এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  অর্থনীতি

  • ম্যাক্স ওয়েবার, প্রোটেস্ট্যান্ট নৈতিকতা এবং অ্যাড্যাম স্মিথ: কিছু প্রশ্ন ও  তার উত্তর 

    Anirban M লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | অর্থনীতি | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২৮ বার পঠিত
  • কিছুদিন আগে এই বিভাগেই অ্যাডাম স্মিথ, ওয়েবার, এবং পূঁজিবাদী বিকাশ সম্পর্কিত একটি লেখা পোস্ট করেছিলাম (লিঙ্ক)। পশ্চিম ইউরোপের পুঁজিবাদী বিকাশে প্রোটেস্ট্যান্ট নৈতিকতা একটি বহুচর্চিত এবং স্বীকৃত তত্ত্ব। আমার প্রশ্ন ছিল পুঁজিবাদী তত্ত্বের জনক স্মিথ কোন ভাবে এই নৈতিকতা দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন কিনা। আমার ধারণা ছিল লেখাটি বেশি কেউ পড়বেন না! কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, অনেকে পড়লেন শুধু না, পড়ে বিভিন্ন সিরিয়াস মন্তব্য এবং প্রশ্ন করলেন। সেই প্রশ্নগুলি গুরুত্বপূর্ণ এবং বৃহত্তর অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত। তাই ভাবলাম একটি নতুন লেখা লিখি। কিছু বিশেষ বিষয়ে যাওয়ার আগে একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিই। ইউরোপের পুঁজিবাদের বিকাশে প্রোটেস্ট্যান্ট নৈতিকতার ভূমিকার একটি বিশেষ পরিপ্রেক্ষিত আছে। কেন ইউরোপের মধ্যে পশ্চিম ইউরোপেই শিম্প বিপ্লব এবং পুঁজিবাদের বিকাশ হল সেটি একটি বিশেষ ধাঁধা। বিভিন্ন গবেষক, বিভিন্ন ভাবে এর উত্তর দিয়েছেন। ওয়েবারের থিসিস এই সব সম্ভাব্য উত্তরের মধ্যে একটি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে অ-প্রোটেস্ট্যান্ট কোথাও শিল্পবিকাশ হতে পারবে না, বা কোথাও লোককে ধরে ধরে প্রোটেস্ট্যান্ট করে দিলেই শিল্পের বান ডাকবে। সিরিয়াস গবেষণা পৃথিবীর সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না। তার একটা নির্দিষ্ট অভিমুখ থাকবে যার চারপাশেই গবেষণা কেন্দ্রীভূত থাকবে। এরকম অনেক অনেক গবেষণা মিলে আমরা একটা বিশ্বদর্শন পেয়ে থাকি। ওয়েবারের কাজও কিন্তু সেরকমই একটা গবেষণা।
    এবার আমি বিশেষ প্রশ্নগুলিতে আসি। প্রথমে দেবাঞ্জন। উনি দুটি মন্তব্য রেখেছেনঃ
    “(প্রথমত) বর্তমান পৃথিবীর দুটি সবচেয়ে বড় আর্থিক শক্তি চীন ও আম্রিকা। এদের মধ্যে আম্রিকা একটি স্পেকুলেশন ভিত্তিক financialized অর্থনীতি অন্যদিকে চীন রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ ভিত্তিক একটি industrialized অর্থনীতি। তাহলে কি ওয়েবারের নীতি অনুযায়ী আম্রিকাকে অতিরিক্ত ঝুঁকিপ্রবণ ব্যবসায়িক মূল্যবোধ বিশিষ্ট দেশ এবং চীনকে পুঁজিবাদী মূল্যবোধ বিশিষ্ট দেশ বলা যেতে পারে ?

    দ্বিতীয়তঃ আম্রিকা কি তাহলে গত ৫০ বছরে স্পেকুলেশন ভিত্তিক অর্থনীতি চালাতে গিয়ে নিজের প্রোটেস্ট্যান্ট এথিক হারিয়ে ফেলেছে ? এবিষয়ে একটু ডিটেলে ব্যাখ্যা করবেন প্লিজ
    একাডেমিক ট্রেনিং এর একটা বৈশিষ্ট্য হল সব কিছুকে প্রশ্ন করা। ফলে আমার প্রথমেই প্রশ্ন জাগল এই যে দেবাঞ্জন বলছেন আমেরিকা ফিনানসিয়াল আর চিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল, এ্টা কীভাবে জানা গেল? কারণ এই ধরণের দাবি নির্দিষ্ট পরিমাপের ভিত্তিতেই হতে পারে। এটা নানা ভাবে পরিমাপ করা যেতে পারে। দেবাঞ্জন কিসের ভিত্তিতে এই কথা লিখেছেন না জানা থাকার জন্য আমি দেখার চেষ্টা করলাম আমেরিকা এবং চিনের স্টক ইন্ডেক্সে বিভিন্ন সেক্টরের গুরুত্ব কত। চটজলদি সার্চে পেলাম আমেরিকার এস এন্ড পি ইন্ডেক্সে সব থেকে বেশি গুরুত্ব থাকে তথ্যপ্রযুক্তির (সূত্রঃ https://url-shortener.me/59GP)। অন্যদিকে চিনের সাংহাই স্টক ইন্ডেক্সে সব থেকে বেশি গুরুত্ব ফাইনান্স এবং রিয়েল এস্টেট-এর (https://url-shortener.me/59GV)। সুতরাং, দেবাঞ্জন যে চিন-আমেরিকা বাইনারির কথা বলেছেন সেটা সম্ভবত ঠিক না। তবে এখানে স্বীকার করে নেওয়া ভালো যে আমার স্টক মার্কেট-এর জ্ঞান খুব সীমিত। সুতরাং, যদি অন্য কোন পরিমাপ থাকে যার ভিত্তিতে আমেরিকাকে স্পেকুলেশন এবং চিনকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল বলা যায়, সেটা জানালে আমি পড়ে দেখব নিশ্চয়ই।
    এবার দ্বিতীয় প্রশ্নে আসি। ওয়েবার বলছেন ১৭৮০-৯০ এর পূঁজিবাদের কথা। স্টক মার্কেট স্পেকুলেশন সেভাবে আসে নি তখনও (লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ ফর্মালি তার যাত্রা শুরু করে ১৮০১ এ, যদিও তার আগে থেকে নানা ভাবে স্টক ট্রেডিং চলত।) যদিও স্পেকুলেশনের ইতিহাস আরো পুরোন। ১৫৩১ এ এন্টওয়ার্পে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ছিল।)। আমাদের দেশের যারা মারওয়াড়ি, স্রফ, মূলতানি ইত্যাদি বাণিজ্যিক গোষ্ঠী নানা ভাবে পণ্য স্পেকুলেশন করত। কিন্তু শিল্পবিল্পব এর মাধ্যমে যে প্রযুক্তি বিপ্লব আসে তা পৃথিবীর মোট উৎপাদনকে অনেকটা প্রসারিত করে, যা বিশুদ্ধ স্পেকুলেশনে সম্ভব নয়। বিশুদ্ধ স্পেকুলেশন জিরো সাম গেম, কারো লাভ হলে, কারো ক্ষতি হবে। তাতে ব্যক্তি বড়লোক হতে পারে, সমাজ নয় (যদিও এক্ষেত্রে বলে নেওয়া ভালো যে স্পেকুলেশন যদি সত্যিকারের উদ্ভাবনের জন্য হয় তাহলে ব্যক্তি, সমাজ সবার ভালো হতে পারে। আমি আপাতত এই আলোচনায় ঢুকছি না।)। প্রোটেস্ট্যান্ট এথিক বলেছিল যে অর্থকরী কাজ করা ইশ্বর বিরোধী কোন কাজ না। বরং তা ঈশ্ব্বরের কাছে পৌঁছনর পথ হতে পারে। একটি ধর্মতত্ত্ব হিসেবে এটি একটি অভিনব ধারণা। কারণ সব ধর্মেই ইহজগতের কাজ কর্মকে হয় অপ্রয়োজনীয় বা সরাসরি পাপ বলে দেগে দেওয়া হয়। অর্থাৎ, ভাল যা হওয়ার পরলোকে হবে। সেখানে পূঁজিবাদের জন্মলগ্নে প্রোটেস্ট্যান্ট নৈতিকতা ভিন্ন প্রণোদনা দিয়েছিল নব্য শিল্পপতিদের। এর বেশি কিছু না। অষ্টাদশ শতকে ধর্ম যেহেতু অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তাই ওয়েবারের মতে, প্রটেস্ট্যান্ট দেশগুলিতে পুঁজিবাদের প্রসার একটা বাড়তি জোড় পেয়েছিল। এখন কোথাওই ধর্মীয় নৈতিকতার সেই ভূমিকা নেই। বরং, টাকার জন্য লোকে কোন অনৈতিক কাজ করতে পিছপা হয় না এবং তার পর অনেক সময় ধর্মপুস্তক থেকে তার সমর্থনও খুঁজে নেয়। আসলে অষ্টাদশ শতকে পুঁজিবাদ একটা নতুন বিষয় ছিল। তাই ধর্মীয় নৈতিকতার সমর্থন খুঁজে পাওয়া জরুরি ছিল। বর্তমান সময়ে প্রোটেস্ট্যান্ট নৈতিকতার পক্ষে সেরকম ভূমিকা নেওয়া আর সম্ভব না।
    এবার রঞ্জনদার প্রশ্নে আসিঃ
    ১) প্রটেস্টান্ট নৈতিকতা (ভায়া ওয়েবার) স্মিথের উপর যে প্রভাব ফেলেছে তার একটি প্রকাশ হোল কঠোর পরিশ্রমে জোর (= উৎপাদন ও উৎপাপ্দরটেস্কটান্তাট য় বৃদ্ধি), লোভ এবং ভোগে রাশ টানা এবং মহাজনী পুঁজির নিন্দে। 
    --এদিকে কেইন্স দেখাচ্ছেন উপভোগ বাজারে এফেক্টিভ ডিমান্ড সৃষ্টি করে। উপভোগ কমলে বাজারে এফেক্টিভ ডিমান্ড কমবে ফলে বিনিয়োগ কমে ব্যাপার চক্র ধীরে চলবে অর্থাৎ আন্ডার কনসাম্পশান পুঁজিবাদের বিপদ ডেকে আনবে। 

    ২) প্রটেস্টান্ট নৈতিকতা (ভায়া ওয়েবার) এবং স্মিথ সমষ্টির চেয়ে ব্যক্তির উপর, তার উৎপাদকতা ও ভোগ হ্রাসের কথা বলে, অ্যাডাম স্মিথের সেই রুটিওলার উপমাটি স্মর্তব্য যাতে বাজার প্রায় ঈশ্বরের মতই নিয়ামক। 
    --কিন্তু কেইনস আমাদের দৃষ্টিপাত করতে বলছেন একটি প্যারাডক্সের দিকে -- যার চালু মানে ব্যক্তির পক্ষে যে কাজটি পুণ্য। সেটিই সমষ্টির জন্যে পাপ বা অভিশাপ। 
    কারণ। সমস্ত ব্যক্তি যদি লোভে নিয়ন্ত্রণ করে, মানে উপভোগে লাগাম টানে -- তাহলে ফের বাজারে সক্রিয় চাহিদা কমে বিনিয়োগ কমবে এবং পুঁজিবাদের চাকা ক্রমশঃ শ্লথ গতিতে ঘুরবে

    তাহলে আধুনিক অর্থশাস্ত্রের আরেক দিকপাল  জন মেনার্ড কেইনস কি প্রটেস্টান্ট মূল্যবোধে বিশ্বাসী ছিলেন না? যদিও তাঁর দেশ প্রটেস্টান্ট! 
    এই প্রশ্নের উত্তরে একটু অর্থনীতি শাস্ত্রটি যেভাবে এগিয়েছে সেটা একটু বলে নিই। স্মিথ, রিকার্ডো, মার্ক্স বা ম্যালথাস এরা সবাই ছিলেন ক্ল্যাসিকাল অর্থনীতিবিদ। ক্ল্যাসিকাল অর্থনীতিতে চাহিদা কোন সমস্যা নয়। উৎপাদনের সমস্যা বা যোগানের সমস্যাই আসল সমস্যা। যারা কলেজে ম্যাক্রো অর্থনীতি পড়েছেন তাঁরা সে’র  নিয়ম (Say’s Law) বলে একটি নিয়ম পড়ে থাকবেন যা বলে কোন যোগান নিজেই নিজের চাহিদা তৈরি করে নেয়। মার্ক্সের তত্ত্বে পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় বিপর্যয়ের কথা থাকলেও তা চাহিদার সমস্যা সঞ্জাত নয় (এখানে বলে নেওয়া যাক যে মার্ক্সের লেখায় রিয়েলাইজেশন ক্রাইসিস বলে একটি বিপর্যয়ের কথা আছে যা চাহিদার থেকে আসে। কিন্তু চাহিদার সমস্যা মার্ক্সের তত্ত্বে কেন্দ্রীয় সমস্যা নয়।)। চাহিদা যে সমস্যা হতে পারে সেটা ১৯৩০ এর দশকে বোঝা গেল। একটা কথা এখানে খেয়াল রাখা দরকার। চাহিদা মানে কিন্তু শুধু ভোগব্যয় নয়, বিনিয়োগের চাহিদাও কিন্তু একধরণের চাহিদা। রিকার্ডো বা স্মিথ যখন ভোগব্যয় নিয়ে আপত্তি তুলছেন তখন তাঁদের মাথায় আছে সামন্তবাদী সমাজ যেখানে কোন সারপ্লাস এলে তা দিয়ে রাজারাজড়ারা বিলাসব্যসন বাড়িয়ে দেন বা তাজমহল বানান। তাঁরা বিনিয়োগ করেন না। তাই তা দিয়ে দেশের দীর্ঘমেয়াদী উন্নতি হয় না। কিন্তু কেইন্স তাহলে ভোগব্যয় বাড়ানোর সমর্থনে দাঁড়াচ্ছেন কেন? এখানে আসলে ক্লাসিকাল এবং কেইনসীয় দৃষ্টিভঙ্গীর একটা মূলগত পার্থক্য আছে। ম্যাক্রো-অর্থনীতির তত্ত্ব দু-ধরণের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে – দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী সমস্যা। এর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা হল অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সমস্যা, অন্যদিকে স্বল্পমেয়াদী সমস্যা হল বাণিজ্যচক্রের সমস্যা। আধুনিক বৃদ্ধিতত্ত্বের জন্ম ১৯৫০ এর দশকে সোলোর হাত ধরে। কিন্তু স্মিথ বা রিকার্ডোর মত ক্লাসিক্যাল অর্থনীতিবিদেরা একভাবে যা নিয়ে লিখছিলেন তা আসলে বৃদ্ধির সমস্যা। কেইন্স অন্যদিকে চিন্তিত ছিলেন স্বল্পমেয়াদী বাণিজ্যচক্রের সমস্যা নিয়ে যেখানে চাহিদার সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অন্যদিকে চাহিদা কোন সমস্যা নয়। সেই কারণে সোলো থেকে শুরু করে হালফিলের অ্যাঘিওন-হাউইট কোথাওই চাহিদা কোন সমস্যা নয়। কখন চাহিদার সমস্যা হয় আর কখন হয় না, এই নিয়ে তাত্ত্বিক আলোচনাটা আপাতত স্থগিত রাখলাম। কিন্তু কেইন্স দীর্ঘমেয়াদের সমস্যা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন না। এ প্রসংগে  কেইনসের “In the long run we are all dead!” স্মর্তব্য।
     আমি যখন উঠে আসা প্রশ্নের উত্তর দেব বলেছিলাম তখন ভেবলেন, আচেমগলু ইত্যাদি নামের উল্লেখ করেছিলাম। কিন্তু তাঁদের নিয়ে আসা গেল না আলোচনায়। আসলে অতি-ভোগের সঙ্গে আধুনিক পুঁজিবাদের সম্পর্ক নিয়ে আমার কিছু ভাবনা আছে যার কেন্দ্রে ভেবলেনের তত্ত্ব আছে। আমার মতে আধুনিক পুঁজিবাদ সামন্ততন্ত্রের কিছু চিহ্নকে ঘিরে বেড়ে উঠেছে। এটা নিয়ে সিরিয়াস গবেষণা করি নি, জাস্ট ভাবনা। সেটাই লিখব ভেবেছিলাম। কিন্তু বর্তমান লেখাটি এখনই ১০০০ শব্দ ছাড়িয়েছে। আপাতত থামি। একটু সময় করে কোনদিন সেটা নিয়ে বিশদে লিখব।
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২৮ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বডি  - Anjan Banerjee
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:৩৪737224
  • চমৎকার।
    সম্ভবত জোন রবিনসন বলেছিলেন -- কেইনসের অর্থনীতি শর্ট টার্ম স্ট্যাটিকস ,আর রিকার্ডো থেকে মার্ক্স লং টার্ম এবং ডায়নামিক্স।
    এটাকে আপনি সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন এবং খেই ধরিয়ে দিয়েছেন কেইনসের বিখ্যাত উক্তিটি উদ্ধৃত করে এবং ওনার ফোকাসকে ট্রেড সাইকলের সমস্যার সংগে যুক্ত বলে।
     
    আবার দ্বিতীয় গ্রুপ (ক্ল্যাসিক্যাল) এর  ফোকাস দীর্ঘকাল এবং বৃদ্ধি নিয়ে। তাই সিসমণ্ডি বা মার্কস,সবার জন্যেই Say's Law axiomatic  ছিল। 
    সব মিলিয়ে অনেক জিজ্ঞাসার নিরসন হল।
     
    মনে পড়ছে সত্তর দশকের গোড়ায় লিওনটিয়েফ বলোছিলেন -- মার্কসের ক্যাপিটাল হচ্ছে dynamics of capitalism এর  brilliant analysis.
     
    আপনার ভেবলেন নিয়ে আলোচনার অপেক্ষায় ।
    অন্তত 2000 শব্দ লিখুন।
     
    একহাজারে মন ভরে না।
     
    শিবাজীর পাঁচহাজারি মনসবদার আখ্যায় অপমান বোধ হয়েছিল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন