এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সৌম্যদীপ | 43.25.***.*** | ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৪৮530648
  • খুবই সুন্দর লেখা তা বলাই বাহুল্য। একটাই কথা বলবো, কিছু তথ্য খুবই সঠিক, মানে এতটাই সঠিক যে সেটা না জানলে লেখা সম্ভব না। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:14ec:b25a:80b9:***:*** | ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:২৮530649
  • এটা গল্প না ডকুমেন্টারি? laugh
     
     
    ০৪:৫০ এই রাত ভোর হয়ে আসার সময়টাতেই মৌলিক দেখেছে জেগে থাকা সবথেকে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
     
    একেবারে ১০০% ঠিক। 
     

    ০৭:১৫ পাড়ার মোড়ে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছে দুধের গাড়ি। 
     
    ছটা সাড়ে ছটা অবধি জেগে, একটু হাঁটতে বেরিয়ে বড়ো রাস্তা অবধি গিয়ে কতোবার দেখেচিহ দুধের গাড়ি থেকে প্লাস্টিকের খোপে দুধ নামাচ্ছে। তারপর বাড়ি ফিরেছি দুতিন ঘন্টা ঘুমিয়ে নেবো বলে। এই গল্পটা প্রায় আমার ডেলি রুটিন, যদিও বহুকালের অভ্যাসের ফলে রাতে না ঘুমালে বমিটমি হয়না :-)
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৪৭530650
  • ওফ, দারুণ লিখেছেন। ছোট ছোট ডিটেলিংগুলো লেখাটাকে ভীষণ বাস্তবিক করে তুলেছে, dc যা বলেছেন, প্রায় ডকুমেন্টারি। গোটা লেখায় কেন জানি না একটা সাররিয়েল ভাইব আছে।
  • যোষিতা | ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:১৩530653
  • চমৎকার গল্প।
    রাতে আরও জেগে থাকে নাইটক্লাবের লোকজন, খবরের কাগজের অফিস। তাদের রোজ নাইটশিফট।
  • kk | 172.56.***.*** | ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৩৫530656
  • হ্যাঁ, ঐ সাররিয়াল ভাইবটা আমারও মনে হয়েছে। দীপাঞ্জনের অনেক লেখাতেই ওটা পাই। সেই সাথে আরো একটা জিনিষ আমার খুব ভালো লাগে, সেটা হলো ন্যারেশনের ভঙ্গী। মনে হয় খুব পটু একজন দর্শকের জায়গা থেকে বিবরণ দেখা আর বলা হচ্ছে। খুব সুক্ষ্ম ওঠানামা, টানাপোড়েন কোনো কিছুই সেই দর্শকের চোখ এড়ায়না। এই ব্যাপারটা বেশি লেখকের মধ্যে পাওয়া যায়না। গুরুতে মনে হয় দীপাঞ্জন ছাড়া একমাত্র দময়ন্তীদি'র লেখাতে এটা দেখেছি। এই সঙ্গে এটাও টের পাই যে দর্শক হওয়া সত্ত্বেও লেখক এখানে প্রত্যেকটা ঘটনার মধ্যে নিজে খুব বেশি করে প্রেজেন্ট আছেন।
    এখানে এইভাবে সময় তুলে তুলে লেখাটা খুবই ভালো লাগলো। আর "চার দেওয়ালের মধ্যে ফাঁকা জায়গা ক্রমশ সাপের জন্য ছোট হতে থাকে। দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে গেলেই খেলা শেষ।" -- এই লাইনটা অসাধারণ!
  • Naresh Jana | ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:০৮530669
  • হ্যাঁ হ্যাঁ! ঠিক। মানুষ কৃত্রিম অন্ধকার তৈরি করবে একদিন অথবা করে ফেলেছে আমাদের চোখের আড়ালে। কেউ কেউ দেখতে পায় সেই অন্ধকার। দুধর্ষ লেখা।
  • Kuntala | ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ২২:১৪530677
  • উফ পড়ে এতো নাড়া খেলাম। কি ভয়ানক একাকীত্ব।
    অথচ 'নাইট ইকনমি' এখন উন্নত দেশগুলোর কাছেও একটা বিরাট আকর্ষণীয় ব্যাপার - কাজে, বিক্রিবাটার ও বিনোদনের সময়টাকে যত টেনে বাড়ানো যাবে ততই সরকারেরও লাভ। 
    'চেঙ্গি ঘুমোয় না', আর সিঙ্গাপুর দিয়ে ট্রানজিটের সময় আমি ভাবি কচি মেয়েগুলো কি করে ঠোঁটের লিপস্টিক একটুও না ধেবড়ে মুখে হাসি টেনে কাজ করে চলেছে। 
  • Swati Ray | 117.194.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ০১:১৩530678
  • ভাল লাগল . 
  • | ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ১০:২০530686
  • হুঁ দীপাঞ্জনের গল্পে একটা সাররিয়াল ব্যপার থাকে।  ভাল লাগল এই গল্পটাও। এর অনেক অংশ এককালে বেশ চেনা ছিল। 
  • ইন্দ্রাণী | ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৪৯530698
  • লেখক যেন ক্যামেরা নিয়ে বেরিয়েছেন। মুভি তুলতে তুলতে এক একটা দৃশ্যকে ফ্রিজ করে দিচ্ছেন যেন- কফির কাপ অথবা আলোর বয়ামের পাশের মথে। শব্দ, গন্ধ আলো ছায়ার চমৎকার ব্যবহার।
    একটা বড় লেখা হতে পারত।
  • পাপাঙ্গুল | ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ০০:১৬530715
  • সরি কয়েকদিন গুরুতে আসা হয়নি বলে উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল। 
     
    লেখাটা যারা পড়েছেন , রেটিং দিয়েছেন এবং অন্যত্র শেয়ার করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ। 
     
    অনেক ধন্যবাদ সৌম্যদীপ , ডিসি , রমিত , যোষিতাদি , কেকে ,  নরেশবাবু , কুন্তলাদি , স্বাতীদি , দ দি , ইন্দ্রাণীদি। 
     
    ডকুমেন্টারি না হলেও ইচ্ছে করেই টাইমস্ট্যাম্প দিয়ে দিয়ে ভাগ করলাম , যাতে পুরো রাতটা কিভাবে এগোচ্ছে বোঝা যায়। laugh শুরুতে চনমনে ভাবটা কমতে কমতে সময়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে ক্লান্তি কিভাবে বাড়ছে , এটা মনে হয় পড়লে বোঝা যাচ্ছে। 
     
    নাইটক্লাব , খবরের কাগজের ডেস্ক মনে হয় এখন রাত দুটোর পর বন্ধ হয়ে যায়। কাগজের ছাপাখানার ভোরবেলার শিফট থাকে। 

    পরাবাস্তবতা আমার কাছে এই সময়ের দ্যোতক। আমরা এমন এক সময়ে বেঁচে আছি যেখানে কেউ সকালে উঠে দু ঘন্টার প্লেন ধরে সমুদ্রের ধারে গিয়ে পমফ্রেট আর চিংড়ি মাছভাজা , সমুদ্রের হাওয়া খেয়ে রাতে আবার শহরে ফিরে আসতে পারে। অনেকে রিল দেখে কাকে ভোট দেবে ঠিক করে , এআই ছবি এঁকে দেয়। সেজন্য গল্পের চরিত্ররা কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি হলে সেই প্রতিক্রিয়ায় তাদের মনের ডিফেন্স মেকানিজম এই পরাবাস্তবের জন্ম দেয় যেখানে ঢুকে গিয়ে তারা নিরাপদ বোধ করে এবং গল্পের মধ্যে চরিত্ররা পরাবাস্তবতাকে বাস্তব থেকে আর আলাদা করতে পারে না। 
     
    বড় লেখা লিখতে গেলেই একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে বলে ভয় হয়। তবে পরে নিশ্চয়ই মাঝখানে আরো কিছু টাইমস্ট্যাম্পের ঘটনা জুড়ে দিতে চেষ্টা করব।
     
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:০৬530718
  • "আপনি বলতে চাইছেন ইচ্ছে করে রাত জাগছি?
    - একদম। আসলে আপনার ওটা ভাল লাগে। নেশার মতন হয়ে গেছে রাত জাগা। কাজটা অজুহাত। এখন আর আপনি ইচ্ছে করলেও দিনের বেলা জেগে থাকতে পারবেন না। কষ্ট হবে। তবে আপনার অনিদ্রা রোগ হয়নি। দিনের বেলা তো ঘুম হচ্ছে।
    - হ্যাঁ দিনের বেলা সুন্দর আট ঘণ্টা ঘুম।"
    - বিশ্লেষণ একদম যথাযথ।
     
    "আলোকিত বয়ামের বাইরের কাঁচের দেওয়ালে এসে বসে এক মথ। বাকি রাত নিশ্চল বসে থাকে। মাঝে মাঝে সে পাখা ঝাপটায় , ঝড় ওঠে অন্য কোথাও।"
    - এই সরসতা আমার অতীব পছন্দের।
     
    কিছু কিছু লেখা আমি পড়া হয়ে যাবার পড় এক লাইন বা এক অনুচ্ছেদ ধরে ধরে শেষ থেকে শুরুতে পৌঁছই। এই লেখাটি সেই রকম।
  • পাপাঙ্গুল | ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ০০:৫৪530766
  • অনেক ধন্যবাদ অমিতাভদা yes
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন