এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক

  • দিলদার নগর

    Aditi Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | ২৭ মে ২০২৪ | ৫২২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ঘরে এলে নাকি গেলে দেহলীটি ছুঁয়ে?
    নিশ্চিত না জানি।
    যেই পথে তুমি গেলে সাগরের ঢেউয়ে ---
    সেই পথে আমি তো উজানী !
     
    হে মহাপ্রভু, এসেছিলে নাকি আসোনি? ছুঁয়ে গেছো তুমি এ নগর? নাকি চলে গেছ বিছানো শাটিকাটির প্রান্তটুকু চুমে? একশ বছর আগে, এক ভূমিপুত্রের লেখা পুঁথি, সহজ আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিমায় বলে গেছে এ নগরে তোমার পরিক্রমার কথা। আবার দেখো, কোথাওবা উল্লেখই নেই এ মদিনার-- তোমার যাত্রাপথের আলোচনায়!
     
    আজকের  ট্যুর প্ল্যানের ধারণা নিয়ে কেমনেই বা মাপা যায় তোমার যাত্রাপথের প্রতিটা বিন্দু? আমরা মাপি স্থানগুলির ভৌগোলিক দুরত্ব দিয়ে, তারা মাপতো গম্য আগম্যের নিরিখে। পথের কষ্ট, চোর ডাকাতের উপদ্রব, যান বাহনের অভাব ---- কাছের পথকেও করে দিত দূরের! এই উপদ্রব, এই নিরিখ- আজও অপ্রাসঙ্গিক নয়। তবু, তখন ছিল তা বিবেচনার কেন্দ্রটিতে। তাই হাতে কড়ি , পায়ে বল ছাড়া শ্রীক্ষেত্র যাত্রী অচল। এদিকে নদী, খাল বিলগুলির নাব্যতা, পরস্পরের হাতধরাধরী ছিল অনেক বেশি।লোকের ভরসাও ছিল বুঝি তাদের উপর অনেকটাই। তাই জলপথে আনাগোনার চলটিও বেশ ছিল,ঘুরপথে খরচা বেশি হলেও।তবে জলদস্যুও ছিল। আর ছিল জলের ধার দিয়ে দিয়ে চলা। মানুষই পথ কাটে, এক এক অঞ্চলের মানুষ এক এক পথে। নীলাচলের পথও তাই এসেছে বিবিধ আঞ্চলিক ধারাগুলি ধরে।আন্দুল দিয়ে তখনকার নিমকির খাল পেরিয়ে সাঁকরাইল পাঁশকুড়ার রাস্তাটি অনেকটাই মিলে যায় বাস ছোটার চেনা পথটির সাথে। তবে সব পথই এসে,  মিলে যেতো শেষে,  বুঝি জনার্দন গড়ে --- নীলাচলের প্রবেশদ্বারে। তারপর বিল্বদহ , দণ্ডপাঠ, বারিদেব, কেশাধিপতি,হয়ে পথ মোটামুটি এখনকার চেনাজানা। 
     
    তোমার সেই পথটি ছিল দেখি তাম্রলিপ্ত ছুঁয়ে। আজকের ধুঁকতে থাকা হাজামজা আদিগঙ্গা তখন মূল গঙ্গা, তার পাশে পাশে কত গ্রাম নগর বন্দর ! ভাঙ্গাচোরা ঘাট,মন্দির দেউল,নামগুলি- ফিসফাস করে বলে সেই গঙ্গা হৃদি কথা! সেই নদী ধারের জঙ্গুলে পথ ধরে গেছো  তুমি,  কালীঘাট,গড়িয়া ছুঁয়ে, তখনকার   আঁটিসারা -আজকের বারুইপুর ধরে, ছত্রভোগ -জয়নগর -মজিলপুর - মথুরাপুরের  পথে পথে চিহ্ন রেখে রেখে।এইখান থেকেই সরাসরি নদী পেরিয়ে গেলে তাম্রলিপ্ত ? নাকি আরো দক্ষিণে হাজীপুরে,   যার সায়েবি নাম ডায়মন্ড হারবার? সেখানেই পেরোলে নদীটি তাম্রলিপ্ত পথে? দুটোই পাচ্ছিতো!  হাজীপুরের পথে যেতে যেতেই কি মথুরাপুর অঞ্চলে রেখে গেলে গল্পগুলি? 
     
    নদীটি কোথায় পেরোলে তাই নিয়ে যতটা না গোল, তার চেয়ে বেশি গোল বাঁধে তাম্রলিপ্ত নগর হতে জনার্দনগড়ে র পথটি নিয়ে !
    মথরাপুরী দাবিদার মদিনা নগরের নাম নেয়না, হাজিপুরী দেখায় মদিনা নগর হয়েই তুমি এগিয়েছ জনার্দনের পথে। দুটি র কোনোটিই উড়িয়ে দেওয়া যায়না! মথুরাপুরি পথটি বাম দিক ঘেঁষে চলে যায়,আর হাজীপুরী পথ  তাম্রলিপ্ত  থেকে ডান দিকে এগিয়ে এ নগরে হোসেনশাহী পথে এসে মেশে। সেখান থেকেই সে পা বাড়ায় জনার্দন এর দিকে ।
     
    যাহা হোক,তাহা হোক। পথঘাট,জমি, কিংবা নদীর চলার পথ -চিরকাল কি একই রকম থাকে?তোমা নিয়ে লড়ালড়ি তোমাকে হারায়! হাঙ্গামা করে দেখি আজকাল বিস্তর লোক। অস্ত্রের ঝংকারে,স্বর্ণ মুদ্রার ঝনঝনায়, দেব- দেবালয়ের জাঁক জমকে -হরি আর আল্লাহ কে দেয় লড়িয়ে। যাকগে সেসব কথা। কি আসে যায় প্রভু--- ঘরে এসে বসলে,নাকি দুটো কথা কয়ে চলে গেলে দুয়ারে দাঁড়িয়ে? তোমার সুগন্ধই তো ভেসে বেড়ায় আকাশে বাতাসে--- এ নগরীর চারপাশে! 
     
    তবু থাকে কথা । থাকে অভিমান,ব্যথা ।  ছাপোষা গেরস্ত মনতো ! কোনো চলে যাওয়াই মানতে পারেনা! অতিথ এলেও তো বলি ,আর দুটো দিন থেকে যাওগো! আর তোমার ঘর ছাড়া? তাই নিয়ে তো ভাবের প্রলয়গো!  রাজনীতির কথাও বুঝি কানে আসে। আমজনও পারেনি বাঁচাতে তার ভাব, সংস্কার, সিদ্ধান্ত, ব্যক্তিঅনুভব---সে মহা বিস্তারিত বিপুল তরঙ্গের অভিঘাত হতে ! 
     
    দেবদ্বিজে ভক্তি সামলিয়ে, ছাপোষা গেরস্ত মন সেদিনও তো পারেনি মেনে নিতে! সবার ই তো ঘরে ঘরে প্রায়, বৃদ্ধ পিতা মাতা --- সন্তানের মুখ চেয়ে, সীমন্তিনি গৃহিনীসচিব, ওষ্ঠের উপরে নীল তৃণরেখা নিয়ে কিশোর বালক, হয়তোবা নবনীত লাবন্য ছড়িয়ে ---আদরের কন্যাটি ---বিষ্ণুপ্রিয়া সম! সেই বালিকাটি,বাসরে ঢুকতে গিয়ে চৌকাঠে হোঁচট খেয়ে রক্ত ঝর ঝর --- এলিয়ে পড়লো তব কোলে, প্রভু! সারাটি জীবন বুকেতে, মনেতে,জড়িয়ে রাখার আশ্বাসটি দিয়ে নিয়ে এসেছিলে তুমি তাকে !  আজ জোৎস্নায় মাখামাখি সেই কচি মুখ, লেপখানা একটু বুঝি সরে গেছে, আহা! ফেলে দিয়ে এলে তুমি তারে?একা বিছানাতে,এই ঠাণ্ডার রাতে? নবদ্বীপের ঘাট শুনশান, চলে গেলে কণ্টক দ্বীপে,ওই পারে।এই ঘাট আজও তাই নিদয়ার ঘাট হয়ে রয়ে গেল! সাধারণ সংসারী জনেই তো দেয় নাম--- প্রয়োজনে,ভালবেসে,অভিযোগে।সাধুর তো সকলই সমান। 
    এই ঘাট তাই, 
    রয়ে গেল তাহাদের অভিযোগ হয়ে তব প্রতি---
    হে রমাপতি ।
     
    আর ‘মা’টি? মাটি --- ভূমি – ধরণী ! নিজেকে বিদীর্ণ করে জন্ম দেন  তিনি শস্য, তৃণ বৃক্ষরাজি,যাবতীয় প্রাণীকুল,এবং মানুষ। যতবার জন্ম দেন ততবার নতুন জন্ম হয় তাঁরও। তাঁর চেয়ে বড় ব্রাহ্মণ,আর কেউ আছে নাকি প্রভু ? কেন কাঁদিবেনা? 
     
     মিছামিছি কাঁদেছি আমোরা?
     পট চিত্র,যাত্রাপালা গানে,বসি
     কালাচাঁদ মন্দির চাতালে!
    সন্তানের নাম ধরি কাঁদিবার মাতৃ অধিকার ---
    তাও বুঝি ভাসি যায় ব্যথা নীল যমুনার জলে!
    দশ দশ বার ---
    বত্রিশ নাড়ি ছিঁড়ে দ্বিজ হওয়া জননীরে হায় ---
    এই সেদিনের কচি পুঅ,
    কুনকে মাপে দেয় গ সান্তনা ---
    “কৃষ্ণ বলি কাঁদ মা জননী, কেঁদোনি নিমাই বলে”!
                       
                      প্রকৃতি জড়িয়ে বাঁচা সে প্রাকৃত জন,
                      নারী,শূদ্র,আর আর আছো হে যাহারা,
                      বল বল,আমাদের ভাব- অধিকার
                      তবে কি অগ্রাহ্য হয় ব্রাত্যজন বলে? 
     
    প্রকান্ড শরীর ছিল নাকি তোমার, গৌর? কাষ্ঠ পাদুকা সেই মত? সে ভারী পাদুকাদুটি তুমি চাপিয়ে দিয়ে এলে ওই কচি মেয়েটির বুকে। প্রভু , চোদ্দ না পুরানো সব বেটাবিটি শিশু বলে ধরে এ সমাজ,এখন। আর সশরীরে যাদের সঙ্গ করলে কৃষ্ণ নাম সাথে নিয়ে,তারা সবাই তোমায় হৃদয়ে ঠাঁই দিয়েছিলতো? তুমিতো অপ্রকট হলে দারুব্রহ্মশরীরে? নাকি মন্দির প্রাচীরে?
                       সমুদ্রেরও কথা তোলে কেউ---
                       মূর্তিটিও দাঁড়িয়ে সে মতো ,
                       স্বর্গদ্বারে পাব্লিকের ঢেউ! 
     
    সেতো চেয়েছিল তোমাকেই অনুসরণ করতে। দিলে আর কই? তোমার দায়িত্বগুলি দিয়ে বেঁধে রেখে গেলে! ফুলদানিটাই যদি ভেঙে যায় ঠাকুর,  বাগান থেকে তুলে আনা ফুলটি কি আর বাঁচে? সেতো শুধু সং সেজে সংসারে শুকিয়ে মরা! যাপন আর হয় কই? চোখের জলও শুকিয়ে যায়। যদিও ক্যালেন্ডারে আঁকা তার ছবিগুলি,  বাই ডিফল্ট ,ওভার ফ্লোয়িং। এক মানবীর যেন খালি কেঁদে যাওয়াটাই কাজ! কি অপচয়!
    কাঁদবো কি কাঁদবনা, কাঁদলে কখন কাঁদবো, কার জন্যেই বা কান্নাটি সিদ্ধ আর কার জন্য অসিদ্ধ --- এসব কি আর আমাদের হাতে? তোমরা যেমন চাও --- রুদালি কি পাষাণী! 
     
    ফিরে আসি মদিনায়। এই শহরে ঢোকার মুখে কেশব সামন্ত নাকি তোমায় সন্ন্যাস যাত্রায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল? এটুকুই জেনেছি, আর কিচ্ছু জানিনা। সন্ন্যাস থেকে ফেরানোর চেষ্টা মাত্রই কি অপচেষ্টা? তোমার সন্ন্যাস তো অনেক দুষ্টু লোকের শান্তির কারণ হয়েছিল! কী হতো, যদি তুমি ঐ আঠারো বছর ব্যয় করতে আমাদের জন্য? কত কথাইতো মনে আসে!
                  ভেসে আসা ভাঙ্গা হাল, ছইটি যেমন,
                  হারানো সে নাওটির দেয় সংকেত,
                  ছোট ছোট ঘটনা উল্লেখ ----
                  ইঙ্গিতে জানায় বুঝি ,
                  কালের সলিলে ডুবে যাওয়া---
                  ভুলে যাওয়া কোনো সূত্র, অস্ফুট অজানা অভিপ্রেত! 
     
    গহন দর্শনের তত্ত্বকথাতো বুঝিনা ঠাকুর, এই চোখে কানে, অনুভবে যতটুকু। আছে সমব্যথী মন , আর এক ঝুড়ি ‘যদি’ নিয়ে কল্পনাগুলি।
            কার কিবা ক্ষতি তাতে? কীবা আসে যায়?
               গৃহীত,স্বীকৃত ইতিহাস, 
               পুনঃ পুনঃ আবৃত্তির
                নিইনি তো দায়!
               তবু, যদি কেউ ব্যথা পাও---
               ক্ষমা পাবো জানিগো নিশ্চয়।
     
    কল্পনা করিতে জাগে সুখ
    দাঁড়াযে সে---
    স্পর্ধিত অনার্য হৃদয়,
    হয়তোবা, পূর্বজ বজ্রযান স্মৃতি,
    যার কাছে নারী নয় সাধনার কাঁটা,
    রমন সম্ভারে লোভনীয় ---
    ব্যাক্তিহীন কেবল ঘরণী!
    নারী তার ---
    দেহ থেকে দেহতীত সত্যের সন্ধান ---
    সহস্র পদ্মের মাঝি পরাণের প্রাণ
    অপরিহার্য সাধন সঙ্গিনী।
     
    কিবা ঠিক,  কিবা ভুল ---
    পাপ ---- পুণ্য ----আড়ালে কি অন্য কারণ?
    জীবনের অতি বাস্তবতা,সমাজ,সংসার রাজনীতি?
    কালের আবর্ত হতে উদ্ধার পেয়ে 
    কী ভাবে প্রতিষ্ঠা হবে আজ?
    বিপ্লবী দেবতা ----
    তব শিলাময় রূপ মস্তকে চাপিয়া ধরি,
    তবু কেন খুব চেনা ঘরোয়া হৃদয়
    কেঁপে ওঠে থির থির?
    কী বিষাদে আসে এই লাজ? 
     
    দিলদার নগরে রাতে হাওয়া,
    অলিগলি করে আসা যাওয়া,
    আফসোস করে বলেঃ হায় !
    এ বিষাদ আমাদেরও দায় !
    রাখিতে পারিনি তারে, চলি গিলা সম্মুখ দিয়া !
    ক্ষমা করো এ নগরে --- নিজ গুণে,
    ক্ষমা কর মাগো,
    বিষ্ণুপ্রিয়া!
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২৭ মে ২০২৪ | ৫২২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Kakali Bandyopadhyay | 223.223.***.*** | ২৭ মে ২০২৪ ১৪:২১532386
  • আর কারবালা ময়দান ? যার পাশেই কিনা প্রভুর ​​​​​​​মাসির ​​​​​​​বাড়ি ।..কোনো ​​​​​​​গোল ​​​​​​​নেই ​​​​​​​তাতে , সাতদিন ​​​​​​​এক এক ​​​​​​​বেশে ​তিনি ​​​​​​​দেখা ​​​​​​​দেন ​​​​​​​..
    নতুন  লেখার ​​​​​​​আশায় ​​​​​​​রইলাম ​​​​​​​।
     
     
  • Aditi Dasgupta | ১৪ জুন ২০২৪ ১৭:৪৬533163
  • @পাপাঙ্গুল :এগোলো। মাঝখানে একটু উত্তেজনা.. টোনা...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন