এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • দুনিয়াদারীর টুকিটাকি ৯  : সব যুদ্ধ , সব রক্ত , সব জেনোসাইড এক নয় 

    Debanjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৭ অক্টোবর ২০২৫ | ১৯ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • প্যালেস্টাইনের গাজার বর্তমান জেনোসাইড নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আমাদের প্রথমেই হলোকস্টের কথা মনে পড়ে যায় l এই প্রশ্নটিও মাথায় আসে যে মাত্র আট দশক আগে যে জাতি হলোকাস্টের মত এরকম একটি traumatic experience বা নিদারুণ অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গেছেন , তারা কি করে নিজেরা এরকম একটি জেনোসাইড করতে পারলেন ? এ  প্রশ্নের উত্তর এককথায় দেওয়া সহজ নয় l এটুকু বলা যেতেই পারে যে , পৃথিবীর কাছে সব জেনোসাইডের গুরুত্ব এক নয় l  এপ্রসঙ্গে বলি যে গুরুচন্ডালীর আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখক হিরেনদার "আমার আফ্রিকা" বইটিতে নামিবিয়া অধ্যায়টি থেকে আমরা হেরেরো জেনোসাইডের কথা জানতে পারি l হলোকাস্টের বেশ কয়েক দশক আগেই এই জেনোসাইড ঘটিত হয় l বলা যায় , এটি থেকেই পরবর্তীকালে হলোকাস্টের প্ল্যান কষা হবে l এই নরমেধযজ্ঞের হোতা ছিলেন জেনারেল লোথার ভন ট্রোথা ( নাকি ত্রথা ?? ) এখন হলিউডের দৌলতে আইখমান মেঙ্গেলে আউশভিৎজ এসব নামগুলো আমাদের কাছে অতি পরিচিত কিন্তু অস্বীকার করতে লজ্জা নেই একটুকুও হিরেনদার এই বইটা পড়বার আগে হেরেরো জেনোসাইড বা  লোথার ভন ট্রোথা নামটাও আমি জানতামনা !!! কেননা হলিউড কোনোদিনই প্রয়োজন বোধ করেনি হেরেরো গণহত্যা নিয়ে সিনেমা তৈরী করবার যেহেতু হেরেরোরা সাদা চামড়ার মানুষ নন l আরো পীড়াদায়ক লাগে যে হেরেরোদের এই গণহত্যার পাপস্খালনের জন্যেও বর্তমান জার্মান সরকার সেরকম কিছুই করেননি যেটা তারা হলোকাস্টের জন্য করেছিলেন l আসলে কালো চামড়ার মানুষের জেনোসাইড নিয়ে কে মাথা ঘামায় ?

    (গাজার গণহত্যার একটি ছবি )


    (গাজার গণহত্যার একটি ছবি )
    সব যুদ্ধ সব জেনোসাইড সব মৃত্যু এক নয়                                                                                                                                                                                                               হেরেরো গণহত্যার কথা তো বললাম l প্যালেস্টাইনের গাজার বর্তমান জেনোসাইড আমাদের সবার সামনে l এই জেনোসাইড একটা ব্যাপারে স্বতন্ত্র যেহেতু লোথার ভন ট্রোথা বা আইখম্যানের সময়ে ইন্টারনেট , সেলফোন , সেলফী , সোশ্যাল মিডিয়া , ইনস্ট্যান্ট রিল বা টিকটক ছিলোনা কাজেই তাদের পক্ষে অনেক সহজ ছিল নিজেদের গণহত্যার পাপ ঢেকে রাখা l বর্তমান যুগে সে অজুহাতের জায়গাটাও নেই l তাহলেও গত দুবছর ধরে পশ্চিমের মেনস্ট্রিম সমাজমাধ্যম যেভাবে প্যালেস্টাইনের গাজার এই জেনোসাইডে হয় নীরব দর্শক হয়ে থেকেছে অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমর্থন করেছে তাতে বলাই যায় গাজার এই জেনোসাইডের শরীক পশ্চিমী মেনস্ট্রিম মিডিয়ারা নিজেরাও l হয়তো তাদের এরকম ব্যবহার এই জেনোসাইডের পিছনে পপুলার কনসেন্সাস তৈরী করতে সাহায্য করেছে l.                                                                                                                                                                                                               এপ্রসঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমের রাশিয়ার প্রতি আচরণ আর গাজা জেনোসাইডে ইস্রাঈলের প্রতি পশ্চিমের আচরণের তুলনা করলেই এই পার্থক্য খুব ভালো ভাবেই বোঝা যাবে l ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পরে পরেই কিছুদিনের মধ্যেই ইউরোভিশন মিউজিক প্রতিযোগিতা ও উয়েফা ফুটবল সংস্থা থেকে রাশিয়াকে বিতাড়িত করা হয় কিন্তু প্যালেস্টাইনের গাজার এই বর্তমান জেনোসাইডের পরেও ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে এখনো এরকম কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি উয়েফা l বরঞ্চ মাত্র কয়েকদিন আগেই উয়েফা ইস্রায়েলকে বহিষ্কারের ব্যাপারে জানিয়েছে , যে তারা জিওপলিটিক্স আর খেলাকে এক করতে চায়না l অথচ ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের কয়েকদিন পরেই রাশিয়াকে বহিস্কার করবার সময়ে একথা তাদের মনে পড়েনি কেন কে জানে !!! তাহলে তো এই সিদ্ধান্তেই পৌঁছতে হয় যে সব জেনোসাইড  সব রক্ত এক নয় !!!                                                                                                                                                                        ১৯২০ এর দশকের গোড়াতে ফ্রান্সে নগুয়েন তাত তান তিরিশের কোঠার এক যুবক , একদশক আগে যিনি ফরাসী ইন্দোচীনের থেকে একবুক স্বপ্ন নিয়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন ইউরোপে , ফ্রান্সে এসে ইস্তক হাতে খড়ি ফরাসী বিপ্লবের সাম্য , মৈত্রী , স্বাধীনতার আদর্শে , বিপ্লবের স্বপ্নের লাল রং চোখে মেখে নগুয়েন এবার নাম লেখালেন ফরাসী কমিউনিস্ট পার্টিতে , উদ্যেশ্য যে ভার্সাই চুক্তির পরে এশিয়ার ফরাসী উপনিবেশগুলো সমান অধিকার পাবে l হায় রে উদ্ধত যৌবনের স্বপ্ন ! বাস্তবের ভাঙ্গা মাটিতে আছড়ে পড়তে লাগলো দুমিনিট মাত্র ! 

    (যুবক নগুয়েন সাম্রাজ্যের ছায়ায় প্যারিসের রাস্তায় : চোখে অনেক স্বপ্ন )
     
    ফরাসী কমুনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর বড়োরা ধমকিয়ে দিলেন নগুয়েনকে , “ওরে ইন্দোচীনের চ্যাংড়া ছোড়া তোর তো শখ কম নয় , ইন্দোচীনের পিনোয়া (কালা আদমী) হয়ে তুই কোন মুখে সাম্যের অধিকার চাস !!! জেনে রাখ পার্টির নিয়ম যে আগে ফ্রান্সে বিপ্লব হবে তার পরে অন্য সব কিছু l ততোদিন যদি তুই বেঁচে থাকিস তখন দেখা যাবে l” ভাঙ্গা মন নিয়ে ১৯২৩ সালেই ফ্রান্স ছাড়লেন নগুয়েন l ইতিহাসের চাকা এরপর ঘুরবে অন্যদিকে l দিয়েন বিয়েন ফুর যুদ্ধক্ষেত্রে দেখা যাবে সেই নগুয়েনকে, তবে তখন তাকে বিশ্ব চিনবে হো চি মিন এই নামে l 
     
    নগুয়েনের কয়েক বছর পরে ফরাসী আলজেরিয়ার যুবক আহমেদ বেন বেলা পাড়ি জমাবেন ফ্রান্সে , প্রথমে ফুটবলার হিসেবে (আমাদের সময়ের জিদান দের পূর্ব সুরী ) পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে লড়বেন ফ্রান্সের সৈনিক হিসেবে নাৎসী জার্মানীর বিরুদ্ধে l ফ্রান্সে থাকতেই সমাজতন্ত্রের রাজনীতিতে হাতে খড়ি আহমেদের l কিন্তু যুদ্ধ শেষে , আলজেরিয়াতে ফিরে নিজের অধিকার চাইতেই তাকে দাগিয়ে দেওয়া হলো সন্ত্রাসবাদী হিসাবে l এরপরে , স্বাধীনতা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লেন আহমেদ বেন বেলা l অনেক রক্ত ঝরিয়ে যুদ্ধ শেষে নিজের দেশে স্বাধীন আলজেরিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট হলেন এই আহমেদ বেন বেলা l                   
             
    (আহমেদ বেন বেলা : কখনো সাম্রাজ্যের সৈনিক কখনো সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে )                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                     আরো কয়েক দশক পরে যখন আস্তে আস্তে চীন পশ্চিমী পুঁজিবাদের দিকে ঝুঁকবে , রণ চংফই পুঁজিবাদের সংস্কারের স্রোতে প্রথম গা ভাসাবেন l আম্রিকার টেকনোলজি কোম্পানী গুলী যেমন মাইক্রোসফট ও আইবিএমের দেখানো পথ ধরে নিজের নতুন টেকনোলোজি স্টার্টআপ কোম্পানী খুলবেন রণ চংফই l আস্তে আস্তে সাফল্য আসা শুরু হবে l বিশ্বের প্রথমদিকের কোম্পানিগুলোর মধ্যে উঠে আসবার স্বপ্ন যখন দেখছেন রণ চংফই তখনি পশ্চিম তার বিরুদ্ধে প্রযুক্তি চোরের অভিযোগ আনবে , কানাডাতে কারারুদ্ধ করা হবে তার মেয়েকে l আজকের পৃথিবী রণ চংফই কে চিনবে হুয়া ওয়েই (hua wei) এর জনক হিসাবে l নগুয়েন , বেন বেলা এবং রণ চংফইএর ঘটনা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে সাম্যবাদ , সমাজতন্ত্র বা পুঁজিবাদ অর্থাৎ রাজনীতির যে চেহারাই হোক না কেন পশ্চিম যখনই এশিয়া ও আফ্রিকাকে দেখুক না কেন তার কাছে “হায়ারার্কি অফ রেসেস “ মূল সত্য l"হায়ারার্কি অফ রেসেস " এই অলিখিত ধারণাটির জন্যেই একসময়ে ইউরোপে অনেক পোগ্রম ,  হলোকাস্ট বা জেনোসাসাইড দেখেছে যেখানে অসংখ্য নিরীহ মানুষ ইহুদী , জিপসী , ভলগা জার্মান , চেক , পোল , ইউক্রেন , কাজাখ অসংখ্য জনগোষ্ঠীকে স্রেফ কোনো না কোনো পরিচয়ের জন্য  অবমানব চিন্নিত করে মূলচ্ছেদ করা হয়েছে , কিন্তু ইসরাইলীদের নিজেদের দেশ পাবার পরেও পশ্চিমের চোখে রেসিয়াল হায়ারার্কিতে উপরে উঠবার প্রয়োজন , আর সেটি করবার সবচেয়ে ভালো উপায় প্যালেস্টাইনের মানুষকে অবমানব চিন্নিত করে তাদের সমূলে বিনাশ করা l ইউরোপ আমেরিকা তো শতাব্দীর পর শতাব্দী সেটাই দেখে এসেছে l  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে লিবারেল ডেমোক্র্যাসি , মুক্ত গণতন্ত্র ও বাজার অর্থনীতি এসব যে চমকদার বুলি গুলো পশ্চিম থেকে আমরা শুনেছি সেগুলো ঠান্ডা যুদ্ধের সময়ের প্রয়োজনে তৈরী করা l বর্তমান যুগের একমেরু বিশ্বে , যেখানে পশ্চিমের শ্রেষ্ঠত্ত্ব একছত্র সেখানে আর পশ্চিমের ওসব বুলির প্রয়োজন নেই l কাজেই গাজার মত সেলফি তুলে জেনোসাইডের দিন এখন সামনেই l                                                                                                                                                                                                         
    (চীনের বিরুদ্ধে পশ্চিমি শক্তিদের আঁতাঁত : ১৯০০ সাল পেইচিং )
                                         
    শেষে বলি যে গাজাতে জেনোসাইড চলছে তার শেষ কিন্তু গাজাতেই হবেনা l আম্রিকি লেখক জ্যাক লন্ডন ১৯১০ সালে The Unparalleled Invasion নামে একটা ছোট গল্প লেখেন l সেখানে তিনি দেখান , যে ১৯৭৬ সাল নাগাদ চীন ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রযুক্তি , বিজ্ঞান ও শিল্পে প্রভূত উন্নতি করে পশ্চিমকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছে l তখন পশ্চিমী শক্তিরা বায়োলজিক্যাল মারণাস্ত্র প্রয়োগ করে প্রায় ৪০ কোটি চীনের মানুষকে হত্যা করে চীনকে নিজেদের কলোনীতে পরিণত করে l 

    (যুবক জ্যাক লন্ডন : স্বপ্ন দেখছেন জেনোসাইডের )
    এর কয়েক বছর পরে আমাদের বাংলার প্রিয় লেখক শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায় জ্যাক লন্ডনের এই গল্পটির অনুসরণেই “শাদা পৃথিবী” নামক গল্পে দেখান , যে এশিয়া ও আফ্রিকার সকল মানুষকে পশ্চিম বায়োলজিক্যাল মারণাস্ত্র প্রয়োগ করে হত্যা করে যাতে পৃথিবীতে জনসংখ্যা হ্রাস পেয়ে শুধু পশ্চিমীরাই টিকে থাকতে পারে l জ্যাক লন্ডন হলোকাস্ট বা আজকের গাজার জেনোসাইড দেখে যাননি কিন্তু তিনি ১৯০৪ সালের হেরেরো জেনোসাইড বা ১৯০০ সালে পশ্চিমে শক্তিদের চীনে গণহত্যার মাধ্যমে বক্সার বিদ্রোহ দমন দেখেছিলেন l সেই প্রভাবই তার লেখায় পড়েছে কেননা তিনিই হয়তো yellow peril হিসাবে চীনকে দেখা শুরু করেন প্রথম l তার এই লেখার পরেই দুটি বিশ্বযুদ্ধ ও প্রবল নরমেধযজ্ঞ মানুষ দেখেছে l আজকের প্যালেস্টাইন, ভবিষ্যতের এশিয়া ও আফ্রিকাতে আরো কত গাজার জন্ম দেয় কে জানে !! 
     
    রেফারেন্স 
    ১ | হীরেন সিংহ রায় , "আমার আফ্রিকা ", নামিবিয়া অধ্যায় , পৃষ্ঠা ৪৭ - ৫০ 
    ২ | হীরেন সিংহ রায় , "পবিত্র ভূমি"
    ৩ | জ্যাক লন্ডন , "The Unparalleled Invasion"
    ৪ | শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায় , "শাদা পৃথিবী" 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন