এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • আদেখলার মেসিচচ্চড়ি 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৩০৩ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • কারো ভাবাবেগে লাগলে লাগবে, কিন্তু ফুটবলের নাম করে মেসিকে এই আদেখলা আদিখ্যেতা আর চোখে দেখা যাচ্ছেনা। বিশ্বের কোথাও দেখবেন না, নিজেদের ফুটবল টিম উঠে যাবার দশা, কিন্তু বিশ্বকাপ এলেই দুইদল লোক কেউ হলদে জার্সি আর কেউ নীল-সাদা পরে ঝগড়া, চুলোচুলি করছে। বাচ্চা-কাচ্চারা লাফালে একটা মানে হয়, কিন্তু দেখবেন, দামড়া লোকেরা একে অপরকে খিস্তি করছে, মুখ-দেখাদেখি বন্ধ করছে। সেই নিয়ে কিছু বললেই আবার অবিকল চাড্ডিদের মতো তাদের ভাবাবেগে লেগে যাচ্ছে। এর সঙ্গে ক্রীড়াপ্রেমের ন্যূনতম সম্পর্ক নেই, পুরোটাই চূড়ান্ত অশ্লীল, লোক-দেখানো হুজুগ, ঠিক যেমন নিজেদের সিনেমা উঠে যাচ্ছে, আর বলিউডি ভাষার সিনেমার কোনো জোকার বিলিওনার হলে তাকে নিয়ে লাফালাফি। 

    সে তাও টিভিতে। খেলা দেখে লোকে উত্তেজিত হয়। কিন্তু এখন যেটা হচ্ছে, সেটা অশ্লীলতার ব্যারোমিটারে আরও অনেক বেশি। কী, না মেসি এসেছেন ভারতে। যেন শারুক্ষান এসেছেন ফিল্ম ফেস্টিভালে, এবার দুটো ডায়লগ দেবেন। খেলতে এসেছেন? না। খেলা শেখাতে এসেছেন? তাও না। এতে করে ফুটবল পরিকাঠামোর উন্নতি হবে? তাও না। আসলে হবে অশ্বডিম্ব। তাতেই দলে-দলে লোক চলেছে স্টেডিয়ামে। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচা করে। গিয়ে কী করবে কেউ জানেনা। উনিই বা কী করবেন? গান শোনাবেন না, নাচবেন না, দুটো কথা বললেও স্প্যানিশে, কেউ বুঝবেনা। বড়জোর বলে দুটো লাথি মারবেন। তবু চলেছে।

    একে নায়কপুজো বললে নেহাৎই কমিয়ে বলা হয়। এমনকি এর চেয়ে তারকেশ্বর কিংবা কচুয়া ধামে জল নিয়ে যাওয়াও ঢের ভালো। সেখানে পাপ-পুণ্যের একটা হিসেব থাকে। এখানে শুধুই হুজুগ। হুজুগে পাবলিক লাফাচ্ছে, নেতা আর সেলিব্রিটিরা আবার এককাঠি বাড়া। আরও বেশি নাচছেন। দেকেচো, আমি কীরকম মেসির সঙ্গে সেলফি তুলতে পারি? শুধু নিজের নয়, গুষ্টিশুদ্ধ লোককে তুলিয়ে দিতে পারি? বাংলায় শুনতে পাই এসআইআর চলছে, বাঙালি গোটা ভারতে বিপন্ন। তার মধ্যেই চলছে তৃণমূলের নেতা এবং সেলিবৃটিদের এই সেলফি উৎসব। বাকি সব চুলোয় গেছে।

    কাকে ছেড়ে কাকে ধরব। আরেকদল আছে, তারা বলছে, দেকেচো রাহুল কীরকম দূর থেকে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছে, কী ভদ্র? রাহুল যে ভদ্র এবং লোক ভালো সে নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু বিশ্বে কোথাও দেখেছেন, একজন ক্রীড়াব্যক্তিত্ব কত-শো-কোটি টাকা কে জানে নিয়ে একটা মঞ্চে হাজির হওয়ায় দলেদলে রাজনৈতিক নেতা, তাদের বৌ-ছেলে-মেয়ে  গিয়ে ইয়েস-স্যার বলে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন? মুখ্যমন্ত্রীর বৌ সেলফি তুলছেন, বিরোধী দলনেতা, মঞ্চে উঠে পড়েছেন, আরও কী কী হচ্ছে খোদায় মালুম। 

    আরেক দল আবার বলছেন, এই জমানায়ই এরকম হয়, সুভাষ চক্কোত্তি মারাদোনাকে এনেছিলেন, তখন দেকেচো কেউ লাফাচ্ছিল? শুনে হাসব না কাঁদব বলা মুশকিল। বলতে ইচ্ছে করে, না, তখন সবাই সোনা মুখ করে গ্যালারিতে বসে আলুভাজা খাচ্ছিল। সত্য কথা হল, হোপ-এইট্টি-সিক্স থেকে শুরু করে মারাদোনা পর্যন্ত, বাংলায় এই ল্যাল্যা কালচারের জনক স্বয়ং সুভাষ চক্কোত্তি, তাঁর দলের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায়। সেটাকে তখন জনসংযোগের নাম দিয়ে চালানো হত। তবে তাঁর বিরোধী অনেকেই ছিলেন, তাদের কারো-কারো চাকরিও গিয়েছিল ওই কারণে। এখন আর বিরোধীদের দেখতে পাওয়া যায়না, সব্বাই ছটপুজো করছেন, আর মেসির জন্য লাফাচ্ছেন, এই তফাতটা অবশ্যই আছে। 

    তখন অবশ্য আরেকটা তফাতও ছিল। চাড্ডিদের দেখা যেতনা। এখন তারা এসে যাওয়ায় সোনায় সোহাগা, সমস্ত জায়গায় প্রাতঃকৃত্য  করে রাখছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, এই বাজারে লোক লাগিয়ে জয়শ্রীরাম বলে স্টেডিয়ামে নেমে পড়েছিল। মেসির সঙ্গে রামের কী সম্পর্ক, রাম কি আর্জেন্টিনায় জন্মেছিলেন? আর্জেন্টিনা আদৌ কোথায়, সেখানে মাংস বলতে লোকে গরু আর শুয়োরই বোঝে, চাড্ডিরা কি জানে? নাকি চিকেন-প্যাটিস খুঁজতে গিয়েছিল তাইই বা কে বলতে পারে। ভাঙচুরও তারাই শুরু করে থাকতেই পারে। আস্ত বাবরি মসজিদটাই ভেঙেছে, কটা হিন্দিভাষী গুণ্ডা নামিয়ে একটা স্টেডিয়াম ভাঙা কী কঠিন আর।

    বাকি রইল "ক্রীড়ামোদী" বাঙালিরা। কদিন আগেই শেখ হাসিনার বাসভবনে ভাঙচুর দেখে তারা মোল্লাদের রুচি নিয়ে তেড়ে গাল দিচ্ছিল। এখন নিজেরাই কেউ কার্পেট নিয়ে বাড়ি যাচ্ছে। কেউ ফুলের টব নিয়ে যাচ্ছে বৌকে দেবে বলে। কে বলবে এসআইআর চলছে, উড়িষ্যায় বাঙালি ঠ্যাঙানো হচ্ছে, সোনালী-বিবি ফিরে এলেও অনেকেই এখনও ওপারে। তার মধ্যেই এইসব চলছে। অনেকেই  এখন প্রচণ্ড ক্রীড়ামোদী। সক্কলেরই মাথাকাটা যাচ্ছে। গোদি-মিডিয়া থেকে শুরু করে ইনফ্লুয়েন্সার অবধি সক্কলের। বাঙালিকে যখন বাংলাদেশী আখ্যা দেওয়া হয়, তখন এঁদের একটা বড় অংশ চক্ষু মুদে থাকেন। এখন কোনো "ফুটবলপ্রেমী" টব চুরি করে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন, কেউ জয়শ্রীরাম বলছেন, কেউ সেলফি তুল বিতরণ করছেন। আমারও মাথা কাটা যাচ্ছে। তবে সেটা এঁদের দেখে। মেসি কে জানে কত কোটি টাকা পেয়েছেন, টাকাটা স্রেফ মুখ দেখিয়ে ফোকটে পেতে গেলে তৃতীয় বিশ্বে কিছু ঝক্কি নিতে হবে বিলক্ষণ জানেন, ফলে উনি কী ভাবলেন, তাতে কিস্যু এসে যায়না। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Anindya Rakshit | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:১৪736678
  • এটা মনে হয় বাবু কালচারেরই বিবর্তিত রূপ। এদের ঠাকুরদার বাবাদের টগরমনি বা শেফালিবালাদের দেখলে অর্গ্যাজম হতো। এদের মেসিকে আর শারুখকে দেখলে হয়। 
  • অরিন | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:৫২736681
  • "কারো ভাবাবেগে লাগলে লাগবে, কিন্তু ফুটবলের নাম করে মেসিকে এই আদেখলা আদিখ্যেতা আর চোখে দেখা যাচ্ছেনা।"
     
    এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। 
     
    মনে হয়, যতদিন না পর্যন্ত ভারত বিশ্ব ফুটবলে একটি ভাল জাতগায় পৌঁছবে, ততদিন এই ধরণের বিশ্রী উন্মাদনা চলতেই থাকবে। খেলাধুলার মানের উন্নয়ণ না হলে, সমানে সমানে টক্কর দেওয়ার পরিসর না তৈরী হলে মিডিয়ার তৈরী করা কিছু উন্মাদনা চলতেই থাকবে। এ প্রসঙ্গে ভেবে দেখা যেতে পারে সত্তরের দশকে পেলের দলের সঙ্গে বাঙালী ফুটবলারদের প্রদর্শনী ম‍্যাচ। ততদিন পর্যন্ত বাংলায় ফুটবলের একটি ঐতিহ‍্য ছিল এবং দল হিসেবে ভারত এশিয়াতে অন্তত পরিচিত ছিল। কাজেই পেলে কে নিয়ে খেলার খেলা দেখার আগ্রহ ছিল অনেক বেশী ছবি তোলার আদেখলামো কম ছিল। 
     
    আদেখলামোর জেরে কিছু ইভেন্ট ম্যানেজার গোছের লোক করে খাচ্ছেন। কে না জানে বিশেষ করে পুজোর পর থেকে সরস্বতী পুজো অবধি মানে শীতকাল জুড়ে কলকাতায় মানুষের মধ‍্যে একটি অদ্ভুত উন্মাদনা দেখতে পাওয়া যায়। তার ওপরে উচ্ছৃঙ্খলতার চূড়ান্ত বহিপ্রকাশ দেখা গেল। বাঙালী হয়ত একসময় ক্রীড়াপ্রেমী ছিল, এখন তার ক্রীড়াপ্রেম কতটা তা নিয়ে সঙ্গত প্রশ্ন উঠবেই। হুজুগে গা ভাসানোর সীমা থাকা উচিত বিশেষ করে এমন একটা সময়ে যখন কিছু মানুষের বাঁচা মরা একটি জাতের অস্তিত্ব নিয়ে সমস‍্যা হতে চলেছে। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:b172:2f7d:7de:***:*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:২৬736683
  • 'কে না জানে বিশেষ করে পুজোর পর থেকে সরস্বতী পুজো অবধি মানে শীতকাল জুড়ে কলকাতায় মানুষের মধ‍্যে একটি অদ্ভুত উন্মাদনা দেখতে পাওয়া যায়'
    - এতে কিন্তু সরকারী মদত ও আছে। বহু ক্লাব কে পুজোর জন্য টাকা দিচ্ছে পঃ বঙ্গ সরকার, ছট পুজো থেকে দূর্গা পুজো - এগুলো সাধারণ মানুষের উৎসব হওয়ার কথা, সরকারের ভূমিকা বড়জোর হতে পারে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার। এই সরকার দীঘায় একটা মন্দির ও তৈরী করে ফেলল , এগুলো সরকারের কাজ নয় 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:b172:2f7d:7de:***:*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:২৮736684
  • মেসিকে এনে যে বাংলা  বা ভারতীয় ফুটবলের কোন উন্নতি হবে না, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই - লেখকের সাথে এ ব্যাপারে একমত 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:1ca:51b4:2c33:***:*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:৩০736685
  • "সত্য কথা হল, হোপ-এইট্টি-সিক্স থেকে শুরু করে মারাদোনা পর্যন্ত, বাংলায় এই ল্যাল্যা কালচারের জনক স্বয়ং সুভাষ চক্কোত্তি, তাঁর দলের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায়"
     
    এটা এক্কেবারে মানতে পারলাম না। বাঙালিদের আর, ইন জেনারাল, ভারতীয়দের আইকনপুজো আর ঠাকুরপুজোর বাতিক অন্তত কয়েকশো বছরের পুরনো। রবীন্দ্রনাথ থেকে রামকেষ্ট আর বিবুদা, বাঙালিরা যাকে পেয়েছে তাকেই ঠাকুর বানিয়ে মুর্তিপুজো করেছে। আবার অন্যান্য রাজ্যের লোকেরাও তদের রাজ্যে যাকে পেয়েছে তাকেই মাথায় করে নেচেছে। এইসব ঠাকুরদের কোনরকম ক্রিটিসিজম হলেই আমাদের ভাবাবেগে আঘাত লাগে আর বেগের ঠেলায় সামনে যাকিছু পাই ভাঙচুর করতে শুরু করে দি। আর হুজুগেও আমরা কম যাইনা, সে পেলে-মারাদোনাই হোক বা আখলাক-গ্রাহাম স্টেইনসই হোন। এসবের মধ্যে সুভাষ চক্কো আর লালপাট্টি তো ফুটনোট মাত্র। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:b172:2f7d:7de:***:*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:৪৫736687
  • '‘প্রজেক্ট মহাদেব’ শুরু করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। রাজ্যের ৩৫ জেলা থেকে ৩০ জন ছেলে ও ৩০ জন মেয়েকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তাদের পাঁচ বছরের স্কলারশিপে ফুটবল শেখানো হবে। সেই প্রজেক্টের উদ্বোধন হল মেসির হাতে। তার আগে বাচ্চাদের সঙ্গে ‘পাসিং দ্য বল’ খেললেন মেসিরা'
     
    - হয়ত বেশি নিরাশাবাদী হচ্ছি। বম্বেতে মেসি বাচ্চা দের সাথে ফুটবল খেলেছে, তাতে খুদে ফুটবলার রা অনুপ্রেরণা পেতেই পারে। তবে ভারতীয় ফুটবলের অবস্থা এমনই করুণ, এবার আইএসএল হবে কিনা সন্দেহ, আর বাঙালী ফুটবলার তো ইস্ট বেঙ্গল, মোহন বাগানেও প্রায় দেখাই যায় না , জাস্ট টু ব্যাড । ভারতের ফিফা র‌্যাংক এখন ১৪২sad
  • বিপ্লব রহমান | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:০০736689
  • ১৬ মিনিটের মেসি ম্যাজিক জনতার হুজুগ বোঝার জন্য যথেষ্ট।  কিন্তু এ থেকে কী কিছু শেখা হলো? 
     
    মনে হয় না! cheeky
  • $ | 151.24.***.*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:১১736691
  • থার্ড ওয়ার্ল্ডের ভিখিরিগুলোর কাছ থেকে আর কিই বা প্রত্যাশা করা যায়? জানোয়ারগুলোকে ইউরোপ-আমেরিকায় ঢুকতে না দিলেই হল।
  • অরিন! | 119.224.***.*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:৩৮736694
  • "থার্ড ওয়ার্ল্ডের ভিখিরিগুলোর কাছ থেকে আর কিই বা প্রত্যাশা করা যায়? জানোয়ারগুলোকে ইউরোপ-আমেরিকায় ঢুকতে না দিলেই হল।"
     
    আগে নিজে মানুষ হোন।
     
    Emma Lazarus এর কবিতাটি একবার স্মরণ করিয়ে দিই, 

    The New Colossus
    BY EMMA LAZARUS
    Not like the brazen giant of Greek fame,

    With conquering limbs astride from land to land;

    Here at our sea-washed, sunset gates shall stand

    A mighty woman with a torch, whose flame

    Is the imprisoned lightning, and her name

    Mother of Exiles. From her beacon-hand

    Glows world-wide welcome; her mild eyes command

    The air-bridged harbor that twin cities frame.

    “Keep, ancient lands, your storied pomp!” cries she

    With silent lips. “Give me your tired, your poor,

    Your huddled masses yearning to breathe free,

    The wretched refuse of your teeming shore.

    Send these, the homeless, tempest-tost to me,

    I lift my lamp beside the golden door!”
  • অরিন! | 119.224.***.*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:৪৪736695
  • "এতে কিন্তু সরকারী মদত ও আছে। বহু ক্লাব কে পুজোর জন্য টাকা দিচ্ছে পঃ বঙ্গ সরকার, ছট পুজো থেকে দূর্গা পুজো - এগুলো সাধারণ মানুষের উৎসব হওয়ার কথা, সরকারের ভূমিকা বড়জোর হতে পারে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার। এই সরকার দীঘায় একটা মন্দির ও তৈরী করে ফেলল , এগুলো সরকারের কাজ নয় "
     
    ১০০% সহমত অরণ্য!
    ক্লাবকে পুজোর জন্য টাকা না দিয়ে ছেলেমেয়েরা যাতে খেলাধুলো করতে পারে, মাঠগুলো যাতে খেলার উপযুক্ত হয়ে ওঠে সেই ব্যাপার গুলো তো দেখতে হয়! মেসিকে নিয়ে আসা ভাল কথা, তাঁর সঙ্গে সবচেয়ে আগে ইশকুলের ছেলেমেয়ে, ফুটবল একাডেমীর শিক্ষার্থীদের আলাপ হওয়া উচিৎ নয় কি?
  • কালনিমে | 45.123.***.*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:১০736697
  • গতকাল টাইমস্ প্রথম চার পাতা জুড়ে শুধু এই আখ‍্যান - সোশাল মিডিয়ায় আকচা আকচি তো আছেই- যেটা সৈকতও বললেন। এটা দেখে বোঝা যায় কলকাতা / পশ্চিমবঙ্গ বা সারা দেশে আর কোন গুরুত্বপূর্ণ খবর নেই । কেউ কেউ আর জি কর ও টেনে এনেছে । 
  • দীপ | 2402:3a80:198b:55db:678:5634:1232:***:*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:২০736700
  • ১৯৭৭ সালে পেলে এসেছিলেন কলকাতায় "নিউইয়র্ক কসমস" টিমের সঙ্গে , মোহনবাগানের সঙ্গে একটা প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে। 
     
    রাতে কলকাতায় পৌঁছেছিলেন। এয়ারপোর্ট থেকে, ওনাকে নিয়ে যাওয়া হলো গ্র্যান্ড হোটেলে। আমি এবং আমার মত সাধারণ উৎসাহী খেলা পাগল মানুষ সারা রাত দাঁড়িয়ে ছিলেন রাস্তায় পেলেকে একবার চোখের দেখা দেখার জন্য। মনে আছে আমি প্রায় সারারাত লেক টাউনের কাছে ভিআইপি রোডে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। যে বাসে পেলে ছিলেন, সেই বাসের ভিতরে আলো জ্বালানো ছিল, যাতে সবাই ওনাকে দেখতে পারে। বাসের ভিতর থেকে পেলে ওয়েভ করছিলেন। জনসাধারণের সুবিধার জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তার জন্য কাউকে হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হয়েনি।
     
    পরের দিন খেলার মাঠে তো সবাই দেখেইছেন পেলের খেলা , সামান্য সময়ের জন্য হলেও। মাঠে যাওয়ার জন্য অবশ্য টিকিট কাটতে হয়েছিল।
     
    আর গতকাল সাক্ষী রইলাম মেসির কলকাতায় আগমনের মুহূর্ত। যদিও আমি মাঠে বা রাস্তায় যাইনি দেখার জন্য, এখন এই বয়েসে অত উৎসাহ বা ইচ্ছে কোনোটাই নেই। 
     
    কিন্তু যেটা দেখতে পেলাম দুই প্রশাসনের শিক্ষা, প্রশাসনিক ক্ষমতা এবং জনসাধারণের প্রতি ভালবাসা ও কর্তব্যের পার্থক্য। 
     
    প্রত্যক্ষদর্শীর অভিজ্ঞতা।
    এই লেখাটাও থাকুক।
  • $ | 38.9.***.*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:৩৮736701
  • India is a shithole country man! West bengal is a failed state. Dirty fucking Bengalis!
  • খ্যাক খ্যাক | 78.142.***.*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:৫০736702
  • এহ পোঁদ না ধোয়া দাঁত না মাজা গিদ্ধড়টা আবার এসচে $ সেজে। ওরে গিদ্ধড় আট্টু ইংরিজি শিকে নে তালেই আম্রুদের সাথে লদগালদগি কত্তে পারবি। একেনে নোংরা পোঁদ লাচাতে হবে না। 
    দিপচাড্ডিও কপি মারতে দৌড়ে এসচে। একটা লেখায় দু দুটো ভিকিরি দোড়ে এসচে। 
  • অরিন | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:১৭736704
  • "India is a shithole country man! West bengal is a failed state. Dirty fucking Bengalis!"
     
    "দুনিয়ার মাঝে বাবা সব হ্যায় ফাক, বাবা সব হ্যায় ফাক 
    ধানের গৌরবে কেন মিছা কর জাঁক 
    বাবা মিছা কর জাঁক"
     
    -ঈশ্বর গুপ্ত, "সব হ্যায় ফাক"
     
    ঈশ্বর গুপ্ত আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগে লিখে গেছেন, শুধু শুধু  বেছে বেছে বাঙালিকে গালিগালাজ করে  আপনার আর কী বা লাভ হবে?
     
    (ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের শ্রেষ্ঠ কবিতার বইএর ১৫ নম্বর পাতায় )
  • নাভিদ | 2a0d:bbc7::f816:3eff:fef2:***:*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:২২736705
  • বাঙালি গোটা ভারতে বিপন্ন কিনা জানা নেই তবে আরজিকরে, কসবা ল কলেজে, মুর্শিদাবাদে কিংবা বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকতার চাকরি খুইয়ে বিপন্ন তা তো দেখাই যাচ্ছে।
     
    যত ইচ্ছে খিল্লি হোক।
     
    যখন ওরা মেসিভক্তদের ডুবিয়ে ছেড়েছিল, আমি খিল্লি করেছিলাম কারণ আমি মেসিভক্ত নই...
  • sangeeta das | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:৫৮736707
  • সবাই খুব রাগ করবে হয়ত বললে, কিন্তু ভক্তি বেশ নেশা করার মতো মিষ্টি জিনিস। এতো সহজে, সস্তায়, সুলভে পাওয়া ও দেখানো যায় যে, কোনো দোকানেই, 'গোপনে' এই নেশা ছাড়াবেন না। বরং, নিজেও করবেন, অপরকেও করতে উৎসাহ দেবেন। মানুষের এই ভক্তিপ্রীতি, কী গোরুতে, কী গোবরে, কী ঠাকুরে, কী কুকুরে, কী দেশপ্রেমে, কী দেশ নিলামে, কী পুষ্পায়, কী পুষ্পে- ভয়ানক ছড়িয়েছে/ছড়াচ্ছেও। সুবিধামতো গামছা পরে একটা ঘোলাজলে নামলেই, বেশ গ্রুপ পাওয়া যায় মৌতাতের। 
  • বিশুদ্ধ হাসি তামাসা | 148.113.***.*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:১৭736712
  • @$ "থার্ড ওয়ার্ল্ডের ভিখিরিগুলোর কাছ থেকে আর কিই বা প্রত্যাশা করা যায়? জানোয়ারগুলোকে ইউরোপ-আমেরিকায় ঢুকতে না দিলেই হল।" 
     
    পুরো একমত ৷ ( আমি চাঁদ আর মঙ্গলের মাঝে ত্রিশঙ্কু বলে একটা চমৎকার জায়গায় থাকি )
     
  • সিরিয়াস ব্ল্যাক | 148.113.***.*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:২২736713
  • @sangeeta das 
    ভক্তি , ভালবাসা এগুলো লোকচক্ষুর থেকে একটু দূরে করতই  বেশী নেশা হয় না কি ? সবাই তো আর বিশ্বমাঝে যোগে বিহার করেন তা নয় । 
  • বেগ | 2a12:a800:2:1:45:80:158:***:*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:৫৭736721
  • উ চেপে রাখার জিনিস লয়কো বাপ। কেউ বলছে পিসি নেতাজির বাড়া, কেউ বলছে চৈতন্য, প্রাণের আবেগ প্রাণের ব্যাদনা চাপবে কি করে? লেখককে এরকম লেকা দুদিন ছাড়া লিকতেই হবে। বিরিয়ানির হাঁড়িতে লাল কাপড় দাও, দেকবে কয় বেটা 'হুই লেনিন আলা' বলে ডিগবাজি দিচ্চে। লিবারালিজমে ভক্তি এত যে দুখানা বাক্যের পর একখান 'নোমদা' গুঁজে দিচ্চে। গামছা লিয়ে নামলেই হল। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন