এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • অ্যাবসুলেট সিনেমা! 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৮ মে ২০২৫ | ৪০১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  •  
     
     
    ম্যালাদিন কিছু লেখি না। এমন না যে এখানে লিখছি না কিন্তু বাহিরে লিখছি। লিখছিই না। প্রচ্ছন্ন কিছু ধমক খেয়েছি। এই জন্য ভয়ে লিখছি না? তা না, নিজের ওপরে বিরক্ত লাগল খুব। কেন আমি এগুলা শুনব? যে লোক আমাকে গুঁতা দিল তাকে ধরে ইচ্ছামত ধোলাই দিতে পারতাম তবে শান্তি পেতাম। ধোলাই মানে অনলাইনেই ধোলাই। তার যে অসাড় সব যুক্তি তা ঘায়েল করতে খুব বেশি শ্রম দিতে হত না আমার। কিন্তু এই যে এমন একটা লোকেও আমি কিছুই বলতে পারলাম না, বা তার মত একটা লোক আমাকে প্রচ্ছন্ন ধমক দিতে পারল এইটা আমাকে চরম বিরক্তি এনে দিয়েছে। এখন লিখতেই ইচ্ছা করে না আর। অথচ দেশ জুড়ে সিনেমা চলছে, একের পর এক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েই চলছে। কোনটার পরিচালক ফারুকি, কোনটার দায়িত্বে মহান ছাত্র সমন্বয়ক, কোনটার আবার স্বয়ং ইনুস সাহেব! 
     

    গত বছর এই সময়ে শেখ হাসিনার একটা মন্তব্য খুব আলোড়ন তুলেছিল। তিনি হুট করেই বললেন আরাকানদের নিয়ে একটা আলাদা রাষ্ট্র তৈরির পরিকল্পনা হচ্ছে, চট্টগ্রামের কিছু অংশ, মায়ানমারের কিছু অংশ নিয়ে আলদা একটা রাষ্ট্র! আমরা অত গভীর ভাবনার লোক না। আমার নিজেরও মনে হয়েছে অযথাই উল্টাপাল্টা বলছে এই মহিলা। ঠিক এক বছর পরে আমরা দেখলাম তিনি শুধু সত্যই বলেন নাই তিনি মহা সত্য বলেছেন! আমরা দেখতে পেলাম কারো কাছে কোন প্রকার জিজ্ঞাসা, মতামতের তোয়াক্কা না করেই ইনুস সাহেব করিডর দেওয়ার চিন্তা করে ফেলছে! বলা হল এইটা মানবিক করিডোর! আজ পর্যন্ত কোন মানবিক করিডোর শেষ পর্যন্ত অমানবিক হয়নি? এমন নজির আছে? আমি দেখি নাই এখন পর্যন্ত। করিডোর দেওয়ার কথায় যখন সবাই চিল্লাফাল্লা শুরু করল তখন বলা হচ্ছে করিডোর না, ত্রাণ চ্যানেল দেওয়া হবে! আরে ভাই এই চ্যানেলটার নিরাপত্তা কে দিবে? আমাদের সেনাবাহিনী? সে কেন এই ঝুঁকিতে যাবে? কেন একটা পক্ষের সাথে যুদ্ধাবস্থায় যেতে হবে আমাদের? যদি আমাদের আর্মি না দেয় তাহলে কে? শান্তি মিশন? আমেরিকা? বাদ থাকল কী? 
     

    এদিকে আরেক কাণ্ড মানে আরেক সিনেমা! নানান সংস্কারের কমিটি করা হয়েছে। নারী কমিশন তাদের কিছু প্রস্তাব পেশ করেছেন। এই দেশে নারীদের অধিকার? প্রশ্নই আসে না! যারা এই সংস্কার কমিটিতে ছিলেন তারা সম্ভবত এসির বাতাসে বসে, গুলশান, বনানী এলাকায় পার্টি করে কিংবা আজিজ, টিএসসি, ছবির হাটে আড্ডা দিয়ে এই দুনিয়াকেই বাংলাদেশ ভেবেছেন। খেতে খাওয়া মানুষ, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, কর্মজীবী নারীর জন্য কী আছে এই কমিশনে? আমি দেখলাম পতিতাদেরকে শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি চেয়েছে কমিশন! আমার কোন আপত্তি নেই এইটা নিয়ে। ভালো মন্দ যা খুশি হোক, আমি এইটা নিয়ে চিন্তিতই না। কিন্তু আমি জানি যে এইটা হচ্ছে অহেতুক একটা বিতর্কের জন্ম দেওয়া। জরুরি অনেক কিছু বাদ দিয়ে এইটা নিয়েই পড়ে থাকতে হবে। এই জন্য শুনতে হবে নানা কথা। তাই হয়েছে! এমন একটা প্রস্তাব এই বঙ্গ দেশে পেশ করবে আর তাকে তৌহিদই জনতা ছেড়ে দিবে? যে এনসিপি নয়া গজাইছে তারাও বিশাল সম্মেলনে গিয়ে যা না তা বলে আসছে। একই মঞ্চে জামাত, হেফাজতসহ আরও বেশ কিছু ধর্মীয় দল ছিল। তারা সবাই অকথ্য ভাষায় নারীকে গালি দিয়ে গেছে। সেই মঞ্চেই হাসনাত বসে ছিল, তিনিও বক্তব্য দিয়েছে। 
     

    মজাটা হচ্ছে এই কয়দিন পরে দেখা গেল দৃক স্পন্সর পাওয়া, সরকারি আনুকূল্যে এক মহান নারী মৈত্রী সমাবেশ! এখানে এনসিপির নারীরা হাজির। তারা জ্বালাময়ী বক্তব্য দিলেন। আমরা জুলাই আগস্ট আন্দোলনের যে নারীদেরকে সামনে দেখেছিলাম তারা এতদিন পরে গর্ত থেকে বের হয়ে এই সম্মেলনে যোগ দিলেন। কিন্তু কেউ প্রশ্ন করল না এনসিপির নেত্রীদের যে তারা যে এখানে এসে গরম বক্তব্য দিচ্ছে, তারা কি তাদের সহযোগীদেরকে জিজ্ঞাসা করেছে যে তারা কেন ধর্মীয় উগ্রবাদীদের সাথে মঞ্চে বসে নারীকে গালি দিয়েছে? তা জিজ্ঞাসা না করে পেইড আন্দোলনে কড়া কথা বলার মানে কী? 

    এমন নানা সোজা প্রশ্নটাই কেউ করে না এখন আর! উল্টো বিশেষ চিত্রনাট্যের অংশ হিসেবে একবার কেউ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গীত গাচ্ছে কেউ বিপক্ষে দাঁড়াচ্ছে। একই ব্যাক্তি একদিন আগের সব ছুঁড়ে ফেলে দিতে চাচ্ছে পরেরদিনই হয়ত আমাদের শেকড়ের গল্প শোনাচ্ছে! আজকে বলছে জামাত যুদ্ধাপরাধী দল, গণহত্যার জন্য ক্ষমা চায় নাই, একদিন পরেই লিখছেন বিভেদে কোন লাভ নাই, আমাদেরকে এক হয়ে লড়াই করতে হবে। এই যে পক্ষ বিপক্ষ, এই যে নারীদের গালি দেওয়া আবার নারীদের প্রতিবাদ এই সবই এখন সিনেমা লাগে আমার কাছে। মানুষকে বোকা বানিয়ে রাখা। অন্যদিকে আসল যে সমস্যা সেদিকে নজর নাই। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিদেশিদের হাতে, সবাই চুপ এই বিষয়ে। এই কয় মাসে নব্বই হাজার কোটি টাকা হাওয়া হয়ে গেছে শেয়ার বাজার থেকে! কোন পত্রিকা এইটা নিয়ে শক্ত একটা প্রতিবেদন পর্যন্ত বানাল না! 
     

    অর্থনীতি, করিডোর, বন্দর এগুলা জটিল বিষয়। ডিপস্টেট কী জিনিস, খায় না মাথায় দেয় এইটা আমরা কয়জন বুঝি? এখন যত গভীরের রাজনীতি বা ষড়যন্ত্র চলছে তার সিকিভাগ বুঝার বোধ বুদ্ধি কয়জনের আছে। আমি জানি না, কিন্তু আমি যে কম বুঝি এইটা আমি জানি। চোখের সামনে দেখতেছি অলৌকিক সব কাণ্ড, কিন্তু মন্ত্রটা জানি না, বুঝি না যে কীভাবে হচ্ছে! কেন সেনাবাহিনী প্রধান প্রকাশ্যে করিডোর, বন্দর নিয়ে কথা বলা শুরু করল, কেন এর একটু পরেই ইনুস পদত্যাগ করতে ইচ্ছা পোষণ করল। দেশ জুড়ে নৈরাজ্যের চূড়ান্ত চলছে তার পদত্যাগের ইচ্ছা হয় নাই, ইচ্ছা হল সেনা প্রধান বন্দর, করিডোর নিয়ে দ্বিমত করতেই? ভিতরের অনেক কিছুই তো জানি না। কে কই সফর করে এসে কথা বলছে, কে কোন দেশের রাষ্ট্রদূতের সাথে মিটিং করেই ভাষা বদলে দিচ্ছে তার কতটুকু আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব? একেবারে ঘাস খাই না দেখে বুঝি যা হচ্ছে তা স্বাভাবিক না, সাদা চোখে ধরা পড়ার মত না। 
     

