পাখী উড়ে গেছে, পালক পড়ে আছে পাহাড়ী পাইনবনে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, জার্মানীর আলমের আর তার পরিবারের সঙ্গে দেখা হওয়া তারপর তার সঙ্গে তার গাড়িতে গ্রামে আসা সব মিলিয়ে এক দেড় ঘন্টার বেশী লাগেনি আলমের। কিন্তু গ্রামের লোকেরা যা বললো শুনে মাথা ঘুরে গেলো তার। ওর মনে ছিলো যে ও শুক্রবার মেজরদের সঙ্গে আসছিলো খিড্ডার দিকে। কিন্তু আজকে রবিবার। অর্থাৎ পাহাড়ী পাইনবনে ও অজ্ঞান হয় পড়েছিলো পুরো দুদিন ধরে !!! অদ্ভুত ব্যাপার জানতে অবশ্য ... ...
পাহাড়ের কোলে, পাইনের বনে, আছে যে আর এক আমার আমি তা পাহাড় চড়াই উৎরাই ভেঙে জিপটা যখন গ্রামটার কাছে পৌঁছে গেছে হয়তো আরো দশ পনেরো মিনিটের পথ খুব বেশী হলে তখন আবার খুব জোরে বমি পেয়ে গেলো আলমের। মেজরকে অনুরোধ করলো জিপ থামিয়ে একটু দাঁড়াতে যাতে সে বমি করে আবার জিপে উঠতে পারে। সেদিন সকাল থেকেই সূর্যের দেখা নেই একেবারেই, মাঝে মাঝেই মেঘ বৃ পাহাড়ের ষ্টি কুয়াশার লুকোচুরি চলছে। রোদ ঝলমল দিন না হলে আবার মেজরের মেজাজ খারাপ ... ...
যাত্রা হলো শুরু এই যে গল্পটা আজকে বলতে চাইছি সেটার শুরুটা খুবই অদ্ভুতভাবে হয়েছিলো। আমার মাঝে মাঝে খুব মন খারাপ করলে নিজের গাড়ী নিয়ে বেড়াতে বেরুবার খুব ইচ্ছে হয়। তো এভাবেই গত বছর অগস্টের শেষের দিকের একদিন বেড়িয়ে পড়েছিলাম। খুব বেশিদূর যাওয়া হয়নি সেবার অবশ্য। নিউটাউনের কাছে একটা বড় কন্সট্রাকশন সাইট আছে তার কাছে একটা চায়ের ঝুপড়ি দেখে খুব চা তেষ্টা পেয়ে গেলো। ওখানেই একটা বেঞ্চিতে ... ...
গত কয়েকদিন ধরেই দুনিয়ার দুটো বড় ব্যাপার আমার মাথায় ঘুরছিলো। প্রথমে বাজারে এল ডিপসিক এবং ধামাকা দেখিয়ে সারা দুনিয়ার মার্কেট ফেলে দিয়ে খোদ আম্রিকার প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের লোকসান করিয়েই ছাড়লো। এরপরই সামনে এলো ট্রাম্প সাহেবের প্রস্তাব, গাজাকে জনশূন্য করে সেখানে একটা রিভিয়েরা গোছের বানানোর প্রস্তাব। তা আমি মুখ্যুসুখ্যু মানুষ, ভাবলাম যে এদুটো ঘটনার মধ্যে কোন যোগসূত্র কি আছে! ভাবতে ভাবতেই আরেকটা প্ল্যান মাথায় এলো। আমি গত বছর একটা লেখাতে পড়েছিলাম যে লেখক স্পেঙ্গলার (এটা অবশ্যই ছদ্মনাম, ভালোনাম ডেভিড পি গোল্ডমান) কয়েক শতাব্দী আগের ইউরোপের এক রাজপুরুষ কার্ডিনাল রিচিলেও (সঠিক ফরাসি ... ...
ছেলেমেয়েদের কাছে যা শুনলো নিউলান তা শোনার পরে তার আর মাথার ঠিক রইলোনা। সে জানতে পারলো যে স্বর্গের সম্রাজ্ঞী ওয়াং মুনিয়াং নিয়াং তাদের ঘরে এসে তাদের মাকে বলেছে পৃথিবীর মানুষের সঙ্গে আর কতদিন থাকবি? তুই এখানে পৃথিবীতে পড়ে থাকলে স্বর্গে কে কাপড় বুনবে? চ্রিনু কিছুতেই যেতে চাইছিলো না বলে তাকে জোর করে ধরে নিয়ে চলে গেছে। নিউলানের মাথার উপরে যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। একই দিনে তার মাথার উপরে এতবড়ো বিপদ। পৃথিবীতে তার সবচেয়ে কাছের দুজন মানুষ একই দিনে তাকে ছেড়ে চলে গেলো ! এখন সে কি নিয়ে বাঁচবে? হঠাৎ তার মনে পড়লো লাউনিউ তাকে ... ...
কিন্তু তাকে অবাক করে চ্রিনু বললো, "দেখো আমি দেখতে পারছি স্বর্গে আমার জন্য শুধুই দুঃখ, পৃথিবীতেও অনেক দুঃখ দেখতে পাচ্ছি।কিন্তু আমার মনে হচ্ছে পৃথিবীতে একটা কিছু আছে যেটা স্বর্গে নেই। এখানে আমি স্বাধীন। " তারপর তাদের দুঃখ যখন এক হয়ে গেলো তখন আর চার হাত এক হতে বাধা কোথায় ? সেইদিন রাতেই চ্রিনু আর নিউলানের বিয়ে হয়ে গেলো।তারপর তাদের জীবন বেশ সুখেই কাটতে লাগলো।নিউলান কাঠ কাটে, চ্রিনু সিল্কের কাপড় বোনে, সপ্তাহে একদিন পাহাড়ের নিচের গ্রামে হাট বসে, সেখানে তারা তাদের গরুর গাড়িতে গিয়ে তাদের কাঠ আর কাপড় বেচে।প্রচন্ড পরিশ্রমী তারা দুজনেই আর হবেই বা ... ...
এইবার তাকে চমকে দিয়ে তার সামনেই তার প্রিয় গরুটি বলে ওঠে "নিউলান এই নিউলান তুমি কি আমার কথা শুনতে পাচ্ছনা ?""হ্যা পাচ্ছি " কোনো রকমে ঢোক গিলে বললো নিউলান। আসলে গরুটি যে কথা বলতে পারে এই ধারণা তার ছিলোনা। গরু বললো "শোনো তোমার তো বিয়ের বয়েস হয়েছে।তুমি কি একটি সুন্দরী পাত্রী চাওনা তোমার জন্য ?" তার গরু কথা বলছে এটাই খুব আশ্চর্য্য ব্যাপার ছিল নিউলানের ... ...
লকডাউনের সময় থেকেই খুব সামান্য চীনা ভাষার চর্চা শুরু করেছিলাম। যদিও ধৈর্য্যের ও সময়ের অভাববশতঃ খুব বেশিদূর এখনো এগুতে পারিনি। তবুও চীনের কিছু প্রাচীন উপকথা ভাবানুবাদের মাধ্যমে এখানে আমার গুরুর পাঠকদের কাছে তুলে ধরছি। অনুবাদে ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখার জন্য পাঠকদের কাছে অনুরোধ রইলো।নিউলান ও চ্রিনুর কাহিনী সম্বন্ধে বলা যায় এই কাহিনীটি চীনের অত্যন্ত পরিচিত এক প্রাচীন উপকথা। এটিকে "রাখালছেলে ও পরীর কাহিনী " বলেও উল্লেখ করা হয়। আমি ইন্টারনেট থেকেই এই কাহিনীটি পেয়েছি। অনুবাদে ও অন্যান্য ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।অনেক বছর আগে চীনের এক খুব সম্পন্ন কৃষক পরিবারে একটি ছেলে জন্মায়। তার নাম ছিল নিউলান। খুব ছোটবেলাতেই ... ...
এখন দেশে ভোটরঙ্গ নিয়ে মানুষের আশা আকাঙ্খা উচ্ছাস উল্লাস আশংকা সবই চরমে। আমার নিজের এই ভোটযুদ্ধের ব্যাপারে নিজের জীবনের দুটো অভিজ্ঞতার কথা আজকে বলবো। প্রথমেই বলে রাখি এদুটো কিন্তু লোকসভা বা বিধানসভা নয় পাতি এলাকার মিউনিসিপ্যালিটির ভোটের কিন্তু আজকে এখানে এই ঘটনা উল্লেখ করলাম ভোটরঙ্গের একটা ছবি তুলে ধরতে।প্রথম ঘটনা ২০০৫ সালের। আমাদের নতুন ফ্লাট কিনে নতুন পাড়াতে ওঠবার পরে ওটাই ছিল আমার প্রথম ভোট। তা সকাল সকাল ৮ টার মধ্যেই বুথে গিয়ে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম। আমার ঠিক আগে এক ভদ্রলোক ছিলেন, তাকে চিনতাম এই জন্য যে পাড়াতে তিনি খুব সম্ভবত: ছোট একটা মুদিখানার দোকান তখন চালাতেন; সেই সময়ে ... ...