এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • || খোমেইনী, বিপ্লব ও ফিলিস্তিনি  ইন্তিফ়াদা ||

    Tirtho Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ জুন ২০২৫ | ৩৪০ বার পঠিত
  • ১৯৭৯’র ফেব্রুয়ারির এক শীতের দুপুর । তেহরানের দিকে উড়ে আসছে একটি বিমান । যে সে বিমান নয় । সিরিয়ার  রাষ্ট্রপতি হাফেজ -আল-আসাদের বিশেষ  বিমান । যদিও রাষ্ট্রপতি নেই সেই বিমানে । বিমানের জানলা দিয়ে নিচের বরফাবৃত মাউন্ট দামাভান্দের দিকে তাকিয়ে ছিল  এক মধ্যবয়সী পুরুষ । মাথায় জড়ানো সাদা-কালো চকরি কাটা কেফিয়াহ । 

    ফিলিস্তিনি বিপ্লবী দল পি এল ও -র কিংবদন্তি নেতা ইয়াসির আরাফত ।সাথে আছে ভবিষ্যতের ফিলিস্তিনের প্রধান মাহমুদ আব্বাস । পনের  মিনিটের মধ্যে বিমান অবতরণ করার কথা মেহরাবাদ বিমানবন্দরে । কিন্তু নামার অনুমতি পাচ্ছেনা । এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে বারবার জানতে চাওয়া হচ্ছে বিমানের যাত্রীদের পরিচয় । কিন্তু আরাফাত বুঝতে পারছেন না পরিচয় জানানো ঠিক হবে কিনা । 

    এক মাস ও হয়নি ইরানে বিপ্লব সম্পন্ন হয়েছে । চূড়ান্ত অরাজক অবস্থা । আরাফাত জানেননা রেজা শাহ এর গোয়েন্দা সংস্থা সাভাকের  (SAVAK ) লোকজন এখনো রয়ে গেছে কিনা । কয়েক মুহূর্তের মধ্যে ছ-ছটা ফ্যান্টম জেট উড়ে এসে বিমানের সাথে চলতে শুরু করলো । বিমানের মধ্যে উৎসাহের আবহাওয়া মুহূর্তের মধ‍্যে বদলে গিয়ে গুমোট নেমে এলো । টান টান উত্তেজনা ।

    কিছুক্ষন পর একটা জঙ্গি বিমানের পাইলট জানলার পাশে বসে থাকা উস্ক-খুশকো দাঁড়ি, পুরু ঠোঁট, মাথায় কেফিয়াহ জড়ানো আরাফাতকে দেখে  চিনতে ভুল করেনি । পাইলট তার  বিমানটির নাক একটু  উপরে তুলে আরাফাতকে স্যালুট জানিয়ে হুশ করে বেরিয়ে গেলো  । এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে বিমান অবতরণের অনুমতিও চলে এলো ।

    আরেকটু পিছিয়ে যাওয়া যাক । ষাটের দশক । বিপ্লবের দশক । কিউবা । আলজেরিয়া । ভিয়েতনাম । ফিলিস্তিন । দক্ষিণ লেবাননে ছবির মতো সুন্দর বেকা ( Beqaa)  ভ্যালি । তার মধ্যে প্রাচীন রোমান শহর বালবেক । রোমান ইতিহাসের  টুকরো ছড়িয়ে রয়েছে চারিদিকে । ১৯৭৪-এর গ্রীষ্মে  আন্তর্জাতিক বালবেক উৎসবে জোয়ান বেজ গাইবেন “ How many years must some people exist, before they allowed to be free ?”। 

    এই অঞ্চলে ছিল লেবানিজ  খ্রিস্টান, সুন্নি ও শিয়া এই তিনটি জনগোষ্ঠীর বাস । এদের মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভাবে সবচেয়ে  খারাপ অযথা ছিল শিয়া দের । এর সাথে  যোগ হয়েছিল ১৯৪৮ এর  পর থেকে দফায় দফায়  ফিলিস্তিনি রিফিউজিদের আগমন । 

    এখানেই ফিলিস্তিন থেকে বিতাড়িত হয়ে এসে ঘাঁটি গেড়েছিল পিএলও থেকে শুরু করে  বিভিন্ন ফিলিস্তিনি গেরিলা সংগঠন । এই বিপ্লবী ক্যাম্প গুলি শুধু ফিলিস্তিনি গেরিলারা নয়, ছিল সারা বিশ্বের বামপন্থী, জাতীয়তাবাদী  ও ধর্মীয়  বিপ্লবীদের ও  আখড়া । জাপানি রেড আর্মি থেকে জার্মান বাদের - মেইনহফ, সবার ছিল অবাধ যাতায়াত ।

     তাই এখানেই গড়ে উঠেছিল ‘নেহজাত -ই - আজাদি -ই ইরান’ বা লিবেরাশান মুভমেন্ট অফ ইরান (LMI )-এর মতো দল, যাদের ট্রেনিং ও প্লানিং এই সব ক্যাম্প থেকেই পরিচালিত হত । এই দলের প্রতিষ্ঠাতা ছিল মেহেদী বাজিরগান  ও আয়াতোল্লাহ তালেঘানি, দুই ধর্মীয় প্রগতিশীল ( religious moderninst )। 

    দক্ষিণ লেবাননের এই অঞ্চলে আজকের বিমান হানাগুলোর  মতোই নির্বিচারে  ইজরায়েলি ট্যাংক গোলা বর্ষণ করত । ভবিষ্যতের ইরানীয় বিপ্লবীদের ফিলিস্তিনি সমস্যার সাথে একেবারে হাতেকলমে পরিচয় হয়ে গেছিলো ।

    ১৯৭৭ এর নভেম্বরে দুটো ঘটনা ঘটে ইরানে । মোস্তফা, খোমেইনীর বড়ো ছেলে মারা গেছিলো কিছুদিন আগে । কিন্তু খোমেইনী ও তার সমর্থকরা রটায়, যে সাভাক তাকে খুন করেছে । মোস্তফার মৃত্যুর চল্লিশ দিনের মাথায় ইরানে বিরাট জনসমাগম হয় এবং মসজিদ গুলো থেকে নাড়া তোলা হয় খোমেইনীর নামে যার নাম নেয়া নিষিদ্ধ ছিল ইরানে । 

    ওই মাসেই ইজিপ্টের রাষ্ট্রপতি আনওয়ার সাদাত জেরুসালেমে ইজরাইলি সংসদে ভাষণ দেয় সমস্ত আরব দুনিয়ার নিন্দা ও সমালোচনাকে পাত্তা না দিয়ে । আরাফাত ক্ষোভে ফেটে পরে । 

    আরাফাতের নজরে আসে অগ্নিগর্ভ ইরান ও ফিলিস্তিনি ইস্যুর প্রতি সহানুভূতিশীল নির্বাসিত নেতা  খোমেইনী । মোস্তফার মৃত্যুকে কাজে লাগিয়ে খোমেইনীর সাথে যোগাযোগ করে আরাফাতের অনুগামী লেবানিজ শিয়া নেতা সয়ীদ হানি ফাহস ( Sayyed Hani Fahs )-এর সাহায্যে । এই ফাহস ও আরাফাতের সাথে বিমানে ছিল সেদিন ।

    সুচতুর  খোমেইনী ও এই যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে ফিলিস্তিনি বিপ্লবকে নিজের রাজনৈতিক আখাঙ্কা চরিতার্থ করার কাজে ব্যবহার করবে, যা ভবিষ্যতের পশ্চিম এশিয়ার রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে দেবে । 

    এতদিন লেবাননের পি এল ও -এর সাথে সম্পর্ক ছিল ইরানের সেকুলার  বামপন্থী ও জাতীয়তাবাদী দলগুলির । এই প্রথম ধর্মীয় কট্টরপন্থীদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন হলো পি এল ও-র যা ভবিষ্যতে তাদের পতন ডেকে আনবে । কিন্তু আপাতত পি এল ও -র ক্যাম্পে ধর্মীয় উগ্রপন্থীরাও জায়গা পেলো ।

    তাই আরাফাত মনে করেছিল ইরান বিপ্লব যতটা না খোমেইনীর ততটা তার নিজের ও । এই বিপ্লব ফিলিস্তিনি বিপ্লবেরই অংশ । ইজরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কে তাড়াবার চেষ্টায় প্রথম সফল পরীক্ষা  । ফিলিস্তিনের মানুষ ও এই মুক্তির ভাগিদার । 