    কিন্তু এর বাহিরের বিষয়? যে ভয় আমরা শুরু থেকে পাচ্ছিল সেই দিন এসেই গেল। তাজুলকে চিফ প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়া যখন হয় তখনই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল যে ব্যাক্তি এই ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে উকালতি করল সে এখন কীভাবে রাষ্ট্র পক্ষের প্রধান আইনজীবী হয়ে যায়? তখন নানা জন নানা যুক্তি দিয়েছে। শুধু যে চিফ প্রসিকিউটর তা না, প্রায় সবাই এখন জামাতের আইনজীবী! ফলাফল আসা শুরু হয়েছে। এ টি এম আজহারকে খালাস করে দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল! যে গাজী এম এইচ তামিম বেশ কিছু যুদ্ধাপরাধীর পক্ষে উকালতি করেছে, যার মধ্যে কয়েকজন ফাঁসির দড়িতে ঝুলেছে সেই ​​গাজী এম এইচ তামিম এখন রাষ্ট্র পক্ষের উকিল। তিনি আজহারের বিপক্ষে রাষ্ট্রের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন! এমন প্রহসন ইতিহাসে খুব কমই হইছে বলে আমার ধারণা। মৃত্যুদণ্ডদের আসামিকে আপিল বিভাগ থেকে খালাস! শাস্তি কম বেশি না, সরাসরি খালাস! তার বিরুদ্ধে সরাসরি অপরাধের সাক্ষী ছিল না? ছিল। গণহত্যা, লুট, ধর্ষণের অভিযোগ ছিল, অভিযোগকারীরা এখনও জীবিত, সাক্ষী দেন নাই? দিছে। যখন মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণা আসে তখন নির্যাতিতা এক নারী দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে শুকরিয়া জানিয়েছিল আল্লা কাছে! আর এখন খালাসের পরে শুকরিয়া জানিয়েছে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল! তিনি নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, "নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পেয়েছেন জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে তাঁর করা রিভিউ সর্বসম্মতিতে মঞ্জুর করেছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ। আজহারুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় এবং মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে এর আগে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে আজকের রায়ে।
    এই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টির কৃতিত্ব জুলাই গনআন্দোলনের অকুতোভয় নেতৃত্বের।
    এই সুযোগকে রক্ষা করার দায়িত্ব এখন আমাদের সবার।" 
    তারপর জামাত? তোমরা তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে? 
     

    অন্যদিকে সার্জিস আলম নামের আরেক কাঠি নিজের ফেসবুকে লিখেছে আজকে এমন করে ফিরে আসতে পারতেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন সাইদি! তাদেরকে আওয়ামীলীগ মিথ্যা মামলায় জেলে আটকে রেখেছিল, মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল! আরও কত হাজার হাজার মানুষকে এই ভাবে মিথ্যা মামলায় আটক করে রেখেছিল, অত্যাচার করেছিল। এই তো! জুলাই বিপ্লবীরা, এই দিন আসার পিছনে তোমরা তোমাদের কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?   
     

    গত রাতেই রায়ের প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল বের হয়, সেই মিছিলে হামলা করে শিবির। মিছিলে আক্রমণ করে নিজেরাই মিছিল করে, শাহাবাগীদের শাস্তির দাবিতে! চমৎকার না? মুক্তিযোদ্ধাদের শাস্তির দাবি করার আর কত দেরি পাঞ্জেরি? 
     

    শেষ করি। ঘেন্না লাগে এখন এগুলা দেখতে দেখতে। লেখার ইচ্ছা মরে যাচ্ছে, এইটাই ভয়। কী জানি,হয়ত আমরা বা আমি এই পরিস্থিতির জন্য তৈরিই না।  আমরা রাজাকার আমল যখন দেখছি তখন এমন বয়স ছিল না, মনে হত সব উড়িয়ে দিব না কেউ কিছু বললে? তখনও রাজাকাররা গোপনেই যা করার করত, প্রকাশ্যে কিছু বলার করার সাহস ছিল না। তাই নিজেকে অকুতোভয় মনে হত। এখন যখন প্রকাশ্যে এমন সাহস দেখি তখন নিজের শিরদাঁড়া নিয়ে সন্দেহ হয়! 
     

    "হে পাক পারওয়ার দিগার, হে বিশ্বপালক,
    আপনি আমাকে লহমায়
    একজন তুখোড় রাজাকার ক’রে দিন। তা’হলেই আমি
    দ্বীনের নামে দিনের পর দিন তেলা মাথায়
    তেল ঢালতে পারবো অবিরল,
    গরিবের গরিবী কায়েম রাখবো চিরদিন আর
    মুক্তিযোদ্ধাদের গায়ের চামড়া দিয়ে
    ডুগডুগি বানিয়ে নেচে বেড়াবো দিগ্ধিদিক আর সবার নাকের তলায়
    একনিষ্ঠ ঘুণপোকার মতো অহর্নিশ
    কুরে কুরে খাবো রাষ্ট্রের কাঠামো, অবকাঠামো।"

    (একটি মোনাজাতের খসড়া / শামসুর রাহমান)

     
     
     
     
     
     
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৮ মে ২০২৫ | ৪০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • MP | 2409:4060:2d3a:8157:3afc:3266:4ac1:***:*** | ২৮ মে ২০২৫ ১১:৫৬731716
  • @ কিংবদন্তি , খুবই ভালো লিখেছেন ভাই l তবে করিডরের ব্যাপারটা জটিল ভূ রাজনীতির বিষয় , এনিয়ে একটু ডিটেল দিলে ভালো হত l তবে নোবেলবিজয়ী শেষপর্যন্ত গদি ছাড়বেন মনে হয়না l নির্বাচন হবে বলে মনে হয় কি ? বিএনপি রাস্তায় নেমেও বিশেষ কিছু করতে পারবে মনে হয়না কেননা গত পনেরো বছর ধরে জেল আর আয়নাঘর বিএনপিকে খতম করে দিয়েছে l ট্রাম্প না চাপ দিলে ইলেকশন পাবেননা ভাই !
  • MP | 2409:4060:2d3a:8157:3afc:3266:4ac1:***:*** | ২৮ মে ২০২৫ ১২:০১731718
  • আরেকটা কথা ভাই , শরীরের যত্ন নেবেন l আপনার নিজের জীবন সবার আগে l লেখার জন্য কোনো চাপ নিবেননা l আমাদের মত আজাইরা পাঠকদের কাছে অমূল্য আপনার লেখা , আপনার লেখার জন্যে অনেক অপেক্ষা করে থাকি আমরা l ভালো থাকবেন ভাই l আরো অনেকদিন লিখতে থাকুন l 
  • | ২৮ মে ২০২৫ ১৪:১৩731720
  • সাইদির  তো ফাঁসি হয় নি, জেলেই মরেছিল।  তো সার্জিসের বক্তব্য কী?  হাসিনা জেলে না পুরলে সাইদি অমর হত?  আজব তো। 
     
    মেয়েদের প্রতিবাদ পেইড কেন বলছেন একটু ব্যাখ্যা করবেন? 
  • কিংবদন্তি | ২৯ মে ২০২৫ ০০:১৭731731
  • দিদি, মেয়েদের প্রতিবাদ পেইড বলি নাই, নারী মৈত্রী নামে একটা সম্মেলন হয়েছিল মানিক মিয়া এভিনিউয়ে। আমি এই সম্মেলনকে পেইড বলেছি। কেন বলেছি তাও লিখেছি। এরা সুন্দর স্পন্সর পেয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে এসে দাঁড়িয়েছিল। স্বতঃস্ফূর্ত একটা আন্দোলনে স্পন্সর আসে কই থেকে? এইটা একটা মাত্র দিক। এর আরও নানান দিক আছে। যারা এতে অংশ নিয়েছিল তারা কেউ ভাসুরের নাম মুখে নেয় না। সরকার যে মুখ বন্ধ করে রেখেছে, চোখ বন্ধ করে রেখেছে তা একবারও বলে নাই কেউ। নারীরা যে যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে এখন আর এইটা যে এই সরকারের ব্যর্থতা এইটা বলবে না? তারা সরকার তো পরে, এনসিপির নেতারা যে হেফাজতের সাথে মঞ্চে উঠে গালিগালাজ করল তাদেরও তো প্রশ্ন করল না! এনসিপির নারী নেত্রীরা তো এই সম্মেলনে ছিল, তাদের কী ভূমিকা? তারা কেন নিজের দলের বক্তব্য পরিষ্কার করল না বা করে না? তো এমন একটা সম্মেলনকে আমি পেইড বললে, লোক দেখানো বললে খুব ভুল বলা হবে? আমার মনে হয় না। একেবারে কিছু না করলে কেমন দেখায় তাই একটা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। আর কিছু না। 
  • D M | 103.217.***.*** | ২৯ মে ২০২৫ ১৯:১৩731744
  • আপনার লেখা রেগুলার ফলো করি । কী বলব ভাই, মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীরা বেকসুর খালাস পাচ্ছে জেনেই খুব খারাপ লাগছে । আমি পশ্চিমবঙ্গের, আমার বাবা ও দাদুর আদি বাড়ি রাজশাহী । মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক এপার বাংলার বাঙালীর মত আমারও আবেগ আছে । বললে বিশ্বাস করবেন না, এইসব শুরু হওয়ার আগে গত বছর একটা সময় বাংলাদেশে গিয়ে পি এইচ ডি করা টরা যায় কিনা ভাবছিলাম । জাফর ইকবাল সার যেখানে পড়াতেন ওখানে যাওয়ার কথা মাথায় এসেছিল ।
  • কিংবদন্তি | ৩১ মে ২০২৫ ১০:৫০731794
  • D M, আপনার মত এমন কত মানুষ যে শুধু মাত্র জাফর ইকবালের জন্য সিলেটে পড়তে গেছে তার কোন হিসাব নাই। বাতিঘরের মত ছিলেন তিনি সিলেটে। শাবিপ্রবিতে আর কিচ্ছু নাই এক জাফর ইকবাল ছাড়া! তার কারনেই কত কত ব্রিলিয়ান্ট ছাত্ররা জড়ো হয়ে ছিল সেখানে। আমার পরিচিত একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে সিলেটে ভর্তি হইছিল শুধু মাত্র জাফর ইকবালের কারণে!  মাঝে মধ্যে উনার কথা ভেবে আশ্চর্য হতে হই। এই পরিস্থিতিতে উনি কীভাবে টিকে আছেন? ৫ আগস্টের পরে এখন পর্যন্ত একটা শব্দও পাওয়া যায় নাই উনার কাছে। এমন পরিস্থিতিতে এর আগে আমরা কত দুর্দান্ত লেখা পেয়েছি। একদম ঠিক পয়েন্টে ঠিক কথাটা বলতে তার মত আর কেউ ছিল না। উনি জানতেন না যে 'আমি রাজাকার' স্লোগানের প্রতিবাদে তিনি যা বলেছেন তাতে উনারই বিপুল পাঠকরা মুখ ফিরিয়ে নিবে? তিনি তো বোকাসোকা লোক না। ভালো করেই জানতেন অনেকেই একে ভালো ভাবে নিবে না। অথচ সত্যটা বলতে দ্বিধা করেন নাই। যারা বয়কটের ডাক দিয়েছিল তারা এখন যখন শাহবাগে আল বদর আজহারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হল তখন কি তাদের মনে হয় না লোকটা সত্য বলেছিল? এখন যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির পিটিয়ে ছাত্রদলের এক কর্মীকে মেরে ফেলল তখন মনে হয় উনার কথা? এখন যখন ইসলামি ছাত্রশিবিরের নারী শাখা ভিসির সাথে দেখা করে আনুষ্ঠানিক ভাবে নিজেদের অস্তিত্ব প্রকাশ করল তখন মনে হয় জাফর ইকবাল ভুল কিছু বলে নাই?  আমরা যারা কিছুই না, থাকিও মফস্বলে আমরা কতখানি বুঝি সব? উনার যে যুদ্ধ তা সহস্রতম কঠিন আমাদের থেকে। আসিফ নজরুল শিলা আহমেদের স্বামী কিন্তু লাভ কী? আসিফ নজরুল জাফর ইকবালকে রক্ষা করবে? জীবনে না। যে লোক রাজাকারের মুক্তিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সে করবে বিপদ থেকে রক্ষা! 
    দেখা যাক সামনে কি অপেক্ষা করছে! 
  • হীরেন সিংহরায় | ৩১ মে ২০২৫ ১১:৪৬731796
  • অসামান্য সময়ের দলিল লিখে যাচ্ছেন ভাই। সেলাম। 
    ধমক কতদিন প্রচ্ছন্ন থাকে কে জানে। তবে সাবধানে থাকুন । আপনার কণ্ঠ শোনার জন‍্য আমরা উদগ্রীব হয়ে আছি 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন