এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • প্রাথমিক শিক্ষক নিয়ে আদালতের রায়ে ঠিক কী আছে

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৫০০ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • আদালতের রায় নিয়ে যে যার মতো বলে চলেছে। কেউ বলছে, মানবিকতার খাতিরে। বিকাশবাবু বলছেন আবেগের হাওয়া। অভিজিৎ গাঙ্গুলি বলছেন এটা কোনো গ্রাউন্ড হতে পারেনা। এইসব হাবিজাবিতে কান দেবেন না, রায়ে আসলে কী আছে নিজে পড়ুন। নিচে, রায়ের যে অংশটা বিচারকের নিজস্ব বক্তব্য, সেটা দিলাম (অনুচ্ছেদ ১৮৮ থেকে ১৯১ পর্যন্ত)। মোটামুটি মূলানুগ অনুবাদ। সামান্য ভুলচুক থাকতে পারে, কিন্তু মোটের উপর ঠিকই আছে। পড়ার আগে একটা জিনিস মাথায় রাখবেন, যে, রায়ে "দা কোর্ট" বা "আদালত" যখনই বলা হয়েছে, সেটা অভিজিৎ গাঙ্গুলির এজলাসের কথা বলা হয়েছে। 

    ----------   
    এটা  ঠিক যে আদালতকে জনসেবায় ন্যায়পরায়ণতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং যদি কোনো ব্যবস্থাগত অনিয়ম পরীক্ষার প্রক্রিয়ার সততা নষ্ট করে, তবে আদালত পরীক্ষার পুরো বাতিল করাকে  সমর্থন করতে পারে। ব্যবস্থাগত অনিয়ম মানে কোনো ব্যবস্থা, প্রক্রিয়া বা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ব্যাপক ত্রুটি বা অসদাচরণ। এর মধ্যে নকল করা ও প্রতারণা (impersonation) অন্তর্ভুক্ত। ব্যাপক মাত্রার অনিয়ম—বিশেষত যেগুলো সমমাপের  প্রার্থীদের সমান সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে—প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মতো গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।

    তবে আদালতের কাছ থেকে এটা আদৌ প্রত্যাশিত নয় যে তারা এসব অভিযোগের সম্ভাব্য ব্যাখ্যা বা বিকল্প সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিতে গিয়ে মাত্রাতিরিক্ত অনুসন্ধানে জড়িয়ে পড়বে। বোর্ড পরীক্ষায় কোনো প্রমাণিত গণটোকাটুকির ঘটনা এবং ভিত্তিহীন অপ্রমাণিত দুর্নীতির অভিযোগ—এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে। যখন এই মর্মে চাকরি বাতিল করা হয় যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দুর্নীতিকে সহায়তা বা প্রশ্রয় দিয়েছেন, তখন আদালতকে নিজেকেই সন্তুষ্ট করতে হবে যে এই সিদ্ধান্তের উপযুক্ত ভিত্তি আছে।

    রিট আবেদনে উত্থাপিত অনিয়মের অভিযোগ মূলত টেট ২০১৪-কে কেন্দ্র করে, যার মাধ্যমে প্রার্থীরা সাক্ষাৎকার/অ্যাপটিটিউড টেস্টে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। উত্থাপিত প্রশ্নের নিষ্পত্তি করতে গিয়ে আদালত মূল বক্তব্যের সীমা অতিক্রম করেছিল এবং কোনো অ্যাপটিটিউড টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়নি—এই অসমর্থিত ধারণার ভিত্তিতে সমস্ত নিয়োগকে বাতিল করেছিল।

    ন্যায়বিচার প্রদানের ক্ষেত্রে আদালত মনের আনন্দে নিজের ইচ্ছেমতো উদ্ভাবন করতে পারে না। আদালত ‘সৌন্দর্য বা নৈতিকতার স্বকপোলকল্পিত আদর্শের সন্ধানে ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়ানো এক নাইট’-এর ভূমিকাও নিতে পারে না। বরং সর্বদা আদালতের প্রত্যাশা থাকে যে তারা ‘পবিত্র নীতিমালা থেকে প্রেরণা নেবে।’ [দেখুন বেঞ্জামিন কার্ডোজো, The Nature of Judicial Process]।

    সমস্ত নিয়োগ বাতিল করার জন্য ব্যাপক বা ব্যবস্থাগত অনিয়মের স্পষ্ট প্রমাণ অপরিহার্য। পুরো পরীক্ষা বাতিল করতে হলে নথিপত্রে প্রতিফলিত এমন উপাদান থাকতে হবে, যা কোনো ব্যবস্থাগত দুর্নীতি বা ত্রুটির সম্ভাবনা নির্দেশ করে। উপাত্ত মূল্যায়নে এমন কোনো ব্যবস্থাগত নকল বা অনিয়মের ইঙ্গিত পাওয়া যায় না।

    এটাও উল্লেখযোগ্য যে আপিলকারীরা যতদিন দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের সততা বা দক্ষতা সম্পর্কে কোনো অভিযোগ ওঠেনি। পরীক্ষকদেরকে বেশি নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল—এমন কোনো তথ্য নেই, কিংবা টাকা প্রদানকারী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারে বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে—এমন প্রমাণও নেই।

    একদল অসফল প্রার্থীকে পুরো ব্যবস্থাটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার সুযোগ দেওয়া যায় না, বিশেষত যখন এটাও অস্বীকার করা যায় না যে নিরপরাধ শিক্ষকরাও অপমান ও কলঙ্কের শিকার হবেন। কেবলমাত্র কোনো চলমান ফৌজদারি মামলার ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিও বাতিল করা যায় না।

    রিট আবেদনকারীরা চার্জশিট ও সম্পূরক চার্জশিটের ওপর নির্ভর করেছেন। এতে তদন্তকারী সংস্থা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে যে বোর্ডের সুপারিশপত্র পাওয়ার পরই নিয়োগপত্র জারি করা হয়েছিল। তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের প্রাপ্ত ফলাফলেও দেখা যায় না যে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীরা কোনো দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।

    তদন্তে সিবিআই নিশ্চিত করেছিল যে ২৬৪ জন প্রার্থীর ক্ষেত্রে অনিয়ম ছিল—যাদের গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছিল এবং যাদের শনাক্ত করা হয়েছে। অতিরিক্তভাবে ৯৬ জন প্রার্থী, যারা উত্তীর্ণ নম্বর পায়নি, তারাও নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিল এবং তাদেরও শনাক্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে ওই ৯৬ জন প্রার্থীকে বরখাস্ত করা হয়, কিন্তু মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের আদেশে তারা এখনো চাকরিতে বহাল আছেন।

    এই স্পষ্ট শনাক্তকরণের প্রেক্ষিতে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ঘিরে প্রতারণা ও দুর্নীতির অভিযোগ টেকসই নয়, এবং ৩২,000 শিক্ষকের নিয়োগের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করার কোনো ভিত্তি নেই।

    কোনো পদক্ষেপের প্রভাব–ই নির্ধারণ করে দেয় যে কোন ধরনের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত। এই পর্যায়ে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার কোনো নির্দেশ প্রার্থীদের ওপর ভিন্ন ধরনের প্রভাব ফেলবে। এমন কোনো নির্দেশ ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হবে।
    প্রায় নয় বছর চাকরি করার পর যদি কারও চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়, তাহলে তা নিঃসন্দেহে আপিলকারীদের জন্য অসীম দুর্ভোগ ডেকে আনবে এবং তাদের ও তাদের পরিবারের অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়বে।
     
    এ অবস্থায় এবং প্রভাবের ব্যাপকতা বিবেচনা করে, আমরা দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালনকারী ৩২,০০০ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলকে সমর্থন করতে আগ্রহী নই।

    -----
    এইই হল মোটামুটি মুলানুগ অনুবাদ। এর থেকে যেগুলো পরিষ্কারঃ 

    ১। অভিজিৎ গাঙ্গুলির রায়কে তুলোধোনা করা হয়েছে। উনি যদি আদৌ পড়ে থাকেন এবং কিছু বুঝে থাকেন, তো লজ্জায় অধোবদন হয়ে থাকা উচিত। 
    ২। মানবিক কারণে কিছু শাস্তি মকুব করা হয়নি। মানবিক কারণের কথা শেষে একটু। বাকিটা পুরোটাই, ছাত্রে ছত্রে প্রমাণের অভাব, আদালতের কাজ নয় নাইট সেজে ঘুরে বেড়ানো নয়, এইসব বলা হয়েছে। 
    ৩। ২৬০০০ এর চাকরি গেল কিন্তু ৩২০০০ এর গেলনা কেন? অভিজিৎ গাঙ্গুলিও কাছাকাছি একটা কথা বলেছেন দেখলাম, উনি যে আইনকানুন কিসুই জানেন না সেটা আরেকবার বোঝা গেল। সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে স্পষ্ট করে বলেছে, তারা ন্যাচারাল জাস্টিস এখানে প্রযোজ্য নয় ভেবেছে। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ পরোক্ষে ন্যাচারাল জাস্টিসের কথাই বলেছে। অর্থাৎ, কয়েকজন অপরাধী ছাড়া পেয়ে গেলে যাবে, কিন্তু কোনো নিরপরাধ যেন শাস্তি না পায়। এটাই রায়ের তফাত করে দিয়েছে। 
    হ্যাঁ, ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, সমস্ত দুর্নীতিকারীর শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু একজন নিরপরাধেরও নয়। যে আইনব্যবসায়ী চক্র সবার চাকরি খাবার দাবী করছে, তারা নৈতিক অপরাধ করছে বলেই মনে করি। সেটা আর্থিক লেনদেন বা বোঝাপড়া বা অন্য যে কোনো কারণেই হোক। এর মধ্যে বিকাশ ভট্টাচার্যের সঙ্গে মহাভারতের শকুনি চরিত্রের মিল পাই। ভাবটা এমন, যে কৌরবদের জন্য জানকবুল, কিন্তু আসল কুরুবংশ ধ্বংসের জন্যই লড়ছেন। দুর্যোধন-দুঃশাসন জাতীয় অপোগন্ডোদের কথা ছেড়ে দিন, পিতামহ ভীষ্ম থেকে শুরু করে পদাতিক সৈন্য পর্যন্ত  বাকি যেকটি টিকে আছে, তাদের এই নিয়ে সচেতন হওয়া উচিত। 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৫০০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সিতোপল নিয়োগী | 223.185.***.*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:১৯736404
  • সরকার বিচারপতির হাত ধরে ৩২০০০ মুরগী তৈরী করলো, নিজেদের ভোটের জন্য। ভোট শেষ হবে, এগুলো কাটা পড়বে,  বিচারপতি নিজেও জানেন এই রায় সুপ্রীম কোর্ট এ গেলে টিকবে না, কারন উনি রায় দানের সাথে সূচতুর ভাবে বলেছেন দুর্নীতি হয়েছে, মানে  ভারতীয় বিচার ব্যবস্থা এই দুর্নীতি র কথা মানছে, কিন্তু উনি চ্যাকরি বাতিল করছেন না, পরিবার দের কথা ভেবে,, এই রায় টা আইন এর বাইরে আবেগের রায় , আইন এ আবেগ চলে না  এটা সুপ্রীম কোর্ট এ গেলে বাতিল হয়ে যাবে। তা ছাড়া এই রায় বহাল থাকলে  দুর্নীতি র জন্য যত প্যানেল বাতিল হয়েছে  সেই সব ভিকটিম কেস রি ওপেন করাবে এই রায়ের ভিত্তিতে আর এটা হলে সেখানকার সরকারের পেছন ফেটে যাবে , কারন একই অপরাধ এ বিভিন্ন সাজা হতে পারে না।

    তাহলে এই রায় হলো কেন? আসলে  এই রায় না হলে সরকারের পেছন পুরো মারা যেত। পাবলিক কে সামলানো মুশকিল হত, তাই এই রায় দিয়ে ৩৬০০০  শিক্ষক ( পড়ুন মুরগী ) কে আপাতত ঠান্ডা রাখা হল। সুপ্রীম কোর্ট এর রায় বেরোবে ভোটের পর, তারপর এদের পশ্চাতদেশ মারা গেলেও, কি এসে যায়?  এই সরকার থাকলে বলবে আমাদের উপর প্রতিহিংসা নেওয়া হলো, আর না থাকলে বলবে, আমরা থাকলে হতে দিতাম না।
  • buddhijibi | 23.162.***.*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:৩৭736406
  • আরে সিতোপলবাবু, এইখানে এসব কথা বলে ইন্টালেকচোয়াল এনালিসিসে চোনা ফেলে দিলেন। গুরুচণ্ডালী তো ওই ৩২০০০ মুরগির ডিম বেচেই চলছে। শকুনি বিকাশ কেবল তাতে বাগড়া মারে!
  • dc | 2401:4900:915f:de9a:ec9e:cf94:5a8a:***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:৩৮736409
  • ব্যাস, এবার এক বছর ধরে এই টইটাতে দীপচাড্ডি কার কার যেন ফেবু পোস্ট নিজের নামে পোস্ট করবে laugh
  • :|: | 2607:fb90:bd19:971:4f9:e6f5:25e7:***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৩১736410
  • কিন্তু ছাব্বিশের ছ আর বত্তিরিশের ব নিয়ে একজন তো এখানে ছত্তিরিশ হাজার বলে মত দিয়েই দিলেন! এইরকম সব লোকজনই বিকাশুকিলকে সাহায্য করেন মনে হয়। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন