কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোনব্লগ | ০৭ জুন ২০২৫ | ৮২ বার পঠিত
ইদের একটা চিকন রিন রিন বাজনা শোনা যেত এক সময়। মানে বয়স অল্প ছিল যখন। ওইটা এখন আর শুনি না। কই জানি রিন রিন করে বেজে উঠত। বুঝতাম ইদ এসে গেছে। সব কিছুতেই মজা পাওয়া যেত। প্রচণ্ড গরমে ইদ তাও মজা, বৃষ্টি হয় তাও মজা। ইদ থেকে আনন্দকে আলাদা করার কোন উপায়ই ছিল না কারো। কুরবানির ইদে কুরবানি দিচ্ছে না, তাও ফুর্তি, দিলেও ফুর্তি। এখন আমি এই ফুর্তিটা ভাইগ্না, ভাগ্নি, ভাইস্তাদের মধ্যে দেখতে পাই। কত রকমের পরিকল্পনা। দম আটকে রেখে বসে আছে কখন ইদের সকালটা হবে।
কুরবানির ইদ নিয়ে আমার আগ্রহ বেশ কয়েক বছর ধরেই কমে গেছে। এত এত গরু কুরবানি, জিদ করে শুধু গরুই কুরবানি এখন খুব খারাপ লাগে। গত বছর এইটা নিয়ে লিখে কী যে ফ্যাসাদে পড়ছিলাম! যা না তা বলে গালাগালি শুনছি। নিজে যেহেতু এখনও নিরামিষাশী হতে পারি নাই তাই প্রাণী হত্যা ধরণের কিছু বলতেও পারছি না। কিন্তু এখন, নিজেকে আরও একটু সভ্য মনে হওয়ার পরে মনে হয় যে এমন করে প্রাণী হত্যা বন্ধ হওয়া উচিত। আমার কাছে এখন প্রাণ বিষয়টাকে মনে হয় দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ঘটনা। আমি জীবিত, একটা শুয়ো পোকা জীবিত, প্রাণ নিয়ে ঘুরছে একটা ফড়িং, এইটাই সবচেয়ে বড় ঘটনা। আমি নাই মানে নাই, আমি নাই মানে একেবারেই নাই। দুম, সব শেষ। নিজের জন্য যখন এই চিন্তা করি তখন অন্য যে প্রাণীকে হত্যা করে আমি খাচ্ছি তার কথাও মাঝে মধ্যে মাথায় আসে। মশারির ভিতরে সেদিন মশা মারতে মারতে মনে হচ্ছিল এই যে একটা মশার দুর্দান্ত প্রাপ্তিটা আমি শেষ করি দিচ্ছি! নাই হয়ে গেল চিরতরে! এই সব ভাবলে কুরবানির ইদ খুব একটা আনন্দায়ক হওয়ার কথা না, হয়ও না।
এমনেও বয়স একটা বড় ফ্যাক্ট। তবে আমার জন্য তারচেয়েও বড় ফ্যাক্ট আম্মা আব্বার না থাকা। শৈশবের সমস্ত কিছুই তো আম্মাকে ঘিরে। ইদ মানে তখন আম্মার হাতের নানান পদ। তখন এখনকার মত এত বৈচিত্র্য ছিল না আয়োজনে। ওই সেমাই, পায়েস, নুডলস, পাস্তা, পোলাও মাংস দইয়েই সব শেষ। এক লিটারের কাচের বোতলে পেপসি বা কোকাকোলা। খেয়ে ফিরত দিতে হবে বোতল! খুব বেশি হলে পোলারের কাপ আইসক্রিম। এই তো! আর কী চাওয়া? একটু বড় হওয়ার পরে ঘণ্টা চুক্তিতে রিকশায় ঘুরা। তারপরে কারো বাসায় ঢুকে পড়ে ইচ্ছামত খাওয়া। খাওয়া আর ইদ আনন্দ এইটা একে ওপরের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। এই করতে করতে কবে জানি দেখি আমি নতুন জামার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি, সারাদিন ঘর থেকে বের না হয়ে, কয়েকজন বন্ধু মিলে সিনেমা দেখে, ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিয়েছি ইদের গোটা দিনটাই।
আম্মা মারা যাওয়ার পরে আব্বা ছিল, যদিও খুব একটা অনুভব করতাম না আব্বার উপস্থিতি। আছে, এই তো। আব্বা অসুস্থ হওয়ার পরে সব বদলে গেল আমি আর আব্বা এক জুটি হয়ে গেলাম। আব্বার শরীফ ছাড়া চলে না। কাঁধের কাছে চুলকাচ্ছে, আমাকে ডাক দিয়া বলল একটু চুলকায় দেও তো। আমি চুলকায় দিয়া বললাম, এইটা আপনে হাত দিয়া চুলকাতে পারতেন না? হ, পারতাম তো! বলেই হাসি! ইদের দিন আব্বাকে ঠিকঠাক গুছায়া খাবার দিতাম। আব্বা বিছানায় বসে বসেই ইদ পালন করতেন। আমি ঠিক আছি, তুমি যাও, ঘুরে আস বাহির থেকে। কই যাব? আমার তখন ঘুড়ি আর নাটাইয়ের মত জীবন। নির্দিষ্ট একটা গণ্ডির বাহিরে যাওয়া অসম্ভব।
আব্বার চলে যাওয়ার পরে সব শেষ। এখন শুধুই মনে হয় এই দিনটা কোনমতে পাস কাটায় দিতে পারলেই বাঁচি। ইদের পরেরদিন থেকে আমি ফিট। আগের দিনও আমি ঠিক আছি, পরেরদিনও ওকে। আমি শুধু ইদের দিনটাকে কোনমতে পাস কাটাতে চাই। ইদের দিন সকালটাকে জাদুমন্ত্র দিয়ে গায়েব করে দিতে চাই। আর কিছু না। আগে ইদের নামাজে কত আগ্রহ নিয়ে যেতাম। এখন সকালে ইদের নামাজে যেতে হবে এইটা রীতিমত আমাকে টর্চার করে মানসিক ভাবে। শুধু মাত্র মানুষ খুব খারাপ ভাবে নিবে এই চিন্তা করেই যাই এখন। কালকেও হয়ত তাই করব।
আপনাদের যাদের এই সমস্যা নাই তাদের সকলকে ইদের শুভেচ্ছা। আর যারা এমন বিড়ম্বনায় জীবন কাটাচ্ছেন তাদের জন্যও শুভেচ্ছা। তারা সম্ভবত আমার কষ্টটা কিছুটা হলেও বুঝতে পারবে। ইদ মুবারক সকলকে।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
MP | 2409:4060:21c:19c9:a4f4:3075:1b8e:***:*** | ০৭ জুন ২০২৫ ০৮:৩১731913
ঈদের শুভেচ্ছা রইলো অনেক শরীফ l ইন্টারনেট থেকে এটা পেলাম l কেমন লাগলো জানাবেন ?Eid Through Her Eyes
A Tapestry of Women's Voices Across Lands and Centuries
---
1. Hajrah — The Desert of Makkah (circa 2000 BCE)
“I ran between the hills not for ritual—but for my son’s life.”
She was alone in the sunbaked valley with a crying child and no water in sight. Hajrah, the African servant woman turned mother of nations, ran between Safa and Marwa. Not once, but seven times.
Later, they called it a ritual. A rite. A Hajj.
But for her, it was terror. Hope. Then a miracle.
And when the ram came instead of Ishmael, she wept—not in confusion, but gratitude.
> “My son lived. And a feast began. That is how Eid was born: not from conquest, but from mercy.”
---
2. Fatimah — Madinah, 7th century
“My father returned with dust on his feet and peace on his lips.”
The war had ended. The Prophet returned. It was Eid al-Fitr, after the first Ramadan. Fatimah lit a small fire and made bread with dates and barley.
She gave food to the poor before feeding her own children.
She perfumed her scarf with rosewater.
She kissed the hands of freed slaves and wept as Bilal climbed the minaret.
> “This Eid wasn’t just a meal—it was the rebirth of community, of dignity, of joy after hunger. It was our first light after a long tunnel.”
---
3. Amina — Al-Andalus, 10th century Córdoba
“The moon of Eid rose over jasmine walls.”
Amina, a poet's daughter, embroidered silks and baked honeyed sweets as the mosque of Córdoba thrummed with prayer.
She exchanged verses with her lover hidden in the crowd, though they were never to meet in public. Her poems bore the secrets of love, fasting, and longing.
On Eid, she wore red bangles under her sleeve and gifted a slave girl her freedom.
> “Eid was not only prayer and sweet cakes—it was defiance. That even women in veils had voices. Even behind lattice, I sang.”
---
4. Aissatou — Timbuktu, Mali Empire, 14th century
“The camels returned with salt and news from Cairo.”
She was a scholar’s wife and a teacher at the madrasa. Her hennaed hands turned pages of parchment, and on Eid she taught children verses from the Qur’an under the baobab tree.
Her daughter danced. Her husband gave coins to the poor.
She remembered her mother whispering takbir as they slaughtered the ram on Eid al-Adha.
> “To us, Eid was the music of return—of caravans, of prayers, of knowledge brought from afar. It was the one day the women laughed without fear of being heard.”
---
5. Gulbadan — Mughal India, 16th century
“In the zenana, Eid came with paan, poetry, and power.”
Princess Gulbadan Begum watched fireworks from her marble window in Agra. She had fasted all Ramadan with the other women of the Mughal harem—queens, concubines, poets, cooks, and slaves.
Eid meant new anjan (kohl), gifts, a gold-stitched shawl from Kabul, and a secret letter from her brother, Emperor Humayun.
> “They say the empire belongs to men. But on Eid, the women’s quarters bloomed like a rose garden of hidden empires.”
---
6. Siti — Java, Indonesia, 18th century
“We walked to Eid under palm shadows and volcanic skies.”
Siti, a farmer’s daughter and village midwife, wore a batik sarong and her mother’s gold nose-ring on Eid. Her prayer mat was handwoven. Her Qur’an was memorized, not written.
She mixed pre-Islamic animist songs into the takbir, barely noticed by the new imam.
> “Eid was our veil of unity—but within it, we smuggled our old spirits. The goddess of the rice fields heard our joy.”
---
7. Fatma — Sarajevo, 1990s during war
“This Eid, there was no meat. But we still kissed each other’s hands.”
The shelling had stopped for one day. Fatma boiled lentils and baked flatbread. She wore her mother’s hijab though the front lines were too close.
She prayed in a shattered mosque, her voice shaking with grief and pride. Her son was gone, but her daughter braided her hair with green ribbons.
> “Eid was not a feast that year. It was a declaration: we are still human. Still here. Still praising God while the world burns.”
---
8. Leïla — Paris, 2010s
“They looked at our hijabs like we were invaders. But we walked out glowing.”
Leïla wore high-top sneakers with her abaya. She texted her best friend, a convert named Sophie, who met her at the Eid prayer.
They took selfies, bought halal crepes, and joined a dhikr circle at a converted church. On the metro, a man sneered.
> *“This is France,” he said.
Leïla smiled.
> “It is also mine. This is Eid. And I am joy incarnate.”
---
9. Nour — Gaza, Eid 2024
“The sky did not stop screaming. But I baked bread.”
She had lost her brother in the bombing last month. The electricity flickered. There were no new clothes, no meat, and no laughter outside.
But she boiled tea. Braided her little sister’s hair. And whispered takbir into the dark, even as drones circled overhead.
> “If there is a God, He must hear the women who pray under rubble. This is Eid—not because we feast, but because we survive.”
---
10. Zaynab — AI-generated Eid, Year 2100
“My prayer app showed me the Kaaba in VR, but I longed for something more real.”
Zaynab lived in a lunar colony run by corporate-military blocs. Eid was observed in time-shifted zones. She wore a 3D-printed scarf and recited Surah Ar-Rahman alone, under synthetic sky.
Then she opened the archive—stories from women long gone.
> “From Hajrah to Fatimah to Aissatou and Nour—Eid was not a brand. It was a whisper between women. A thread in the dark, always reaching for light.”
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর, ভাটিয়া৯, হরিদাস পাল(ব্লগ) এবং খেরোর খাতার লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই। | ♦ :
পঠিত সংখ্যাটি ১৩ই জানুয়ারি ২০২০ থেকে, লেখাটি যদি তার আগে লেখা হয়ে থাকে তাহলে এই সংখ্যাটি সঠিক পরিমাপ নয়। এই বিভ্রান্তির জন্য আমরা দুঃখিত।
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন
গুরুচন্ডা৯ বার্তা
গুরুতে নতুন?
এত নামধাম দেখে গুলিয়ে যাচ্ছে? আসলে আপনি এতদিন ইংরিজিতে সামাজিক মাধ্যম দেখে এসেছেন। এবার টুক করে বাংলায়ও সড়গড় হয়ে নিন। কটা তো মাত্র নাম।
গুরুর বিভাগ সমূহ, যা মাথার উপরে অথবা বাঁদিকের ভোজনতালিকায় পাবেনঃ
হরিদাসের বুলবুলভাজা : গুরুর সম্পাদিত বিভাগ। টাটকা তাজা হাতেগরম প্রবন্ধ, লেখালিখি, সম্ভব ও অসম্ভব সকল বিষয় এবং বস্তু নিয়ে। এর ভিতরে আছে অনেক কিছু। তার মধ্যে কয়েকটি বিভাগ নিচে।
শনিবারের বারবেলা : চিত্ররূপ ও অক্ষরে বাঙ্ময় কিছু ধারাবাহিক, যাদের টানে আপনাকে চলে আসতে হবে গুরুর পাতায়, ঠিক শনিবারের বারবেলায়।
রবিবারের পড়াবই : পড়া বই নিয়ে কাটাছেঁড়া সমালোচনা, পাঠপ্রতিক্রিয়া, খবরাখবর, বই নিয়ে হইচই,বই আমরা পড়াবই।
বুধবারের সিরিয়াস৯ : নির্দিষ্ট বিষয় ধরে সাপ্তাহিক বিভাগ। ততটা সিরিয়াসও নয় বলে শেষে রয়ে গেছে ৯।
কূটকচা৯ : গুরু কিন্তু গম্ভীর নয়, তাই গুরুগম্ভীর বিষয়াশয় নিয়ে ইয়ার্কি ফুক্কুড়ি ভরা লেখাপত্তর নিয়েই যতরাজ্যের কূটকচা৯। কবে কখন বেরোয় তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই।
হরিদাস পাল : চলতি কথায় যাদের বলে ব্লগার, আমরা বলি হরিদাস পাল। অসম্পাদিত ব্লগের লেখালিখি।
খেরোর খাতা : গুরুর সমস্ত ব্যবহারকারী, হরিদাস পাল দের নিজের দেয়াল। আঁকিবুঁকি, লেখালিখির জায়গা।
টইপত্তর : বিষয়ভিত্তিক আলোচনা। বাংলায় যাকে বলে মেসেজবোর্ড।
ভাটিয়া৯ : নিখাদ ভাট। নিষ্পাপ ও নিখাদ গলা ছাড়ার জায়গা। কথার পিঠে কথা চালাচালির জায়গা। সুতো খুঁজে পাওয়ার দায়িত্ব, যিনি যাচ্ছেন তাঁর। কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।
লগিন করে থাকলে ডানদিকের ভোজনতালিকায় যা পাবেনঃ
আমার গুরুঃ আপনার নিজস্ব গুরুর পাতা। কোথায় কী ঘটছে, কে কী লিখছে, তার মোটামুটি বিবরণ পেয়ে যাবেন এখানেই।
খাতা বা খেরোর খাতাঃ আপনার নিজস্ব খেরোর খাতা। আঁকিবুকি ও লেখালিখির জায়গা।
এটা-সেটাঃ এদিক সেদিক যা মন্তব্য করেছেন, সেসব গুরুতে হারিয়ে যায়না। সব পাবেন এই পাতায়।
গ্রাহকরাঃ আপনার গ্রাহক তালিকা। আপনি লিখলেই সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকরা পাবেন নোটিফিকেশন।
নোটিঃ আপনার নোটিফিকেশন পাবার জায়গা। আপনাকে কেউ উল্লেখ করুক, আপনি যাদের গ্রাহক, তাঁরা কিছু লিখুন, বা উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটুক, জলদি পেয়ে যাবেন নোটিফিকেশন।
বুকমার্কঃ আপনার জমিয়ে রাখা লেখা। যা আপনি ফিরে এসে বারবার পড়বেন।
প্রিয় লেখকঃ আপনি যাদের গ্রাহক হয়েছেন, তাদের তালিকা।