    একটা কথা মনে রাখতে হবে তখন মুসলিম দুনিয়াতে শিয়া-সুন্নি দের ভেতর মারাত্বক সংঘাত শুরু হয়নি যেটা খোমেইনীর ক্ষমতায় আসার পর শুরু হবে সৌদি সমর্থিত সুন্নি মৌলবাদীদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায়  । তাই ইরানের বিপ্লবে ফিলিস্তিন সহ সমস্ত আরব রাজতন্ত্রের নাগরিকরাও উচ্ছসিত ছিল । সে কারণে আরব রাজতন্ত্রী দেশগুলিও রেজা শাহের অপসারণে শঙ্কিত ছিল ।

    ফেরা যাক ৭৯-র ফেব্রুয়ারির সেই দিনটিতে । মেহরাবাদ বিমানবন্দর লোকে লোকারণ্য । একদিনে মার্কিনিরা ইরান ছাড়ছে । অন্যদিকে আরাফাতদের  বিমান নামছে ।  এয়ারপোর্টে নেমে জনোছ্বাসে ভেসে যেতে যেতে আরাফাত বলেন মনে হচ্ছে তেহরান নয় , জেরুজালেমে নেমেছি । 

    আরাফাত এয়ারপোর্ট থেকে সোজা চলে চলে যান খোমেইনীর কাছে । দুই নেতা মাটিতে বসে থাকেন হাত ধরে । প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে কথা হয় । খোমেইনী বলেন যে প্রায় পনেরো বছর তিনি ফিলিস্তিনকে বুকে নিয়ে বসে আছেন । আরাফাত বলেন মনে হচ্ছে  যে ফিলিস্তিনি বিপ্লব যেন ইরানে সংঘটিত হয়েছে । সাংবাদিক সম্মেলনেও দুই নেতা দুই হাত উপরে তুলে ঘোষণা করেন আজকে ইরান, কালকে ফিলিস্তিন । 

    ফিলিস্তিনি দলটির পরের গন্তব্য ছিল ইজরায়েলি দূতাবাস । বিদ্ধস্ত বিল্ডিং । সমস্ত কাগজপত্র পুড়িয়ে দূতাবাস থেকে  ইজরায়েলি কর্মী ও কূটনীতিকরা আগেই পালিয়েছে । সাথে নিয়ে গেছে কয়েক হাজার ইরানীয় ইহুদিদের । ফাঁকা ইজরায়েলি দূতাবাসের বারান্দায় উঠে আসে দলটি । 

    তাদের সাথে ছিল খোমেইনীর ছেলে আহমেদ, বাম জাতীয়তাবাদী এল এম আই-এর ছাত্র নেতা ইয়াজদি  ও সশস্ত্র যোদ্ধারা । তাদের মাথার উপর নীল স্প্রে পেন্টে লেখা - ভিভা পি এল ও । বারান্দার রেলিঙে বাঁধা একটা ডান্ডা থেকে পতপত করে উড়ছে  ফিলিস্তিনি পতাকা । তার ঠিক নিচেই একটা উজ্জ্বল প্ল্যাকার্ড যাতে লেখা Palestine  Embassy  । 

    বারান্দার নিচে দূতাবাসের প্রাঙ্গন ও রাস্তা লোকে লোকারণ্য । নেতারা ধরাধরি করে মাথার উপরে হাত  তুলে ধরলো । দুই আঙুলে ভি সাইন । নিচ থেকে স্লোগান  উঠছে “ খোমেইনী, আরাফাত, খোমেইনী, আরাফাত ” ।

    বারান্দায় দাঁড়িয়ে এসব দেখতে দেখতে ইয়াজদির মনে হবে তারা ফিলিস্তিনি কে কেন আরেকটু বেশি গুরুত্ব দিলো না ?  বরং ফিলিস্তিন সমস‍্যাকে ইরান বিপ্লবের পথে একটি বিক্ষেপ (Distraction) বলে মনে করত । এল এম আই-এর সাথে পি এল ও -র ঝামেলাও হয়েছে । 

    লেবাননে পি এল ও - কাজকর্মের ফল ভুগতে হতো লেবানিজ শিয়াদের । ইজরায়েলি গোলার আঘাতে সাধারণ মানুষের যান-মালের নিরাপত্তা ছিল না । কিন্তু এখানে দেখতে পাচ্ছে, যে খোমেইনী কিভাবে ফিলিস্তিনি ইস্যুকে  ইরানি জনগণকে সংগঠিত করতে কাজে লাগিয়েছে । 

    ইয়াজদিরা  পরে চেষ্টা করবে এই ভুল কাটিয়ে উঠতে ।আল-কুদস দিবস বা জেরুজালেম দিবসের  আইডিয়া নিয়ে আসবে । প্রতি বছর পবিত্র রামাদান মাসের প্রথম দিন জেরুজালেমকে স্মরণ করে এই জেরুজালেম  দিবস পালন করা হবে ঠিক হয় । ইজরায়েল জেরুজালেম ইহুদি রাষ্ট্রে সংযুক্তি উপলক্ষ্যে জেরুজালেম  দিবস পালন করে । তার পাল্টা ইরান পালন করবে নিজস্ব জেরুজালেম দিবস, মুসলিমদের কাছ থেকে পবিত্র জেরুজালেম হাতছাড়া হয়ে যাওয়াকে স্মরন করতে । 

    মজার কথা হলো খোমেইনী পরবর্তীকালে ইরানি বিপ্লবের মতো এই আল-কুদস দিবসও হাইজ্যাক করে নেবে ইরানি বামপন্থী ও জাতীয়তাবাদী দলগুলির কাছ থেকে । ফিলিস্তিন সংহতির নামে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নামিয়ে আনবে যারা ইজরায়েলি পতাকা পুড়িয়ে স্লোগান তুলবে ইজরায়েল মুর্দাবাদ ।

    ফিলিস্তিনি সমস্যাকে নতুন ইরান রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি নির্ধারণে মূল নির্ণায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে খোমেইনী । কিন্তু এটা করতে গিয়ে সংঘাত বাঁধবে পি এল ও -র সাথে । ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের চালিকা শক্তি কে হবে ? খোমেইনী না আরাফাত ? 

    খোমেইনী আরাফাত কে চাপ দিতে থাকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকে ইসলামী জিহাদ হিসেবে পরিচিতি দেয়ার । খোমেইনীর কাছে সমস্ত রাজনৈতিক সংগ্রামই ধর্মীয় যুদ্ধ । তাঁর আসল স্বপ্ন ইসলামী সাম্রাজ্য গড়ে তোলার এবং সেখানে তিনি সুন্নি, আরব জাতিগোষ্ঠী সহ সারা মুসলিম দুনিয়ার  কাছে ইসলামের ত্রাতা হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে চান । ইসলামী দুনিয়ায় পার্সি ও শিয়া পরিচিতির পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চান । 

     কিন্তু আরাফাত বিপ্লবী রাজনীতিতে পোড় খাওয়া ধুরন্ধর নেতা । নিজের হাতে গড়ে তোলা রাজনৈতিক সংগ্রাম যা তৃতীয় বিশ্বের নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর কাছে সাম্রাজ‍্যবাদ বিরোধিতার অনুপ্রেরণা, তাকে খামোখা ইসলামী রাজনীতির সংকীর্ণ পথে নামিয়ে আনবেন কেন ? 

    গোটা ৭৯ সাল জুড়েই খোমেইনী ও তার সমর্থকদের সাথে পি এল ও-র মতান্তর চলতে থাকবে এবং বছরের শেষে এসে পি এল ও-র ধৈর্যচ্যুতি ঘটবে । বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠবে ইরানীদের উপরে । খোমেইনীর দলবল ও সমানভাবে হতাশ । ফিলিস্তিনি বিপ্লবীরা মদ খায়, নামাজ পড়েনা ঠিকঠাক, টাই পড়ে ( পশ্চিমি সভ্যতার প্রতীক ), নারীসঙ্গ করে । মুসলিম দুনিয়াতে শুরু হবে ধর্মীয় বিপ্লব বনাম ধর্ম-নিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদী বিপ্লবের সংঘাত । 

    যদিও ৭৯ এর শেষে গিয়ে খোমেইনীর কাছে পি এল ও -র প্রয়োজন ও অনেকটাই ফুরিয়ে গেছিলো । দেশের অভ্যন্তরে সেকুলার ও বামপন্থী দলগুলিকে কব্জা করে নিয়েছেন । আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে মার্কিন দূতাবাস হাইজ্যাকের ঘটনা কে কেন্দ্র করে পশ্চিমি সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতায়  ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠা হয়ে গেছে । 

    ইরান যথেষ্ট শক্তি সঞ্চয় করে ফেলেছে নিজস্ব ফিলিস্তিনি সংগ্রাম চালাবার জন্যে । তার নজর এখন বেকা ভ্যালির উপর । হেজবুল্লার গঠনের পরিকল্পনা চলছে । ফিলিস্তিন এলাকায় হামাস ও ইসলামী জেহাদের মতো দলগুলিকে মদত দেয়া শুরু হবে পি এল ও-কে কোনঠাসা করার জন্যে । ইজরায়েল ও আমেরিকা বিরোধী প্রতিরোধের মূল কেন্দ্র হয়ে উঠবে খোমেইনীর ইরান । তার রাজনৈতিক অস্তিত্বের শক্তির উৎস হয়ে উঠবে জায়নবাদ বিরোধী সংগ্রাম ।

    তথ্য-ঋণ : লেখাটি মূলত Black Wave by Kim Ghattas বইটির উপর অবলম্বন করে লেখা |
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ জুন ২০২৫ | ৩৪০ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    কবিতা  - Suvankar Gain
    আরও পড়ুন
    লাল রঙ - Nirmalya Nag
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 2600:1001:b04f:e295:c1bf:208e:3c76:***:*** | ২২ জুন ২০২৫ ০৬:১৪732124
  • বেশ 
  • MP | 2409:4060:2eb0:454a:3d50:6c2:e441:***:*** | ২২ জুন ২০২৫ ০৮:২৮732125
  • @ তীর্থ , বেশ ভালোই লিখেছেন l তবে একটা বিষয় আছে , ১৯৮০ সাল থেকেই ইরাক ইরান যুদ্ধ শুরু হয় l সাদ্দামকে আম্রিকা সমর্থন করেছিলো ইরানীদের উপরে আগ্রাসন করতে ও কেমিকাল weapons ব্যবহার করতে ইরানী আর কুর্দিদের উপরে l সোভিয়েত ইউনিয়নেরও সমর্থন ছিলো সেসময়ে সাদ্দামের দিকেই l কাজেই নিরুপায় খোমেইনী বাধ্য হয়েছিলেন ....... ইস্রাঈলের সাহায্য নিতে ! ইস্রাঈলের সেসময়ে মূল মাথা ব্যাথা ছিলো সাদ্দামের ইরাক l কাজেই খোমেইনী একঢিলে দুই পাখী মেরেছিলেন l একই সময়ে উনি লেবাননে আগ্রাসনকারী ইসরাইলী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করবার বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহকে গড়েপিটে তুললেন আর এই একই সময়ে ইস্রাঈলের সাদ্দামের প্রতি ভীতি কাজে লাগিয়ে ইস্রাঈলের থেকেই অস্ত্র কিনে সাদ্দামের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন l কিম ঘাত্তাস এসব লিখেছেন কি জানিনা !!!
  • Ranjan Roy | ২২ জুন ২০২৫ ০৯:০৭732126
  • MP
    খোমেইনীর রাজত্বে মেয়েদের এবং অন্য বিরোধীদলের কী অবস্থা?
    এ নিয়ে দু'পয়সা দেবেন?
  • MP | 2409:4060:2eb0:454a:3d50:6c2:e441:***:*** | ২২ জুন ২০২৫ ১৪:৩০732131
  • রঞ্জন , বিরোধী বলতে ঠিক কি বোঝাতে চাইছেন ? ইরানে অনেকরকম বিরোধী আছে l কেউ কেউ নরমপন্থী , চান ইসলামিক শাসনের মধ্যেই সংস্কার করতে , কেউ বা আবার আম্রিকাপন্থী l নরমপন্থীরা বেশ কয়েকবার ক্ষমতায় এসেছেন যেমন প্রেসিডেন্ট খাতামী , প্রেসিডেন্ট  রূহানী এবং বর্তমানে পেজেসখিয়ান l তবে ইরানে বিরোধীদের মধ্যেও  একটা ঐকমত্য আছে যে দেশের স্বাধিকার যেমন ইরানের তেল আর নিউক্লিয়ার প্রোগ্রামের ব্যাপারে কোনো বোঝাপড়া হবেনা l 
  • Tirtho Dasgupta | ২২ জুন ২০২৫ ১৬:৫৬732132
  • @MP
     
    হ‍্যাঁ হেজবুল্লাহ গঠনের কথাটা বেশ ভাল করে লেখা আছে । ইরাকের সাথে যুদ্ধ টা অত ভাল করে নেই । এই বইটাতে মূলত সৌদির সাথের ইরাণের সংঘাত, আফগানিস্তানে পাকিস্তান,সৌদি ও আমেরিকার আঁতাতে তালিবান এবং আমেরিকার আক্রমণের পর ইরাক ও আরব দুনিয়াতে উদ্ভূত সেকটেরিয়ান ক্ল‍্যাশ ও সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলির সাধারণ সমাজকে গ্রাস করে নেওয়া - এই দিকটা নিয়ে লেখা । 
  • MP | 2401:4900:733a:d714:28a8:c075:11ad:***:*** | ২৩ জুন ২০২৫ ১২:৩৫732142
  • @ তীর্থ , আমি কিম ঘাটটাসের CNN এর রিপোর্টিং দেখেছি l উনি একজন লেবানিজ খ্রিস্টান যার পড়াশোনা সবই আম্রিকাতে l উনি কাজকর্ম সবই করেছেন আম্রিকি নিউজ মিডিয়ায় যেখানে আম্রিকি ন্যারেটিভ বেশী প্রাধান্য পায় l কাজেই আমার মনে হয় ওর বই পড়তে গেলে আগে এই বিষয়টা মাথায় রাখা প্রয়োজন l কোল্ড ওয়ারের পরে আম্রিকি আগ্রাসনে যে কতগুলি দেশ ধ্বংস হয়েছে এবং প্রায় পাঁচকোটি মানুষ সমগ্র পশ্চিম এশিয়াতে রিফিউজী হয়েছে এটা বোঝা প্রয়োজন l ইরানের সম্বন্ধে বুঝতে গেলে আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ইরানের ইতিহাস এবং ইরানী তেলের জাতীয়করণের কারণে ১৯৫৩ সালের আম্রিকি আগ্রাসনকে বোঝার প্রয়োজন l এটা না বলে শিয়া সুন্নী ন্যারেটিভ নিয়ে আসার ব্যাপারটা পুরোপুরিভাবে আম্রিকি ন্যারেটিভকে মান্যতা দেওয়া l 
  • অঞ্জন | 122.187.***.*** | ২৩ জুন ২০২৫ ১৫:০৫732146
  • একটা নতুন ভাষ্য তৈরি করার চেষ্টা চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। ইরানে নারী স্বাধীনতার কী অবস্থা? এখন প্রশ্নটা যেভাবে তোলা হচ্ছে, ইরানে পঞ্চাশ বছর আগে নারী স্বাধীনতার কী সুন্দর হাল ছিল আর আজ কী অবস্থা! মানে, বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে, শাহ রেজা পহলভি এর সময় দারুন নারী স্বাধীনতা ছিল। সে খানিকটা ছিল, তার মানে এই নয় যে, আজকের ইস্রায়েলকে সমর্থন করতে গিয়ে একদলের বয়ান হচ্ছে, নারী স্বাধীনতা নেই, তাই বোমা ফেলে নারী আর শিশুদের মাথাটাই উড়িয়ে দাও। আর জোর করে হিজাব চাপানোটাও যেমন মৌলবাদ তেমনি জোর করে হিজাব খোলানোটাও তাই। পশ্চিমী বয়ান এটাই খাড়া করার চেষ্টা করে, দ্যাখো, জোর করে হিজাবে বাধ্য করা হচ্ছে, সুতরাং নারী স্বাধীনতা নেই। এ জিনিস তুর্কিতে হয়েছিল আতাতুর্কের সময়, পামুক তাঁর "স্নো" উপন্যাসে এটা নিয়ে কিছুটা আলোকপাত করার চেষ্টা করেছিলেন। আর একটা কথা, যাঁরা বলতে চাইছেন, এই ইরানে শাহ রেজার সময়ে সাঙ্ঘাতিক নারী স্বাধীনতা ছিল, তাঁদের একটা প্রশ্ন করা উচিত, সে তো নাজিবুল্লার সময়ে আফগানিস্তানে যথেষ্ট নারী স্বাধীনতার পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল, তা সত্বেও পশ্চিমী পুঁজি নিজের প্রয়োজনে নাজিবুল্লাকে সরিয়ে তালিবানদের ডেকে নিয়ে আসে। 
  • Tirtho Dasgupta | ২৪ জুন ২০২৫ ০৩:৫০732157
  • @MP
     
    সবারই একটা দৃষ্টিকোণ থাকে। সেটা দিয়ে সম্পূর্ণ ছবিটা দেখা না গেলেও কিছুটা বোঝা যায়। এই ভাবে বিভিন্ন অসম্পূণ ছবি দিয়ে একটা গোটা ছবি হয়ত তৈরি করা যায় বা একটা বাস্তব ধারণা করা যায় যদিও সেটা ও একটা দৃষ্টিভঙ্গি। 
     
    আমেরিকা তথা পশ্চিমের আরব ও ইরাণ কে দোহন করে ইজরায়েলের মাধ‍্যমে পুলিশগিরি বা গুন্ডাগিরির ইতিহাস ও রাজনীতি বহু চর্চিত ও বহু পঠিত। এমনকি কিমের বইতে ও এল এম আই -র নেতারা যে মোসাদ্দেক অপসারণের ক্ষোভের ফলেই শাহ বিরোধী আন্দোলনে নেমেছে সেটাও দেওয়া আছে। আছে আলী শরিয়তি বা আল-এ-আহমেদের কথা ও সবিস্তারে আছে। কিন্তু এই বই টা আরব সমাজের ভেতরের চোখ দিয়ে লেখা। যে সমাজের কনট্রাডিকশন গুলো আমরা জানিনা। 
     
    আন্তর্জাতিক ও জাতীয় রাজনীতি কিভাবে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির চাষ করেছে সমাজগুলোকে ধ্বংস করেছে সেটার একটা ধারণা পাওয়া যাবে। সব যুক্তির সাথে সহমত না হতে পারেন কিন্তু তথ‍্যগুলি নিজের মত করে বিশ্লেষণ করতেই পারেন।
     
    আমি শুধু কিমের বই পড়ে ধারণা করিনি। ইসলামী মডার্নাইজেশন ও কলোনিয়াল সোসাইটিকে ওয়েস্টারণ এনলাইটেনমেইন্টের ধারণা ও প্রতিক্রিয়া গুলো নিয়ে ও পড়েছি কিছু কিছু।
     
    যেটা বলতে পারি পশ্চিমী সাম্রাজ‍্যবাদী শক্তি আরব ও মুসলিম বিশ্বে দক্ষিণপন্থী, ধর্মীয় প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিগুলির উত্থানে অগ্রণী ভূমিকা নিলেও সমাজের আভ্যন্তরীণ কন্ট্রাডিকশনগুলো ছিল যেগুলির পেছনে পশ্চিম-নিরপেক্ষ ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক কারণ ও আছে। কিমের বই তে তার কিছুটা পরিচয় পাওয়া যায়। যদিও এই বই এর দূর্বলতা হল এটি লিবারেল মিডল ক্লাসের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে এনেছে। সাধারণ ধর্মপ্রাণ জনগণের কনফিউশান বা সংকটকে ধরতে পারেনি। কিন্তু প্রচুর তথ‍্য আছে যেগুলি দিয়ে আমরা নিজেরাই নিজেদের মত গবেষনা করতে পারি।
  • Tirtho Dasgupta | ২৪ জুন ২০২৫ ০৩:৫৮732158
  • @অঞ্জন
    কিছুটা সহমত। হিপোক্রসি আছেই। তবে ইজরায়েলের সমালোচনা করার অর্থ এই নয় যে ইরাণীয় রেজিম কে সমর্থন দিতে হবে। দুটো কে আলাদা করে দেখতে হবে। ইজরায়েল যেটা করেছে সেটা ইললিগ্যাল এবং গুন্ডাগিরি।
     
    কিন্তু তার জন‍্য খামেইনীর সরকারকে জাস্টিফাই করাটাও আমার মতে অনৈতিক। কেননা তাদের সরকার এই ইজরায়েলকে দেখিয়েই স্বৈরতান্ত্রিক থিয়োক্রেসি গড়ে তুলেছে। বিভিন্ন উগ্রপন্থী দল পুষে ফিলিস্তিন সলিডারিটির নামে নিজেদের ক্ষমতা মজবুত করেছে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন