এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ মদন! 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৩৮ বার পঠিত
  • আমাদের এলাকার বার কাউন্সিলের নির্বাচন হবে। এত বছর আওয়ামীলীগের আইনের লোকেরা ইচ্ছামত যা খুশি করে গেছে এই নির্বাচনে। সাধারণ সম্পাদক পদে গতবার যে পাশ করেছিল তাকে একেবারে কোন চক্ষুলজ্জা না করে ফেল করায় দিয়েছিল। যদিও সেখানেও রাজনীতি ছিল, বিএনপি প্যানেলের সভাপতি ঠিকই পাস করে গেছিল, ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছিল সাধারণ সম্পাদককে। তখন বেশ হইচই হয়েছিল এইটা নিয়ে। এরপরে সরকার পতন। নতুন করে অন্তর্বর্তীকালীন একটা কমিটি করে দেওয়া হয়েছিল, যিনি সাধারণ সম্পাদক পদে হেরে গিয়েছিলেন চক্রান্তের শিকার হয়ে তাকে এই কয়দিনের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এখন হবে নির্বাচন। এত বছর আওয়ামীলীগের চাপের মধ্যে যে নির্বাচন করল, নানা ষড়যন্ত্রে হারল তাকে বিএনপি বাদ দিতে চাইল, সুসময়ে অনেক নেতা বের হয়ে গেছে, সবাই নেতা হতে চাচ্ছে। নানা টালবাহানা চলল। শেষ পর্যন্ত বিএনপি প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হল। আজকে ছিল মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়ার তারিখ। যথারীতি সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী মনোনয়নপত্র তুলে বিএনপি প্যানেলের সভাপতি প্রার্থীর কাছে দিয়েছে। প্যানেল পুরোটা এক সাথে নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হবে। দুপুরের পরেই বাতাস পরিবর্তন হয়ে গেল। গুজুরগুজুর ফুসুরফুসুর চলা শুরু হল। কেউ কেউ এসে সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থীকে অনুরধ করা শুরু করল যে তুমি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কর, বিএনপির এক নেতা সাধারণ সম্পাদক করতে চায়। তিনি জানিয়ে দিলেন যে না, খালি মাঠ দেওয়া হবে না, তিনি করতে চাইলে নির্বাচন করুক, নির্বাচন করে জিতে আসুক। তাকে যখন বুঝিয়ে পারা গেল না তখন কুৎসিত কাজটা করল এরা। প্যানেলে যিনি সভাপতি, যার কাছে ফরম তিনি এই ফরমটা জমা দিলেন না! বিকাল চারটার সময় যখন যাওয়া হল নির্বাচন কমিশনে তখন বলা হল, সময় শেষ কিন্তু তোমার ফরম তো আমরা পাই নাই! সেখানেই বসা সেই লোক, সরাসরি তাকে জিজ্ঞাস করা হল কি ব্যাপার, আমার ফরম জমা দেন নাই কেন? চুপ! কোন উত্তর নাই! স্রেফ চুপ করে রইলেন! সময় মত আরও যারা ফরম জমা দিয়েছিলেন তারা প্রত্যাহার করে নিলেন, এবারের বার কাউন্সিলের নির্বাচন সিলেকশনে পাস করে গেল! চোখের সামনে এই ঘটনা অনেক কিছুই বলে দিল, সবাই কতখানি বুঝতে পারল এইটাই হচ্ছে প্রশ্ন! 

    বিএনপি নামক দলটার নেতাদের অবস্থা এখন এমন। সবাইকে মদন বানানোতে ব্যস্ত। নিজেদের যে ত্যাগী নেতা তাকেও টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিতে দ্বিধা করছে না। ব্যাপারটা আসলে এম্নই।এখন দেশ জুড়েই এমন চলছে। বিএনপিকে আটকায় এমন কেউ নাই। ছাত্র জনতা নামের যে কমেডি আছে তা ঢাকাই সীমাবদ্ধ। ঢাকার বাহিরে এদের অস্তিত্ব নাই বললেই চলে। যারা এই নামে আছে তারা মূলত শিবির কর্মী। 

    দেশজুড়েই শিবিরের সাথে বিএনপি তথা ছাত্রদলের লাগালাগি চলছে। কুয়েট মানে খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পক্ষের তুমুল মারামারি হয়েছে। এই নিয়ে আবার ঢাকায় চলেছে মহড়া। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দেখে নেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছে! আমরা অবাক হয়ে দেখছে তামশা! মনে পড়ছে মুগ্ধের শেষ ফেসবুক পোস্ট, শিবিরকে সতর্ক করে দেওয়া সেই পোস্ট। ছেলেটা মারা গেছিল শিবিরকে ঘৃণা করে। অথচ তাঁর লাশের ওপরে এখন রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছে শিবিরের মত নিকৃষ্ট একটা দল। 

    এখন প্রকাশ্যে জামাত শিবির, মানে সরকার পতনের পরে যে মিহি সুরে গীত গাওয়া হচ্ছিল এখন আর এই সব নাই। কোন রাখঢাক নাই, সোজা আগের ফরমে চলে গেছে তারা। যুদ্ধাপরাধীর ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামির মুক্তির জন্য আন্দোলনের ডাক দিচ্ছে। হয়ত মুক্তি পেয়েও যাবে! নানা জায়গায় তাণ্ডব চালাচ্ছে শিবির, নাম দিচ্ছে তৌহিদি জনতা নামের এক বস্তুর আবির্ভাব হয়েছে। তৌহিদ পড়েছিলাম স্কুলে থাকতে, এর অর্থ আল্লাহর একাত্মবাদে বিশ্বাস করা। যিনি একাত্মবাদে বিশ্বাস করেন তাকে তৌহিদি বলা হয়। এর সাথে কীভাবে মব মিলে যাচ্ছে? কে জানে! হয়ত আক্রমণের সময় আল্লার নাম নিয়ে আক্রমণ করছে দেখেই এমন নাম করন। আর কারণ গুলোও দেখতে হবে, এই গানের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিচ্ছে, এই দেখা যাচ্ছে বসন্ত উৎসব ভণ্ডুল করে দিচ্ছে। কনসার্ট বন্ধ, বইমেলায় স্টল বন্ধ, শহীদ মিনার ভাংচুর! সব চলছে এই তৌহিদি জনতার ব্যানারে, আসলে সব শিবির! 

    শহীদ মিনার বলে মনে পড়ল, দুইদিন আগেই একুশে ফেব্রুয়ারি চলে গেছে। স্মরণকালে এমন মৃত শহীদ দিবস পালন করা দেখিনি। ঢাকার একটা ভিডিও দেখলাম এক নারী খুব উচ্ছ্বাস নিয়ে বলছে আগে শব্দ দূষণ বেশি হত, অহেতুক গান বাজনা হত, এবার কত সুন্দর কোন শব্দ নাই, গ্যঞ্জাম নাই! এইটা যে ভয়াবহ সংবাদ তা তার নিরেট মাথায় ঢুকছে না, তিনি এমন ছিমছাম একুশে ফেব্রুয়ারি পেয়ে খুশি! এদিকে আমাদের মফস্বল শহরের অবস্থা কী? মধ্য রাত থেকেই এখানে আয়োজন শুরু হয়ে যেত। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা, রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করত। সাময়িক বিরতির পরে ভোর থেকে মানুষের ঢল নামত। আমাদের শহীদ মিনার শহরের মাঝখানে। সারা শহর থেকে মানুষ আসত, গান গাইতে গাইতে আসত, নিজেদের মাইকে গান বাজত, শহীদ মিনারেও চলত গান। এবার জামাত শিবির প্রযোজিত, ইউনুস সরকার পরিচালিত এই রাষ্ট্রে যে শহীদ দিবস আসল তাতে গানের কোন শব্দ পাওয়া গেল না! দুই একটা প্রতিষ্ঠান গান গাইতে গাইতে আসছিল, শহীদ মিনারে কোন গান হচ্ছে না দেখে সম্ভবত তারা লজ্জাই পেয়েছে! তারপর? জামাত শিবিরের আর কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবেন? 

    ৭২ ঘণ্টার জন্য ঢাকা গিয়েছিলাম। বইমেলায় যাইনি। ইচ্ছা করেই যাইনি। ওই এলাকা কেন জানি টানলই না আমাকে। বাতিঘরে গিয়েছিলাম। দেখি এয়াব্বড় একটা বই, নাম জামাত স্বাধীনতার বিরোধিতা করেনি! বইটা হাত দিয়ে ধরতে কেমন জানি লাগছিল। ধরব কী ধরব না ভাবতে ভাবতেই হাত দিয়ে টেনে নিলাম বইটা। খুললাম, দেখি একটা অধ্যায় শেষে রেফারেন্স দেওয়া কিছু, কৌতূহল হল, পাঁচ ছয়টা বইয়ের নাম দেওয়া, ভালো করে খেয়াল করে দেখি একটা বইয়ের নামই চার পাঁচবার দেওয়া, নাম হচ্ছে অধ্যাপক গোলাম আজমের সংগ্রামী জীবন! লিখেছে কে? কামারুজ্জামান! এক রাজাকার আরেক রাজাকারকে নিয়ে বই লিখেছে সেই বই হচ্ছে এই বইয়ের রেফারেন্স! এইটা ভালো বুদ্ধি না? নাৎসি নেতাদের বই দিয়ে প্রমাণ করে দিলাম নাৎসিরা সবাই দুধে ধোয়া তুলসী পাতা ছিল! 
    কোথাও কোন প্রচার নাই, যার নাম নেওয়াও এখন পাপ সেই জাফর ইকবালের দুইটা নতুন বই দেখলাম সেখানে। কিশোর উপন্যাস ধরণের। এগুলা তো কিনি না অনেক দিন ধরেই। এবার কিনলাম, ইচ্ছা করেই কিনলাম। পারলে লোকটাকে জীবিত কবর দিয়ে দিবে মানুষ। উনার বই যে বের হয়েছে এইটাই এখনকার সময়ের জন্য বড় পাওয়া। প্রকাশককে সাহস দেওয়ার জন্যই কিনলাম বই দুইটা। আর কিনেছি সৈয়দ আবুল মকসুদের লেখা ভাসানীচরিত। অনেকদিন ধরেই কেনার ইচ্ছা ছিল। বর্তমান সময়ের বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত লেখক, দার্শনিক মহিউদ্দিন মোহাম্মদের দুইটা বই কিনেছি। বিশ্ব সাহিত্য ভাষণ ১ঃ মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি  আর দার্শনিক রচনাবলী—১ গরুটি আছে কি না? আমি খুঁজছিলাম মূর্তিভাঙা প্রকল্প নামের বইটা। কথা শুনে যা বুঝলাম এই বই কেউ বিক্রি করতে রাজি না। রকমারি তার সাইট থেকে এই বই সরিয়ে নিয়েছে। আর বাতিঘর বলছে স্টকে নাই। ষ্টকে নাই বিশ্বাস করেই চলে আসছিলাম, তখন কানে আসল তাদের দুই কর্মচারীর কথা, বলছে এই বই রাখা যাবে না, রাখলেই বিপদ! এই খবর মহিদউদ্দিন মোহাম্মদ জানে কি না তা অবশ্য আমি জানি না! 

    অবিশ্বাস্য রকমের অরাজকতা চলছে দেশে। বেশ কিছু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে গেছে কিন্তু বিচারের কোন খবর নাই। ডাকাতি হচ্ছে নিয়ম করে। এই লেখা যখন লিখছি তখন ফেসবুকে একটা খবর দেখলাম ঢাকার ধানমন্ডিতে ডাকাতি চলছে! মসজিদ থেকে মাইক দিয়ে বলা হচ্ছে কেউ যেন ঘর থেকে বের না হয়, ডাকাতরা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরাফেরা করছে! প্রতি রিফ্রেশে একটা না একটা দুর্ঘটনার খবর দেখা যায়! ধানমন্ডির খবর দেখে লিখতে লিখতে দেখে ঠাকুরগাঁও সদরে অশেষ সরকার নামে একজনের বাড়িতে আগুন দিয়েছে! গতকাল ঈশ্বর ডাক্তার নামের একজনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে! এখন দেখলাম রাত তিনটায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে! কবি ইমতিয়াজ মাহমুদ দেখলাম লিখেছে এত রাতে যে সংবাদিকেরা এই সংবাদ সম্মেলন কাভার করতে যাবেন তারা যেন মোবাইল মানিব্যাগ ঘড়ি সাবধানে রাখেন! এত রাইতে ঢাকা শহরে যা খুশি তাই হতে পারে! প্রসঙ্গত বলে রাখি, অনেকেই এই উপদেষ্টার পদত্যাগ চাচ্ছিল দেশের আইন শৃঙ্খলার অবনতির জন্য। হয়ত সেই ব্যাপারেই কিছু বলবেন। তবে আমার কাছে অবাক লাগছে মানুষ এইটা এই উপদেষ্টার দায় দেখছে দেখে! এর দায় সরকারকে দিচ্ছে না! এইটা যে এই উপদেষ্টার সমস্যা না, সরকারটাই যে একটা অথর্ব তা কেন বুঝছে না মানুষ? সরকারকে কেন আমি দায়ী বলছি? বলছি কারণ ঢাকা সহ সারাদেশে হুট করেই আইন শৃঙ্খলার অবনতি এমনে এমনেই হয়নি। যতগুলো শীর্ষ সন্ত্রাসিকে সরকার মুক্তি দিয়েছে তার প্রভাব পড়বে না? সুব্রত বাইন, পিচ্চি হান্নান সহ আরও যতগুলো টপ টেরর জেলে বন্দি ছিল তাদের মুক্তি দিয়ে এখন কইতেছেন এমন কেন হচ্ছে! যত জঙ্গি মুক্তি পেয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মুক্তি পেয়েছে তার দায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার? কে তাদের মুক্তি দিয়েছে? আইন মন্ত্রণালয়ের দায় নাই? ইউনুস সাহেবের দায় নাই? সেনাবাহিনী এখনও আগের মতই রাস্তায় আছে, তারপরেও কেন এমন হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তর কে দিবে? 
       
    আমার আগের লেখায় লিখেছি কি না মনে নাই। আমাদের এখানে একটা বিল্ডিং এ কয়েকটা সরকারি অফিস, ব্যাংক আছে। এই ভবনটা আবার সাবেক সংসদ সদস্যের, এইটাই হচ্ছে অপরাধ। এখন এইটা লুট করবে মব! যেহেতু ব্যাংক, সরকারি অফিস আছে তাই তারা প্রাশনকে চাপ দিয়েছে অতিদ্রুত যেন অফিস গুলো সরিয়ে নেওয়া হয়। অফিসের উপরে এমপির বাসা আছে, ওইটা লুট করা হবে! প্রশাসনের ঘাড়ে কয় মাথা যে তারা এইটা প্রতিহত করবে? তারা ওই অফিস গুলোকেই চিঠি দিয়েছে দ্রুত যেন নতুন জায়গায় চলে যায় কারণ এই ভবন লুট হবে! এমন সভ্য ডাকাতি এই ভুবনে কে কোথায় আগে দেখেছে? যেদিন শেষ ট্রাকটা সরকারি অফিসের মালপত্র নিয়ে বের হয়ে যাবে ঠিক তখনই ঝাঁপিয়ে পরবে লুটেরারা! এবার সম্ভব হলে তামশা দেখতে যাব, এইটা আমাদের কাছেপিঠেই ঘটবে, নিরাপদেই দেখতে পারব আসা করি এই বিনোদন! 

    আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এবার প্রকাশ্যেই বলেছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন আনার জন্য সাবেক মার্কিন প্রশাসন ২৯ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। এইটা প্রমাণ। কিন্তু প্রমাণ ছাড়াও কি আমরা জানতাম না এমন কিছু ঘটেছে? এই হিসাব ছাড়া আরও কত টাকা এসেছে? আরও কত ভাবে যুক্ত ছিল তারা এই সব কোনদিন প্রকাশ্যে আসবে না? অবিশ্বাস্য হচ্ছে এইটা নিয়ে ইউনুস পন্থিরা হাসাহাসি করছে! মানে এইটা হতেই পারে না বলে তাদের ধরনা। তাদের কথা আমরা তো টাকা খাই নাই, আমরা পরিস্থিতি দেখে রাস্তায় নেমেছি, তাইলে এইটা কেমনে সম্ভব যে টাকা দিয়ে সরকার পতন ঘটছে? তারা যেটা বুঝতেছে না তা হচ্ছে এইটা তাদের জন্য না, তারা কী করলে পথে নামবে সেইটা করার জন্যই টাকা খরচ করা হয়েছে। পারমানবিক বোমা মারা হয় নাই, ডিনামাইট ব্যবহার করা হয়েছে, ডিনামাইট কোথায় কোথায় লাগাতে হবে, কোথায় বিস্ফোরণ ঘটলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা বিশেষজ্ঞরা নির্ধারণ করে দিয়েছে। দাহ্য পদার্থ, কাঁচামাল সরকার তার লম্বা সময়ে জমা করে রেখেছিল, সেই জায়গায় শুধু আগুন দেওয়ার কাজটা করতে হয়েছে। ট্রাম্প প্রথমে একটা সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় এক সাংবাদিকের প্রশ্নে না করেছিল যে আমেরিকা বাংলাদেশের সরকার পতনের সাথে জড়িত না। এখন আবার বলছে মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। আমার ধারনা সামনে আরও নতুন নতুন তথ্য সামনে আসবে। আপেল যে গাছ থেকে বেশি দূরে পড়ে না এইটা তো আমরা জানি, তাই না? 

    কতজন কতভাবে মদন বানাচ্ছে, বানিয়েছে আমাদের এই খবর একদিন সবাই জানবে নিশ্চয়ই। 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন