এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • চীনের কাহিনী ১ : নিউলান ও চ্রিনুর কাহিনী : শেষ পর্ব

    Debanjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৭ জুলাই ২০২৪ | ৩৬১ বার পঠিত
  • ছেলেমেয়েদের কাছে যা শুনলো নিউলান তা শোনার পরে তার আর মাথার ঠিক রইলোনা। সে জানতে পারলো যে স্বর্গের সম্রাজ্ঞী ওয়াং মুনিয়াং নিয়াং তাদের ঘরে এসে তাদের মাকে বলেছে পৃথিবীর মানুষের সঙ্গে আর কতদিন থাকবি? তুই এখানে পৃথিবীতে পড়ে থাকলে স্বর্গে কে কাপড় বুনবে? চ্রিনু কিছুতেই যেতে চাইছিলো না বলে তাকে জোর করে ধরে নিয়ে চলে গেছে।

    নিউলানের মাথার উপরে যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। একই দিনে তার মাথার উপরে এতবড়ো বিপদ। পৃথিবীতে তার সবচেয়ে কাছের দুজন মানুষ একই দিনে তাকে ছেড়ে চলে গেলো ! এখন সে কি নিয়ে বাঁচবে? হঠাৎ তার মনে পড়লো লাউনিউ তাকে যা বলেছিলো। চামড়াটা তার কাছেই ছিল সেইটা হাতে নিয়ে সে বললো "লাউনিউ আমার বন্ধু, আমাকে সাহায্য করো। " বলতে বলতেই একটা অদ্ভুত ব্যাপার ঘটলো।চামড়াটা যেন নিজে থেকেই তার হাত থেকে মাটিতে পড়ে গেলো আর হয়ে গেলো একটা ম্যাজিক কার্পেট। ছেলেমেয়েদের নিয়ে নিউলান ম্যাজিক কার্পেট এর উপরে চড়ে বসতেই সেটা উড়ে গেলো আকাশে। নিউলান খুঁজতে বেরুলো চ্রিনুকে।

    অনেক নক্ষত্র ধূমকেতু গ্রহ উপগ্রহ পেরিয়ে তারা অবশেষে চ্রিনুকে দেখতে পেলো।তাকে নিজের রথে তুলে স্বর্গের সম্রাজ্ঞী ওয়াং মুনিয়াং নিয়াং এগিয়ে যাচ্ছেন। ছোট্ট সূর্য প্রথমেই চেঁচিয়ে উঠলো "ওই তো মা "। চ্রিনু দেখতে পেলো তার ছেলে মেয়েদের আর সে প্রায় লাফিয়ে রথ থেকে নামতে গেলো। তারা যে এতো কাছে চলে আসবে স্বর্গের সম্রাজ্ঞী এটা ভাবতেই পারেননি।তিনি তখন নিউলান তার ছেলেমেয়ে আর তাদের রথের মধ্যে একটি বিরাট নদী বানিয়ে ফেললেন।নদীর এপারে ম্যাজিক কার্পেটের উপরে বসে থাকা নিউলান আর তার ছেলে মেয়েদের আর তাদের মাকে দেখা হলোনা। তাদের চোখের সামনে দিয়ে আস্তে আস্তে তাদের চ্রিনুকে নিয়ে বেরিয়ে গেলো স্বর্গের সম্রাজ্ঞীর রথ। নিউলান আর তার ছেলেমেয়েরা আর কোনোদিনই চ্রিনুকে দেখতে পায়নি।

    তবে এখনো রাতের আকাশে একটি বিরাট সাদা নদীর মতো দেখা যায়। কোনো কোনো লোকে বলে এটা নাকি আকাশগঙ্গা আর অনেকে বলে এটি নাকি সেই স্বর্গের সম্রাজ্ঞীর তৈরী করা সেই বিরাট নদী।আরো বলা হয় যে এই নদীর একদিকে একটি খুব বড়ো আর দুটো ছোট ছোট তারা আর নদীর অন্যদিকে আরেকটি খুব বড়ো তারা। এই নদীর একদিকের তারাগুলো হচ্ছে নিউলান আর তার দুই ছেলেমেয়ে আর নদীর অন্যদিকে আছে চ্রিনু। এই বিরাট আকাশগঙ্গার দুদিকে তারা সবসময়েই অপেক্ষা করে থাকে নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে কবে পাবে কিন্তু কোনোদিনই তারা এই বিশাল নদী পেরুতে পারেনা।

    তো এই হলো চীনের এই "নিউলান আর চ্রিনুর কাহিনী "। সব গল্পে বলিউডের মতো হ্যাপি এন্ডিং হয়না।
    সত্যি পৃথিবীর রাখালছেলের পক্ষে কি স্বর্গের পরীকে পাওয়া সম্ভব চিরকালের জন্য? স্বর্গ কি সেটা কোনোদিন মেনে নিতে পারে?

    তবে চীনের উপকথাটিতে একটু বাকি আছে। লোকে বলে যে বছরের একটি বিশেষ দিনে চ্রিনুর কান্নাতে মন গলে স্বর্গের সম্রাজ্ঞীর, সেইদিন স্বর্গের অসংখ্য ম্যাগপাই পাখি উড়ে গিয়ে আকাশগঙ্গার উপরে একটা সেতু তৈরী করে দেয় যার উপরে দিয়ে নিউলান তার ছেলেমেয়েদের নিয়ে চ্রিনুর সঙ্গে দেখা করতে যায়।চীনের উপকথা বলে এই দিনটি হচ্ছে সপ্তম চান্দ্র মাসের সপ্তম দিন অর্থাৎ প্রতিবছর কেবল একটি বিশেষ দিনে নিউলান আর ছেলেমেয়ে দুটো চ্রিনুকে দেখতে পায়। চীনের লুনার ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই দিনটি এবছরে পড়ছে ১০ আগস্টে। সেদিন তাই চীনের ভ্যালেনটাইন ডে বা qixi ছিশি ফেস্টিভ্যাল ডে।পাঠকেরা যদি সেদিন সন্ধ্যারাতে পুবের আকাশে পাঁচটি নক্ষত্র কে একসঙ্গে দেখতে পান তাহলে মনে মনে ভেবে নিন যে ওরাই হলো নিউলান ও চ্রিনু আর তাদের দুটো ছেলেমেয়ে ছোট্ট সূর্য, ছোট্ট চাঁদ আর ওদের বুড়ো গরু স্বর্গের বোধিসত্ত্ব লাউনিউ।

    তো আমার এই গল্পের নটে গাছটি আজ এখানেই মুড়োলো। এই গল্পের অনেক ব্যাখ্যা অনেক ভাবে চীনের অনেক যুগে অনেকেই করেছেন। কখনো প্রাচীনপন্থীরা বলেছেন যে সত্যি তো রাখাল ছেলে নিউলানের উচিত হয়নি সামান্য মানব হয়ে স্বর্গের পরি চ্রিনুকে বিয়ে করবার, আবার বর্তমানে মাওবাদী অনেকে প্রথমে এই কাহিনীটিকে প্রাচীনপন্থী কুসংস্কারের ডিপো বলেছেন আবার পরে রাখাল ছেলে নিউলানের ভালোবাসার স্বর্গের পরি চ্রিনুর সঙ্গে ঘর বাঁধার প্রশংসা করেছেন শ্রেণীহীন সমাজের প্রথম ধাপ হিসাবে। সেসব বিতর্কে না গিয়ে গুরুর পাঠকেরা এই কাহিনীর স্বাদ নিলে আমার পরিশ্রম সার্থক।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 172.56.***.*** | ০৮ জুলাই ২০২৪ ০৪:০০534369
  • ছায়াপথ, তার ধারে বছরের বিশেষ দিনে আসা তারা, পাখির ঝাঁকের তৈরী সাঁকো, স্বর্গের কাপড় বোনা এইসব নিয়েই গল্পের আরেকটা অন্য ভার্শন পড়েছিলাম। সেখানে এক রাখাল ছেলে আর সূর্য্যদেবতা শ্যেন এর মেয়েকে নিয়ে গল্প ছিলো।
  • Debanjan Banerjee | 115.187.***.*** | ০৮ জুলাই ২০২৪ ১৪:২৯534376
  • @kk
    ঠিকই ধরেছেন | চীনের এই লোককাহিনীটির অনেক রূপই আছে | মূল প্যাটার্নটি অবশ্য একই | একটি খুব সাধারণ ঘরের ছেলে যখন তার থেকে অনেক উঁচু ক্লাসের মেয়ের সঙ্গে ঘর বাঁধে তখন সেটি সর্বশেষে একটি ট্র্যাজেডিতে রূপান্তরিত হয় কাহিনীর মূল বক্তব্য এটাই | শুধু চিনে নয় এই একই ধরণের প্যাটার্ন অন্য দেশের লোককাহিনীতেও পাওয়া যায় | আমি যেমন নরওয়েতে এক জেলের ছেলে আর সিল রাজকুমারীর গল্প জানি | মূল প্যাটার্নটি কিন্তু একই | আসলে ছেলেটির থেকে অনেক উঁচু ক্লাসে থাকা মেয়েটির কাছে এটি হয়তো একটি নিছক এডভেঞ্চার কিছুদিনের জন্য কিন্তু ছেলেটির কাছে এটি একটি ট্রাজেডি নিয়ে আসে সর্বশেষে | আপনি যদি এই প্যাটার্নের আরো গল্প পেয়ে থাকেন জানাতে পারেন |
  • পাপাঙ্গুল | ০৮ জুলাই ২০২৪ ১৬:৪৫534383
  • একটাই চীনা রূপকথার বই ছোটবেলায় পড়েছিলাম। বানরের শ্বেত অস্থি বা এরকম কিছু একটা নাম ছিল।
  • kk | 172.56.***.*** | ০৮ জুলাই ২০২৪ ১৯:০৩534387
  • হ্যাঁ, জেলে ও সীলমাছের গল্পটা পড়েছি। ঠিকই বলেছেন, এই ধরণের গল্প অনেক দেশের উপকথাতেই আছে। শ্যাড মাছের উৎপত্তির একটা গল্প ছিলো, সেও এই ধরণের। যতদূর মনে আছে নেটিভ অ্যামেরিকান গল্প।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৮ জুলাই ২০২৪ ১৯:২৭534389
  • জাপানী গল্পেও আছে। উরাশিমা তারো নামে এক তরুণ ধীবর জলের তলায় ড্রাগনপুরীতে গিয়ে সেখানকার রাজকুমারীকে বিয়ে করে বহুকাল সেখানে পরম সুখেই ছিল। তারপরে যেই না নিজের লোকজনদের সঙ্গে দেখা করতে গ্রামে এসেছে....
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৮ জুলাই ২০২৪ ১৯:৩৩534390
  • সোয়াজিল্যান্ডের গল্পে আছে এক মেঘলোকের রাজকুমারী পাখির রূপ ধরে এসে পৃথিবীর এক খরগোসের ফাঁদে পড়ে যায়, তাকে বিয়ে করে পৃথিবীতেই থাকে। তারপরে মেঘলোকে যায় একদিন ওরা, কাঠঠোকরা আর ইঁদুর এই দুটি বন্ধুও ছিল সঙ্গে, সেখানে বহুরকম অ্যাডভেঞ্চার করে আবার ওরা ফেরে। এই গল্প্টার মধুর সমাপ্তি আছে। ওরা সবাই শেষে মানুষ হয়ে যায়, এই খরগোস রাজা আর মেঘকুমারী রাণী হয় আর প্রজারা সবাই তাদের রাজত্বে সুখে থাকে।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৮ জুলাই ২০২৪ ১৯:৪১534391
  • এইসব গল্পে একটা ব্যাপার খেয়াল করুন। পৃথিবীর মানুষ তো সীমিত আয়ুর মানুষ, বড়জোর শখানেক বছর আয়ু, কত তাড়াতাড়ি বুড়ো হয়ে যায়। এইসব স্বর্গের পরী বা অপ্সরা বা ড্রাগনরাজকন্যা বা ওরকম সব যাঁরা--- তাঁদের কাছে এই শ'খানেক বছর তো কিছুই না, হয়তো হপ্তাখানেক। (সেই যে পরশুরামের বিখ্যাত গল্পে অপ্সরা মেনকা নাতি ভরতকে একটা ঝুমঝুমি উপহার দেবেন অন্নপ্রাশনে, কিন্তু তখন একটা নাচের অনুষ্ঠান ইন্দ্রলোকে, আসতে পারবেন না। অনুষ্ঠান শেষে পরে যদি আসেন, ততক্ষণে নাতি ষাট বছরের বুড়ো হয়ে যাবে। ঃ-) )
  • kk | 172.56.***.*** | ০৮ জুলাই ২০২৪ ১৯:৫৯534392
  • হ্যাঁ, ড্রাগন রাজকুমারীর গল্পটাও পড়েছি বটে। তোয়াটামা না ঐ রকম কী যেন নাম ছিলো না তার? এইসব গল্পে গল্পে হ্যান্স অ্যান্ডারসনও মনে পড়লো। ছোট জলকন্যার কথা আমার পড়া সর্বকালের সেরা দশটি গল্পের মধ্যে থাকবে। যদিও এখানে ঠিক ঐ ক্লাস ডিফারেন্স প্যাটার্ন টা নয়। কারণ ওরা দুজনেই রাজপুত্র রাজকন্যা। হয়তো কাস্ট ডিফারেন্সের সমস্যা বোঝাতে এই গল্প। বা ক্ল্যানের সমস্যা।
  • Guru | 2409:4060:284:fc8d:fc62:b346:38dd:***:*** | ০৮ জুলাই ২০২৪ ২২:১০534399
  • @&/ ও kk,  গল্পটার প্যাটার্ন ঐটাই l একটি খুব গরিব কাস্টের বা শ্রেণীর ছেলে যে তার থেকে অনেক উঁচু শ্রেণীর মেয়ের সঙ্গে ঘর বেঁধেছে l শেষটা পুরোটাই ট্রাজেডি অন্ততঃ ছেলেটির কাছে l আচ্ছা রামায়ন মহাভারত এইরকম গল্পের কয়েকটা example দেবেন ? 
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৯ জুলাই ২০২৪ ০০:০৪534401
  • মহাভারতে রাজা পুরুরবাই তো আছেন, স্বর্গের অপ্সরা উর্বশীকে বিয়ে করেছিলেন। পরে উর্বশী চলে যান, বেচারা রাজা কেঁদে কেঁদে গান গেয়ে ঘুরতেন। উর্বশী বছরে একবার করে এসে ক'দিন করে থেকে যেতেন। অনেক ছেলেপুলে হয়েছিল, তাদের থেকেই কৌরব পান্ডব যাদব ইত্যাদি আরও নানা বংশের সৃষ্টি।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৯ জুলাই ২০২৪ ০০:১০534402
  • রামায়ণের ছেলেগুলো কিন্তু খুব কাস্ট-সচেতন। সব পাল্টিঘরে বিয়ে। নিজের গোষ্ঠীর বাইরে প্রায় কেউই বিয়ে করে নি। (কিছু ব্যতিক্রম অবশ্য আছে। )
  • কৌতূহলী | 103.249.***.*** | ০৯ জুলাই ২০২৪ ০০:২৩534403
  • আচ্ছা, উঁচু নীচু কাস্টের বিয়ে না হয় নেই বুঝলাম, কমবয়সী প্রেমিকের সাথে বেশি বয়সী প্রেমিকা ঘর বেঁধেছে, এমন কোন উদাহরণ কি রামায়ণ বা মহাভারতে আছে?
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৯ জুলাই ২০২৪ ০০:৪৪534404
  • সব উল্টো। কচি কচি রাজকন্যাটন্যাদের সঙ্গে বুড়ো বুড়ো ঋষি রাজা হোয়াটনট সবাই বিয়ে থা করে সংসারী। ( সুইট সিক্সটিন পাত্রী চান ওঁরা সব। গ্রীসের ওই তরুণ অধিপা কেন যে এই ফ্যাকড়াটা তুললেন না, দেড়াবয়সী বিধবা রাণীকে রাজমাতার সম্মানে রাখবো, কিন্তু আমার সুইট সিক্সটিন পাত্রী চাই নিজের জন্য--এই বল্লেই বিরাট ঝামেলা থেকে উদ্ধার পেয়ে যেতেন। অবশ্য মন্ত্রীসান্ত্রীরা মানলে তবেই। জোরজার করে দেড়াবয়সী মহিলাকেই ঘাড়ে চাপালেন হয়ত। সন্দেহ হয় সেটাই হয়েছিল। )
  • :|: | 174.25.***.*** | ০৯ জুলাই ২০২৪ ১১:০১534417
  • ০৯ জুলাই ২০২৪ ০০:২৩: গুগলিয়ে দেখলুম মহাভারতে শান্তনুর বউ গঙ্গা বয়েসে বড়। এছাড়া ভাগবত অনুসারে বলরাম রেবতীর এবং প্রদ্যুম্ন তাঁর স্ত্রী মায়াবতীর তুলনায় বয়: কনিষ্ঠ ছিলেন। এও একজন লিখেছেন দেবী মাহাত্ম্য নাকি দেবী ভাগবত কী একটি বই অনুসারে শক্তি নাকি শিবের চেয়ে বড়।   
  • guru | 2409:4060:ecb:4b03:5dd9:9fa3:2ba7:***:*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ০৮:২১534492
  • @&/, অধিপার ব্যাপারটি খুবই ইন্টারেষ্টিং। তবে উনি তুর্কি অটোমান সুলতানদের মতো ভাবলে সব প্রব্লেম সল্ভ হয়ে যেতো। উনি ভূতপূর্ব রানীকে বিয়ে করে হারেমে রেখে দিতেন স্রেফ। হারেমে তো বেশ কয়েকশো রমণী থাকতো। সবার জন্য হারেমে নানা আলাদা স্টেটাস থাকতো। বুড়িদের হারেমে ভরে তাদের দিয়ে  ঘর মোছার রান্না করবার  কাজ দিয়ে অধিপা সুখে কচিদের নিয়েই থাকতেন। কি বলেন ? 
  • kk | 172.58.***.*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ০৮:৩৮534493
  • ও, ওর নাম অধিপা হলো নাকি এখন? হৃদিপাশ ছিলোনা আগে? ও অ্যান্ডর।
  • &/ | 107.77.***.*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ১০:১৩534495
  • হৃদিপাশ খুলে ফেলে  পা বাড়িয়ে  দুনিয়া জুড়ে ঘুরতে থাকলেই অধিপা ...  :)
  • &/ | 151.14.***.*** | ১১ জুলাই ২০২৪ ২০:৪৬534504
  • @গুরু, হারেম রাখতে পারবে না, সেটাই তো কাহিনির প্রতিপাদ্য। প্রাচীন প্রিমিটিভ ক্ল্যান থেকে বেরিয়ে আলফা মেল সমাজ থেকে বেরিয়ে ওরা একের জন্য আর এক জুটি সমাজ তৈরী করছিলেন। একটি সীতার একটি রাম, একটি রামের একটি সীতা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন