এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • দুনিয়াদারীর টুকিটাকি ৬ : ট্রাম্পের ট্যারিফ যুদ্ধ - ১৯৭১ ফিরে এলো ?

    Debanjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৬৭ বার পঠিত
  • বর্তমানে ট্রাম্পের ট্যারিফ যুদ্ধ নিয়ে চারদিকে হাহাকার রব পড়ে গেছে | আজ থেকে কয়েকমাস আগেই যখন প্রথম ট্রাম্পের নির্বাচন হয় তখন এদেশের অনেকেই ট্রাম্পকে "ডোল্যান্ড ভাউ" ইত্যাদি বলে গর্ববোধ করতেন এবং তাদের পছন্দের শ্রেষ্ঠ শক্তিশালী পুরুষের ছায়া ট্রাম্পের মধ্যে খুঁজে পেতেন | হায় ইতিহাসের পরিহাসে এসবই এখন বিস্মৃতির গর্ভে তলিয়ে যাবে একটু একটু করে ! যাইহোক আজকের এই হাহাকারের পরিবেশে আমাদের চেষ্টা করতে হবে খুঁজে বের করবার সেসব কারণগুলো যার জন্যে আজকে এই ট্রাম্পের ট্যারিফ যুদ্ধ | প্রথমেই বলে রাখি আমি কোন অর্থনীতিবিদ বা জিয়োপলিটিকাল এনালিস্ট নই , এসব বিষয়ে আমার আগ্রহ গত কয়েক বছরে গুরুচন্ডালীতে আমার প্রিয় লেখক শ্রদ্ধেয় হিরেনদার বিভিন্ন লেখা পড়ে | হিরেনদার এসব লেখা পড়ে এবং দুনিয়ার চারদিকে যা ঘটছে দেখে মনে নানারকম প্রশ্ন জাগে তার উপরেই মাঝে মাঝে লিখি এসব লেখা | তো ট্রাম্পের এই ট্যারিফ যুদ্ধ কেন হচ্ছে তা নিয়ে বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ ইয়ানিস ভারুফাকিস নানান ব্যাখ্যা দিয়েছেন | তার কিছু কিছু গুরুর পাঠকদের জন্য তুলে দেবো নিচে | ট্রাম্পের এই বর্তমান ট্যারিফের পিছনে কারণ হিসেবে উনি কয়েকটি কারণ দেখাচ্ছেন | গত কয়েক বছরে প্রচুর যুদ্ধ বিগ্রহ করে করে (আমি দুনিয়াদারির টুকিটাকির একটি পর্বে এনিয়ে ইতিমধ্যেই লিখেছি ) আম্রিকার প্রচুর ধার হয়েছে এবং এখন এই ধার আম্রিকার সমগ্র অর্থনীতির  জিডিপি সাইজ থেকেই বেশী | এতোদিন আম্রিকা যে সিস্টেম চালাচ্ছিলো , সেখানে যেসব দেশ প্রচুর ট্রেড সারপ্লাস রাখতো যেমন জাপান দক্ষিণ কোরিয়া জার্মানী সৌদী আরব প্রভৃতি তারা তাদের ট্রেড সারপ্লাস জমা করতো আম্রিকি সরকারী ট্রেজারী বন্ড কিনতে | অর্থাৎ আম্রিকার যত ট্রেড ডেফিসিট ছিলো এবং দুনিয়া জুড়ে যুদ্ধ করে করে আম্রিকা যত ধার করেছিলো , সেসব যত আম্রিকার সঙ্গে ট্রেড সারপ্লাস রাখা দেশগুলো আম্রিকি সরকারী ট্রেজারী বন্ড কিনে মেটাতো | এভাবেই আম্রিকার বাজেট ঘাটতি মিটতো বছর বছর ধরে | এখন , ইউক্রেন যুদ্ধের সময় থেকেই যখন আম্রিকা পুরোপুরি রাশিয়ার যেসব আম্রিকি এবং ইউরোপে এসেট ছিলো সব বাজেয়াপ্ত করে এবং এসব এসেটের সুদ দিয়েই এখন পর্যন্ত ইউরোপ , আম্রিকা থেকে অস্ত্র কিনে যুদ্ধ চালাচ্ছে ইউক্রেনে | এসব এসেটের পরিমান প্রায় তিনশ বিলিয়ন ডলার , এটা কিন্তু মূলধন মাত্র সুদের হিসাব এটা নয় | এ যেন "মাছের তেলেই মাছ ভাজা " ! মুস্কিল হচ্ছে এধরণের গলায় কাঁটা শুধু রাশিয়ার নয় সৌদি আরব জাপান দক্ষিণ কোরিয়া ব্রিটেন জার্মানি ফ্রান্স অর্থাৎ যেসব দেশের আম্রিকি সরকারী ট্রেজারী বন্ডে প্রচুর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের এসেট কেনা আছে তাদের জন্যই | ট্রাম্প সাহেব ট্যারিফ যুদ্ধ করে দেখিয়ে দিয়েছেন যে উনি কোন নিয়ম নীতির ধার ধারবেননা তাহলে কি আম্রিকাতে রাখা জাপান সৌদি জার্মানি দক্ষিণ কোরিয়া ফ্রান্স সব দেশের এসেটএর পরিণতিই কি রাশিয়ার এসেটের মত হতে পারে নাকি ? আম্রিকি ট্রেজারী সেক্রেটারি স্কট বেস্যান্ট এর বক্তব্য অনুযায়ী আম্রিকার সম্পূর্ণ অধিকার আছে ভবিষ্যতে আম্রিকাতে জমানো অন্য দেশের এসেটকে নিজের পিগি ব্যাঙ্কের মত ব্যবহার করে নিজের বাজেট ঘাটতি মেটানো | একারণেই এখন সারা পৃথিবীর বড় বড় সেন্ট্রাল ব্যাংকারদের এখন ঘুম ছুটে গেছে | তবে কি এতো বছর ধরে তিলে তিলে জমানো ট্রেড সারপ্লাসগুলির অবস্থা সঙ্গীন !!!! 

     আবার ফিরে আসছি ভারুফাকিস আর ট্রাম্পের ট্রেড ট্যারিফ নিয়ে | ভারুফাকিসের মতে ট্রাম্প ট্রেড ট্যারিফের দুটি টার্গেট | এক , ডলারের মূল্য কিছুটা কমানো যাতে জার্মানি জাপান ইউরোপ প্রভৃতি দেশ থেকে কিছু শিল্প আম্রিকাতে বিশেষ করে চলে আসে যাতে আম্রিকাতে কিছু বেকার কমে এবং এর সঙ্গেই আম্রিকার এক্সপোর্ট বাড়ে আর ইম্পোর্ট কমে | দুই , যাই হোক ডলারের দাম একটু কমলেও মৌরসীপাট্টা যেন কিছুতেই না কমে | সাধারণ বুদ্ধিতে দেখলে এটাকে পাগলের প্রলাপ মনে হবে | ধরুন , আমি আম্রিকা আর আপনি জাপান | এখন আমি আপনার কাছ থেকে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের জিনিস কিনি আর আপনাকে বেচি ২০০ বিলিয়ন ডলারের জিনিস | অর্থাৎ আপনি সারপ্লাস করলেন ৩০০ বিলিয়ন ডলারের | কিন্তু আসলে আপনি কিন্তু সারপ্লাস ভোগ করতে পারছেননা যেহেতু ওই ৩০০ বিলিয়ন ডলারের প্রায় পুরোটাই আপনি আমার দেশে কিছু না কিছু এসেট যেমন হয় আমাকে ট্রেজারী বন্ডের মাধ্যমে ধার দিয়ে বা রিয়েল এস্টেট কিনে বা অস্ত্র শস্ত্র কিনে আমাকেই ফেরত দিচ্ছেন !!!! এভাবেই আমার অর্থাৎ আম্রিকার বাজেট ঘাটতি মিটছে | তা বাজেট ঘাটতি হবে নাই বা কেন যেহেতু আম্রিকা একমেরু বিশ্বে যুদ্ধও বন্ধ করতে পারবেনা আর তার ওয়াল স্ট্রিট বা সিলিকন ভ্যালির ধনকুবেরদের উপরে ট্যাক্সও চাপাতে পারবেনা !!!! কিন্তু যদি আপনি জাপান আপনি ট্যারিফের জন্য আমাকে এক্সপোর্ট আর বেশী করে নাই করতে পারলেন তাহলে আর সারপ্লাস পাবেন কোথা থেকে আর তাহলে আমাকে ধার দিয়ে আমার রিয়েল এস্টেট বা ট্রেজারী বন্ড কিনে কিভাবে আমারই বাজেট ঘাটতি মেটাবেন ??? সবচেয়ে বড় কথা আপনি আম্রিকাতে আপনার এতোদিনের তিলতিল করে জমা করা এসেট যদি দেখেন আম্রিকি সরকার ছিনিয়ে নিচ্ছে তার পিগি ব্যাঙ্কের মত তাহলে আপনি এতে ভরসা রেখে ডলারের উপরে বিশ্বাস রাখবেন কি করে !!!! চাপ নেবেননা মশাই , সবই ট্রাম্প সাহেবের খেলা , অঙ্ক মেলাবার খেলাটা মেলাবেন তিনি ঠিকই মিলিয়ে দেবেন |
     
    ১৯৭১ ফিরে এলো ? নাকি ফিরলো "ডিপেন্ডেন্সি তত্ত্ব"
     
    ট্রাম্প সাহেব প্রথম নন , এর আগেও ১৯৭১ সালের পনোরই আগস্ট আরেকজন আম্রিকি প্রেসিডেন্ট এরকমই ভাবে আরেকটা অঙ্ক মেলাবার খেলা খেলেছিলেন এবং জিতেছিলেন খুব সফলভাবেই | তিনি হলেন আমাদের অতি পরিচিত ওয়াটারগেট খ্যাত (নাকি কুখ্যাত ) রিচার্ড নিক্সন | আসলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে আম্রিকা সারা পৃথিবীর মধ্যেই বলা যেতে পারে একমাত্র শিল্পোন্নত রাষ্ট্র ছিলো | ইউরোপ জাপান জার্মানি ব্রিটেন সোভিয়েত সবই যুদ্ধে ধুয়ে মুছে সাফ কাজেই এসব দেশের মার্শাল প্ল্যান দিয়ে নতুন করে গড়ে তুলতে আম্রিকা প্রচুর বরাত পেতো আর ট্রেড সারপ্লাস রাখতো বছর বছর | তখন সারা পৃথিবীতেই গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড চলতো আর বিশ্বের অর্থনীতিও নিয়ন্ত্রিত হতো অনেকটাই এই গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড দিয়ে | গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে বিশদ এখানে না বলে এটুকুই বলি আপনি কতটা ইম্পোর্ট বা এক্সপোর্ট করবেন সেটা ঠিক হতো আপনার সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কে কতোটা সোনা আছে তাই নিয়ে | এখন গোল বাধালো ভিয়েতনামের যুদ্ধ | এই যুদ্ধে প্রবল খরচ বেড়ে গিয়ে আম্রিকার ঘাটতি গেলো বেড়ে | যুদ্ধের খরচ তো কমানো যায়না আর ওয়াল স্ট্রিটের ধনকুবেরদের উপরে ট্যাক্সও বাড়ানো যাচ্ছেনা তাহলে কি উপায় তখন !!!! আম্রিকার ভল্টে অতো সোনা তো নেই যতোটা দরকার ঘাটতি মেটাতে !!!! নিক্সন আর তার বিদেশ মন্ত্রী কিসিঞ্জার (হিরেনদার ইহুদী রসিকতায় যাকে আমরা দেখেছি আগেই) তাবড় তাবড় অর্থনীতিবিদকে এক করলেন একটা মিটিংয়ে | অন্যান্যরা বললেন দেউলিয়া ঘোষণা করতে , মুষ্টিমেয় দুএকজন বললেন ঘাটতি কমাতে মিলিটারী বাজেট কমাতে তবে পল ভোলকার নামক একজন তরুণ অর্থনীতিবিদ বললেন একটা অদ্ভুত কথা | "মিস্টার প্রেসিডেন্ট , জার্মানী আর জাপানের যখন এতো ট্রেড সারপ্লাস আছে আমাদের সাথে তখন চাপটা ওদের , কাজেই আমাদের বাজেট ঘাটতির মাথাব্যথা ওদের উপরে চাপিয়ে দিই আমরা |" কম্বুকণ্ঠে ঘোষণা করলেন ভোলকার | "মানে কি বলতে চাও হে ছোকরা ?"  নিক্সন কিসিঞ্জার ফোর্ড রকেফেলার আরো বাঘা বাঘা অনেকে অবাক চোখে তাকালেন ভোলকার পানে | "মানেটা খুবই সহজ , যতক্ষণ জার্মানি আর জাপান আর ফ্রান্স ব্রিটেন আমাদের সঙ্গে ট্রেড সারপ্লাস রাখছে ততদিন ওদের আমাদের উপর নির্ভর করেই চলতে হবে , আমরা যদি সিস্টেমটাই বদলে দি তখন ওরা নিজেদের মতো করে মানিয়ে নেবে আর আমরা যে সিস্টেম ওদের দেব সেটাই ওরা মেনে চলবে | হাজার হোক সোভিয়েত দের আক্রমণ থেকে বাঁচতে ওদের আমাদের দরকার | " নিক্সন আর কিসিঞ্জার শুনলেন আর তার পরেই গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড শেষ হয়ে এখনকার ডলার স্ট্যান্ডার্ডের জন্ম | ট্রাম্প সাহেব সিস্টেমটা বদলে দিলেও তিনি নিশ্চিন্ত ইউরোপ জাপান সৌদী আরব ভারত মেনে নেবে নতুন যে সিস্টেমই আসুক না কেন !!
     
    আর নিশ্চিন্ত না হবারই বা কি আছে ? সত্তরের দশকের একটা অর্থনৈতিক থিওরি বাজারে এসেছিলো "ডিপেন্ডেন্সি থিওরি" নাম দিয়ে যেখানে বলা হয়েছিলো স্বাধীনতার পরেও সব এশিয়া আফ্রিকা লাতিন আমেরিকার দেশ নির্ভরশীল তাদের সাম্রাজ্যবাদী প্রভুদের উপরে | ট্রাম্প সাহেব ট্যারিফ যুদ্ধে দেখাচ্ছেন যে "ডিপেন্ডেন্সি থিওরি" এখন উন্নত দেশগুলো যেমন ইউরোপ জাপান  দক্ষিণ কোরিয়া সৌদী আরব ব্রিটেন এখানেও খাটে | একমেরু বিশ্বের একনম্বর অর্থনীতির উপরে নির্ভরশীল কেই বা নয় এখন !!! কাজেই বলেছিলাম না মেলাবেন ট্রাম্প মেলাবেন !!! 
     
    পুনশ্চ হিরেনদার লেখা থেকে অনেক কিছু শিখেই এই লেখাটা নামালাম | হিরেনদা আর গুরুর অন্যরা লেখাটা দেখে কিছু বললে নতুন কিছু শিখতে পারবো | 
     
    References:
     

    হিরেন সিংহরায় , "Nobel prize in Economics 2022 : A critique"
    Yanis Veroufakis   , “Technofeudalism”        
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • হীরেন সিংহরায় | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:২৯733901
  • ১৯৭৩ সালের ১৫ই আগস্ট ব্রেটন উডসের শেষ পিলারটি ( $১ = ১ আউন্স সোনা ) ভেঙে পড়লেই শুরু হলো কারেন্সির জুয়া খেলা - ডলারের দামে জোয়ার ভাঁটা !
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন