এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  অপার বাংলা

  • দেশভাগ হয়নি

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    অপার বাংলা | ১২ নভেম্বর ২০২৫ | ২৮৬ বার পঠিত
  • ঋত্বিক ঘটক নাগরিক বানিয়েছিলেন ১৯৫২ সালে। উচ্ছিন্ন মানুষের গল্প। না সদ্য ঘটে যাওয়া দেশভাগের উচ্ছিন্ন মানুষ নয়, শহরের উচ্ছেদ। ৫৮ সালে বানান অযান্ত্রিক। পরের বছর "বাড়ি থেকে পালিয়ে"। দেশভাগের বেদনার কথা বলতে শুরু করেন ষাটের পরে। তাতেও শুধু বেদনা। দেশভাগের কারণ, বীভৎসতা, বিশ্বাসঘাতকতা এসব কিছু নেই। 

    সত্যজিৎ রায় পথের পাঁচালি বানান ১৯৫৫ সালে। সিনেমাটা প্রবল সাফল্য পাওয়ার পরে অপুতেই ডুবে ছিলেন প্রায় গোটা ৫০ এর দশক। ওই দশকের শেষের দিকে কলকাতা শহরের পটভূমিতে ফেরেন। তারপর বহু সমকালীন বা অতীতের সামাজিক-রাজনৈতিক পটভূমি দেখা যায় তাঁর সিনেমায়, কিন্তু দেশভাগ নিয়ে কখনও কিছু বলেননি বা লেখেননি। একই কথা, ধরুন মৃণাল সেন, তপন সিংহ, তরুণ মজুমদার, এইসব মহীরূহ সম্পর্কেও। যদিও চোখের সামনে বাংলা দু-টুকরো হয়ে যেতে দেখেছিলেন এঁরা সবাই। ঋত্বিক সমেত।  ঋত্বিকের লেখালিখি চলছে, সেই সময় টানা। গণনাট্য সঙ্ঘের খসড়া লিখছেন। সেই সময়ের একটা লেখায় এও লিখেছেন, যে, স্বাধীনতার আগে কলকাতা আর বোম্বে, এই দুটি ছিল চলচ্চিত্রশিল্পের প্রধান কেন্দ্র। অতীত কালে লিখেছেন, অর্থাৎ কলকাতার স্বর্গ হইতে পতনের কথা তাঁর জানা, কিন্তু তার কারণ নিয়ে একটিও কথা লেখেননি কখনও। কারণটা, বলাবাহুল্য দেশভাগ। 

    অবশ্য যাদের নাম বললাম, সে সময় এঁরা তরুণ। পায়ের তলায় মাটি খুঁজছেন। প্রতিষ্ঠিতদের মধ্যে ধরুন, তারাশঙ্কর। চল্লিশের মাঝামাঝি তিনি লিখছেন প্রবাদ হয়ে যাওয়া গণদেবতা বা পঞ্চগ্রাম। মন্বন্তরের সময় লিখছেন মন্বন্তর। তারপর আস্ত দেশভাগ পার করে এসে লিখছেন হাঁসুলি বাঁকের উপকথা। যেন চোখের সামনে দেশভাগটা হয়ইনি। বা ধরুন বিভূতিভূষণ। দেশভাগ পার করে মারা যাবার আগে লিখছেন ইছামতী। তিনি অবশ্য অন্য ঘরানার লেখক।

    যাঁরা সরাসরি রাজনৈতিক, তাঁদের কথাই ধরা যাক। বিজন ভট্টাচার্য নবান্ন লিখছেন ৪৪ সালে। পরে তাতে জড়িয়ে যাবেন শম্ভূ মিত্র, থাকবেন ঋত্বিক, উৎপল দত্ত, সলিল চৌধুরি সহ আরও অনেকে। নাটকটা মন্বন্তর নিয়ে। আইপিটিএ মঞ্চে নামায়। অত বিখ্যাত না হলেও আরও একটা নাটক ছিল একই বিষয়ে, তার নাম জবানবন্দী। স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে হয় শহীদের ডাক। আইপিটিএর সদস্যরা, ধরুন উৎপল দত্ত অনেক পরে বানান কল্লোল, সেটা নৌবিদ্রোহ নিয়ে। সলিল চৌধুরির গান, "কোনো এক গাঁয়ের বধূ"তে আবার মন্বন্তর ফিরে আসে। কিন্তু দেশভাগ? যেন ঘটেইনি। 

    পঞ্চাশের দশকের কলকাতার লেখালিখি সব পড়ে ফেলেছি এমন না। কিন্তু যা পড়েছি, তাতে এই একই জিনিস সর্বত্র। এই সেই কলকাতা, যেখানে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় মন্বন্তর নিয়ে লিখছেন "ওরা কেড়ে খেলনা কেন", তেভাগা-তেলেঙ্গানা নিয়ে লিখছেন ছোটো-বকুলপুরের-যাত্রী। ক্রুর মধ্যবিত্ত যাপন নিয়ে যা লিখছেন, তার তালিকা করা অসম্ভব। বিষ্ণু দে মধ্যগগনে, বুদ্ধদেব বসু কবিতা-ভবনে উজ্জ্বল, কল্লোল যুগ শেষ করে স্বমহিমায় প্রেমেন্দ্র মিত্র। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত গেয়ে ফুল ফুটিয়ে দিচ্ছেন বড়ে গুলাম আলি। কত নাম আর করব। কিন্তু আস্ত কলকাতার সংস্কৃতিতে যেন আস্ত দেশভাগটাই নেই। আমার সীমিত পাঠে কেবল দুটি লেখা পড়েছি। এক, তেলের-শিশি-ভাঙল বলে। দুই, জীবনানন্দের ১৯৪৬-৪৭ । ব্যস। তার বাইরে এক-আধটা কিছু থাকতেই পারে, যা আমি পড়িনি। কিন্তু একটা জিনিস নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, যে, কলকাতায় কোনো মান্টো তো ছিলেনই না। রাজনীতির জগতেও এক-আধজন কোণঠাসা ভিন্নস্বরের শহীদ ছিলেন। কলকাতার শরৎ বসু বা বরিশালের যোগেন মণ্ডল। লেখাতে সেটুকুও ছিলনা। 

    দেশভাগ কিন্তু কোনো ছোটোখাটো জিনিস নয়। বাঙালির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় যেটা বাঙালির মেরুদণ্ড মোটামুটি ভেঙে দিয়েছিল। তার বিশ্লেষণ, সেই নিয়ে কথা বলা, তর্কাতর্কি তো দূরস্থান, এই যে প্রায় সম্পূর্ণ অনুল্লেখ, এইটা অকল্পনীয়। আমি শুধু কলকাতার কথা বললাম, ঢাকায়ও তথৈবচ। বস্তুত মেরুদণ্ড ভেঙে যাওয়া, এটা এপারে-ওপারে প্রায় কেউ স্বীকারই করেননা। আলোচনা তো পরের কথা।

    কেন এই বিস্মরণ, কেন এই আত্মপ্রবঞ্চনা, এ এক ধাঁধা। ৭৬ এর পরের একশবছর খানেক বৃটিশ-বন্দনা দেখেও একই রকম লাগে। হিন্দু প্যাট্রিয়টের আগে পর্যন্ত বাংলার এক তৃতীয়াংশ মানুষের মরে যাওয়া, দুর্দশা এসব নিয়ে কেউ মাথা ঘামাননি। এই ২০২৫ সালেও দেখি অবিকল একই ব্যাপার। গত বছর দশেক ধরে ভারতবর্ষে বাঙালি জাতটাকেই ধ্বংস করে দেবার একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, কিন্তু সে নিয়ে লেখা? সাহিত্য? গান? সিনেমা? হয়নি। অথচ গরীব মানুষ, শহুরে মধ্যবিত্ত, শাইনিং সকলেরই খাদ্য নাগাড়ে উৎপন্ন হয়ে চলেছে। কিন্তু জাতটা যে ধ্বংস করে দেবার চেষ্টা চলছে, এ ব্যাপারে কোথাও কিচ্ছু নেই।  ২০র দশকের সংস্কৃতি চর্চা যদি কেউ পঞ্চাশ-বছর পরে, আমার মতো দেখেন, তো দেখবেন, খুব থ্রিলার আর গোয়েন্দা গল্প চলছিল তখন, আর তথাকথিত ঐতিহাসিক গল্প। শিল্পীরা বর্তমানে যেন বাঁচেনই নি। লোকেও দিব্যিই আছে। আমি একখানা উপন্যাস লিখেছিলাম "নুনু যখন শনাক্তকরণের চিহ্ন"। তার প্রচুর লোকে নিন্দে-প্রশংসা সবই করেছেন। কিন্তু সে আর পাঁচটা বইয়ের মতই। কিছু যে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, এই চিন্তার ছাপ তেমন দেখিনি। সাদিক একটা উপন্যাস লিখেছিল। যার নাম ভারতবর্ষ। খুবই ভালো লিখেছিল। কিন্তু সেও কোনো বিপর্যয়ের চেতনা ছড়িয়েছে বাজারে বলে মনে হয়না। সাদিক মাঝে-মাঝেই বলে, তুমিও রিভিউ লিখলেনা? ঠিকই বলে। কিন্তু কী লিখব, কেন লিখব। গত পাঁচ-বছর, সত্যি কথা বলতে কী, উনিজি আমার জীবন বদলে দিয়েছেন। এখন ভূতগ্রস্তের মতো লিখি। সরাসরি লিখি। ব্যঙ্গ করে লিখি। কে বন্ধু রইল ধার না ধেরেই লিখি। কোনটা সাহিত্য হল, শিল্প হল, না ভেবেই লিখি। অন্য কিছু লেখার কথা বিশেষ মাথাতেই আসেনা। বিপর্যয় সামনে এলে তেমনই তো হবার কথা। অথচ চারপাশে তেমন কিছু দেখিনা। এ কি বাঙালির ওই ব্যাখ্যার অতীত আত্মপ্রবঞ্চনার ট্র‌্যাডিশন? ফ্রয়েডীয় ডিসপ্লেসমেন্ট জাতীয় কিছু? নাকি আমারই সমস্যা, জীবনানন্দ যাকে বলেছিলেন, বসন্তপঞ্চমীর রাতে মরিবার হল তার সাধ? কে জানে। 

    পুঃ পুরোটাই, ওই ভূতগ্রস্তের মতো ১০ মিনিটে টাইপ করলাম। সন-তারিখগুলো মোটের উপরে ঠিকই থাকার কথা, কিন্তু সব ঠিক, গ্যারান্টি দিতে পারছিনা। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • অপার বাংলা | ১২ নভেম্বর ২০২৫ | ২৮৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • :|: | 2607:fb90:bd92:243d:9104:c7e1:f552:***:*** | ১২ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:২৫735704
  • "দেশভাগের কারণ, বীভৎসতা, বিশ্বাসঘাতকতা এসব" তো লিখে রাখার কথা ঐতিহাসিকের। ইতিহাস বইতে লেখা নাই? 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:f57f:1af1:f70e:***:*** | ১২ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:৩৮735705
  • "নাকি আমারই সমস্যা, জীবনানন্দ যাকে বলেছিলেন, বসন্তপঞ্চমীর রাতে মরিবার হল তার সাধ? "
     
    এটা কিন্তু হতেও পারে। সবারই একটা কিছু পেট পিভ থাকে, আপনার পেট পিভ হয়তো এইটা।  
  • r2h | 208.127.***.*** | ১২ নভেম্বর ২০২৫ ০৮:২৬735706
  • একজন পাঞ্জাবী অরিজিনের চিত্রশিল্পী একবার যোগাযোগ করেছিলেন, দেশভাগ নিয়ে একটা সিরিজ করার জন্য পড়াশুনো করতে চান, মূলত ফিকশন সাহিত্য, পাঞ্জাবী সাহিত্যের তথ্য ওঁর কাছে আছে, বাংলা সাহিত্যের সন্ধানে, ইংরিজি অনুবাদ। গুরুতেও লিখেছিলাম, বছর দশেক আগে। খুব বেশি একেবারে দেশভাগ বা উদ্বাসনকেন্দ্রিক সাহিত্যের সন্ধান দিতে পারিনি।

    শৈশবে দুই প্রজন্ম আগের দুয়েকজনকে দেখেছি, যাঁরা পার্টিশনের বাস্তবতা স্বীকারই করতে পারেননি জীবনের শেষদিন পর্যন্ত - ভাবতেন ওটা একটা সাময়িক বন্দোবস্ত - দুই বাংলা আবার এক হয়ে যাবে ঠিকই।

    যত দিন গেছে তত দূরত্ব বেড়েই গেছে।

    অনেকে আবার মনে করেন দেশভাগ আর কী, যাঁরা ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি, যাঁদের অস্তিত্ব স্থায়ীভাবে নড়ে গেছে - সে তাঁদেরই দুর্বলতা।
    আজকাল কর্পোরেটে চাকরি গেলে লোকে যেমন ভাবে আরকি। আপস্কিল করতে পারেনি তাই হেরে গেছে।
    দূরত্ব বেড়েই চলে, কাঁটাতারে ফেলানির লাশ, সোনালি খাতুন - এইসব গায়ে সয়ে যায়।
  • বিপ্লব রহমান | ১২ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:০৬735708
  • দেশবিভাগের প্রশ্নে এই মুর্দাফরাশ জরুরি। 'আবার আসিব ফিরে' কী দেশবিভাগের জ্বালা নয়!? কৃষাণ চন্দ্ররের "গাদ্দার" বাদ পড়েছে।
  • | ১২ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:১৩735709
  • দেশভাগ নিয়ে দু:খ যদিও বা পাওয়া যায় টুকরো টাকরা ট্রমাটা একেবারেই প্রায় পাই নি এদিকের লেখায়।  পাঞ্জাবের দিকের লেখাতে ট্রমা ধরার চেষ্টাটা পাই।  দয়াময়ীর কথা একমাত্র লেখা যেটায় এই ট্রমা এসেছিল। এটা পড়েই আমার মায়ের ট্রমাটা ধরতে পেরেছিলাম। মা যদিও অস্বীকার করত প্রাণপণে।
  • অরিন | ১২ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:৩৯735711
  • দ, "দেশভাগ নিয়ে দু:খ যদিও বা পাওয়া যায় টুকরো টাকরা ট্রমাটা একেবারেই প্রায় পাই নি এদিকের লেখায়। "
    একই কথা উর্বশী বুটালিয়ার লেখাতেও দেখা যায়,
    "“There is, however, a major lacuna in my work: it is one-sided; it relates only to one aspect of Partition — that is, the partition of Punjab. I have not looked at the east, at Bengal, at all. In the main this is because I do not have the language; also the partition of Bengal was so very different from that of Punjab that I would not have known where and how to begin.”

    Excerpt from
    Other Side of Silence : Voices from the Partition of India (9788184753141)
    Butalia, Urvashi
     
     
  • %% | ১২ নভেম্বর ২০২৫ ১০:১৩735714
  • জটিলতার কিছু নেই। ভদ্রবিত্তরা অর্ধেক দেশভাগ চেয়েছিলেন , আর বাকিরা ভেবেছিলেন এতে আমাদের তো কিছু হবেনা। এখন যেরকম হচ্ছে , অর্ধেক সার , ক্যা চাইছে , বাকি অর্ধেক বলছে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবার ব্যাপারটা অর্থনৈতিক বা আমার চেনা কাউকে তো দিল্লিতে ধরেনি। মূলধারার মিডিয়া তখনো তাল মিলিয়েছিল , এখনো মেলাচ্ছে। 
  • %% | ১২ নভেম্বর ২০২৫ ১০:১৪735715
  • সরাসরি না চাইলেও অনেকে ভেবেছিলেন এইটি অনিবার্যতা। কাজেই নিজেদের পরিবারের বিষয়টি সুরক্ষিত করেছিলেন। 
  • bangali | 38.114.***.*** | ১২ নভেম্বর ২০২৫ ১১:৩৩735718
  • যেখানে ট্রমা নেই, সেখানে জোর করে ট্রমা গুঁজে দিতে চাইছেন। কলকাতা দাঙ্গা নিয়ে বিজেপিও তাই চেষ্টা করে। বাঙালিরা ওয়েল-এডজাস্টেড জাতি। ব্যাপারগুলো ফিলোজফিক্যালি নিয়েছে।
  • %% | ১২ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১৭735720
  • নিম্নবিত্তরা - নমঃশূদ্র ও রাজবংশীরা অনেকেই দেশভাগ চাননি। তারা সম্ভবত ভালোভাবে বুঝতেই পারেননি কি ঘটতে চলেছে। কিন্তু তারা যোগেন মন্ডলের মত যাদের ভোট দিয়ে জিতিয়েছিলেন সেই নেতারা প্রায় সকলেই দেশভাগ চেয়েছিলেন। ফজলুল হকের কৃষক প্রজা পার্টি লাঙল যার জমি তার বলে ভোটে জিতে এসে পাঁচ বছরে ভূমিসংস্কারের কোনো আইন পাশ করাতে পারেননি। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ ভেস্তে যাবার পরেই ব্রিটিশরা বাংলা ভাগ প্রোজেক্ট হিসেবে নিয়েছিল। সেজন্য ১৯১১ তে রাজধানী দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। দাঙ্গা করে , দুর্ভিক্ষ করে সোশ্যাল ফ্যাব্রিক নষ্ট করা হয়। সুরঞ্জন দাসের বইটা সেজন্য ১৯০৫ থেকে ১৯৪৭ দাঙ্গার ইতিহাস নিয়ে। ১৯০৫র আগে দাঙ্গার ইতিহাস নেই।
  • কৌতূহলী | 103.249.***.*** | ১২ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:২৬735722
  • নিমাই ঘোষ এর ছিন্নমূল সিনেমাটা নিয়ে সকলের মতামত কী?
  • কৌতূহলী | 103.249.***.*** | ১২ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৩১735723
  • এই টইতে প্লিজ অয়নেশবাবু (আ খো) অংশগ্রহণ করুন। জানি  না কমেন্টটা বা টইটা ওঁর চোখে পড়বে কিনা। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন