এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  বাকিসব  মোচ্ছব

  • নবমোদি

    হাট্টিম লেখকের গ্রাহক হোন
    বাকিসব | মোচ্ছব | ২৭ অক্টোবর ২০১৮ | ১২৩০ বার পঠিত
  • আপনাদের খারাপ স্বভাব। স্বদেশের ঠাকুর ছেড়ে বিদেশ না কোথা থেকে আসা দুগ্গা কালী মাইকেল জ্যাকসন আর মাওসেতুং নিয়ে মেতে আছেন। তারওপর বাঙালি হওয়ার পাপ। চোখের সামনে নভ্রাত্রি দেখেও চোখ ঘুরিয়ে চলে যান। যেন উন্নাসিক বরযাত্রী। কিন্তু এই ব্যাদড়ামি বেশিদিন চলবেনা। বং ত্যাঁদড়দের জন্য উপযুক্ত ওষুধ - স্ট্রং বাঁদর এসে গেছেন। ওঁকে মহাবাঁদরও বলা যায়, তবে সেকথা ক্রমশ প্রকাশ্য। আপাতত জেনে নিন এই নব্যকল্কিকে কীভাবে বন্দনা করবেন। জানতাম, কল্কি বললেই আপনাদের বলিউড মনে পড়ে। মন শুদ্ধ করুন, এসেছে নরমপাক আপনারি পাড়াতে। আজকের রেসিপি নবমোদি। সদ্যলব্ধ নবদুর্গার ফান্ডা চটকে, সামান্য রাজনীতি আর অল্প বলিউড মিশিয়ে তৈরি গণতন্ত্রের পুষ্টিকর পিন্ডি। দেখে নিন, মানুষজন্মের বিভিন্ন সময়ে কোন কোন আভাতারে হাজির, বা এসে চলেও গেলেন ঈশ্বর । নয় রূপে সম্মুখে তব।

    ১) মোদিজাতকঃ ১৯৫০, ঈশ্বরের জন্ম হলো, সেপ্টেম্বর মাসে। ডিসেম্বরের মধ্যে সর্দার প্যাটেল আর ঋষি অরবিন্দ নিকেশ। তবে এর চেয়েও বিস্ময়, জন্মের দু বছর আগেই গান্ধিজীকে সরিয়ে রাখলেন । সার্জিকাল স্ট্রাইক।

    ২) বালমোদিঃ ১৯৫৬ সাল। চন্দ্রকলার মত বাড়ছেন। দেখে লজ্জায় আম্বেদকার বৌদ্ধ হয়ে গেলেন, সঙ্গে অনেক সাঙ্গোপাঙ্গ। অবশ্য এসব ঈশ্বরের অজানা ছিলোনা, তার আগেই ধরাধামে এনে ফেলেছেন শ্রী শ্রী রবিশংকরকে, যাতে দুঃস্থ ভারতবাসী ভরসা পান। আর্ট অফ গিভিং।

    ৩) মোদিকিশোরঃ আরো ক'বছর অতিক্রান্ত। চায়ের দোকান চালিয়ে ইশকুলে তর্ক করে ঝাঁঝালো কিশোর। শোনা গেল স্বয়ংসেবক হয়েছেন। শুনে ডিপ্রেশনে ভুগে মারা গেলেন বিধান রায়। সেটা ১৯৬২ সাল। রাজধানী টালমাটাল। চীন এসব দেখে বুঝলো এ মসিহা না হয়ে যায়না, অঙ্কুরেই নাশ করতে হবে। চিনিভাইরা কাশ্মীর আকসাই চীন দখল করে সবে দুটো ঝাল রামান মুখে দিতে বসেছে, এমন সময় চিকন গলায় হুঙ্কার ভেসে এলো, " তুমি এত লাফালে, মোর হাতে রাফালে"! পত্রপাঠ পলায়ন। কিশোর চায়না থেকে কেনা বাঁশিটি ডান ও প্লাস্টিকের গোবর্ধন পর্বত রেপ্লিকা বাম পকেটে ফেলে মৃদু হেসে ফিরলেন। আকাশ থেকে পুষ্পবৃষ্টি করে রামগোপাল বর্মা ও জয়াপ্রদার জন্ম হলো। পথ দেখানোর প্রয়োজন ফুরিয়েছে জেনে ইহলোক ত্যাগ করলেন নেহরু।

    ৪) মোদিগৌতমঃ পূর্ণচন্দ্রের মত শ্রীবৃদ্ধি। তেজের বহিঃপ্রকাশে ধানবাদে কয়লাখনিতে ২৭৪ জন মারা গেলেন। তেজের অংশ পেয়ে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধ করে ফেললো। ভারতে রেনেসাঁ আসতে চলেছে বুঝে স্বর্গ থেকে আমীর, শাহরুখ, সলমন, বাবা রামদেব, পদ্মিনী কোলাপুরী আর সুধা চন্দ্রন একসাথে চলে এলেন। আমরা এসে গেছি ১৯৬৫ সালে। আরো দু বছর পরে সবাইকে কাঁদিয়ে (বাড়ির লোকেদের কথা জানা যায়নি) মহাভিনিষ্ক্রমণ।

    ৫) খোশামোদিঃ ১৯৬৮। খোলস ছেড়ে বেরোচ্ছেন, যেন প্রজাপতি, যেন মুলতানে সেহওয়াগ। পরিব্রাজক রূপে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব ভারত চষে ফেললেন। বিবেকানন্দের ভাবশিষ্য বলে পরিচয় দেওয়ায় হিংসেয় জ্বলে বেলুর মঠ ঢুকতে দিলোনা। প্রতিক্রিয়ায় জন্ম হলো রাজ থ্যাকারে, নীলম আর আবু সালেমের। কিন্তু ঈশ্বর শান্তির দূত, ঝটিতি ধনরাজ পিল্লাই আর কুঞ্জরাণী দেবীকে এনে দিলেন। নীল দিগন্তে তখন ম্যাজিক।

    ৬) তোষামোদিঃ ১৯৭১ সালের যুদ্ধে বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। ঈশ্বর বুঝলেন তাঁর লীলাকাল সমাপ্ত, এখন অ্যাকশনে নামতে হবে নইলে লিবেড়ালে ছেয়ে যাবে বিশ্বচরাচর। ফুলটাইম প্রচারক হয়ে গেলেন। '৭৫ এ জরুরি অবস্থা এলো, আরেসেস নিষিদ্ধ ঘোষিত হলো। ঈশ্বর আন্ডারগ্রাউন্ড হলেন, সেই পাপে কিন্নরে ভূমিকম্প হলো। রিখটার স্কেলে ৬.৮ মেপে ম্লেচ্ছরা হাঁ হয়ে বললো তো সা নেহি দেখা। সেটাই লোকমুখে তোষা হয়ে গেল।

    ৭) মোদিকৃষ্ণ: ১৯৭৭ থেকে পুরো আশির দশক জুড়ে ঈশ্বর খুঁজে গেলেন পথ, কোন সে পথ যা প্রথমে গুজরাটকে এবং একসময় পুরো দেশকে মুক্ত করবে? এই অস্থির সময়ে দেশ তো দিশেহারা হলোই, পৃথিবী জুড়ে অশান্তি ও অদ্ভুৎ সব ঘটনা শুরু হলো। ভয়ানক সময় আসছে বুঝে ঈশ্বর চার্লি চ্যাপলিনকে মুক্তি দিলেন। তারপর দৈববাণী করে বললেন, ওরে পাগল, তোরা আর কে কাকে মারবি, আমিই তো সবাইকে মেরে রেখেছি। বলামাত্র সুদান লেবানন ও শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধ, ইরান-ইরাক যুদ্ধ, ভারতের বিশ্বকাপ ও বেনসন অ্যান্ড হেজেস জয় ইত্যাদি বহু ঝামেলা শুরু হলো। তারপর ১৯৮৭ সালে ঈশ্বর গুরুত্বপূর্ণ পদ পেলেন পার্টি কমিটিতে, আবারো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলো ক্রিকেট দল, বাংলায় তৈরি হলো অমর সঙ্গী। চীন বিশ্বরাজনীতিতে প্রভাবে পিছিয়ে পড়ছে বুঝে তিয়েনামেন স্কোয়ারে ১৯৮৯ সালে ছাত্ররা বিদ্রোহ করলো। কিন্তু ততদিনে দেরি হয়ে গেছে। স্মল স্টেপ ফর ঈশ্বর, জায়ান্ট লিপ ফর গুজরাট।

    ৮) মোদিরাজঃ পুরো নব্বই সাল জুড়ে ঈশ্বর গুজরাট ভেঙে নতুন করে গড়লেন। অমন সময় ভারতে এর আগে এসেছিলো সেই তখন যখন তেজস্ক্রিয় পায়েস খেলে গর্ভনিরোধকও কাজ করতো না। ১৯৯১ সালে এসব আন্দাজ করেই ঈশ্বর সূক্ষ্ম্য শরীর ধরে ভারতের অর্থনীতির কাছা খুলে দিয়ে বলেছিলেন, যা সিমরন যা। সেই দিনবদলের ডাক শুনে এলটিটিই জঙ্গীরা এসে রাজীব গান্ধীকে মেরে দিলো। কিন্তু এই শোক বেশিদিন মানুষকে সহ্য করতে হয়নি। ১৯৯২ সালে ধূমকেতুর মত এসে পড়লো জি টিভি। এবং বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়ে ভক্তেরা জানালেন, ঈশ্বরের ছত্রছায়ার জন্য দেশ প্রস্তুত। ক্রমশ প্রস্ফুটিত ঈশ্বরের বিশ্বরূপ দেখে হতাশায় সারাবছর জুড়ে একে একে মৃত্যুবরণ করলেন কানন দেবী, সত্যজিৎ রায়, আমজাদ খান। এই উৎসব ও আনন্দের আবহাওয়ায় বলিউডে অপূর্ব সব ছবি তৈরি হতে শুরু করলো, বেশিরভাগই বিবাহবিষয়ক আর তাতে মনমাতানো গানের সমাহার। এত বিয়ে হচ্ছে দেখে নার্ভাস হয়ে কংগ্রেসের নেতারা বোফর্স দুর্নীতি করে ফেললেন, যা সম্ভবত অনিচ্ছাকৃত ভুল।
    ১৯৯৫ সাল নাগাদ শুরু হলো চরম উত্তেজক অধ্যায় যাকে ভালো বাংলায় ক্লাইম্যাক্স বলে। সেপ্টেম্বরে গণেশ দুধ খেয়ে জানালেন আর দেরি নেই। অক্টোবরে ডিডিএলজে মুক্তি পেলো, আর ডিসেম্বরে পুরুলিয়ায় ঈশ্বর পুষ্পকরথ থেকে অস্ত্রবৃষ্টি করলেন। অন্যান্য অস্ত্রের সাথে ইউরেনিয়ামে রাঙানো একটা জাঙিয়াও পড়েছিলো, তার রং বলার জন্য একটি টক শোয়ের আয়োজন হয়। সেই লাইভ অনুষ্ঠানে সমস্ত জাতি গলার শির ফুলিয়ে বলে "রং দে মোহে গেরুয়া"। সমগ্র জাতি জাঙিয়া পরতে শুরু করে তাই ঈশ্বরকে উলঙ্গ হতে হয়। ঈশ্বর জাঙিয়াহীন দেখে দ্যাবাপৃথিবী একত্র হয়ে এক অপূর্ব আলখাল্লা রচনা করে, যার সুতো ইতালির আর বোতাম প্যালেস্টাইন থেকে আনা।
    '৯৬ সালে ঈশ্বর তেরো দিনের সরকার গড়েও অনুপ জালোটার মত “খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে” গেয়ে ভেঙে দিলেন। দেশ অনাথ হয়ে গেল। দুঃখ সহ্য করতে না পেরে পরের বছর মারা গেলেন মাদার টেরেসা । বিজেপি সরকারে নেই খবর পেয়ে শোকস্তব্ধ দ্বিতীয় এলিজাবেথ চলে এলেন দেশবাসীকে সান্ত্বনা দিতে।
    কিন্তু লীলাময়ের কাজ অন্যে কি করতে পারে ? সাময়িক ঝিম কাটিয়ে একটা প্রকাণ্ড খাঁড়ায় শান দিয়ে শঙ্খে ফুঁ দিলেন রাজা । পলকে পোখরানে দ্বিতীয় নিউক্লিয়ার টেস্ট। অতঃপর এসে গেল ক্রমান্বয়ে ২০০১ ও ২০০২। পরপর হলো ৯-১১ ও গুজরাট দাঙ্গা। বলা বাহুল্য এসব চীন, পাকিস্তান আর আমেরিকার কারসাজি।

    মানুষ দাঙ্গায় যখন মেতে উঠেছে, ঈশ্বর নেমে এলেন শান্তির জল হয়ে। আগুন নিভে গিয়ে আইসক্রিমের দোকান হলো, রক্ত মুছে হলো জবাফুল। কিন্তু কেন এই নরমেধ ?-- রাগে অবশ ঈশ্বর ভ্রূকুটি করতেই মরে যাওয়া লোকেরা ধুলো ঝেড়ে উঠে কোলাকুলি করে বাড়ি গেল। শুধু ঈশ্বর আমেরিকাকে ক্ষমা করলেন না। ওরা মেয়েছেলেদের শাসন করতে শেখেনি। ভারতের দাপট ও সহবৎ দেখে অনতিবিলম্বে দূর সিয়েরা লিওনে যে গৃহযুদ্ধ চলছিলো তাও থেমে যায়। ঈশ্বরকে শান্তির নোবেল দিতে গেলে তিনি তা ফিরিয়ে দেন। শ্রদ্ধায় অবনত বলিউড তেরে নাম ও মুঝসে শাদি করোগে বানালো। ঈশ্বরের কাছে মানত করে সলমন এইসময় পরচুলা পরেন। সলমনের শ্রদ্ধায় বস্তুজগত আপ্লুত হয়ে পড়ে। সলমনের গাড়ি একা একা পার্টিতে গিয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ফেরার পথে ফুটপাথে ঘুমন্ত ছ'জনকে মেরে দেয়। সলমন দুঃখে শিকার করতে গেলে ঈশ্বর আবির্ভূত হয়ে বরাভয় দেন। মুহূর্তে লাশগুলোর মুখোশ খুলে যায়, দেখা যায় সব হয় আই এস আই চর, নয়ত অনুপ্রবেশকারী। ঈশ্বর ও সলমনের প্রেমে মুগ্ধ এবং পাকিস্তানের শত্রুতায় ব্যথিত হয়ে কয়েকটি চিংকারা ও কৃষ্ণসার আত্মহত্যা করে। অন্যান্য যুগন্ধর অভিনেতাদের পেছনে ফেলে এইসময় সলমন অনেক এগিয়ে যান। তাই এরপর থেকে রেনেসাঁর গতিপ্রকৃতি বোঝার জন্য সলমনের কাজ উল্লেখ করলেই চলবে আমাদের।

    ৯) মোদিরথঃ ঈশ্বরের আশির্ব্বাদে গুজরাট শস্য শ্যামলা হয়ে ওঠে, চারিদিক এত সবুজ হয়ে উঠতে থাকে যে কচ্ছের রণ দেখে চেনা যায়না, মনে হয় কেরালা। গুজরাটে ঘন মিষ্টি দইয়ের মত জমাট সুখ দেখে দেশবাসী উতলা হয়। কিন্তু এই সময় আমেরিকার অভিশাপে ঈশ্বরকে কোর্টকাছারিতে ব্যস্ত থাকতে হয়, ফলে ভারতের অগ্রগতি ব্যাহত হয়। ২০১০ নাগাদ খুনখারাবির অন্যায় অভিযোগ থেকে ঈশ্বর অব্যাহতি পেতেই দেশজুড়ে উৎসব শুরু হয়। রিলিজ হয় ঈশ্বরের প্রথম দু'টি বায়োপিক দাবাং ও এক থা টাইগার।
    ২০১৪ এসে গেলে সারা দেশের মানুষ অবাক হয়ে দেখবে অচ্ছে দিন অর্থাৎ মথী কথিত সুসমাচারে যে ভালো দিনের কথা আছে সেই দিন আগত। দলে দলে লোক নিরামিষ খেয়ে, পুজো করে ঈশ্বরপ্রতিষ্ঠা করবে। ঈশ্বর সেই যে আমেরিকাকে ক্ষমা করেন নি, সেই পাপে এক রোগা, খিটখিটে কালোমানুষ আমেরিকার বুকে কিছুদিন অত্যাচার চালাবে। পরে অবশ্য ঈশ্বর দয়া করলে আমেরিকাও উদ্ধার হবে, স্বর্ণকেশ ও ফরসারঙের এক বিস্ময়বালক অবতীর্ণ হবেন -- সময়ের একই বৃন্তে দুটি বিস্ময় দেখে মানুষের চোখ জুরোবে। যেন অমিতাভ-ধর্মেন্দ্র অভিনীত রাম-বলরাম। রাশিয়াকে পাশে রাখলে ত্র্যহস্পর্শ। যেন অমর-আকবর-অ্যান্টনি। একে একে নানা মহৎ ব্রতে ভারতবাসীকে ব্যাপৃত রাখবেন ঈশ্বর। তাঁদের শেখাবেন টাকাই সব নয় (ডিমানিটাজেশন), চুরি করা ও প্রাণীহত্যা পাপ (আখলাখ লিঞ্চিং), সহিষ্ণুতা ও আত্মসমর্পণের থেকে বড়ো কিছু নেই (পরের নির্বাচন)। দেশের বাইরেও যথারীতি এই আত্মত্যাগের রেশ ছড়িয়ে পড়বে। মানুষ মারা বন্ধ করে প্রেমের আদর্শে বিশ্বাসী হবে আইসিস ও বোকো হারাম, ওয়াল স্ট্রিটের ব্যবসা গুটিয়ে সেই পয়সায় অনাথ আশ্রম খোলা হবে, যাবতীয় উৎসব উঠে গিয়ে ধুমধাম করে চালু হবে কুম্ভমেলা। সেলুলয়েডে ঈশ্বরের আরো ছাপ্পান্নটা বায়োপিক হবে (বজরঙ্গী ভাইজান, অ্যাভেঞ্জার্স-ইনফিনিটি ওয়ার, প্রেম রতন ধন পায়ো, দ্য মাঙ্কি কিং ইত্যাদি)।

    সব কথা এই তুচ্ছ লেখায় ধরা সম্ভব নয়, বিশদ জানতে "দ্য ব্লাহ স্টোরি" পড়ুন। ঈশ্বরের মাহাত্ম্য যে অসীম হয় তা অতীতের দিকপালেরা বলে গেছিলেন। ক্ষেত্র প্রস্তুত করার ইঙ্গিত দিতে গিয়ে সুকান্ত লিখেছিলেন নবজাতকের কাছে তাঁর অঙ্গীকারের কথা, তাঁকে চিনতে যাতে ভুল না হয় তাই আইনস্টাইন বলেছিলেন মানুষের অসীম মূর্খতার কথা, রবিঠাকুর ব্যজস্তুতিতে গেয়েছিলেন এক মহাবাঁদরের গান (ঐ মহামানব আসে), আর রামানুজন চিনেছিলেন এই অসীম শক্তির ঠাকুরকে। এতগুলো সেলিব্রিটি বলেছেন, তাও আপনাদের দ্বিধা?
    এখনও সময় আছে, শুধরে যান, নইলে ইসে খতরেঁ মেঁ হ্যায়। ঈশ্বরের ভক্ত হোন, ছাইপাঁশ আমিষ না খেয়ে টি এন শেষণের মত শুদ্ধ শাকাহারী আর অলকনাথের মত সংস্কারী হোন। তাহলে মরার পর সগগো ও পুষ্পক রেডি পাবেন, নচেৎ ন্যানোবাহিত নরকযাত্রা কেউ ঠ্যাকাতে পারবেনা। সলমনের পেশীযুক্ত ভক্তের দল "ও ও জানে জানা" গাইতে গাইতে এলো বলে।

    তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • বাকিসব | ২৭ অক্টোবর ২০১৮ | ১২৩০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Anamitra Roy | ***:*** | ২৭ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:২০85877
  • গোটাটা পরে একটাই প্রশ্ন এলো মনে। "আ আ জানে জানা" নাকি "ও ও জানে জানা"? :D
  • Anamitra Roy | ***:*** | ২৭ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:২১85878
  • আঃ! ভুল বানান পোস্ট হয়ে গেলো। যাকগে, ঈশ্বর ঠিক করে দেবেন বলেই মনে হয়।
  • amit | ***:*** | ২৭ অক্টোবর ২০১৮ ১১:১১85879
  • জব্বর হয়েছে । ক দিয়ে গেলুম।

    জাস্ট একটা দুটো তথ্যগত মিসম্যাচ চোখে পড়লো। ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা ১৯৮৪ এ আর বেনসন & হেজেস জেতা ১৯৮৫ e। গনেশ এর দুধ খাওয়ার ভেল্কিবাজি র সাল ঠিক মনে পড়ছে না, কিন্তু ২০০৩ -৪ নাগাদ হবে মনে হয়। তবে এই বুজরুকি বেশ কয়েকবার হয়েছে মনে হয়।
  • ভক্ত | ***:*** | ২৯ অক্টোবর ২০১৮ ০৫:২৫85880
  • আপনারা ভক্তের ধন্যবাদ ও ঈশ্বরের আশির্ব্বাদ জানবেন। তথ্যভ্রান্তিগুলি ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। গণেশ প্রথমবার প্রকাশ্যে দুধপান করেন ১৯৯৫ সালেই, এই অধম ভক্তের স্বচক্ষে দেখা ঘটনা। পরে অবশ্য তৃষ্ণা বেড়ে যাওয়ায় ঘনঘন পানের অনুষ্ঠান করতে হয়েছে।
  • সিকি | ***:*** | ৩০ অক্টোবর ২০১৮ ০৫:৩৮85882
  • গণেশ দুধ খান ১৯৯৪ নাগাদ। তার পরের বছরই বহুতলের জানলা গলে পড়ে গিয়ে মারা যান দিব্যা ভারতী। আমরা শোকাকুল অবস্থায় উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা দিতে যাই।
  • amit | ***:*** | ৩০ অক্টোবর ২০১৮ ১০:২৯85884
  • আপনারা এখানে খিল্লি করছেন , আর ওদিকে মহামানব আজকে লৌহমানব এর ৬০০ মিটার মূর্তি উদ্বোধন করতে চলেছেন। মহামানব বলেছেন গোটা পৃথিবীর লোক এখন থেকে স্ট্যাচু অফ লিবার্টি ছেড়ে টিকেট কেটে লৌহমানবের মূর্তি দেখতে এসে পড়লো বলে। কোথায় দলে দলে গুজরাটে গিয়ে এই মহান কারিয়াক্রমে সামিল হবেন , তা না , যত সময় নষ্ট। এই জন্যেই দেশটার কিস্যু হলো না।

    আর এক লৌহ মানব আডবাণী নাকি ওদিকে মনের দুঃখে শয্যা নিয়েছেন, সে যাক গিয়ে। বড়ো বড়ো দেশের ছোট ছোট ব্যাপার দেখতে নেই।
  • | ***:*** | ৩০ অক্টোবর ২০১৮ ১২:১৬85881
  • উরেহ! এইটা দিব্বি তো।
  • ন্যাড়া | ***:*** | ৩১ অক্টোবর ২০১৮ ০৬:৫১85885
  • এটা আমি এখনও হজম করছি। খেটে লিখেছে ছোকরা। আরেকটু ছোট হলে বোধহয় শ্লেষটা আরও জমত।
  • dc | ***:*** | ৩১ অক্টোবর ২০১৮ ০৭:৫৯85886
  • কিন্তু এতোবড়ো লেখায় স্যারের নাম এলোনা? কে না জানে যে স্যার বিনা মোদি যেন করসেবক বিনা গোধরা! স্যার কিন্তু অসন্তুষ্ট হবেন, আর স্যার অসন্তুষ্ট হলে কি হয় সেটা লোয়ার থেকেই শুনে আসুন গিয়ে।
  • pi | ***:*** | ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৩০85887
  • এটায় আরো বাড়ুক!! এই যে এত এত পালক জুড়ল, ১০৮ অবতারে থামবেন মনে হয়!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন