ছবিঃ এশাম্পল, বার্সেলোনা
গাউদির জাদুঘর
মানুষ নতুন কিছুই সৃষ্টি করে না, প্রকৃতির রূপকে নিত্য আবিষ্কার করে মাত্র - আন্তনি গাউদি
দৈনন্দিনকে দুয়োরে রেখে নবীন, পুরাতন ও চিরন্তনের খোঁজে দ্বারদক্ষিণা দিয়ে আমরা প্রবেশ করি ছবির গ্যালারিতে, জাদুঘরে, কলকাতা বা ব্রিটিশ মিউজিয়ামে, বার্লিনের পেরগামনে, প্যারিসের ল্যুভরে। সেখানে সঞ্চিত মানুষের ইতিহাসের শিল্প, কলা, স্থাপত্যের সাধনার সমাহারকে বন্দনা জানিয়ে ফিরি, ট্রাম বাস টিউব মেট্রো ধরে আবার মিশে যাই প্রতিদিনের পথের ধূলায়; সুন্দরের সঙ্গ লাভের স্মৃতিটুকু থেকে যায়।
কাসা মিলা
জাদুঘরে নয়, আন্তনি গাউদি প্রকৃতি, আলো এবং ঈশ্বরকে নিয়ে তাঁর খেলাঘর, তাঁর বৈঠকখানা সাজিয়ে রেখেছেন বার্সেলোনায়; দেখি তাঁর হাতে গড়া বাড়ি, তরঙ্গের মতন ব্যালকনি, ছাদে চীনেমাটির গোল চিমনি, বারান্দার ধাতব রেলিংকে মনে হয় নধর, পেলব, কোমল; যেন অবহেলে এক শিল্পীর আঙ্গুলের মোচড়ে টানা, সিঁড়ি আমাদের একতলা থেকে দোতলা নয়, নিয়ে যায় এক অলৌকিক উচ্চতায়, বসার ঘর অবারিত আলোকের ঝরনাধারায় ভেসে যায় না, আলোর বর্শা আসে কোনাকুনি বল্লমের ফলার মতো, আবিষ্কার করে গৃহকোণের গহন গৌরব। গাউদি অপছন্দ করেন সোজাসুজি টানা লাইন, তিনি বললেন, প্রকৃতিতে সমকোণ বলে কিছু নেই। দুটো ঘরের মাঝে সিধে জ্যামিতিক দেওয়াল তিনি তোলেন না – তাতে আমাদের স্পেস, আমাদের সীমা হয় আবদ্ধ। তাই দেওয়ালের মূর্তি বদলে দিয়ে আনেন যেন এক ত্রিভঙ্গ মুদ্রার ছন্দিত বেড়া, সে বেড়ার মধ্যে ফাঁক ফোঁকর, বাতাস খেলে যায় এখানে সেখানে – এয়ার কন্ডিশনের প্রয়োজন হয় না! প্রকৃতিকে তিনি জানলার বাইরেই দেখেন না, ঘরের ভেতরে নিয়ে আসেন। তাঁর কাছে একটি গাছ সকল জ্যামিতিক সৌন্দর্যের প্রতীক – সাগ্রাদা ফামিলিয়ার ভেতরে তিনি এনেছেন বৃক্ষের প্রতিকল্প। তীক্ষ্ণ তির্যক জানলাওলা গথিক গিরজের স্থাপত্যকে মনে করেন এক নিতান্ত পঙ্গু গঠন যাকে ক্রাচের ভরসায় দাঁড় করিয়ে রাখেন স্থপতিরা। গাউদি বলেন সে গিরজে দেখতে ভালো লাগে যখন পুরনো হয়ে যায়, তার গায়ে শ্যাওলা ওঠে, আইভির পাতায় ঢেকে যায় তার অবয়ব! গাউদির সরঞ্জাম ইট পাথর শুধু নয়। কাচ, কাঠ, ফেলে দেওয়া ভাঙ্গা সেরামিকের টুকরো, রঙ্গিন কাঁচ পাথরের মোজেইক, কলের পাইপ, পেটানো লোহার ভগ্নাংশ- সব দিয়ে তিনি তাঁর ঘর গড়েন। নিজের আগ্রহে জেনেছেন গথিক কায়দা, ইসলামিক, পারস্য, ভারতীয় স্থাপত্য, মায়ান পিরামিডের ছক, চিনের প্রাসাদ, জাপানি মন্দিরের গড়ন। খুঁটিয়ে বুঝতে চেয়েছেন স্পেনে পাঁচশ বছরের ইসলামিক, মুর স্থাপত্যের মর্মবাণী,ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়েছেন নাসরিদ আমলের শ্রেষ্ঠতম কীর্তি আল হামবরা প্রাসাদে, যেখানে অসাধারণ কারুকাররা উদ্যানকে এনেছিলেন প্রাসাদের নিভৃত অঙ্গনে। আপন দেশ মাতৃভূমি কাতালুনিয়া, মায়রকার পথ প্রান্তর গ্রাম পর্বত থেকে পেয়েছেন অনুপ্রেরণা। কাতালান ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলেননি; স্পেনের রাজা পঞ্চদশ আলফনসো তাঁকে কাস্তেইয়ানে কুশল প্রশ্ন করলে গাউদি জবাব দিয়েছেন কাতালানে; প্রধানমন্ত্রী মাউরো সেটির অনুবাদ রাজাকে শুনিয়েছেন।
সাগ্রাদা ফামিলিয়া
গাউদি কোনো কালের, যুগের মাপে বাঁধা পড়েন না। ঐ যে আমরা শুনি এটা জর্জিয়ান, সেটা এলিজাবেথান, ওটা পাল যুগের, কুশান কালের এমনধারা তকমা গাউদির প্রাপ্য নয়। সে যাবত চেনা বিশ্বের সৃষ্টির সকল ছন্দকে ধরেছেন তাঁর হাতের মুঠোয়। ঠাকুরের কথায় তিনি বলতেই পারতেন, এই দ্যাখ, সব মিলিয়ে মিশিয়ে দিলুম, এর নাম কি দিবি এবার? গাউদি স্থাপত্য বিদ্যা শেখানোর পাঠশালা খোলেননি, বেরেঙ্গারের মতন কয়েকজন তাঁর পাদপ্রান্তে বসেছেন মাত্র। বাড়ি বানানোর স্কেচ, কোন প্রোটোটাইপ, মডেল তাঁর ছিল না। সাদা কাগজে লাইন টেনে মকশো করেন নি কখনো; কোন দেওয়াল, কোন অলিন্দকে, একটা লোহার গেটকে কোন চেহারা যে দেবেন সেটা দু মিনিট আগেও তিনি জানেন না।
গাউদির বানানো চিমনি
রিগা শহরের আলবার্তা ইয়েলায় দেখেছি আর্ট নুভোর বিনি পয়সার উন্মুক্ত প্রদর্শনী। দুই থেকে আট নম্বর বাড়িতে আইজেনস্টাইনের বানানো চারটি বাড়ির মধ্যে কিছু মিলে যায়। এলিজাবেতেস ইয়েলায় পাশাপাশি দুটি কাজের মধ্যে কোন লক্ষণীয় মিল আছে। সেই একই পাড়ায় দু হাত দূরে আইজেনেস লাউবে, অন্য রাস্তায় পেসকেনস বা মানডেলস্টাম খানিক আলাদা কিছু রচনা করলেও তাঁদের স্থাপত্যকে সামগ্রিকভাবে একই বিদ্যাপীঠের অন্য শ্রেণিতে ফেলা যায়। ঘরানার নাম আর্ট নুভো, নতুন শিল্প। পরের পর এসেছেন সাগরেদ। গুরুর পদতলে বসেছেন শিষ্যবৃন্দ; কোনোদিন হুনডারটভাসার (ফ্রিডেনসরাইখ স্টোভাসার) তাকে আরেক নিশানায় নিয়ে যাবেন। ডিজাইনের চেনা ব্যাকরণের পাতা তাঁরা ছিঁড়ে ফেলেছেন, সেই সঙ্গে হয়তো অজান্তেই রচিত হয়েছে আরেক পাঠমালা - বুদাপেস্ট, ব্রাতিস্লাভা, প্যারিস, রিগা, বুখারেসটে টুরিস্ট গাইডরা সেই সব বাড়ির সামনের ফুটপাথে লোক জড়ো করে আর্ট নুভোর ব্যাখ্যা শোনান; কোন বাড়ির তিনতলার বারান্দার ফুলের সঙ্গে তিনটে রাস্তা বাদে আরেকটা বাড়ির দেওয়ালের তিরিশ শতাংশ মিল আছে।
কাসা মিলায় পেটানো লোহার রেলিং
কোনো শহরে বেড়াতে গেলে খুঁজে পেতে তৃতীয় শতাব্দীর রোমান আর্চ বা একাদশ শতকের গিরজের গায়ে বাইজেনটাইন ফুল দেখানোর বিষয়ে আমার যতখানি উৎসাহ ছিলো, পুত্র কন্যার বিবমিষা তার দশগুণ। “বাবা, অমন অনেক দেখেছি, আর কতো দেখতে হবে?” এই আর্গুমেন্ট বার্সেলোনায় খাটেনি!
গাউদির বানানো ল্যাম্প পোস্ট
গাউদির ঘরানা নেই, গাউদি স্কুল অফ থট নেই, দি গাউদি ওয়ে নামের কোন কেতাব নেই। দুটো কাজ এক রকমের নয়, নিয়মে ঘোর অবিশ্বাসী তিনি। বার্সেলোনা স্কুল অফ আর্কিটেকচারের শেষ মৌখিক পরীক্ষায় প্রিন্সিপাল গাউদির ডিগ্রি মঞ্জুরে স্বাক্ষরের পরে ঘরের সমবেত অধ্যাপকদের দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, ভদ্রমহোদয়গণ, আজ আমরা যার মুখোমুখি হয়েছি হয় তিনি এক অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী অথবা একেবারে দুরারোগ্য এক বদ্ধ উন্মাদ। বাড়ি ফিরে গাউদি বন্ধুদের বললেন, ওদের মতে আমি এখন একজন আর্কিটেক্ট! আন্তনি গাউদির বয়েস ছাব্বিশ।
গাউদির ক্রস
অর্থনীতিতে প্রথম নোবেল বিজেতা আমেরিকান পল স্যামুয়েলসন হার্ভার্ডে তাঁর ডক্টরাল ভাইভা শেষে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলে অধ্যাপকরা মুখ চাওয়া চাওয়ি করে বলেছিলেন, আমরা কি কিছু শিখলাম আজ? স্যামুয়েলসনের বয়েস ছাব্বিশ।
কাসা বোতেও
কাসা বোতেও-র অন্দরে
গাউদির প্রথম কমিশন রাজবাড়িতে ল্যাম্প পোস্ট বানানোর! প্রথম বাড়ি কাসা ভিচেনস, প্যারিস ওয়ার্ল্ড ফেয়ারে কাতালুনিয়ার স্টলে একটি কোম্পানির হয়ে দস্তানা বানালেন। বার্সেলোনার বিশেষ রইস আদমি ইউসেবি গুইয়েল এইসব দেখে বললেন ঐ ছুটকো ছাটকা কাজ ছেড়ে আমার জন্য অট্টালিকা, মহল বানান, শহরে আমার জমি আছে অনেক, তার খানিকটা দিয়ে আমার পরিবারের ব্যবহারের জন্যে প্রাইভেট পার্ক তৈরি করুন। এরই মধ্যে বার্সেলোনার নগর পালিকা, গিরজের বড় পুরোহিত বললেন আমাদের স্থপতি (ফ্রানসেসকো ভিলার) হঠাৎ কাজ ছেড়ে চলে গেছেন, কেন কে জানে। আপনি এখানেও লেগে পড়ুন। গাউদি তাতেও রাজি হলেন। প্রকৃতি আলো এবং ঈশ্বর তাঁর ধ্যান ধারনার তিনটি অবলম্বন, মাত্র একত্রিশ বছর বয়েসে তিনি সাগ্রাদা ফামিলিয়ার কাজ শুরু করেন। গোটা বার্সেলোনার মানুষ তাঁর কাজে অভিভূত, অর্থবান মানুষেরা নিত্যি নতুন কন্ট্রাক্টের লোভ দেখান। অর্থের কোন আকর্ষণ কোনদিন ছিল না, গাউদি শেষ দিকটায় অতি সাধারণ পোশাক আশাক পরতেন; ঈশ্বর এবং সৃষ্টিতে তাঁর মন আবদ্ধ।পরের চল্লিশ বছরে গাউদি বার্সেলোনাকে দিলেন রূপ ও বর্ণ।
পার্ক গুয়েল
গাউদির কাজ শহরময় ছড়ানো। আপনাদের শুভ চিন্তক এবং বিনি পয়সার মার্গ দর্শানোর বাসনায় জানাই অন্তত যেগুলো না দেখে বাড়ি ফিরলে আপনার গুণী বন্ধুরা ছ্যা ছ্যা করবেন সে তালিকায় পয়লা নম্বর লা সাগ্রাদা ফামিলিয়া, অবশ্যই দেখবেন। তাকে এড়িয়ে যাওয়ার কোন উপায় নেই, শহরের যেখানে যেদিকে যাবেন সেই পবিত্র পরিবারের বাসস্থানের চুড়ো চোখে পড়বেই। সেখানে থেকে সামান্য হেঁটে কাসা মিলা (লা পেদ্রেরা নামেও পরিচিত); আহা তার ব্যালকনির রেলিং যেন সমুদ্রের ঢেউ, পাঁচ মিনিটের কম দূরত্বে কাসা বোতইয়া, অনতিদূরে কাসা ভিচেনস, গাউদির প্রথম মেজর কাজ। পশ্চিম প্রান্তে একটু দূরে টোররেস বেলেগারদ, মধ্য যুগের কাতালান গথিক স্থাপনার নমুনা কিন্তু স্বভাবসিদ্ধ ভাবেই গাউদি তাকে অন্য চেহারা দিয়েছেন। এই পর্ব শেষে অতি অবশ্য যাবেন পার্ক গুইয়েল; এক অনবদ্য ওপেন এয়ার একজিবিশন। চরণ বাবুর গাড়িতে সেখানে যাওয়া যুক্তিযুক্ত হবে না, গ্রিন লাইনের ট্রেন ধরে লেসেপস নামতে হবে। ইউসেবি গুইয়েল গাউদির সঙ্গে বাসস্থান সহ যে পার্কটি বানানোর চুক্তি করেছিলেন তার আকার বদলেছে। আঠারো একর জমিতে বিস্তৃত পার্ক গুইয়েল কিছুটা প্রাইভেট কিন্তু খানিকটা পাবলিকের জন্য (মনুমেন্টাল)। ফ্রি, কোন টিকিট কাটতে হয় না। তার সিঁড়িটিই আমাদের চমকে দেয়। সম্পূর্ণ খোলামেলা, তার বেঞ্চের মোজেইক থেকে চোখ ফেরানো শক্ত।
পার্ক গুয়েল এর সিঁড়ি
পার্ক গুয়েল এর বেঞ্চের মোজেইক
গাউদি কি একসেনট্রিক? জানি নে সঠিক। এ যে অপূর্ব অদ্ভুত, ছন্দে গানে চলিয়াছে অলক্ষের পানে। নিজের কীর্তির চেয়ে মহৎ এই ময়দানব একটি ছত্র লিখে গেলেন না। প্রয়োজন ছিল না। বার্সেলোনা তাঁর খোলা বই।
মহান স্থাপত্যের সামনে আমরা দাঁড়াই শ্রদ্ধা ভক্তির সঙ্গে, দূরত্ব রেখে। আমরা স্বচ্ছন্দে গাউদির সঙ্গে হাঁটতে পারি, কখন যেন তিনি আমাদের কাঁধে হাত রাখেন।
বার্সেলোনাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছেন গাউদি, রাখবেন চিরদিন।
পার্ক গুয়েল
গল্প আছে পাদুয়ার ডিউক তাঁর মহলের কৌলীন্য বিবর্ধনের বাসনায় উঁচু দরের শিল্পী খুঁজছিলেন। জিওতো সাদা কাগজে খালি হাতে একটি বৃত্ত এঁকে ডিউকের প্রতিভূর হাতে দেন, তিনি বললেন আপনার নামটা লিখে দিন। জিওতো বলেন, প্রয়োজন নেই। এমন বৃত্ত ইতালিতে যে মাত্র একজন আঁকতে পারে সেটা আপনার ডিউক জানেন।*
আন্তনি গাউদি একক, গাউদির প্রতিটি সৃষ্টি অনন্য, ইউনিক।
তিনি ঈশ্বরের কারিগর।
কাসা মিলার ছাদে লেখক
পুনশ্চ:
আরাগনের রাজা ফারদিনান্দ ও কাস্তিলের রানি ইসাবেলার বিয়ের পরে পাঁচশ বছর কেটে গেলেও রানির তরফের মানুষজন তাঁর শ্বশুর বাড়ির দেশে তাঁর ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সমানে। একনায়ক জেনারাল ফ্রাংকোর আমলে তিরিশ বছর স্কুল কলেজে ও সর্ব সমক্ষে কাতালান ভাষার ব্যবহার ছিল নিষিদ্ধ- সেটি স্প্যানিশ জাতীয়তাবাদ বিরোধী, অ্যান্টি ন্যাশনাল! বাকি ইউরোপ এ বিষয়ে মুখটি খোলে নি। ফ্রাংকোর মৃত্যু এবং রাজতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার পরে এই নিষেধাজ্ঞা বাতিল হয়।
১৯৯২ সালে বার্সেলোনা অলিম্পিকের আগেই কাতালান সরকার এবং ক্রীড়া কর্তৃপক্ষ রাজাকে জানান তিনি যেন তাঁর বক্তিমেটি কাতালান ভাষায় শুরু করেন। অগত্যা উদ্বোধনের সময় রাজা খুয়ান কার্লোস কাতালানে বলতে বাধ্য হয়েছিলেন, আমি এই পঁচিশতম অলিম্পিক ক্রীড়া উন্মুক্ত ঘোষণা করছি!
তারপরেই দেশের আম আদমির কথা ভেবে কাসতেইয়ানে তর্জমা শোনান!
*জিতোর কাহিনীটি মিকেলএঞ্জেলোর নামেও চালু আছে; আমাদের কলেজে এক অধ্যাপকের কাছে প্রথম শুনি। সেটি তথ্য দ্বারা সমর্থিত নয়।
আন্তনি গাউদি ই করনেত
জন্ম ২৫শে জুন ১৮৫২ রেউস, কাতালুনিয়া
মৃত্যু ১০ই জুন ১৯২৬ বার্সেলোনা