ছেলেমেয়েদের কাছে যা শুনলো নিউলান তা শোনার পরে তার আর মাথার ঠিক রইলোনা। সে জানতে পারলো যে স্বর্গের সম্রাজ্ঞী ওয়াং মুনিয়াং নিয়াং তাদের ঘরে এসে তাদের মাকে বলেছে পৃথিবীর মানুষের সঙ্গে আর কতদিন থাকবি? তুই এখানে পৃথিবীতে পড়ে থাকলে স্বর্গে কে কাপড় বুনবে? চ্রিনু কিছুতেই যেতে চাইছিলো না বলে তাকে জোর করে ধরে নিয়ে চলে গেছে। নিউলানের মাথার উপরে যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। একই দিনে তার মাথার উপরে এতবড়ো বিপদ। পৃথিবীতে তার সবচেয়ে কাছের দুজন মানুষ একই দিনে তাকে ছেড়ে চলে গেলো ! এখন সে কি নিয়ে বাঁচবে? হঠাৎ তার মনে পড়লো লাউনিউ তাকে ... ...
কিন্তু তাকে অবাক করে চ্রিনু বললো, "দেখো আমি দেখতে পারছি স্বর্গে আমার জন্য শুধুই দুঃখ, পৃথিবীতেও অনেক দুঃখ দেখতে পাচ্ছি।কিন্তু আমার মনে হচ্ছে পৃথিবীতে একটা কিছু আছে যেটা স্বর্গে নেই। এখানে আমি স্বাধীন। " তারপর তাদের দুঃখ যখন এক হয়ে গেলো তখন আর চার হাত এক হতে বাধা কোথায় ? সেইদিন রাতেই চ্রিনু আর নিউলানের বিয়ে হয়ে গেলো।তারপর তাদের জীবন বেশ সুখেই কাটতে লাগলো।নিউলান কাঠ কাটে, চ্রিনু সিল্কের কাপড় বোনে, সপ্তাহে একদিন পাহাড়ের নিচের গ্রামে হাট বসে, সেখানে তারা তাদের গরুর গাড়িতে গিয়ে তাদের কাঠ আর কাপড় বেচে।প্রচন্ড পরিশ্রমী তারা দুজনেই আর হবেই বা ... ...
এইবার তাকে চমকে দিয়ে তার সামনেই তার প্রিয় গরুটি বলে ওঠে "নিউলান এই নিউলান তুমি কি আমার কথা শুনতে পাচ্ছনা ?""হ্যা পাচ্ছি " কোনো রকমে ঢোক গিলে বললো নিউলান। আসলে গরুটি যে কথা বলতে পারে এই ধারণা তার ছিলোনা। গরু বললো "শোনো তোমার তো বিয়ের বয়েস হয়েছে।তুমি কি একটি সুন্দরী পাত্রী চাওনা তোমার জন্য ?" তার গরু কথা বলছে এটাই খুব আশ্চর্য্য ব্যাপার ছিল নিউলানের ... ...
লকডাউনের সময় থেকেই খুব সামান্য চীনা ভাষার চর্চা শুরু করেছিলাম। যদিও ধৈর্য্যের ও সময়ের অভাববশতঃ খুব বেশিদূর এখনো এগুতে পারিনি। তবুও চীনের কিছু প্রাচীন উপকথা ভাবানুবাদের মাধ্যমে এখানে আমার গুরুর পাঠকদের কাছে তুলে ধরছি। অনুবাদে ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখার জন্য পাঠকদের কাছে অনুরোধ রইলো।নিউলান ও চ্রিনুর কাহিনী সম্বন্ধে বলা যায় এই কাহিনীটি চীনের অত্যন্ত পরিচিত এক প্রাচীন উপকথা। এটিকে "রাখালছেলে ও পরীর কাহিনী " বলেও উল্লেখ করা হয়। আমি ইন্টারনেট থেকেই এই কাহিনীটি পেয়েছি। অনুবাদে ও অন্যান্য ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।অনেক বছর আগে চীনের এক খুব সম্পন্ন কৃষক পরিবারে একটি ছেলে জন্মায়। তার নাম ছিল নিউলান। খুব ছোটবেলাতেই ... ...
এখন দেশে ভোটরঙ্গ নিয়ে মানুষের আশা আকাঙ্খা উচ্ছাস উল্লাস আশংকা সবই চরমে। আমার নিজের এই ভোটযুদ্ধের ব্যাপারে নিজের জীবনের দুটো অভিজ্ঞতার কথা আজকে বলবো। প্রথমেই বলে রাখি এদুটো কিন্তু লোকসভা বা বিধানসভা নয় পাতি এলাকার মিউনিসিপ্যালিটির ভোটের কিন্তু আজকে এখানে এই ঘটনা উল্লেখ করলাম ভোটরঙ্গের একটা ছবি তুলে ধরতে।প্রথম ঘটনা ২০০৫ সালের। আমাদের নতুন ফ্লাট কিনে নতুন পাড়াতে ওঠবার পরে ওটাই ছিল আমার প্রথম ভোট। তা সকাল সকাল ৮ টার মধ্যেই বুথে গিয়ে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম। আমার ঠিক আগে এক ভদ্রলোক ছিলেন, তাকে চিনতাম এই জন্য যে পাড়াতে তিনি খুব সম্ভবত: ছোট একটা মুদিখানার দোকান তখন চালাতেন; সেই সময়ে ... ...