আরজিকর কাণ্ড আমাদের সকলের চোখের সামনে দিয়ে ঝড়ের গতিতে হয়ে গেল। কিন্তু ঝড়ের মধ্যে অনেক কিছু নজরে পড়ে না, অনেক কিছু মাথা থেকে বেরিয়ে যায়। এই লেখা পড়লেই দেখবেন, কিছু জিনিস আপনি জানতেন না। কিছু জিনিস জানতেন, কিন্তু ভুলে গেছেন। আজ থেকে কয়েক বছর পরে সমস্ত খুঁটিনাটিই বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যাবে। সেটা যাতে না যায়, তাই এই প্রয়াস। প্রতিদিন ঘটনাপ্রবাহের খুঁটিনাটির নোট রাখা হচ্ছিল, তার ভিত্তিতেই এই লেখা। তাতেও কিছু বাদ যায়নি তা নয়। তার কিছুটা ইচ্ছাকৃত, গুরুত্বের বিবেচনায়, আরও কিছু বাদ গেলে অনিচ্ছাকৃত। যেহেতু নোটের ভিত্তিতে লেখা, দু-একটা তারিখও এক-আধদিন এদিকে-ওদিকে হয়ে যাওয়া অসম্ভব না। এইটুকু বাদ দিলে এই প্রতিবেদন শত শতাংশ তথ্যানুগ। আজ হোক, বা আগামী কাল, আপনি গবেষক হন বা সমাজকর্মী, এই নোটগুলি আপনার কাজে লাগবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। সেইজন্যই বইটি প্রকাশ করা হল।
কারো একার পক্ষে এই প্রতিবেদন লেখা সম্ভব হত না। আস্ত একটা টিম কাজ করেছে পুরো কাজটায়। সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়, অরিজিৎ দাস, ঈপ্সিতা পালভৌমিক, দিব্যজ্যোতি মৈত্র, এই আমাদের লেখালিখির দল। বাইরে যে সাংবাদিকরা সাহায্য করেছেন, যাঁরা দ্রুতগতিতে নথিগুলো হাতের কাছে এনে দিয়েছেন, সহজবোধ্য কারণেই তাঁদের নাম দেওয়া গেল না।