এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক

  • ইসলাম না ইসলামিজম : সেকুলার, রক্ষণশীল ও রাজনৈতিক ইসলাম - বিশ শতকের গপ্প

    Tirtho Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | ০৫ মে ২০২৫ | ৪৬ বার পঠিত
  • প্রথম পর্ব | দ্বিতীয় পর্ব
    দ্বিতীয় পর্ব 

    ।। ১ ।।

    ঊনবিংশ শতকের শেষভাগ। দুনিয়া বদলাচ্ছে। ইউরোপীয়রা একের পর এক ভূখণ্ড দখল করছে।ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, রাশিয়া—তাদের কাছে তখন ‘সভ্যতা’ মানে আধুনিকতা, বিজ্ঞান, শিল্প, জাতীয়তাবাদ।আর মুসলিম দুনিয়া? ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়ছে। এক সময় যে অটোমান সাম্রাজ্য ইউরোপের দরজায় কড়া নেড়েছিল, সেই সাম্রাজ্য তখন নিজেকে টিকিয়ে রাখতেই হিমশিম খাচ্ছে। মিশর, পারস্য, উত্তর আফ্রিকা, ভারত—যেখানেই তাকানো যায়, দেখা যাচ্ছে পরাধীনতা, বিক্ষোভ, আত্মসমালোচনা।

    এই পটভূমিতেই মুসলিম সমাজের কিছু মানুষ ভাবতে শুরু করলেন—কেন আমরা পিছিয়ে গেলাম? এবং এখন কী করণীয়? কিম ঘাট্টাস যে প্রশ্ণটা তুলেছেন ২০২০ তে এসে ঃ আমাদের কী হল ? 

    | মুসলিম আত্মপরিচয়ের সন্ধানে |

    এই প্রশ্ন সহজ ছিল না। একদিকে ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদ—তারা শুধু ভূখণ্ড নয়, চিন্তাধারাও দখল করছিল। অন্যদিকে ছিল ধর্মীয় রক্ষণশীলতা—যা কোনো প্রশ্নকে জায়গা দিতে চাইছিল না।এই দুই চাপের মাঝে দাঁড়িয়ে কিছু মানুষ ভেবেছিলেন, মুসলিম সমাজ কি নিজেদের নতুনভাবে গড়ে তুলতে পারবে?

    এই চিন্তা থেকে জন্ম নেয় এক নতুন বুদ্ধিবৃত্তিক ধারার—ইসলামিক আধুনিকতা।
    এটি ছিল নবজাগরণের মতো। এক ধরনের আত্মজাগরণ।

    মূল প্রশ্ন ছিল:
    ইসলাম কি আধুনিকতা, বিজ্ঞান, যুক্তিবাদ—এসবের সঙ্গে মিশে যেতে পারে?
    মুসলিম পরিচয় কি টিকে থাকবে, যদি আমরা পশ্চিমা জ্ঞান ও রাজনৈতিক ধারণা গ্রহণ করি?

    | ইসলামিক আধুনিকতাবাদ কী? |

    ইসলামিক আধুনিকতাবাদ বলছিল—হ্যাঁ, ইসলাম এবং আধুনিকতা একে অপরের শত্রু নয়। বরং, ইসলাম নিজেই একসময় যুক্তিবাদ ও চিন্তার স্বাধীনতার উপর দাঁড়িয়ে ছিল।মুতা’জিলা ধারার মতো চিন্তাবিদেরা যুক্তিকে ধর্মীয় ব্যাখ্যার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছিলেন।নবজাগরণপন্থীরা সেই ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে চাইলেন। তাদের চোখে ইসলাম একটি প্রগতিশীল ধর্ম—যেখানে প্রতীক, রূপক এবং নৈতিকতা গুরুত্ব পায়।

    তারা অলৌকিক গল্পগুলির মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা খুঁজলেন ইসলাম ধর্মকে আধুনিক যুক্তিবাদের আয়নায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে ।

    উদাহরণস্বরূপ:
    ফেরেশতা কোনো আকাশচারি প্রাণী নয়, বরং নৈতিক প্রেরণার প্রতীক।
    জিন আসলে মানুষের ভয়, লোভ ও দুর্বলতার রূপক।

    | পশ্চিমা বিশ্ব ও ইসলামী আধুনিকতা: দ্বন্দ্বময় দৃষ্টিভঙ্গি |

    এখানে একটা জটিল দ্বন্দ্ব ছিল। এই চিন্তাবিদেরা ইউরোপকে কেবল শত্রু মনে করতেন না।তারা বুঝতে চেয়েছিলেন—কোন দিকটা গ্রহণযোগ্য, কোনটা নয়।  তারা বিশ্বাস করতেন—উন্নত সমাজ গড়তে হলে মুক্তচিন্তা, বিজ্ঞান, মানবতা দরকার।কিন্তু সেই সঙ্গে তারা এটাও দেখছেন পশ্চিমি যুক্তিবাদ, ধনতান্ত্রিক ও শিল্পায়িত সমাজ বড় শুষ্ক ও হৃদয়হীন ।তাই মুসলিম সমাজের আত্মপরিচয় ও সভ্যতার উষ্ণ ধারাটি রক্ষাও জরুরি। এই দ্বৈত সত্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে তারা নতুন এক ইসলামী সমাজের কল্পনা করেছিলেন—যেখানে ধর্ম আর আধুনিকতা হাত ধরে চলে।

    কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব এই প্রকল্পকে সঙ্কোচ ও সংশয়ে দেখেছিল। ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি মুসলমানদের একধরনের “সভ্যতা থেকে পিছিয়ে পড়া”, “অন্যরকম”, ও “মিশনারি দায়িত্বে শিক্ষিত করতে হবে”—এই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখত। তারা মনে করতেন, ইসলামী সংস্কৃতির মধ্যে “যুক্তিবাদ বা আত্ম-উন্নয়ন”-এর জায়গা কম, ফলে পাশ্চাত্যের মডার্নিটি একমাত্র আদর্শ। অথচ ইসলামী আধুনিকবাদীরা বরং সেই আধুনিকতার ব্যাখ্যা খুঁজছিলেন ইসলামের ভেতরেই।

    পশ্চিমা বহু বুদ্ধিজীবী এবং রাজনৈতিক শক্তি ইসলামী সংস্কৃতিকে একটি একক বর্গে  দেখেছিল। তারা “মডারেট মুসলিম” বনাম “মৌলবাদী” এই দুই মাত্রায় সবকিছু বিশ্লেষণ করতে চাইত। ফলে ইসলামী আধুনিকতাবাদীদের আত্মপরিচয় রক্ষার প্রয়াসকে “আধুনিকতার বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার প্রক্রিয়া” হিসেবে সন্দেহ করত।

    তবে এই নবজাগরণমূলক চিন্তাচর্চা খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। একদিকে, ইসলামী আধুনিকতার ধারাটি ছিল স্বভাবতই একটি আত্ম-সংশয় ও প্রশ্নবিদ্ধ  প্রকল্প ।অন্যদিকে, পৃথিবীর রাজনীতি ক্রমেই হয়ে উঠছিল অস্থির ও হিংস্র, এবং সেই অস্থিরতা সবচেয়ে বেশি আঘাত হানছিল মুসলিম সমাজগুলির উপরই।

    ।।২ ।।

    | ইসলামী আধুনিকতাবাদ কিভাবে তার পথ হারালো ? |

    ইসলামী আধুনিকতার প্রবক্তারা—যেমন স্যার সায়িদ আহমেদ খান, মুহাম্মদ আবদুহ, জামালউদ্দিন আফগানী, আলি শারিয়াতি প্রমুখ—মূলত উচ্চশিক্ষিত শহুরে শ্রেণির মানুষ ছিলেন। তাদের লেখাপত্র সাধারণ মুসলমানদের কাছে দুর্বোধ্য ছিল, বিশেষ করে যাঁরা মাদ্রাসা-নির্ভর ধর্মীয় শিক্ষা পেয়েছেন। ফলে ধর্মীয় দুনিয়া ও আধুনিকতার দুনিয়ার মাঝে একটি গভীর যোগহীনতা (disconnect) তৈরি হয়।

    ধর্মের প্রচলিত ব্যাখ্যা যারা করতেন—যেমন ফিকহ বিশেষজ্ঞ, উলেমা ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা—তারা ইসলামী আধুনিকতাবাদকে “ইমান-বিরোধী” বা “পশ্চাৎপন্থার দালাল” হিসেবে দেখেছিলেন। ইজতিহাদ (তর্ক ও বিশ্লেষণের স্বাধীনতা) কে অনেক ক্ষেত্রেই ধর্মদ্রোহীতা বলা হয়েছে। তারা মনে করতেন—ধর্মের নতুন ব্যাখ্যা পশ্চিমা ষড়যন্ত্র।

    ইসলামী আধুনিকতাবাদের আরেকটি দুর্বলতা হলো যে এটি একটি দার্শনিক বা বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন ছিল, কিন্তু রাজনৈতিক কাঠামো বা দল তৈরি করতে পারেনি।এদিকে ইসলামিস্টরা—যেমন মুসলিম ব্রাদারহুড বা জামায়াতে ইসলামী—নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি দিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছিল।

    ইসলামী আধুনিকতাবাদের অন্যতম ভিত্তি ছিল মুসলিম সমাজকে শিক্ষিত করে আত্মনির্ভর ও যুক্তিনিষ্ঠ করে তোলা।কিন্তু ইউরোপীয় উপনিবেশবাদ মুসলিম সমাজে আধুনিক শিক্ষা ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে বাধা দেয়, যাতে স্বাধীনতা চর্চা গড়ে না ওঠে।

    যখন মুসলিম চিন্তাবিদরা ইউরোপীয় গণতন্ত্র, আইন ও বিজ্ঞানকে গ্রহণ করতে চাইলেন, তখন পশ্চিমা শক্তিরাই তাদের দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করে স্বৈরাচারকে সমর্থন করলো—যেমন মিশরে নাসের বা ইরানে শাহ।

    আবার সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল ঘোষিতভাবেই ধর্মবিরোধী ও মার্ক্সবাদী রাষ্ট্র। তারা শুধু মধ্য এশিয়ার মুসলিম-প্রধান প্রাক্তন অটোমান অঞ্চল শাসনই করেনি, ইসলামিক সংস্কৃতি ও বিশ্বাসও দমন করেছে। মসজিদ ধ্বংস করা, কোরান নিষিদ্ধ করা, ইমামদের হত্যা ও নিপীড়ন এই অঞ্চলে নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোভিয়েতের এই নীতিকে ঘুরিয়ে কাজে লাগায় । তারা ইসলামকে দেখেছিল একটা কৌশলগত অস্ত্র হিসেবে, বিশেষ করে কমিউনিজমকে প্রতিহত করার জন্য। তারা ইসলামকে “ধর্মীয় রক্ষণশীলতা”-র প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে এবং এই ধর্মীয় পরিচয়কে কমিউনিজমের “ধর্মহীনতা”-র বিরোধিতায় ব্যবহার করে। যেমন ৫০-৬০ এর দশকে তারা নাসেরের বিরুদ্ধে মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুদের একাংশ কে সমর্থন করে , ৮০-র দশকে আফগানিস্তান-পাকিস্তান অঞ্চলে মুজাহিদিন বাহিনী তৈরী করে সোভিয়েতকে তাড়াতে ।

    পশ্চিম ইসলামি আধিপত্যবাদকে যখন দরকার পড়েছে, তখন মদত দিয়েছে। আবার ইসলামি আধিপত্যবাদ যখন পশ্চিমের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেছে, তখন একে “সন্ত্রাসবাদ” আখ্যা দিয়ে যুদ্ধ চালিয়েছে।

    এই দ্বিচারিতা মুসলিম সমাজে গভীর আস্থার সংকট তৈরি করে। অনেক মুসলিম ভাবতে শুরু করে—পশ্চিমের গণতন্ত্রের কথা আসলে মুখের কথা, ভেতরে তারা স্বৈরতন্ত্রকে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে।

    ইসলামি আধুনিকতা ও মধ্যপন্থা চর্চার জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়ে।

    তরুণদের একাংশ চরমপন্থী ও ষড়যন্ত্রবাদী চিন্তার দিকে ঝুঁকে পড়ে।

    ধর্মীয় পরিচয় ও প্রতিরোধ আন্দোলন একে অপরের সমার্থক হয়ে দাঁড়ায়। সেই ধারার উত্তরসূরি হামাস, ইসলামী জিহাদ, আলকায়েদা বা হারকাত  -উল-আনসারের মতো কাশ্মীরি জঙ্গিবাহিনী ।

    কিন্তু ইসলামী আধুনিকতাবাদের গতি রুদ্ধ হবার কারণ শুধুই বাইরে থেকে আসেনি , কিছু অভ্যন্তরীণ দুর্বলতাও ছিল ।যেমন ইসলামী আধুনিকতার প্রবক্তারা—যেমন স্যার সায়িদ আহমেদ খান, মুহাম্মদ আবদুহ, জামালউদ্দিন আফগানী, আলি শারিয়াতি প্রমুখ—মূলত উচ্চশিক্ষিত শহুরে শ্রেণির মানুষ ছিলেন। তাদের লেখাপত্র সাধারণ মুসলমানদের কাছে দুর্বোধ্য ছিল, বিশেষ করে যারা  মাদ্রাসা-নির্ভর ধর্মীয় শিক্ষা পেয়েছেন। ফলে ধর্মীয় দুনিয়া ও আধুনিকতার দুনিয়ার মাঝে একটি গভীর যোগহীনতা (disconnect) তৈরি হয়।

    ধর্মের প্রচলিত ব্যাখ্যা যারা করতেন—যেমন ফিকহ বিশেষজ্ঞ, উলেমা ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা—তারা ইসলামী আধুনিকতাবাদকে “ইমান-বিরোধী” বা “পশ্চাৎপন্থার দালাল” হিসেবে দেখেছিলেন। ইজতিহাদ (তর্ক ও বিশ্লেষণের স্বাধীনতা) কে অনেক ক্ষেত্রেই ধর্মদ্রোহীতা বলা হয়েছে। তারা মনে করতেন—ধর্মের নতুন ব্যাখ্যা পশ্চিমা ষড়যন্ত্র।

    ইসলামী আধুনিকতাবাদ একটি দার্শনিক বা বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন ছিল, কিন্তু রাজনৈতিক কাঠামো বা দল তৈরি করতে পারেনি।এদিকে ইসলামিস্টরা—যেমন মুসলিম ব্রাদারহুড বা জামায়াতে ইসলামী—নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি দিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছিল।

    ইসলামী আধুনিকতাবাদ একটি বহুমাত্রিক চিন্তার ধারা হলেও ইসলামী রাজনীতির উত্থান—বিশেষ করে ১৯৭৯-এর পরে (ইরান বিপ্লব, আফগান জিহাদ)—একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক ইসলাম গড়ে তোলে, যেখানে:

    ধর্ম হয় রাষ্ট্রের হাতিয়ার

    আধুনিকতা হয় অবিশ্বাসের প্রতীক

    প্রশ্ন করা হয় “ইমানদার” হওয়ার প্রতিবন্ধক

    এখানে “আধুনিকতা মানেই পশ্চিম”, আর “পশ্চিম মানেই শত্রু”—এই সরল সমীকরণে ইসলামী আধুনিকতাবাদ হারিয়ে যায়। ইসলামী আধুনিকতা ছিল একটা সাহসী ও চিন্তামূলক প্রয়াস। এটি ইসলামের মূল মানবিক ও যুক্তিনিষ্ঠ ধারাকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিল।

    কিন্তু অভ্যন্তরীণ বৈপরীত্য, ধর্মীয় কর্তৃত্বের প্রতিরোধ, সাধারণ জনমানসের দূরত্ব এবং পশ্চিমা দ্বিচারিতার কারণে এই ধারাটি মূলধারায় জায়গা করে নিতে পারেনি।
    বরং সেই শূন্যস্থান দখল করে নিয়েছে রক্ষণশীল ইসলাম, পেট্রোডলার-সমর্থিত সালাফিবাদ এবং রাজনৈতিক ইসলাম।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    প্রথম পর্ব | দ্বিতীয় পর্ব
  • ধারাবাহিক | ০৫ মে ২০২৫ | ৪৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ar | .***.*** | ০৫ মে ২০২৫ ০৫:৩৫731088
  • পর্বগুলো একসাথে লিঙ্ক করে দিলে ভাল হয়।
  • MP | 2409:4060:2d19:a063:8b01:e94c:9ce3:***:*** | ০৫ মে ২০২৫ ০৭:৩১731090
  • বেশ ভালো হচ্ছে শুরুটা l লিখতে থাকুন l                                                                                            আমার নিজের মতে , উনিশ শতকের শেষের দিক থেকেই সমগ্র তৃতীয় বিশ্বের দেশে মূলতঃ এশিয়াতে পশ্চিমী আধুনিকতা আর নিজস্বতা এনিয়ে বিতর্ক আলোচনা চলছিলো চিন্তাবিদদের মধ্যে l উপমহাদেশে রবীন্দ্রনাথ , বিবেকানন্দ , নেহরু গান্ধী আজাদ ইকবাল জিন্নাহ , চীনে সান ইয়াত সেন , জাপানে মেইজি রেস্টোরেশনের প্রবক্তারা , ইরানে আলী শরিয়তী , মিশরে সায়ীদ কুতুব , হাসান আল বান্না , তুর্কিতে তিন পাশা সবাই এনিয়ে ভাবছিলেন l সবাই নিজের মতো করে কাজ করেছেন এনিয়ে l একটা ব্যাপার সবাই বুঝতে পারেননি যে সংস্কার পরবর্তী এন্ড স্টেট্ কি হবে তাদের নির্দিষ্ট প্রাচ্য সমাজের ? পশ্চিমী প্রতিক্রিয়া বিষয়টিও তারা মনে হয় ঠিক বুঝতে পারেননি l পশ্চিম যেমন সবসময়েই পূর্বকে দেখেছে একটা শত্রুর মত , সংস্কার করলেও পূর্ব দেশ পশ্চিমের বশংবদ ভালো গোলাম হতে পারবে মাত্র যেমন আজকের সৌদী বা দুবাই শেখেরা কিন্তু তার বাইরের পূর্বের কোন নিজস্বতা পশ্চিম কোনোদিনই বরদাস্ত করেনি l তাছাড়া আধুনিকতার অন্যতম প্রধান শর্ত হচ্ছে industrialization যেটি না হলে কোনোভাবেই আধুনিকতা আসতে পারেইনা l পশ্চিম কোনোদিনই পূর্বের কোনো দেশেই এই industrialization হোক সেটা চায়নি বা এখনো যে চায়না সেটা চীন বা ইরানের উপরে মার্কিন প্রযুক্তি নিষেধাজ্ঞা থেকেই বোঝা যায় l                   আরেকটা ব্যাপার মুসলিম বিশ্ব বলতে পশ্চিম কিন্তু মূলতঃ পশ্চিম এশিয়াকেই বোঝে যেহেতু গত প্রায় একশো বছরের বেশী ধরে এঅঞ্চলেই পশ্চিমীরা আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে l ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়া বাংলাদেশ বা আফ্রিকার বহু দেশই মুসলিম প্রধান কিন্তু পশ্চিমী ইমাজিনেশনে এরা যেহেতু পশ্চিম এশিয়ার নয় সেহেতু এদের ঠিক মুসলিম বিশ্বের বলে মনে করা হয়না পশ্চিমে l 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন