ইহুদী বলতেই আমাদের চোখের সামনে নিউ ইয়র্কের ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার , ধনকুবের রোটশিল্ড , সিলিকন ভ্যালির নানা টেকনোলর্ড , নোবেল বিজয়ী কোন বিজ্ঞানী , ইস্রাঈল এবং বর্তমানে জেম্স বন্ড স্টাইলের কোনো মোসাদ এজেন্টের কথা মনে আসে | নেতুরেই কার্তা আর হোমায়ুন সামেহ এদুটো নাম আমাদের কাছে একেবারেই পরিচিত হবার কথা নয় | ইহুদীদের সম্বন্ধে আমারো জ্ঞান গড়পড়তা পাঁচটা বাঙালীর থেকে খুব বেশি কিছুই নয় | গুরুচন্ডালীতে আমার প্রিয় লেখক হিরেনদার "ইহুদী রসিকতা" আর "পবিত্র ভূমি" পড়েই কিছু জেনেছিলাম ইহুদীদের সম্বন্ধে তাই রেফারেন্সে ওনার বইদুটোর নাম দিয়ে দিলাম আপনারা পড়ে নেবেন | আমিও এদুটো বই পড়েই আগ্রহী হয়েছিলাম ইহুদীদের আর প্যালেস্টাইনের সম্বন্ধে জানতে | তাই প্রথমেই হিরেনদার প্রতি কৃতজ্ঞতা ... ...
যুদ্ধ আর ধার . ... ...
১৯৫০ , আমেরিকার ইস্ট কোস্টের কোনো একটি ইম্মিগ্রেশন দপ্তর একটা বড় গোল টেবিল ঘিরে চারদিক থেকে বসে আছেন কয়েকজন | দেখে তাদের সাধারণ সরকারী অফিসার বলেই মনে হচ্ছে | তবে সবার নজরই ডানদিকে এককোনে বসে থাকা এক মধ্যবয়স্ক চীনা ভদ্রলোকের উপরে | নানারকম প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন প্রশ্নকর্তাদের | প্রশ্নগুলোর সবগুলোই মোটামুটি একরকম | চীনা ভদ্রলোকের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে | চীনা ভদ্রলোকটি ঠান্ডা মাথায় একের পর এক প্রশ্নের উত্তর দিয়েই যাচ্ছেন | আস্তে আস্তে একটু একটু ঘাম আসছে তার কপালে | তবে প্রশ্নকর্তারা এসব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না খুব একটা | তারা জানেন তাদের কি প্রমান করতে হবে | তাদের খুব একটা তাড়াহুড়ো ... ...
ট্রাম্প সাহেব এক বিতর্কিত চরিত্র এতোদিনে আমরা সবাই জেনে গেছি | তার দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবার সঙ্গে সঙ্গেই একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েই চলেছেন তিনি | কখনো গাজাতে রিভিয়েরা বানাবার কথা বলেন , কখনো কানাডা আর গ্রিনল্যান্ড দখল করতে চান , কখনো বা আবার হাভার্ডের উপর চাপিয়ে দেন নানান জটিল নিষেধাজ্ঞা আবার অবলীলায় যুযুধান ভারত পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করে দেন | তবে ট্রাম্পের সবচেয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত সম্ভবতঃ হচ্ছে তার ট্যারিফ যুদ্ধ | কিন্তু হঠাৎ এই ট্যারিফ যুদ্ধের কারণ কি ? ট্রাম্প কিই বা চান ট্যারিফ যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে ? কেন বা এখনই হলো এই ট্যারিফ যুদ্ধ ?বিশ্বাসে মিলায় ঋণ ট্যারিফ ... ...
পাখী উড়ে গেছে, পালক পড়ে আছে পাহাড়ী পাইনবনে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, জার্মানীর আলমের আর তার পরিবারের সঙ্গে দেখা হওয়া তারপর তার সঙ্গে তার গাড়িতে গ্রামে আসা সব মিলিয়ে এক দেড় ঘন্টার বেশী লাগেনি আলমের। কিন্তু গ্রামের লোকেরা যা বললো শুনে মাথা ঘুরে গেলো তার। ওর মনে ছিলো যে ও শুক্রবার মেজরদের সঙ্গে আসছিলো খিড্ডার দিকে। কিন্তু আজকে রবিবার। অর্থাৎ পাহাড়ী পাইনবনে ও অজ্ঞান হয় পড়েছিলো পুরো দুদিন ধরে !!! অদ্ভুত ব্যাপার জানতে অবশ্য ... ...
পাহাড়ের কোলে, পাইনের বনে, আছে যে আর এক আমার আমি তা পাহাড় চড়াই উৎরাই ভেঙে জিপটা যখন গ্রামটার কাছে পৌঁছে গেছে হয়তো আরো দশ পনেরো মিনিটের পথ খুব বেশী হলে তখন আবার খুব জোরে বমি পেয়ে গেলো আলমের। মেজরকে অনুরোধ করলো জিপ থামিয়ে একটু দাঁড়াতে যাতে সে বমি করে আবার জিপে উঠতে পারে। সেদিন সকাল থেকেই সূর্যের দেখা নেই একেবারেই, মাঝে মাঝেই মেঘ বৃ পাহাড়ের ষ্টি কুয়াশার লুকোচুরি চলছে। রোদ ঝলমল দিন না হলে আবার মেজরের মেজাজ খারাপ ... ...
যাত্রা হলো শুরু এই যে গল্পটা আজকে বলতে চাইছি সেটার শুরুটা খুবই অদ্ভুতভাবে হয়েছিলো। আমার মাঝে মাঝে খুব মন খারাপ করলে নিজের গাড়ী নিয়ে বেড়াতে বেরুবার খুব ইচ্ছে হয়। তো এভাবেই গত বছর অগস্টের শেষের দিকের একদিন বেড়িয়ে পড়েছিলাম। খুব বেশিদূর যাওয়া হয়নি সেবার অবশ্য। নিউটাউনের কাছে একটা বড় কন্সট্রাকশন সাইট আছে তার কাছে একটা চায়ের ঝুপড়ি দেখে খুব চা তেষ্টা পেয়ে গেলো। ওখানেই একটা বেঞ্চিতে ... ...
গত কয়েকদিন ধরেই দুনিয়ার দুটো বড় ব্যাপার আমার মাথায় ঘুরছিলো। প্রথমে বাজারে এল ডিপসিক এবং ধামাকা দেখিয়ে সারা দুনিয়ার মার্কেট ফেলে দিয়ে খোদ আম্রিকার প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের লোকসান করিয়েই ছাড়লো। এরপরই সামনে এলো ট্রাম্প সাহেবের প্রস্তাব, গাজাকে জনশূন্য করে সেখানে একটা রিভিয়েরা গোছের বানানোর প্রস্তাব। তা আমি মুখ্যুসুখ্যু মানুষ, ভাবলাম যে এদুটো ঘটনার মধ্যে কোন যোগসূত্র কি আছে! ভাবতে ভাবতেই আরেকটা প্ল্যান মাথায় এলো। আমি গত বছর একটা লেখাতে পড়েছিলাম যে লেখক স্পেঙ্গলার (এটা অবশ্যই ছদ্মনাম, ভালোনাম ডেভিড পি গোল্ডমান) কয়েক শতাব্দী আগের ইউরোপের এক রাজপুরুষ কার্ডিনাল রিচিলেও (সঠিক ফরাসি ... ...
ছেলেমেয়েদের কাছে যা শুনলো নিউলান তা শোনার পরে তার আর মাথার ঠিক রইলোনা। সে জানতে পারলো যে স্বর্গের সম্রাজ্ঞী ওয়াং মুনিয়াং নিয়াং তাদের ঘরে এসে তাদের মাকে বলেছে পৃথিবীর মানুষের সঙ্গে আর কতদিন থাকবি? তুই এখানে পৃথিবীতে পড়ে থাকলে স্বর্গে কে কাপড় বুনবে? চ্রিনু কিছুতেই যেতে চাইছিলো না বলে তাকে জোর করে ধরে নিয়ে চলে গেছে। নিউলানের মাথার উপরে যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। একই দিনে তার মাথার উপরে এতবড়ো বিপদ। পৃথিবীতে তার সবচেয়ে কাছের দুজন মানুষ একই দিনে তাকে ছেড়ে চলে গেলো ! এখন সে কি নিয়ে বাঁচবে? হঠাৎ তার মনে পড়লো লাউনিউ তাকে ... ...
কিন্তু তাকে অবাক করে চ্রিনু বললো, "দেখো আমি দেখতে পারছি স্বর্গে আমার জন্য শুধুই দুঃখ, পৃথিবীতেও অনেক দুঃখ দেখতে পাচ্ছি।কিন্তু আমার মনে হচ্ছে পৃথিবীতে একটা কিছু আছে যেটা স্বর্গে নেই। এখানে আমি স্বাধীন। " তারপর তাদের দুঃখ যখন এক হয়ে গেলো তখন আর চার হাত এক হতে বাধা কোথায় ? সেইদিন রাতেই চ্রিনু আর নিউলানের বিয়ে হয়ে গেলো।তারপর তাদের জীবন বেশ সুখেই কাটতে লাগলো।নিউলান কাঠ কাটে, চ্রিনু সিল্কের কাপড় বোনে, সপ্তাহে একদিন পাহাড়ের নিচের গ্রামে হাট বসে, সেখানে তারা তাদের গরুর গাড়িতে গিয়ে তাদের কাঠ আর কাপড় বেচে।প্রচন্ড পরিশ্রমী তারা দুজনেই আর হবেই বা ... ...