এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • এই ছোকরা চাঁদ, এই জোয়ান চাঁদ 

    Tirtho Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৩১০ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • শিল্পীর সাথে তার পাঠক, দর্শক বা শ্রোতার সম্পর্ক কেমন হবে? ব্যক্তিগত না সামাজিক? রাজনৈতিক না বিনোদনী? শিল্পীর শিল্পকে দেখবো একা না অনেকে মিলে? শিল্প না শিল্পী, কে সত্য? হয়তো আমরা এভাবে ভাবিনা সচেতন মনে। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর হয়তো আলাদা করে খুঁজতে যাইনা। আমরা গান শুনি, লেখা পড়ি, ছবি দেখি, নাচ দেখি। কিন্তু আমাদের অবচেতনে এই বিভিন্ন বিপ্রতীপ চেতনাগুলোর দ্বন্দ্ব থাকে। কোনো বিশেষ অবস্থায় এই দ্বন্দগুলো আর অবচেতনে থাকতে পারেনা। বেরিয়ে আসে সচেতন মননে। 

    প্রথমে যে অস্বস্তি কে আমরা এড়িয়ে যাই, দেখেও না দেখার ভান করি, জীবনের অনেক প্রশ্নের মতো, সেটা একসময় সজোরে কড়া নাড়তে থাকে। আমাদের বাধ্য করে একটা উত্তর দিতে।  যুক্তিবাদী মন যুক্তি খোঁজে। সেই যুক্তির পেছনে থাকতে পারে মরালিটি, রাজনৈতিক আদর্শ  বা অন্য কোনো চেতনা। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু তে এই প্রশ্নটাই আবার এসে ধাক্কা দিচ্ছে অনেককেই যারা ভেবেছিলো কবীর সুমনের ব্যাপারে একটা ফয়সালা তারা করে ফেলেছে।

    নব্বই-এর দশকের শেষে নন্দন চত্বর তখন বাংলার নতুন মমার্ত। কলকাতার উঠতি কবি, শিল্পী, ছাত্র, যুবদের নতুন ঠেক। প্লাস্টিকের কাপে গ্যালন গ্যালন লেবু চা, অবিরাম গোল্ডফ্লেক, চারমিনার, আর বিড়ির ধোঁয়াতে কবিতা, গান আর দেদার আড্ডা। কখনো সাদা ধুতি -পাঞ্জাবি বুদ্ধ ভট্টাচার্য, কখনো সাদা জুলপিয়ালা সুনীল, কখনো চকচকে টাক মাথা বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত আর সবসময়ে উদাত্ত কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের গান গেয়ে চলা এক মুখ দাড়িওয়ালা পাগল জটা দা, যাকে দেখে বুদ্ধ ভট্টাচার্য ও স্মিত হেসে পথ ছেড়ে দেন। 

    সেই সময়েই একদিন প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে দেখলাম। কাঁচা পাকা বড় ঢেউ খেলানো চুল, ছোটোখাটো সাদামাটা চেহারা, হাফ-হাতা বুশ শার্ট। অস্থায়ী মঞ্চে অনেকে গাইছিলেন।  তিনি তিনটে কি পাঁচটা গান গাইলেন তার মধ্যে একদম শেষে -"আমি বাংলায় গান গাই"। গায়ে কাঁটা দিয়েছিলো। অথচ সেই গানে আস্ফালন ছিল না, দম্ভ ছিল না, ছিল ভালোবাসার কথা, ছিল এক কবির কথা।

    এর আগে সুমন কে দেখেছি। কোনো হ্যান্ডস ছাড়া একলাই মাউথ অর্গান, কীবোর্ড বা গিটার বাজিয়ে  গান গাইতে। কিন্তু প্রতুল একদম অনন্য। খালি গলায়, হামিং করে কখনো  তুড়ি দিয়ে, কখনো ক্ল্যাপ দিয়ে এভাবে যে গান গাওয়া যায় ভাবতে পারিনি। পুরুষালি কণ্ঠের যে গলার সাথে আমাদের কান অভ্যস্ত, তার একদম বিপরীতে মিহি গলায় গান। কিন্তু গান যখন গাইছেন তখন মনে হচ্ছে না যে কোনো বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গত নেই। ওই গায়কীর মধ্যে, তুড়ি বাজানোর মধ্যে,  খালি গলায় সুরের মূর্ছনার মধ্যেই মিশে আছে যেন সেটা। 

    আমাকে কেউ একজন প্রতুলের রেকর্ড করা অডিও ক্যাসেট দিয়েছিলো।  তখন বাণিজ্যিক ভাবে বের হয়নি ওনার গান। ওই ক্যাসেটেই জোয়ান চাঁদ, ছোকরা চাঁদ, ডিঙা ভাসাও সাগরে, আলু বেচো, কলা বেচো সহ সব বিখ্যাত গানগুলো ছিল। আর ছিল মাও এর লং মার্চের - 'কিসের ভয় সাহসী মন লালফৌজের'। ওই সময় হাতে এসেছিলো টলিগঞ্জের প্রদীপ দত্ত ও প্রবীর দত্ত, সত্তরের শহীদ দুই ভাইয়ের লেখা চিঠিপত্র  সম্বলিত বই। দুলে উঠেছিল পৃথিবী। প্রতুলের গান, সুমনের থেকেও লাল।  কে যে দিয়েছিলো, ক্যাসেট টার সাথে তার মুখটাও হারিয়ে গেছে!

    জয় গোস্বামীর একটা উপন্যাসে একজন মা'এর চরিত্র ছিল, যিনি জগন্ময় মিত্রর গান ভালোবাসতেন। সেই ভালোবাসা গান ছাপিয়ে শিল্পীকে ভালোবাসায় পরিণত হয়েছিল। রক্তমাংসের শিল্পী নন, ওই গানের মধ্যে দিয়ে শিল্পীর যে বিমূর্ত ভাব ফুটে উঠতো তাকে। এই ধরণের কিছু। স্মৃতি থেকে বললাম। শিল্প ও শিল্পীর সাথে এক আত্মিক যোগ হয় মানুষের  | যেখানে ক্রমশ শিল্পবস্তু ও কিছুক্ষেত্রে শিল্পীও আত্ম-পরিচয়ের অংশ হয়ে ওঠে। নব্বইয়ের দশকে ওই যে সুমন গিটার নিয়ে এক মঞ্চে নামলেন, তার পর পর নচিকেতা, অঞ্জন, শিলাজিৎ একদিকে আর অন্যদিকে প্রতুল, মৌসুমী ভৌমিক, পল্লব কীর্তনিয়া। গানের সাথে সাথে শিল্পীও ঢুকে পড়লেন আমাদের ঘরে।

    এই যে একা একা পুরো একটা গান হয়ে ওঠা, আমাদের এই অভিজ্ঞতায়, ওই শিল্পীরা কখন যেন 'আমরা' হয়ে গেছেন। আলাদা করা মুশকিল। কথা-বার্তায়, চিঠি-পত্রে সুমন, প্রতুলদের লেখা শব্দ বা লাইন কখন যেন নিজেদের  ভাষা হয়ে গেছিলো বুঝতে পারিনি। আমাদের ওই প্রজন্মটা যারা তখন কৈশোর থেকে যৌবনে পা রাখছি, সেইসময় এই গায়কেরা ও তাদের গান ছিল আমাদের আইডেন্টিটি  যার রেশ হয়তো এখনো আমাদের মধ্যে রয়ে গেছে। ফ্রয়েড তো সেই কবেই বলে গেছেন আমাদের অতীত আমাদের বর্তমান কে নিয়ন্ত্রণ করে, আর বর্তমান প্রভাবিত করে ভবিষ্যৎকে।

    ওই যে প্রথমদিকে প্রশ্নগুলো তুলেছিলাম, সেই প্রশ্নগুলো প্রবল হয়ে উঠেছিল কবীর সুমনকে নিয়ে, তার তৃণমূল এম পি হবার বহু আগেই। যখন ওনার নামে পুলিশ কেস করেছিলেন তার জার্মান স্ত্রী, গার্হ্যস্থ হিংসার নামে। তার পরে সিঙ্গুর হল, নন্দীগ্রাম হল, ২০১১ ও আসলো। সুমন, প্রতুল ওদিকে। সংসদীয় বামেদের অনেকেই এই রাজনৈতিক বদল মানতে পারেননি। বিশেষ করে আমাদের প্রজন্ম, যারা সম্ভবত এপার বাংলার শেষ সৃষ্টিশীলতা দেখে ফেলেছে। তাদের ক্ষোভ টা অনেক বেশি। বিশ্বাস ভঙ্গের ক্ষোভ। ওই যে গানগুলো, সেই যে কথাগুলো, এ তো সবই আমাদের কথা ছিল। লাল একটু কম বা বেশি। তাই নিয়ে কেউ মাথা ঘামায়নি। 

    কিন্তু তারা একটা জিনিস ভুলে গেছেন, সুমন বা প্রতুলের যে রাজনৈতিক সত্ত্বা তার সার্বজনীন বামপন্থার মধ্যে একটা পার্টিজান প্রবৃত্তি বরাবরই ছিল। সি এম-এর  লাইনের সাথে জ্যোতি-প্রমোদ লাইনের তফাৎ। নব্বইয়ের দশকে কিন্তু এতটা মাথা ঘামায়নি কেউ। সত্তরের হিংসা ও হত্যা কিন্তু নব্বইতে ছিল না। এখন এই সামাজিক মাধ্যম  এসে আমাদের মধ্যে আবার সেই দুর্লঙ্ঘ প্রাচীর তুলে দিয়েছে যার সুবিধে নিচ্ছে শকুনের দল। চারিদিকে সব গন্ডি কাটা। সবাই আমরা খাপ বন্দী। সবাইকে খাপে ফেলে দেখার চোখ তৈরী হয়ে গেছে আমাদের। আমরা সবাইকেই ট্যাগ লাগিয়ে বেড়াই। কে কি করেছে জানিনা, তবে আমি একটা ফয়সালা করে ফেলেছি। ওই ছোকরা চাঁদ আর পেটকাটি চাঁদিয়াল দিয়ে আমি আমার খোপে ঢুকে যাব। শালা নব্বই-এর দিব্যি! 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৩১০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r2h | 192.139.***.*** | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:৫১541199
  • ভালো লাগলো লেখাটা।

    ইদানীং মহীরূহ পতনের ঋতু। মুক্ত চিন্তা, নতুন কিছু করা, অথরিটিকে প্রশ্ন করার, নতুন রকম, চেনা ছকের বাইরে চিন্তা করার কথা ভাবা, এইসবে যাঁরা আইকন ছিলেন, তাঁরা একে একে গত হচ্ছেন, হয় সৃষ্টিক্ষমতায় নাহয় মরদেহে। নয়ের দশকে যখন এঁরা সব কাজ করছেন, তখন হয়তো এঁদের গুরুত্ব সম্যক বুঝিনি। এইটা ভাবতে গেলে মনে হয়, এখনও হয়তো অনেক কিছু হচ্ছে, বুঝতে পারছি না, বা তরুণরা জানে।

    এই লেখার মতই, আমিও প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে ক্যাসেটের গানে আর কালেভদ্রে মঞ্চ দিয়েই চিনি, আর পাঁচজন বড় বড় লোকের মতই। প্রথম ক্যাসেট যখন বেরুলো, স্কুলে পড়ি, পশ্চিমবঙ্গবাসী নই, নিয়মিত যে ক্যাসেটের দোকানে যেতাম সেই ভদ্রলোক নতুন রকম কিছু বেরুলে আলাদা করে রেখে দিতেন, নতুন রকম কিছুর বাজার ছিল না, প্রায় অন্য সব জায়গার মতই। ততদিনে সুমন শুনেছি ও অভিভূত হয়েছি, নচিকেতা শুনেছি ও অভিভূত হইনি, এছাড়া নতুন রকম গানবাজনার সঙ্গে পরিচয় নেই। প্রতুল শুনে খুব বিস্মিত হয়েছিলাম। ভালো লাগা মন্দ লাগার থেকে বিস্ময়টা অনেক বড় ছিল, মনে আছে। ব্যাপারটা কী, প্রথাগত সুকন্ঠ ইত্যাদি না থেকেও এই গানের মধ্যে কী আছে - বোঝার জন্য বারবার শুনতাম।

    নব্বইয়ের শেষ দিকে ময়দানে বঙ্গমেলা না কী একটা চালু হয়েছিল - বেশিদিন চলেনি। প্রথম দিন গেছি, মঞ্চ টঞ্চ কিছু তৈরি হয়নি, ওদিকে দর্শক শ্রোতা সমাগম, কার কার আসার কথা, প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে ধরে বেঁধে তুলে দিয়েছে, ওদিকে পেছনে মিস্ত্রিরা স্টেজ বানানোর কাজ করছেন। উনি বললেন, আমি বাদ্যযন্ত্র ছাড়া, বা নানান যন্ত্রের সঙ্গেও এতদিন গান গেয়েছি, কিন্তু হাতুড়ির তালে গান গাওয়া এই প্রথম।

    বিচ্যুতির অভিযোগ চারদিকে...। কী জানি। কাকে বিচ্যুতি বলে। কোন একটা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রাখা যদি বিচ্যুতি হয় তবে ...
    সেসব যাক। 

    গান গাইতেন যে তাঁর নাম মুখার্জিদা ছিল না?

    "ওই ছোকরা চাঁদ আর পেটকাটি চাঁদিয়াল দিয়ে আমি আমার খোপে ঢুকে যাব। শালা নব্বই-এর দিব্যি!"- একমত।
  • অয়নেশ | 2402:3a80:1985:10d:378:5634:1232:***:*** | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:৫৬541200
  • লেখক দয়া করে হ্যান্ডস না বলে মিউজিসিয়ানস বলুন।
  • asd | 93.156.***.*** | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০১:৩৯541201
  • test
  • as | 93.156.***.*** | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০১:৪০541202
  • <h1>test</h1>
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন