পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র প্রকল্প ধ্বংসের সুযোগ হাতছাড়া করেছিল ভারত: মোরারজি দেশাইয়ের নীতিনিষ্ঠ সিদ্ধান্তের ইতিহাসভিত্তিক মূল্যায়ন। দীপংকর সাহা১৯৭৭ সাল।ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মশে দায়ান এক গোপন সফরে এসেছিলেন ভারতে। তার লক্ষ্য ছিল স্পষ্ট—ভারতের সাথে যৌথভাবে পাকিস্তানের কাহুটা পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালানো। কারণ, ওই সময়েই গোপনে পাকিস্তান তাদের পরমাণু বোমা তৈরির পথেই অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ইতিহাস বলছে, ভারত এই সুযোগ হাতছাড়া করে দেয়। আর এর পিছনে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই।ইসরায়েল ও ভারতের মধ্যে তখনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়নি। তবে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা RAW আগে থেকেই পাকিস্তানের কাহুটা পরমাণু প্রকল্প সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত ছিল এবং সেই তথ্য ইসরায়েলীদেরও জানানো ... ...
জায়নবাদ ও বর্ণবাদী সাম্রাজ্যবাদ: একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ১. ভূমিকাইতিহাসে জাতীয়তাবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ—এই দুই রাজনৈতিক মতবাদ বহু জাতি, রাষ্ট্র এবং জনগণের ভাগ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। জায়নবাদ একটি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, যার উদ্দেশ্য ছিল ইহুদি জনগণের জন্য একটি রাষ্ট্র গঠন। অন্যদিকে বর্ণবাদী সাম্রাজ্যবাদ ছিল উপনিবেশবাদী শক্তিগুলোর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার একটি মতাদর্শ, যেখানে শ্বেতাঙ্গ জাতিসমূহ নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের ভিত্তিতে অন্য জাতিগুলোর উপর দখল ও শোষণ চালায়। যদিও এই দুটি মতাদর্শ আলাদা ঐতিহাসিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে গড়ে উঠেছে, তবে উভয়ের মধ্যে সাদৃশ্য, সংঘাত এবং নৈতিক প্রশ্নে অনেক জায়গায় মিল খুঁজে পাওয়া যায়।---২. তাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক ভিত্তি২.১ জায়নবাদের জন্ম ও বিকাশজায়নবাদের সূচনা ঘটে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষে, ইউরোপে ব্যাপক ... ...
২০৪২ সাল। পৃথিবীর রাজনীতি এখন চাঁদ থেকে পরিচালিত হয়। জাতিসংঘের সদর দপ্তর এখন লুনা সিটি-৩ তে। কিন্তু এক অবিশ্বাস্য সংবাদে পৃথিবী জুড়ে হইচই পড়ে গেল: ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভ্লাদিমির পুতিন—দু’জনেই আবার রাজনীতিতে ফিরে এসেছেন, তবে এবার একসাথে!তারা ঘোষণা করলেন একটি নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগ: "মার্স অ্যালায়েন্স ফর গ্লোবাল গ্রেটনেস", সংক্ষেপে MAGG। লক্ষ্য: মঙ্গলগ্রহে একটি সুপারপাওয়ার সভ্যতা গড়ে তোলা, যেখানে ট্রাম্প হবে প্রেসিডেন্ট আর পুতিন হবে সিকিউরিটি জেনারেল।অদ্ভুত শুরুতাদের বন্ধুত্বের শুরু হয়েছিল একটি ভুলবশত পাঠানো TikTok ভিডিও দিয়ে। ট্রাম্প একটি নাচের ভিডিও বানাচ্ছিলেন AI সহকারে, সেটি ভুল করে পুতিনকে পাঠিয়ে দেন। পুতিন এতটাই মুগ্ধ হন, যে সঙ্গে সঙ্গে রিপ্লাই দেন:"Your moves are ... ...
সব শহর একবার কেমব্রিজ বারবার প্রবীরজিৎ সরকার বেশ কয়েকবার ইংল্যান্ড এসেছি। প্যারিস থেকে অক্সফোর্ড গেছি। এক মাস কাটিয়েছি। কিন্তু কেমব্রিজ যাবার সুযোগ হয় নি বহুদিন। টুরিস্ট হিসাবে একদিন যাব ভাবছিলাম। হঠাৎ সুযোগ এসে গেল। কলকাতায় কেমব্রিজের অধ্যাপক এসেছিলেন এক সেমিনারে। উনি আমার কাজকর্মের একটু খোঁজ রাখতেন। উনি কেমব্রিজ যাবার আমন্ত্রণ জানালেন। তবে এক দিনের জন্য। একটা লেকচার দিতে। আমি এত বিখ্যাত নই যে কলকাতা থেকে ভাড়া দিয়ে নিয়ে যাবে একটা লেকচারের জন্য।আমি কয়েকবার প্যারিস ভিজিট করেছিলাম। তখন ইংল্যান্ডের কয়েকটা উনিভার্সিটিতে এসে সেমিনার দিয়েছিলাম। এবারও তাই করলাম। গেলাম কেমব্রিজ। ওরা একশ পাউন্ড দিল যাতায়াতের জন্য।প্যারিস থেকে ইজিজেটের টিকিট কেটে লুটন এয়ারপোর্ট এলাম। তারপর বাস ... ...
১১ ও ১২ই এপ্রিল রাতে মুর্শিদাবাদে বেতবোনা ও ধুলিয়ানে হিন্দুদের ওপর কি অত্যাচার হয়েছিল ? কলকাতা হাই কোর্ট নিযুক্ত অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন[১](২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে, মুর্শিদাবাদ জেলায় ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন ২০২৫-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়। এই প্রতিবাদ কিছু এলাকায় পরিকল্পনা মাফিক হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসায় রূপ নেয়। এতে হিন্দুদের প্রাণহানি, ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ধ্বংস, মন্দির আক্রান্ত হওয়া এবং বহু হিন্দু গৃহচ্যুত হন।এই ঘটনার তদন্ত করতে কলকাতা হাই কোর্ট একটি তিন সদস্যের স্বাধীন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে।জগিন্দর সিং – জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রেজিস্ট্রার (আইন)সত্য অর্ণব ঘোষাল – পশ্চিমবঙ্গ লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির সদস্য সচিবসৌগত চক্রবর্তী – পশ্চিমবঙ্গ বিচার বিভাগীয় পরিষেবার রেজিস্ট্রারমূল পর্যবেক্ষণ ও ... ...
আমার কাঁচা পয়সা নেই যে বিদেশ বেড়াতে যাব। আমার কলা (বিদ্যা) বেচতে এসে আমি যেটুকু রথ দেখতে সুযোগ করে নি তাই নিয়ে আমার বেড়ানোর গল্প।স্বপ্নের আর দুঃস্বপ্নের আমেরিকাপ্রবীরজিৎ সরকারআমেরিকার ইন্ডিয়ানা রাজ্যে (ওরা বলে স্টেট) সাউথ বেন্ড বলে একটা এলাকায় নোতরদাম বলে একটা বিশ্ববিদ্যালয় আছে। সেখানে এক সিমেস্টার ভিজিট পেলাম। কেলগ ইন্সটিউটে।আমেরিকা অনেক রকম ভিসা দেয়। আমার হল J1 । ওরা ব্রিটিশ এয়ারের টিকিট পাঠালো:কলকাতা দিল্লি লন্ডন নিউ ইয়র্ক শিকাগো। নিউ ইয়র্ক ব্রেক অবশ্য আমি চেয়েছিলাম। দু চার দিন আগে রওনা হয়েছিলাম একটু বেড়াবার জন্য। ফেরার সময় ঠান্ডা থাকবে ঘুরতে অসুবিধা হবে। কলকাতা এয়ারপোর্টে ব্রিটিশ এয়ারের over smart কর্মী বলল গ্রীন ... ...
আমি বহুকাল আগে সাসেক্স থেকে গ্লাসগো গেছিলাম একটা সেমিনারে। তখন এক বেলার জন্য এডিনবরা গেছিলাম। সঙ্গে এলো এক কানাডিয়ান গবেষক আর আমাদের সঙ্গে যোগ দিলেন ওখানকার এক প্রফেসর। উনি লাঞ্চে invite করলেন। স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিং হলে। এদেশে invite করার মানে যে যার নিজের পয়সায় খাবে। হয়তো ভাষার কোন মারপ্যাঁচ আছে তার থেকে বুঝতে হয়। উনি বললেন আমি তোমাদের বিয়ার খাওয়াতে পারি। আমি তখন বিয়ার অপছন্দ করতাম। তাই নিলাম না। মেয়েটিও নিল না।খাবার পর শহরটায় হেঁটে চলে বেড়ালাম। কিছু ছবি তুললাম। সুন্দর শহর। পরে কোনদিন আবার আসব ভেবেছিলাম। কিন্তু আসা হয়ে ওঠেনি। অনেক বছর পর গত দুর্গা পূজার সময় (2022 অক্টোবর) ... ...
গীতায় আত্মা আছে বলে। মার্ক্সবাদে ভুত নেই আত্মা নেই। তাই আমি ভুতে বিশ্বাস করতে পারি না। কিন্তু ছোট বেলা থেকে ভুতের গল্প শুনে বড় হয়েছি। যেমন শাশুড়ী ভুতের গল্প। এক কালে গ্রাম কে গ্রাম কলেরায় উজাড় হয়ে যেত। সেই সময় কোন এক জামাই না জেনে রাত্রী বেলা শ্বশুর বাড়ি এসেছে। ভাত খেতে বসে জামাই লেবু চাইতেই শাশুড়ী দশ হাত দূরের লেবু গাছ থেকে হাত বাড়িয়ে লেবু আনতেই জামাই বাবাজীবন ভয়ে দৌড় লাগালেন। গ্রাম পেরিয়ে অনেক দূরে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলেন। সেখানকার লোকজন চোখে মুখে জল ছিটিয়ে জ্ঞান ফিরিয়ে সব শুনে বলল ... ...
হাঁদাকান্তের বাল্য প্রেমপ্রবীরজিৎ সরকারআমি ছিলাম হা করা ছেলে। সব কিছু হা করে দেখতাম। আসলে আমার মুখের গড়ণের দোষে খেয়াল না করলে মুখটা হা হয়ে থাকত। তার উপর অনেক কিছু বুঝতাম না। কাউকে জিগ্যেস করলে বোকা হাঁদা বলে দাগিয়ে দিত। মা পর্যন্ত তাই বিশ্বাস করত।আমার যখন ছ সাত বছর তখন মাথায় ঢুকল একটা প্রশ্ন: প্রেম পত্র বস্তুটা কি? যুবক বয়সের ইমরান খানের মত দেখতে আমার মেজ মামাকে আমাদের বাড়িওয়ালার বড় মেয়ে- ডাক নাম খুকু- বেশ কয়েকটা এই পত্র লিখেছিল। মামা আমাদের আশ্রয়ে থেকে এই প্রেমের ডাকে সাড়া দিতে সাহস পান নি। হয়তো ইচ্ছুক ও ছিলেন না। মামা খুব ভোরে উঠে বাথরুমে ... ...
করোনার যুগে ঘর বন্দী অবস্থায় ফেসবুকে লিখেছিলাম। মোবাইলে খুট খুট করে। হয়তো কেউ কেউ পড়েছেন। আন্ড্রোমেডা ছায়াপথ ঘুরে এলামপ্রবীরজিৎ সরকারঘরের পাশের শিশির বিন্দু দেখা হল না। সারা বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ অদেখা রয়ে গেল। সেই আমি চললাম আমাদের এই ছায়াপথ মিল্কি ওয়ে ছাড়িয়ে পাশের আন্ড্রোমেডা ছায়া পথের একটা গ্রহে। চলে গেলাম না বলা ভাল ধরে নিয়ে গেল। ব্যাপারটা খুলে বলি।করোনার যুগে কোথাও বেড়াতে যাই না। আমার দৌড় গল্ফ গ্রিনের সেন্ট্রাল পার্ক আর আসেপাশের কয়েকটা নতুন গজিয়ে ওঠা ক্যাফে। রোজ বিকালে রোদ চলে গেলে বেরোই। কোনদিন শুধু হাঁটি। আমার আবার ওই পার্ক বেষ্টন করে দশ বিশ পাক দিতে ভালো লাগে না। অনেকেই ... ...