এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • পি আর নিয়ে চিন্তার মস্তিষ্ক। 

    লতিফুর রহমান প্রামানিক লেখকের গ্রাহক হোন
    ০২ জুলাই ২০২৫ | ২৪ বার পঠিত
  • পি আর নিয়ে চিন্তার কর্ষণ। 

    বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটার পর একটা আলোচনার খোরাক আমাদের সামনে আসে। সেগুলো নিয়ে আমরা যারা আমজনতা, আমরা সেগুলোর ব্যবচ্ছেদ করি গোগ্রাসে। এতে আমাদের চিন্তার মস্তিষ্ক কর্ষণ ভালো হয়। তারেক জিয়ার সাথে ডঃ ইউনুসের সাক্ষাতের পরে অন্তত নির্বাচনের তারিখ নিয়ে একটা ধোঁয়াসা কেটে গেছে। যদি ও জামায়াতে ইসলামীকে কিছুটা গোস্বা করতে দেখেছি, সেটা স্বাভাবিক। রাজনীতির স্টকহোল্ডার হিসাবে তাদের অবমুল্যায়ন হচ্ছে কিনা সেটা নিয়ে তাদের আপত্তিকে খারাপ মনে করিনা। দেনা পাওনার এই সংস্কৃতি বর্তমান গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দোষের নয়। যার প্রতিফলন দেখেছি সরকারের সর্বদলীয় আলোচনায় প্রথম দিন জামায়াতের অনুপস্থিতি। পরে অবশ্য সমঝোতায় আসাটা ভালো খবর অন্তত দেশের জন্য। বিগত সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর বিভেদমূলক কর্মকাণ্ড যে কত ক্ষতিকর তা বুঝতে পারাই দেশের জন্য কল্যানকর। গতকাল তারই প্রমান এলো বি এন পির আলোচনা সভায় জামাতের অংশগ্রহণ এবং বেগম খালেদা জিয়ার হাতে  দেশের ভবিষ্যৎ যে মুখিয়ে আছে, জামাতের নেতার বক্তব্যতে তা আরো স্পষ্ট হলো। তাহলে কি বিভেদের অবসান হয়েছে? 
    না। হয়নি। 
    বর্তমানে বি এন পির সাথে পাল্লা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার ক্ষমতা কারো নেই সেটা সবাই জানে। কিন্তু রাজনৈতিক ম্যারপ্যাচ, দরকশাকষি, নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার সুযোগ কেউ হাতছাড়া করতে চাইবে না। সেটাও গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় হালাল বিষয়। তাই এবার পি আর পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য হইচই পড়ে গেছে ছোট ছোট রাজনৈতিক দলের ভিতর। জামায়াত ইসলাম কে সাথে পেয়ে বরাবরই ক্ষমতার বাহিরে থাকা দলগুলো এবার নিজেদের সুযোগ বলে মনে করছেন।  প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্য রাজনৈতিক এই আলোচনা এখন খুব জোরালো। 
    আগেই বলেছি আমরা আমজনতা এসব রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে নিজেদের মস্তিষ্ক কর্ষণ করতে পছন্দ করি। 
    পি আর নিয়ে বিরোধী শিবিরে যত সুযোগ সুবিধার আলোচনা শুনছি কিন্তু বি এন পির পক্ষ থেকে তার অসুবিধার আলোচনা আমার কাছে এখনো জোরালো মনে হয় নি। মানে জনগণের মাথায় ঢুকিয়ে দিতে পেরেছে বলে মনে হয় না। 
    ইতোমধ্যে জেনেছেন পাঠকগন যে, পি আর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ভোটের হার এর উপর আসন বন্ঠিত হবে। 
    সেদিকে বি এন পির ই ক্ষতি টা হয়তো বেশি। কিন্তু এই মুহূর্তে বি এন পি কি অন্যদলের সাথে এই নিয়ে যুদ্ধ করবে? সেটা হয়তো এখনো ভাবার সময় আসেনি।  আমরা পুরনো নির্বাচনে জামানত বাজেয়াপ্ত বলতে যে বিষয় টা ছিলো তা হয়তো পি আর পদ্ধতিতে আর থাকতে পারবে না। 
    ১/ আর সতন্ত্র ভাবে যারা নির্বাচনে অংশ নিবে তাদের আসন কিভাবে বন্ঠিত হবে? তাদের নেতা কে হবে? 
    ২/ নিজ আসনের সংসদ সদস্য যে সেই আসন পাবে তার কি গ্যারান্টি?  
    ৩/ ধরা যাক বি এন পি ৩০০ আসনের মধ্যে  ১৬০ টি আসন ভোটের হার হিসেবে প্রাপ্ত হলো, তাহলে সেই ১৬০ টি আসন কোন কোন আসন হিসেবে প্রাপ্ত হইবে? 
    তাহলে কি রাজনৈতিক দলের আসন বিক্রি করার সুযোগ আসবে কিনা সেটাও নিয়ে ভাবতে হবে। 
    ৪/ একজন অজানা অচেনা এম পি কিভাবে নতুন এলাকায় কাজ করতে পারবে?  এতে কি দলের ভারসাম্য ধরে রাখা সম্ভব হবে? 
    ৫/ যেহেতু পি আর পদ্ধতিতে প্রতিটি ভোট মুল্যবান। তাহলে যে রাজনৈতিক দলের যেখানে ভোট ব্যাংক সেখানে কি ক্ষুদ্রতম দলের নেতা কর্মী রা দাড়াতে পারবে তাদের সামনে? 
    ৫/ আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও সতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করতে বাধা থাকার কথা নয়। আর সতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করতে না দিলে সাংবিধানিক অধিকার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তো থাকছেই।
    ৬/ সরকার গঠন নিয়ে ছোট দলগুলো যাদের খুব নামডাক নেই তারা ভোটের হার হিসেবে চার পাচ আসন পেলে বেচাকেনার পুরনো রেওয়াজ আবারও ফিরে আসবে না সে গ্যারান্টি কে দেবে?
    ৭/ সরকার স্থিতিশীল না হলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। 
    ৮/ সতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করতে পারলে আওয়ামী লীগের কিছু ভালো মানুষ অর্থাৎ যেখানে তাদের ভোট ব্যাংক রয়েছে। সেই আসন গুলো দখল করলে এই জুলাই বিপ্লবের কুঠারাঘাত করা হবে কিনা বা তাদের পুর্নগঠনের পুর্নবাসন করার চমৎকার রাস্তা খুলে গেলে পি আর পদ্ধতিতে নির্বাচনের খায়েশ হয়তো বেশি দিন টিকবে না।
    ৯/ হঠাৎ করে এই নতুন নির্বাচন পদ্ধতি কতটা নিরাপদ হবে তা ভেবে দেখার দায়িত্ব রাজনৈতিক দলের।  কারণ রাজনৈতিক দলের ভুল সিদ্ধান্ত ও তার বলী বাংলাদেশের জনগণকে হতে হয়। 
    আরও আলোচনা হোক, পরীক্ষা নিরীক্ষা হোক। নিজেকে ক্ষমতায় যাওয়ার লোভের চেয়ে দেশের কল্যান ভাবাই আজ নতুন বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন। 
    বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। 
    ##লতিফুর রহমান প্রামাণিক। ##
    ২/৭/২৫
    রাত ৮.০০ ঘটিকা। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন