এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  প্রথম পাঠ

  • নিজস্ব আলোছায়ার সংকলন

    দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায়
    পড়াবই | প্রথম পাঠ | ২৫ আগস্ট ২০২৪ | ৮৬৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • কেকে-র লেখা ছায়ার পাখিতে অনুভূতি অবয়ব নেয় স্বাদে, জীবন জড়িয়ে যায় জিহ্বায় অথবা উল্টোটা। দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায় লিখছেন - 'মনে হয় নিঃশব্দ অন্ধকার রাতে টেবিলে জ্বলা একটুকরো আলোর পাশে বসে পিছনের দেওয়ালে পড়া নিজস্ব ছায়াগুলি লিখে রেখেছেন লেখক'



    "আমার সাথে একবার মৃত্যুর দেখা হয়েছিল। সে আজ থেকে এগারো বছর আগে। তিনি আমার মাথায় স্নেহের হাত রেখেছিলেন। কিন্তু থাকেননি ভদ্রলোক। আমিই থেকে গেছিলাম। পরে, অনেক পরে ধীরে ধীরে অচেতনতা, অ্যামনেশিয়া, পেইনকিলার ইনজেকশন সবার কোলাকুলি থেকে বেরোবার শেষে আস্তে আস্তে বুঝেছিলাম মৃত্যু আমার জন্য কি রেখে গেছেন। একটা খিলান, যা দিয়ে অন্য কোনো জগতে পা রাখা যায়।"

    'ছায়ার পাখি' বইয়ের লেখাগুলি পড়তে পড়তে পাঠক ক্রমাগত লেখকের পিছু পিছু সেই খিলানের জগতের ভেতরে ডুবে যেতে থাকেন। নাচোর কাছ থেকে লেখক শুকিয়ে যাওয়া সমুদ্রশ্যাওলা কেনেন যা নাচোর নানা আন্দিজের ওপার থেকে এনেছিল। সেই পাতা পোড়া ধোঁয়ায় আছে ঘুমিয়ে পড়ার, বদলে যাবার নিদুলি মন্ত্র। অনেক রাতে একলা জেগে লেখক সেই অন্য দুনিয়ার গান শুনতে পান। বালেনা মাঝ সমুদ্রে পথ হারানো, ভয় পাওয়া ক্লান্ত নাবিকদের ওই গান গেয়ে বাড়ি ফিরে আসতে বলে। মস্তিস্ক ইলিউশনিস্ট তাকে সাইরেনদের মরণ জাদুর গান বলে উপকথা লেখে।

    ওর নাম বিভ্রম। তাকে সব অনুভূতিরা পাত্তা দেয়নি। শুধু দুজনের হাত ধরেছিল বিভ্রম - দৃষ্টি আর ঘ্রাণ। ঘুমপাড়ানি বুড়োর মত বিভ্রম লেখকের চোখের বারান্দায় একটা সাদা কাঠের রকিং চেয়ার রেখে চলে গেছে। মাঝে মাঝে এসে বসে রোদ্দুরে কি বৃষ্টিদিনে, তারাদের রাতে। চেয়ারে বসে আপনমনে দোল খায়।
    সেখানে ছায়ামানুষরা কখনো ভয়েড নামের আলখাল্লা চাপিয়ে আসে আর লেখকের বন্ধু হয়ে ওঠে -
    "আমি [ফরাসিতে বন্ধু], আমার একটা গাছ ছিল, তাতে আবির রঙের থোকা থোকা ফুল ফুটত, জানতে?"
    "হ্যাঁ, পমপম ফুল"
    "আমার একটা খুশি লেখার খাতা ছিল। রোজ রাতে তাতে অন্তত তিনটে খুশি লেখা পড়ত। বেশিরভাগ দিনেই সংখ্যাটা দশ ছাড়িয়ে যেত। জানতে?"
    "হ্যাঁ। সেই খাতাটা এখন তোমার খাটের নিচে পুরোনো জুতোর বাক্সের মধ্যে শুয়ে থাকে। অর্ধেকের ওপর সাদা পাতা নিয়ে।"

    জোহানেস ভার্মিয়েরের আঁকা, হ্যান্স এন্ডারসনের ছোট জলকন্যার গল্প, নরওয়ের দেবতা জেন্ডার ফ্লুইড লোকি, একানড়ে সব মিলেমিশে যায় এই দুনিয়ায়। সেখানে আলোর অন্যরকম রং। কথা বলা খরগোশ, ভেড়ার ছানা, জ্ঞানের পেঁচা লেখককে সেই দুনিয়ার দরজার সন্ধান দেয়। সেখানে লেখক 'রাইড দ্য ওয়াইল্ড হর্স' ধ্যানের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন যেখানে প্রতিটি অনুভূতি একেকটা উদ্দাম বুনো ঘোড়ার মত। অথবা ব্ল্যাকআউট ডাইনিং যেখানে এক রেস্তোরাঁ আর তার খাবার টেবিল লেখকের কাছে আর্ট গ্যালারি আর ছবির প্রদর্শনী হয়ে ওঠে।

    শুরুর দিকে যে "অচেনা অনুভূতিরা বালিয়াড়ির ছায়ায় গা ঢাকা দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। ফিসফাস করে নিজেদের মধ্যে কি সব বলাবলি করে।", ধীরে ধীরে জীবনস্রোতে সেই ইন্দ্রিয়গুলিই লেখকের বন্ধু হয়ে ওঠে - "নিকষজাত নতুন আমি আজ রং শুনতে পারি, গন্ধ দেখতে পাই। স্বাদ ছুঁতে আর স্পর্শ শুনতে কিংবা খেতে।"

    'জিহ্ব' লেখায় পাঠক আরো গভীর বুঝতে পারেন সেকথা -
    "আমার দাঁতে অনেকটা জীবন জড়িয়ে গেছে। … রাত্রির কোনো পায়ের শব্দ নেই। ওরা বলে। ঠিক না ভুল কে জানে? আমি কিন্তু ওর আসার শব্দ শুনতে পাই রোজই। কয়লার আঁচে সেঁকা মোটা মোটা রুটি, তুর ডাল, ঝাল কাঁচালঙ্কা, ধনেপাতার চাটনি, শুনতে পাই জিভের মধ্যিখানটায়।…নরম হাতে জড়িয়ে ধরেছিল, গাঢ় গানাশ, ডার্ক চকলেটের। ওকে তোমরা অন্ধকার বলে ডাকো, সত্যি?"

    দুর্ঘটনার ট্রমাকে জয় করে লেখক বুঝতে শেখেন ভয়, দুঃখর মত নেতিবাচক অনুভূতিগুলিকেও, যা জীবনেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ -
    "ভয় বড় দুঃখী লোক। আমি চাই ওর ভালো হোক। কে মুক্তি দেবে ওকে? সবাই ওকে ঝাঁটা মেরে তাড়িয়ে দেয়। ছুঁচলো লাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে রোয়াক থেকে নিচে ফেলে দেয়। ভয় ছোট্ট একটা কান ছেঁড়া, লোমওঠা কুকুর বাচ্চার মত তোমার পায়ে পায়ে ঘুরবে। একবারটি তাকিয়ে দেখে না কেউ ওর দিকে। শুধু তাড়িয়ে তাড়িয়ে দিলে ও ফিরে আসবে না তো কি করবে? আমি ভয়কে বলি, ভালো হোক তোমার, দুঃখী বন্ধু।"

    "আমি দুঃখকে থাকতে দিই, ভয়কে, কান্নাকে। ওরা ঠেলে ফেলে দেয় আমাকে। আমি কাঁটার ঝোপের ওপরে শুয়ে থাকি। আমি জানতে পারি সিদ্ধার্থ আছেন, কোথাও কোনোখানে।

    দুশ্চিন্তা ওর যমজ বোন; দুঃখের। ওর পোশাক গাঢ় ছাই রঙের। ওর হাতে একটা ধাতুর যন্ত্র থাকে সবসময়। র‍্যাদা চালায় ও, আমার তুলতুলে আঢাকা মনের ওপরে। বিরামহীন। প্রমিথিউসের যকৃতের মত রোজ রাতে ঘুমের সময় সেই মন পুরো হয়ে ওঠে। যাতে পরদিন আবার ঘষে ঘষে কুরিয়ে নিতে পারে দুশ্চিন্তা। বিরামহীন।"

    "আমার দেওয়ালে ক্রিসেনথিমাম ফুলরা আজকাল আরো একটু হালকা রঙের গল্প করে। বেখাপ্পা চেয়ার আয়েসি বুড়োমানুষের মত শীতের রোদ্দুরের দিকে তাকিয়ে থাকে। আমার পুরোনো খাতা খাটের নিচেকার জুতোর বাক্স থেকে বেরিয়ে এসে রাতটেবিলের ওপর দাঁড়িয়ে ডানা নাড়ায়। টিংকারবেলের মত। "

    পড়লে মনে হয় নিঃশব্দ অন্ধকার রাতে টেবিলে জ্বলা একটুকরো আলোর পাশে বসে পিছনের দেওয়ালে পড়া নিজস্ব ছায়াগুলি লিখে রেখেছেন লেখক। এই ন'খানা আলো ছায়ার সংকলন প্রকাশ করে বৃহত্তর পাঠকসমাজের সামনে নিয়ে আসার জন্য জন্য গুরুচন্ডা৯র বিশেষ ধন্যবাদ প্রাপ্য। এই বইয়ের সুলিখিত ভূমিকায় ইন্দ্রাণীর যেমন মনে হয়েছে ক্ষীরোদ নট্টের বাজানো সেই ঢোলের কথা -"স্পষ্ট, সৎ, মায়া ও মহিমাময়। গভীর অন্ধকারে আমের মুকুল ঝরার শব্দ শোনা যায় যেখানে।" প্রচ্ছদের রাতের আলোআঁধারির ছবি দেখলে জ্ঞানী পেঁচার বলা সেই কথা মনে পড়ে - "পর্দাতে যা দেখায় সবটাই স্বপ্ন নয়, বুঝলে? পর্দা বেড়ে উঠে কখনো চারদিক ঘিরে নেয়। বুঝলে?"

    এই বইয়ের লেখাগুলি নিজেকে সেই ক্ষত থেকে সারিয়ে তোলার, বিষতীরের ফলা টেনে উপড়নোর 'হিলিং'য়ের অংশ হিসেবেই কগনিটিভ জার্নালিং বলে পাঠক বুঝতে পারবেন। অভিযোগ একটিই, বইটি তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়।

    "আলোর কোমল চোখের মধ্যে আমি আজ অঙ্গুলিমালকে দেখতে পেলাম। তিনি গভীর শান্তি পেয়েছিলেন। যখন সবাই ওঁকে পাথর ছুঁড়ে ছুঁড়ে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছিল, তারপরে। আমি সত্যিকে দেখতে পেলাম আজ। শব্দহীনতায়।"

    "বাঁধন আলগা হয়ে যাওয়াকে আজকাল ভয় পাই না আর। তিনি বলে গেছিলেন; আমার রিয়ালিটি আলাদা। এ গাড়ি যাবে না। আমায় অন্য গাড়ি নিতে হবে। আমার বড় ভালবাসায় বেঁচে থাকা আমার জন্য অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করে আছে। অন্য কোথা, অন্য কোনোখানে। "

    "আমি হাঁটছি। কোত্থাও পৌঁছনোর তাড়া নেই আমার এখন আর। কোত্থাও পৌঁছনোর দরকারও নেই। আমার মধ্যেকার আমি, আমার ভালোবাসার আমি, আর আমার নিজের পরম ভালোবাসা - হাত ধরে চলছি এই রাস্তা বেয়ে। সবসময় কোথাও না কোথাও পৌঁছতেই বা হবে কেন?"

    এই বই সেই উত্তরণের যাত্রাপথ। পথের শেষ কোথায় পাঠকরা কেউই জানি না যেহেতু, তাই লেখকের কাছে পরবর্তী লেখাসমূহের প্রত্যাশা আরো বেড়ে যায়। কারণ শেষ পর্যন্ত, লেখকের ভাষাতেই - "জীবনের মত দক্ষ স্টেজ ম্যাজিশিয়ান আর কেউ নেই।"


    ছায়ার পাখি
    কেকে

    প্রকাশক: গুরুচণ্ডা৯
    মূল্য—৮০ টাকা।
    বাড়িতে বসে বইটি পেতে হোয়াটসঅ্যাপে বা ফোনে অর্ডার করুন +919330308043 নম্বরে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ২৫ আগস্ট ২০২৪ | ৮৬৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ইন্দ্রাণী | ২৫ আগস্ট ২০২৪ ০৭:৫০536827
  • ক্ষীরোদ নট্টের বাদনপ্রসঙ্গে উপমাগুলি মণীন্দ্র গুপ্তর- অক্ষয় মালবেরিতে রয়েছে। কেকের লেখা পড়তে গিয়ে সে কথা মনে পড়েছিল। এই সংকলনের বৈশিষ্ট্যবর্ণনে যা সুপ্রযুক্ত মনে হয়েছিল আমার। ভূমিকাতে মণীন্দ্র গুপ্তর মূল লাইনগুলি রয়েছে।
  • | ২৫ আগস্ট ২০২৪ ১৯:২১536839
  • এই বইটা এমন অদ্ভুত পড়তে অস্বস্তী হয় আবার ছাড়তেও পারি না। ফিরে ফিরে পড়ি। বার কয়েক পড়েছি।  আলোচনাটা ভাল। যা যা ঠিক গুছিয়ে ভেবে লিখে উঠতে পারি নি দীপাঞ্জন লিখে দিয়েছেন। 
  • kk | 172.58.***.*** | ২৫ আগস্ট ২০২৪ ২০:৪৩536840
  • দীপাঞ্জন,
    বইটা ধরে ধরে পড়েছেন, ভেবেছেন, সে জন্য "অনেক ধন্যবাদ" বললে ঠিক মত বোঝানো হবেনা আমি কী বলতে চাইছি। তবু, ঠিক কী বলবো তাও আমি বুঝতে পারিনা। গুরুচণ্ডালীর এই বিভাগে কোনোদিন আমার নাম দেখবো সেটা আমার কল্পনাতে কোনোভাবেই কখনো ছিলোনা। তাই অবাকও লাগে আবার খুব হাম্বলিং একটা অনুভূতিও হয়। যাই হোক, হাজার বাজে কথা বলে আর কী লাভ যখন সঠিক প্রকাশ করতে পারবোই না?  তাই ঐ "অনেক ধন্যবাদ" কথাটাই বলে যাই। সেই কথা ইন্দ্রাণীদি (এই বইয়ের ফোরওয়র্ড্স, মূল বইয়ের থেকে বেশি ভালো বলে আমার মনে হয়) ও দ'দিকেও। দ'দির এই কথাটা -- "এই বইটা এমন অদ্ভুত পড়তে অস্বস্তী হয়" ,থট প্রোভোকিং লাগলো খুবই।
  • দীপাঞ্জন | 223.237.***.*** | ২৬ আগস্ট ২০২৪ ১৫:৫৩536868
  • মন্তব্যের আলোচনা ভাল লাগল ইন্দ্রাণীদি , দদি , কেকে। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৮ আগস্ট ২০২৪ ০১:৫২536914
  • এই 'ছায়ার পাখি' ই প্রথম বই যা গুরুচন্ডালি থেকে কিনলাম। গত কলকাতা বইমেলায়। সেই বই এখন আমার ছায়াসঙ্গী।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন