এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে

  • দমন

    পাপাঙ্গুল লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে | ১৩ জুলাই ২০২৪ | ৩৪১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • অগস্ট ক্রান্তি রাজধানী ট্রেনখানা অনেক বেশি থামতে থামতে যায়। সাওয়াই মাধোপুর [রণথম্ভোর যেতে হলে] , ভারুচ , ভালসাড এইসব হয়ে তেরো ঘন্টায় ভাপি। এখান থেকে জাতীয় সড়ক ধরে দমন যেতে হবে। এই ছোট স্টেশনের বাইরেটা পুরো মফস্বলী স্টেশন রোডের মত। জল জমে আছে। একগাদা অটো , সি এন জি মারুতি ট্যাক্সির ভিড়। শেয়ার অটোরা সরাসরি দমন যাবে না। মাঝখানে এক সোমনাথ মন্দিরের সামনে থেকে অটো বদলাতে হল। 
     

    ভাপি স্টেশন চত্ত্বরে দাঁড়ানো সি এন জি শেয়ার ট্যাক্সির সারি 
     
    ১৯৬১ সালে দমন , দিউ , দাদরা ও নগর হাভেলি এই তিনখানা জায়গায় মারাঠা লাইট ইনফ্যান্ট্রির দ্বারা ৪৫০ বছরের পুরোনো পর্তুগিজ শাসনের অবসান ঘটে। তারপর থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। ভাপি থেকে বাঁদিকে গেলে যেমন দমন , ডানদিকে গেলে তেমনি দাদরা ও নগর হাভেলি। এখানকার দমন গঙ্গা নদীর নামে জায়গার নাম রেখেছিল পর্তুগিজরা।  
     

    জাতীয় সড়কের তুলনায় এ রাস্তা অনেক ফাঁকা 
     
     
    দ্বিতীয় অটো গিয়ে এক তিনমাথা মোড়ে ছেড়ে দিল। এখান থেকে নানি দমন , মোতি দমন যাবার অটো ছাড়ছে। 'মতি' মানে বড়। আর 'নানি' মানে ছোট। আদতে দেখা গেল 'নানি' দমনেই বেশি বাড়ির ভিড়। 'মতি' দমনে মূলত এক পেল্লাই কেল্লার মত পাঁচিলঘেরা জায়গা। প্রথমে সেখানেই যাওয়া। 
     
    দমন গঙ্গার ওপরে চওড়া সেতু পেরিয়ে অটো নামিয়ে দিল কেল্লার সাঁকোর সামনে। এখানে দেখি সব শেয়ার অটো কুড়ি টাকা করে নেয়। 
     

    কেল্লার পরীখার ওপর 
     

    প্রবেশপথ 
     
    ~১৫৮০ তে আকবরের আক্রমণ থেকে বাঁচতে পর্তুগীজরা সমুদ্রের ধারে একদিকে সমতলে পরিখা খুঁড়ে এই পলিগন জ্যামিতির  কেল্লা গড়ে তুলেছিল। কেল্লার ভেতর এখন দমন মিউনিসিপাল কাউন্সিল , হাসপাতাল , লাইব্রেরি , দমন আদালত এইসব আছে। পুরোনো কিছু পর্তুগিজদের বংশধরেরাও থাকেন মনে হয়। দুখানা মাত্র দরজার এই কেল্লার মধ্যে দিয়ে গাড়ি যাবার শর্টকাট করা আছে। কেল্লার ভেতর ঘুরতে এসে স্কুটি ভাড়া নেওয়া জনতার উৎপাত। 
     

    পুরোনো রঙিন বাড়ির সারি। এরকম পন্ডিচেরির মত ফরাসি কলোনীতেও দেখেছি। 
     

    ~১৬০৩ সালে তৈরী বম জেসাস গীর্জা। ব্যান্ডেলের মত দেখতে নয়। ভেতরে ছবি তোলা বারণ। 
     

    কেল্লার ভেতর ঘুরতে ঘুরতে সমুদ্রের দিকে গেলে ~১৫৬৭ সালে তৈরী ডোমিনিক্যান মঠ
     

    ছাদ খসে যাওয়া
     

    মঠের হলঘর 
     

    মঠের পিছন দিক দিয়ে কেল্লার পাঁচিলে ওঠার রাস্তা 
     

    দূরের বাতিঘর 
     

    কেল্লার সমুদ্রের দিকের এলাকা 
     

    সমুদ্রের ধারে রিসর্ট
     

    এইদিকে সমুদ্রের ধারে যাবার কোনো দরজা নেই। টানা পাঁচিলের পাশ দিয়ে হেঁটে হেঁটে আবার সামনের দিকে যেতে হবে।  
     

    অন্য দিকের দরজার কাছে বোকেজ নামে এক কবির বাড়ি
     

    পাশে পর্তুগিজদের বানানো প্যারাগোলা বাগান
     

    অন্যদিকের দরজা দিয়ে বেরিয়ে সমুদ্রের দিকে 
     
    কেল্লার দরজাদের মাথায় , প্যারাগোলা বাগানে , গির্জার ভেতর পর্তুগিজে নানারকম জিনিস খোদাই করে লেখা। 
     

    দরজার তোরণের মাথায় পর্তুগিজ লিপি , কাঁচে ঢাকা মূর্তি
     

     
    এইখানে ওই কেল্লার প্রাচীর থেকে যে রিসোর্ট ইত্যাদি দেখা যাচ্ছিল তার আগে একটাই খাবারের জায়গা আছে। ছড়ানো ক্যাফে ধরনের। সেখানে একখানা উত্তাপম আর চা খাওয়া গেল। খেয়াল করে দেখলাম এই উত্তাপমে কোনো পেঁয়াজ দেয়নি, জিজ্ঞেসও করেনি কিছু। যাহোক , খেয়ে বাইরে বেরিয়ে দেখা গেল এদিকের সমুদ্রে পুলিশ নামতে দিচ্ছে না , বাইকে ঘোরাঘুরি করছে আর বাঁশি বাজাচ্ছে। 
     

    দমনের সৈকতের কালো রঙের বালি 
     
    এদিকের সমুদ্রের ধার দিয়ে রাস্তা সোজা চলে গেছে পাশেই জামপোর সৈকতে , সেখানকার বালির রং এত কালো নয়। সেখানে কাল যাব ভেবে আবার সেই কেল্লার দরজার সামনে হেঁটে ফেরত আসা। এখান থেকে এক নতুন নির্মিত শুধু দ্বিচাকা বা পায়ে হাঁটার জন্য সেতু দমন গঙ্গা পেরিয়ে চলে গেছে নানি দমনের দিকে। 
     

    দমন গঙ্গার ওপরে বাঁদিকে মতি দমন , ডানদিকে নানি দমন 
     
    নদী পেরিয়ে নানি দমনের গলির মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে খেয়াল করলাম , এদিকে অনেক পুরোনো বাড়িঘর ভেঙে পড়ছে , দরজা জানলা হাঁ করা। পাশেই সেরকম কোনো বাড়িকে ভেঙে উঠে গেছে বেখাপ্পা তিন চারতলা বহুতল। 
     

    কলোনির খন্ডহর 
     

     
    হাঁটতে হাঁটতে দেবকা সৈকতে যাবার বড় রাস্তায় দেখলাম সারানোর আর ডিজাইনার সিমেন্টের স্ল্যাব ফেলার কাজ চলছে। 
     
    দেবকা সৈকতের ধারে একটানা তৈরী হয়েছে হাঁটার /সাইকেল চালানোর পথ আর গাড়ি যাবার মেরিন ড্রাইভ। সেখান থেকে দমন গঙ্গা খাঁড়ির দিকে গেলে আরেকটা ছোট কেল্লা আছে। 
     

    প্রকাশ্যে মদ্যপান করিবেন না!!
     

    নৌকা পার্ক করবার জায়গা।
     

    সন্ত জেরোমের কেল্লায় ঢোকার দরজা। দরজার মাথায় জেরোম ভয়ালদর্শন কুকুর সঙ্গে দাঁড়িয়ে। 
     
    এই কেল্লার ভেতর একখানা নতুন গির্জা , স্কুল , খেলার মাঠ এইসব আছে। শনিবার বলে সবই বন্ধ। সেখান থেকে আবার দেবকা সৈকতে এসে টানা পাঁচিলের ওপর বসে আরব সাগরের হাওয়া খাওয়া গেল। সাবুর পাঁপড় , ঝালমুড়ি , টকঝাল চানাচুর এইসব ফেরিওয়ালারা ঘোরাঘুরি করছে। এই সৈকত রোজ পরিষ্কার করা হয় বলে মনে হল , প্লাস্টিক বা অন্যন্য নোংরা নেই। একজায়গায় ধাপ ধাপ করা আছে সৈকতে নামার জন্য। সেখানে দুখানা চৌকো বারান্দাওলা ঘরের মধ্যে কিছু জলখাবারের কাউন্টার,  এছাড়া কোনো স্থায়ী খাবারের দোকান নেই। একটু আগে যে নির্মীয়মাণ রাস্তা দিয়ে দেবকা সৈকতে এসেছি, সেখানেই ফেরত যেতে হল তন্দুরি পমফ্রেট ইত্যাদি খাবার জন্য। এই রাস্তার দুধারে যাবতীয় হোটেল , খাবার জায়গা , ট্যাটু পার্লার ইত্যাদি। রাস্তাতেও ট্যাটু করানোর জন্য কেউ কেউ বাক্স নিয়ে বসে আছে। 
     
    বেলা বাড়লে সাগরের ধারের বিশাল রাস্তা ধরে উত্তরের দিকে হাঁটতে হাঁটতে বোঝা গেল দমনের চরিত্র পাল্টে দেবার চেষ্টা চলছে। এতক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে বোঝা গেছে এটা প্রথাগত কৃত্রিম টুরিস্ট কেন্দ্র নয়। একখানা প্রাচীন কলোনি , এই সমুদ্রের ধারের চওড়া রাস্তা ধরে শহরের এই দিলীপ নগর বলে এলাকায় আগামী দশ বছরের মধ্যে প্রচুর রিসোর্ট ইত্যাদি তৈরী হয়ে যাবে। 
     

    কিছু পুরোনো কারখানাও ছিল শহরের এ অংশে
     

    দিলীপ নগরের অল্প জল জমে থাকা গলিতে , হলদেটে সিএফএল আলোয় সন্ধ্যে নামে। 
     
     

    পরের দিন সকালে আবার নদী , কেল্লা পেরিয়ে মোতি দমনের ভেতরের দিকে যাওয়া। 
     

    এখানে আছে ~১৬০৭ সালে শহরের গর্ভনর এবং ক্যাপ্টেন (?) রুই দে মেলো দে সামপাইয়োর বানানো আওয়ার লেডি অফ রেমেডিওস গীর্জা। 
     
    বম জেসাসের থেকে এই গির্জায় ভিড় অনেক কম। ভেতরের দেওয়ালে নানান সন্তদের ছোট ছোট মূর্তি সাজানো। প্যাট্রন অফ দ্য সিক সন্ত রোচ , কলকাতার সন্ত তেরেজা , প্যাট্রন সেইন্ট অফ আর্কিটেক্টস সন্ত থমাস , জন বস্কো ইত্যাদিদের। এছাড়া লম্বা লম্বা টেবিলওলা কাঠের বেঞ্চ। তাদের পাশের খোলা দেরাজে কয়েক খানা করে বাঁধানো বই রাখা , প্রার্থনার সময় পড়ার জন্য। 
     

     

    চার্চের মেঝেতে লাগানো খুলি , হাড় সমেত মার্বেল।
     

    প্রার্থনা বই 
     
    সেখান থেকে বেরিয়ে জামপোর সৈকত যাবার জন্য অটো। যেতে যেতে একসময় অটোচালক হঠাৎ বলল - "দেখেছেন কান্ড ?" তাকিয়ে দেখি সামনে নবনির্মিত চকচকে সিমেন্টের রাস্তায় হাঁটু অবধি জল জমে আছে। গাড়ি আসার সঙ্গে সঙ্গে উঁচু উঁচু ঢেউ। অটোর মেঝেতে জল। 
     
     
    - "আগের নালাগুলো বন্ধ করে সব জায়গায় এইরকম কংক্রিটের রাস্তা বানাচ্ছে। কোনো জল বেরোনোর ব্যবস্থা নেই। কারা যে এসব প্ল্যান করে!!" 
     
    কিন্তু জামপোরে পৌঁছে দেখা গেল পুলিশের গাড়ি লালনীল আলো জ্বালিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এখানে দুজন নাকি বানের জলে ডুবে মারা গেছে গতকাল। সৈকত বন্ধ।
     

    এছাড়া এখানেও কিছুটা জায়গায় কিসব বানানোর কাজ চলছে। 
     
    জামপোরের সমুদ্র তীর ধরেও একই রকম টানা রাস্তা বানানো। এর একদিকে সমুদ্র , অন্যদিকে ঝাউ ইত্যাদির সংরক্ষিত বন। এই রাস্তা ধরে আধঘন্টা হাঁটতে থাকলে সেই পেঁয়াজহীন উত্তাপাম খাবার জায়গায় চলে যাব।
     

    অস্থায়ী দোকান 
     
     

    পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায় সূর্যছাদ সরানো গাড়ি থেকে হাওয়া খেতে ব্যস্ত বাচ্চারা এবং জানলা দিয়ে ছবি তুলতে ব্যস্ত ছোট ছোট টুরিস্ট বাস। 
     

    জামপোরের বালির রং সাধারণ 
     

    হাঁটতে হাঁটতে। 
     

    দোকান বন্ধ 
     
    গুজরাতের থেকে লোকজন প্রায়ই গাড়ি নিয়ে সপ্তাহান্তে এখানে ঘুরতে চলে আসে বোঝা গেল। আধ ঘন্টা বাদে মোতি দমনের দিকে ফিরে এসে দেখি অবাধ্য জনতা জলে পা ভেজাচ্ছে। রোববারের বাজারে আর কত বারণ মানবে। সেই সরু ব্রীজ পেরিয়ে নানি দমনে এসে দেখি টুরিস্ট পুলিশ খেলা শুরু হয়েছে। পুলিশ বাঁশি বাজালে বা বৃষ্টি শুরু হলে তারা উঠে আসতে থাকে পারের দিকে। পুলিশ চলে গেলে আবার জলের দিকে চলে যায়। কিছুক্ষণ বাদে ছুটোছুটি করে ক্লান্ত পুলিশরা বালিতে নামার ঘাটগুলোকে ঘিরে "দমন পুলিশ লাইন ডু নট ক্রস" লাল সাদা টেপ লাগিয়ে দিয়ে চলে গেল। হাওয়ায় পত পত উড়তে থাকা সেইসব টেপ ডিঙিয়ে আবার আধঘন্টা বাদে জনতা নামতে থাকল সৈকতে। এই খোলা হাওয়ায় দোকানঘরের বারান্দায় বসে থাকলে চোখ বন্ধ হয়ে আসে। 
     

    দেবকা সৈকতের কালো রঙের বালি 
     

    ছোট ছোট পাথরও আছে 
     
     
    ফেরার সময় রোববার বলে মদের দোকানগুলোতে ভিড়। তৃষ্ণার্ত বিয়ার পানকারীরা তর সইতে না পেরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে গলায় ঢালছে। সেই তিনমাথার মোড়ের একপাশে সরকারি বাস ছাড়ে। ভাপি স্টেশনের সামনে জাতীয় সড়ক দিয়ে সেই বাস চলে যায় দাদরা আর নগর হাভেলিতে সিলভ্যাসা শহরে।
     

    এই লম্বা ছাদ ওলা বাড়ি পর্তুগিজ আমলে নির্মিত দমন বাজার। ভেতরে নানারকমের দোকান। ছাদে পায়রাদের মেলা। 
     
    ফিরতি পথে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আর গুজরাটের চেকপোস্ট পেরোনোর পরেই বাসে একজন পুলিশ উঠে পড়ল। কালো রঙের বর্ষাতি পড়ে আছে বলে ইউনিফর্ম প্রথমে বোঝা যায়নি। সে কেন সবার ব্যাগ থাবড়ে থাবড়ে দেখছে , তাও বুঝতে পারিনি। বাসের পিছন দিকে কারুর ব্যাগ থাবড়াতেই কাঁচের বোতলের ঢক ঢক শব্দ শুনে মনে পড়ল - গুজরাটে মদ নিষেধ। ছেলে দুটোকে ব্যাগসুদ্ধ নামিয়ে নিয়ে চলে গেল পুলিশ। 
    বৃষ্টিদিনে চায়ের দোকানে বেঙ্গালুরু পুলিশ বাইকে করে এসে হানা দিত। তারাও এরকম ইউনিফর্মের ওপর কালো বর্ষাতি পরে থাকত যাতে বোঝাই না যায় পুলিশের লোক। প্রকাশ্যে সিগারেট খাবার অপরাধে দুশো টাকার চালান কেটে হাতে হাতে ধরিয়ে দিয়ে , পাশের তেলেভাজার দোকান থেকে খবরের কাগজে মোড়া লঙ্কাভাজা নিয়ে চলে যেত তারা , থানায় গিয়ে খাবে। এই ছেলে দুটোকে বামাল সমেত নিয়ে যেতে দেখে , বেঙ্গালুরুতে দোকানের ভেতর টুলে বসে কাঁচের গ্লাসে চা খেতে খেতে দেখা সেই ঘটনা মনে পড়ল। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ১৩ জুলাই ২০২৪ | ৩৪১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 172.58.***.*** | ১৩ জুলাই ২০২৪ ০৬:১৩534578
  • দমন সম্পর্কে কিছুই জানতামনা। ভালো লাগলো খুব পড়তে। ছবিগুলো নিয়ে তো নতুন করে কিছুর বলার নেই। ডমিনিকান মঠের ধ্বংসাবশেষ আর চার্চের ভেতরে কারুকাজ করা অল্টার বিশেষ করে ভালো লাগলো। মতি আর নানি শব্দের মানে জেনেও বেশ খুশি হলাম। পুলিশের মানা অগ্রাহ্য করে লোকের সমুদ্রে নামার কথা পড়ে নিজের একবার এইরকম এক অবাধ্যতার কথা মনে পড়ে গেলো!
  • Suvasri Roy | ১৩ জুলাই ২০২৪ ০৭:৫৪534581
  • ভালো লাগল। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:9cf1:2d4:c3d9:***:*** | ১৩ জুলাই ২০২৪ ০৮:০১534583
  • বাঃ এই সিরিজটা কদিন ধরে আস্তে আস্তে পড়বো। সেপ্টেমবরে ম্যাঙ্গালোর আর গোয়া-দমন-দিউর ট্রিপ প্ল্যান করছি, কাজেই এই পর্বটা ইন্টারেস্ট নিয়ে পড়বো। 
  • | ১৩ জুলাই ২০২৪ ০৯:৪০534587
  • দমন দিউ যাওয়া হয় নি।  ভাল লাগল।  পুরোনো গোয়ার ব্যাসিলিকা অব বম জেসাসে ছবি তুলতে দেয়। সত্যি বছর পাঁচেকেই এটা ঘিজিমিজি ট্যুরিস্ট স্পট হয়ে যাবে। উড়িষ্যার দুবলাগড়ি সৈকত তো দুই বছরের মধ্যেই ঘিজিমিজি হয়ে গেছে যা দেখি। 
  • পাপাঙ্গুল | ১৩ জুলাই ২০২৪ ১৯:৩৬534622
  • ধন্যবাদ কেকে। ওটা প্রধান অল্টার না , ওখানে দাঁড়িয়ে পাদ্রী বই থেকে পড়েন মনে হল। একরকম ব্যালকনি , মাইক ইত্যাদি আছে। সমুদ্রে এমনি নেমে পা ভেজানো যাচ্ছিল , একটু গভীরে গিয়ে স্নান করা বারণ। ওখানে মাঝে মাঝেই স্নান করতে গিয়ে মারা যান লোকজন। 
     
     
    শুভশ্রী , ধন্যবাদ আপনাকে। 
     
    ডিসি , ম্যাঙ্গালোর থেকে গোয়া তো গাড়িতে যাওয়া যায়। দমন দিউ অনেক দূর, মহারাষ্ট্র পেরিয়ে। 
     
    ধন্যবাদ দ দি , পুরোনো গোয়া বা দিউ যাওয়া হয়নি এখনো। দেখি যেতে পারি কিনা। 
  • dc | 2401:4900:7b72:5618:51b9:fa46:18d1:***:*** | ১৩ জুলাই ২০২৪ ২১:০৮534629
  • পাপাঙ্গুল, তা যায়। আমরা যাবো ব্যাঙ্গালোর থেকে, ম্যাঙ্গালোর থেকে ওপর দিকে ওঠার ইচ্ছে আছে। গোয়া অনেকবার গেছি, তাই এবার মনে হয় বাইপাস করে যাবো বা নাইট স্টে করবো। দমন দিউ কখনো যাইনি কিন্তু অনেক নাম শুনেছি, তাছাড়া আপনার লেখা পড়েও চমৎকার জায়গা মনে হচ্ছে। দেখা যাক। 
  • মোহাম্মদ কাজী মামুন | ১৪ জুলাই ২০২৪ ০০:৫৬534644
  • লেখকের প্রতি শ্রদ্ধা দুটো কারণে। লেখকের চোখকে শ্রদ্ধা যে এত খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছে। আর লেখকের ইচ্ছেকেও শ্রদ্ধা যে সব দেখার আনন্দকে পাঠকের সাথে ভাগ করে নিতে চেয়েছে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন