মন পর্ব ৮

    অমলেন্দু বিশ্বাস
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ১৭ মে ২০২৫ | ৪৭ বার পঠিত
  • ছবিঃ রমিত 





    কলেজে উঠে মনে হল এইবার আমি স্বাধীন। এতকাল যে বিনোদনগুলোর দিকে আমি লোলুপ চোখে তাকিয়ে থাকতাম সেগুলো উপভোগ করার সুযোগ পাব। আমার প্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীদের স্বচোক্ষে দেখা, গানের আসরে যাওয়া, নাটক দেখা, বঙ্গ সংস্কৃতি সম্মেলনে যাওয়া, গুণীজনের আলোচনা সভায় যাওয়া ইত্যাদি। সময় ও সাধ্যমত আমার সাধ মেটাতাম। সে দিন আমি স্বপ্নেও ভাবিনি যে বহু বছর পরে লন্ডনে কণিকা বন্দোপাধ্যায়ের মত কিংবদন্তি শিল্পী আমাদের বাড়ীতে আসবেন আর তিনি আমার অনুরোধে গান গাইবেন। এ কথা পরে বলেছি।

    ১৯৫৪ সালের কথা।
    মনে আছে বাড়িটার সামনে অনেক ক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। উঁচু উঁচু লম্বা থাম, রাস্তা থেকে সারি সারি সিঁড়ি উঠে গেছে সামনের বারান্দা পর্যন্ত। এটাই তাহলে হুতুম পেঁচার নক্সার রচয়িতা সেই বিখ্যাত কালীপ্রসন্ন সিংহ মহাশয়ের বাড়ি। যতদূর মনে পড়ছে সেই বিশাল বারান্দার এক ধারে গুটিকতক চেয়ার ও একটা টেবিল পাতা। জনাচারেক মধ্যবয়সী মানুষ বসে আছে। টেবিলে কিছু কাগজ পত্র, টিকিটের বই, সদস্য হওয়ার আবেদন পত্র ইত্যাদি ছড়ানো। সামনে গিয়ে জিগ্যেস করলাম, “এটা কি বঙ্গ সংস্কৃতি সম্মেলনের অফিস?” এক ভদ্রলোক বললেন, “হ্যাঁ, তোমার কি চাই?” আমি বললাম, “আমি সদস্য হতে চাই।” উনি আবার প্রশ্ন করলেন, “কি কর তুমি?” বললাম, “আমি ছাত্র, কলেজে পড়ি।”

    একজন ভদ্রলোক, সারা মুখ জুড়ে অল্প অল্প দাড়ি, এতক্ষণ আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। এবার তিনি কথা বললেন, “তোমার তো সামনে পরীক্ষা। রাত্রি বেলা সম্মেলনে এসে গান বাজনা শোনার মতো সময় আছে তোমার? যাও ভাল করে পড়াশোনা কর। কলেজের পড়া শেষ হয়ে গেলে আবার এসো।”

    হতাশ হয়ে ফিরে এলাম। মার্কাস স্কোয়ারে মস্তবড় প্যান্ডেল হচ্ছে, সামনে ফেস্টুনে বড় বড় করে লেখা ‘বঙ্গ সংস্কৃতি সম্মেলন’। প্রতিবছর পত্র পত্রিকায় সেসব অনুষ্ঠানের আলোচনা পড়তাম আর মনে ভাবতাম কবে আমি স্বচক্ষে এই সব শিল্পীদের দেখব, স্বকর্ণে এদের কন্ঠ শুনবো। কলেজে উঠে ভাবলাম এবার তো আমি সাবালক, এবার আমার সাধ পুরাব। কলকাতার যত সঙ্গীত সম্মেলন, যত সাহিত্য আসর, যত সংস্কৃতি মেলা, যত নাটকের গোষ্ঠী, প্রখ্যাত রবীন্দ্র উৎসব, সব আমার নখ দর্পণে। শুধু পত্র পত্রিকার মাধ্যমে। দুটি একটি ছাড়া কোথাও যাওয়ার সুযোগ হত না। কারণ ছিল অনেক, তবে প্রধান প্রতিবন্ধী ছিল বয়স ও অর্থ। অপেক্ষাকৃত অল্প বয়সে কলেজে ঢুকে ছিলাম, দেখতে ছোটখাটো, মুখে দাড়ি গোঁফের চিহ্ন ছিল না। তাই বোধহয় বঙ্গ সংস্কৃতি সম্মেলনের কর্তারা আমাকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিল।

    আমি জানতাম তখন বঙ্গ সংস্কৃতি সম্মেলনের দুই কর্ণধার ছিলেন সুহৃদ রুদ্র ও পরিমল চন্দ। এই দুজনের উদ্যোগে, অক্লান্ত পরিশ্রমে, অসাধারণ পরিচালন দক্ষতায় ও অপরিসীম দূরদর্শিতায় এই কলকাতার বুকে সপ্তাহব্যাপী যে অবর্ণনীয় উৎসবের আয়োজন হত তার জুড়ি মেলা ভার। গ্রাম বাংলার ও শহর বাংলার মেলবন্ধন হত এখানে। সারা বাংলা ঘুরে ঘুরে এঁরা অজানা অশ্রুত প্রতিভাকে আবিষ্কার করে এই সম্মেলনে তুলে ধরতেন। যতদুর মনে পড়ছে সুবিখ্যাত পল্লীগীতি গায়ক নির্মলেন্দু চৌধুরীকে এঁরাই প্রথম পরিবেশিত করেন বৃহত্তর গুণগ্রাহী সমাজে। ক্ষীরোদ নট্টের ঢোলের অবিস্মরণীয় বাদ্য আমি এখানেই শুনেছিলাম। আমার কাছে এসব শুধু স্মৃতি হয়ে আছে, কোনো বিজ্ঞাপন, পোষ্টার, কোনো ডকুমেন্ট, কোনো ছবি, কোনো ফিল্ম, ভিডিও বা অডিও রেকর্ড কিছু নেই। আমি জানিনা বঙ্গ সংস্কৃতি সম্মেলনের কোনো ইতিহাস লেখা হয়েছে কিনা তবে সবকিছু হারিয়ে যাওয়ার আগে সুযোগ্য কেউ যদি সে সব রেখে দিয়ে থাকেন তবে আজকের প্রজন্ম সে যুগের বঙ্গ সংস্স্কৃতির পরিচয় খুঁজে পাবে।

    সেটা বোধ হয় ১৯৫৮ সাল। ঠিক মনে নেই, দু এক বছর এদিক ওদিক হতে পারে। মহম্মদ আলি পার্কে বঙ্গ সংস্কৃতি সম্মেলনের বিরাট আয়োজন। বোধহয় তৃতীয় দিন। সে দিন এক দুর্ঘটনা ঘটল। সারা প্যান্ডেল আগুনের গ্রাসে ধুলিসাৎ হয়ে গেল। কর্মকর্তাদের মাথায় হাত। আবার নতুন করে সাজাতে হবে সব- প্রচুর অর্থেরও প্রয়োজন। একটা আকর্ষণীয় কিছু করা দরকার যা সেই সময় অভাবনীয় এবং অর্থাগমের উপায় হবে। ওঁরা শিশির ভাদুড়ীর দ্বারস্থ হলেন। ভাদুড়ী মহাশয় তখন বৃদ্ধ- অভিনয় প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন, স্টেজে নামেননি অনেক কাল। ওঁদের অনুরোধে রাজী হলেন। কাগজে খবরটা দেখে আমি উৎফুল্ল হয়ে উঠলাম। শিশিরবাবুর কথা এত পড়েছি এত নাম শুনেছি। নিউ ইয়র্কে সীতা নাটক করে সাড়া ফেলেছিলেন। কিন্তু ওঁর অভিনয় কখনো দেখিনি। নিজের চোখে শিশির বাবুকে দেখব, নিজের কানে শিশির বাবুর কন্ঠস্বর শুনব সে তো ভাবতেই পারিনি। এমন লোভ সামলাতে পারলাম না।

    এই শিশির ভাদুড়ী সারা জীবন কলকাতায় ন্যাশানাল থিয়েটার করার জন্য প্রচেষ্টা করে গেছেন। সরকারের কাছে আবেদন করেছেন, জনসাধারণের কাছে আর্জি করেছেন। কিছুতে কিছু হয় নি। সেই প্রতিবাদে তাই ভারত সরকার যখন পদ্ম পুরস্কার প্রস্তাব করে তখন তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। শুধু এক থিয়েটার ব্যাক্তিত্ব নয়, এক প্রতিভাবান শিল্পী নন, এক দৃঢ় চরিত্রের মানুষ। আমার শ্রদ্ধার মানুষ। সেই মানুষকে নিজের চোখে দেখব, এমন সুযোগ আর আসবে না।

    প্রতিবছরের মত এবারো টিকিট কাটাই ছিল। কিন্তু শিশিরবাবুর অভিনয় দেখার জন্য আলাদা করে আবার টিকিট করতে হলো। মনে আছে তিন রাত্রি পর পর থিয়েটার হয়েছিল। আমি তিন রাত্রিই গিয়েছিলাম। ‘সধবার একাদশী’ ও ‘প্রফুল্ল’-র কথা মনে আছে, তৃতীয়টির কথা স্মৃতি থেকে মুছে গেছে। দারুণ উপভোগ করেছিলাম। আনন্দিত ও তৃপ্ত হয়ে ঘরে ফিরেছিলাম।


    শিশির কুমার ভাদুড়ী



    সেটাই সম্ভবত শিশির ভাদুড়ীর শেষ অভিনয়। পরের বছর ৩০ জুন ১৯৫৯ সালে তিনি দেহত্যাগ করেন।

    নাটক আমি চিরদিনই ভালবাসি। ছোটবেলায় বড় বড় চোখ মেলে সারা রাত জেগে যাত্রা দেখতাম। পাড়ায় পুজোর সময় যে সব থিয়েটার হত সেগুলোর কোনোটাই বাদ দিতাম না। কলাকাতায় যখন এলাম তখন সে সাধ পূরণ করলাম ষোলআনা। পেশাদার অপেশাদার সব থিয়েটারেই আমি নিয়মত যেতাম। স্টার, রংমহল তো বটেই সেই সঙ্গে সে যুগের সাড়াজাগানো অপেশাদার নাট্য ব্যাক্তিত্ব- শম্ভু মিত্র, উৎপল দত্ত, অজিতেশ বন্দোপাধ্যায়— বহুরূপী, লিটল থিয়েটার, নান্দীকার। এদের প্রযোজনাগুলো আমাকে মন্ত্রমুগ্ধের মত আকৃষ্ট করত। এদের কিছু কিছু নাটক ও অভিনয় এখনো আমার স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে আছে। মনে আছে বহুরূপীর পুতুলখেলা আমাকে কেমন ভাবে নাড়া দিয়েছিল। তৃপ্তি মিত্রের ‘ঝুলন’ শুনে এত অভিভূত হয়েগিয়েছিলাম যে বাড়ী এসে সঙ্গে সঙ্গে সঞ্চয়িতা খুলে ঝুলন আবৃত্তি করতে শুরু করলাম ---

    ওগো, পবনে গগনে সাগরে আজিকে কি কল্লোল!
    দে দোল, দে দোল।
    পশ্চাৎ হতে হাহা করে হাসি
    মত্ত ঝটিকা ঠেলা দেয় আসি,
    যেন এ লক্ষ যক্ষ শিশুর অট্টরোল।
    আকাশে পাতালে পাগলে মাতালে হট্টগোল।
    দে দোল দে দোল।।

    আমার মনেও দোলা লাগলো ।

    অন্য একদিনের কথা বলি। জীবনে কখনো কখনো সাধারণ কোন মুহূর্ত অসাধারণ হয়ে মনের মণিকোঠায় চিরদিনের জন্য বাসা বেঁধে নেয়। আমি তখন বৌবাজারে থাকি। সেদিন বসন্ত পূর্ণিমা। সন্ধ্যায় বই নিয়ে ঘরে বসে থাকতে ইচ্ছা করছিল না। মনে কেমন যেন এক উদাস উদাস ভাব। ধুতি পাঞ্জাবী পরে বেরিয়ে পড়লাম। হাঁটতে হাঁটতে পার্ক স্ট্রীট পেরিয়ে ক্যামাক স্ট্রীটে এসে পড়েছি। এ অঞ্চলটা অভিজাত উচ্চবিত্ত মানুষের বাস। তখনো কিছু বড় বড় লাল টালির ছাদের বাংলো ছিল যেখানে হাই কোর্টের জজ, বিদেশী কোম্পানির ইউরোপিয়ান কর্তা ও ধনী ব্যবসায়ীদের বসবাস। পাড়াটা বেশ নিরিবিলি, পরিচ্ছন্ন; ফুটপাথে লোকজন নেই বললেই চলে।

    নির্জন পথে একা একা চলতে থাকলে মনের অলীক ভাবনাগুলো নিবিড়ভাবে জড়িয়ে ধরে। আমারও তাই হয়েছিল। ভাবতে ভাবতে উদ্দেশ্যহীনভাবে চলছিলাম। হঠাত দেখি একটা বড় বাড়ির সামনে একটার পর একটা গাড়ী এসে থামছে আর গাড়ী থেকে পুরুষ মহিলারা সেই বাড়ীতে ঢুকছে। আমার কৌতূহল হল। আমি আস্তে আস্তে সেই বাড়ীর দিকে এগিয়ে গেলাম। প্রবেশদ্বারে কয়েকজন যুবক যুবতী; বোধহয় এই পরিবারের লোক। আমি উঁকি দিয়ে দেখার জন্য এগিয়ে গেলাম। আমাকে কেউ বাধা দিল না। আমি ভিতরে ঢুকলাম। একটা বাগান; ছোট ছোট গুল্ম ও ফুল গাছে ভরা। তারই মাঝে মাঝে ছোট ছোট টেবিল, তাতে স্তিমিত আলো। এক একটা টেবিল ঘিরে চেয়ারে বসা কয়েকজন নরনারী। কোথাও কোন উজ্জ্বল আলো নেই; সারা বাগানটা প্রায় অন্ধকার। খুব কাছে না গেলে কারো মুখ দেখা যায় না।

    উর্দিপরা সেবক পানীয় ও স্ন্যাক্স নিয়ে অথিতিদের আপ্যায়ন করছে। আমি অনাহূত আগুন্তুক; পাছে কেউ জিগ্যেস করে আমি কে, তাই আমি একটা অন্ধকার ঝোপের ধারে একটা চেয়ার টেনে নিয়ে বসলাম। আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ, চাঁদের আলো ছাড়া মানুষের তৈরি আলোর অভাব; প্রায় অন্ধকার। সকলে নিচু স্বরে কথাবার্তা বলছে--- এক ঝাঁক মৌমাছি-গুঞ্জনের শব্দের মত কলতানে ভরেছে চারিদিক। কিছুক্ষণ পরে সে শব্দ থেমে গেল। চারিদিক নিস্তব্ধ, আধোঅন্ধকার। আচম্বিতে বাড়ির বারান্দার সামনে দেখা গেল কার্পেটে ঢাকা এক কাঠের পাটাতন। তার উপর চাঁদের আলোকে লজ্জা দিয়ে লুটিয়ে পড়ল উজ্জ্বল ইলেকট্রিক আলো। আর সেই আলোতে দেখা গেল অপূর্ব রূপসী এক নৃত্যরতা নারী। সঙ্গে পুরুষ কণ্ঠে গান ভেসে এলো “আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে, বসন্তের এই মাতাল সমীরণে।” আমার চোখের সামনে এক ইন্দ্রসভার ছবি ভেসে উঠল। ইন্দ্রসভা কি এমনি অপরূপ মোহিনী মায়া সৃষ্টি করে? আমি অভিভূত।

    নৃত্যশিল্পীকে চিনতে আমার অসুবিধা হয়নি, তিনি সে যুগের বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী এবং আমার প্রিয় মঞ্জুশ্রী চাকী। আর কণ্ঠ আমার আর এক প্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীর – দেবব্রত বিশ্বাস। মণিকাঞ্চন যোগ– মঞ্জুশ্রী ও দেবব্রত। পুর্ণিমার চাঁদ, রবীদ্রনাথের গান, দেবব্রতের কণ্ঠ, মঞ্জুশ্রীর নাচ --- এমন দিন ক্ষণ কাল শিল্পী ও পরিবেশের দুর্লভ সমন্বয় আমি কখন দেখিনি। এই দীর্ঘ জীবনে দেশে বিদেশ আমি বহু ছোট বড় নৃত্য ও সঙ্গীত আসরের শরিক হয়েছি আমি; কিন্তু এমন অভিজ্ঞতা হয়নি কখনো।

    এ এক নিটোল সুন্দর পুর্ণিমা সন্ধ্যা; এক অবিস্মরণীয় মায়াবী সন্ধ্যা।

    বহুকাল পরে লন্ডনে তীর্থ ও নয়নী চক্রবর্তীর সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছিল বন্ধু ভাস্কর দত্তর সৌজন্যে। তীর্থ ও নয়নী, আমাদের কাছে ওদের ডাক নাম, দুষ্টু ও পাম, নামে পরিচিত। দুষ্টু ও পাম লন্ডনের পাট উঠিয়ে কলকাতায় চলে যায়। ওদের কলকাতা ফেরার কিছুদিন পরে আমি দুষ্টুর সঙ্গে কলকাতায় একটা কম্পিউটারের ব্যবসা শুরু করি। ক্রমে আমাদের দুই পরিবারের সম্পর্ক ব্যবসা ছাড়িয়ে গভীর বন্ধুত্বে পরিণত হয়েছিল। বহু দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমি দুষ্টু ও পামের নিউ আলিপুরের বাড়িতে আড্ডা দিয়েছি।

    পাম লেডী রানু মুখার্জীর পৌত্রী। একদিন পাম ও দুষ্টুর কাছে আমার সেই বসন্ত সন্ধ্যার গল্প করছিলাম। সেটার কথা শুনে পাম বলেছিল “আমার ঠাকুমার বাড়ি।” অর্থাৎ সেটা স্যার আর এন মুখার্জী ও লেডী রাণু মুখার্জীর বাড়ি। না জেনে আমি এক ইতিহাসের সাক্ষী হয়েছিলাম।

    দুর্ভাগ্যবশতঃ সে বাড়িটা আর মুখার্জী পরিবারে নেই। এখন বোধহয় সে বাড়িটা একটা হোটেলে রূপান্তরিত হয়েছে।

    ক্রমশঃ


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ১৭ মে ২০২৫ | ৪৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন