দেবেশ রায় বাংলা গদ্যসাহিত্যে এক অনন্য ঘটনা। লেখায় একদিকে অতি স্পষ্ট রাজনীতি, অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রশ্নগুলিকে ক্রমাগত উত্থাপন করে যাওয়া, একই সঙ্গে দীর্ঘ, প্রায় ক্লান্তিকর বর্ণনাধর্মিতা আর পাশাপাশিই ন্যারেটিভকে হেলায় ভেঙে ফেলা, একই লেখায় তত্ত্বরচনা এবং তত্ত্বকে প্রশ্নচিহ্নের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো, সব মিলিয়ে দেবেশ রায়ের কীর্তির যা মাপ, সে বস্তু বিশ্বসাহিত্যেই অতিবিরল। তাঁর জন্মদিনেই প্রকাশিত হচ্ছে গুরুচণ্ডা৯ ই-পত্রিকার প্রথম সংখ্যা - দেবেশ রায় সংখ্যা। এ কোন দুর্ঘটনাজনিত সমাপতন নয়, বেছে নেওয়া দিনক্ষণ। আমরা যারা ঠিকুজি-কুষ্ঠি-গ্রহ-নক্ষত্রের বদলে আস্থা রাখি অন্তহীন প্রশ্নচিহ্নে, সরলরেখার বদলে বেছে নিই ভাঙাচোরা নাস্তিক্য, তাদের ই-পত্রিকার জন্মদিন আর অন্য কী-ই বা হতে পারত, পারে?
পত্রিকায় লিখেছেন অনিশ্চয় চক্রবর্তী, গৌতম সেনগুপ্ত, অভীক মজুমদার, স্বপন পাণ্ডা, শান্তনু সরকার, এণাক্ষী রায়, স্বরূপ কুমার সরকার, শাশ্বতী মজুমদার, শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য এবং তাপস দাশ। রয়েছে দেবেশ রায়ের একটি পূর্বপ্রকাশিত লেখাও। পড়তে গেলে আপনাকে লগ-ইন করে ডাউনলোড করতে হবে। তার জন্য ক্লিক করুন এখানে। সংখ্যাটির একটি সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক সহায়ক মূল্য আছে। সেটি না দিলেও পত্রিকা পড়া যাবে। যার ইচ্ছে তিনি দেবেন। অথবা হয়ে যাবেন গুরুর গ্রাহক। এর পরের ই-সংখ্যাগুলি এবং ই-বই পড়ার জন্য গ্রাহকত্ব প্রয়োজন হতে পারে।
দেবেশ রায়কে নিয়ে অনলাইনে একটি লম্বা আলোচনাও করেছি আমরা। তাও রইল একই সঙ্গে। সুদীর্ঘ এই আলোচনা সম্পূর্ণ চিত্রনাট্যহীন ও আদ্যন্ত সৎ। দেবেশ রায় নিঃশ্বাস নিয়েছেন খণ্ডিত বাংলায়, লিখেছেন এক প্রান্তিক ভাষায়, যেখানে মৃত্যুর পর কিঞ্চিৎ ফুলমালা চড়িয়ে ভুলে যাওয়াটাই দস্তুর। কিন্তু এক্ষেত্রে নিয়মের ব্যতিক্রম হবে, আমরা ঝট করে তাঁকে ভুলতে দেবনা। এ ব্যাপারে আমরা কিঞ্চিৎ দাঁতাল ও নাছোড়বান্দা।
অনলাইনে দেবেশ রায়কে নিয়ে আলোচনা করেছেন দেবতোষ দাশ, অভীক মজুমদার, স্বপন পাণ্ডা, শান্তনু সরকার, তাপস দাশ এবং সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ধরনের আলোচনা আমরা চালিয়ে যাব, ভবিষ্যতেও।
গুরুচণ্ডা৯-ই -১ -- দেবেশ রায় সংখ্যার জন্য ক্লিক করুন এখানে
অনলাইনে দেবেশ রায়কে নিয়ে আলোচনা: