এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  গপ্পো

  • পরীক্ষার বন্ধু

    শুভাশিস পাল
    গপ্পো | ১০ নভেম্বর ২০২৪ | ২৯০ বার পঠিত | রেটিং ৪ (৩ জন)
  • অলংকরণ: রমিত চট্টোপাধ্যায়



    - কি ঠান্ডা! ধরতে কি ভালো লাগে ব্যাগ টা!
    মরচে রঙের সদ্য ফ্রিজ থেকে বের করে টেবিলের ওপর রাখা রক্তের ব্যাগে আঙ্গুল বোলাতে বোলাতে ডায়াপার বলল।
    ডায়াপার আমার ব্যাচমেট। পড়াশুনো করছি দুজনেই NEET ক্র্যাক করার জন্য একসাথে। হাউস স্টাফশিপ একই সাথে করছি। ডায়াপারএর বাবা জবরদস্ত থ্রেট দিয়েছে এবারও PG না পেলে সটান বিয়ে। চিরকালই মুখচোরা ছেলের নাম ডায়াপার কারণ একবার কমিউনিটি medicine ক্লাসে ন্যাপকিন কে ডায়াপার বলেছিল কলেজে পড়ার সময়। সেই থেকে বাবামায়ের দেওয়া ভালো নাম টা হারিয়ে নাম হয়ে গেলো ডায়াপার।
    আমি বললাম নে, ম্যাচ করে ফর্মে লেখ, আমি চালিয়ে দিয়ে আসি।
    - থাকনা, একটু গরম হোক। ডায়াপার বলল।
    দু হাতে ব্যাগ টা তুলে বিপজ্জনকভাবে এন্ট্রি পোর্ট টা মোচড়াতে শুরু করল।
    - আরে আরে, spillage হবে তো ক্যালানে, গেছে নাকি মাথাটা? আমি চেঁচিয়ে উঠলাম।
    নেশা ধরা গলায় ডায়াপার বলল, মনে হচ্ছে ORS, port টা ভাঙলেই চো চো করে টানতে পারবো। আচ্ছা, এই ইউনিট টা খেয়ে নিলে আমার হিমোগ্লোবিন বাড়বে?

    বললাম, চল ভাই, ক্রেবস সাইকেল পড়ে পড়ে তোর ভেজা ফ্রাই হয়ে গেছে, ধোঁয়া দরকার, বেরোই।

    টানতে টানতে নিয়ে তো গেলাম বাইরে, সে মালের মুখ থেকে ধোঁয়া ছাড়া কথা বের করতে পারলাম না।

    ******

    দিন দুয়েক কাটলো, এক একদিন কাটে আর পাহাড় প্রমাণ টেনশন বাড়তে থাকে, পরীক্ষা চলে এলো। সার্জারী একটা সাগর, medicine একটা সাগর। কি কি করে পেরবো, যদি বা উৎরে যাই, biostat বই চাপা পড়ে বোধয় গত জন্মে মরেছিলাম, কিছুতেই মাথায় ঢোকেনা। হোস্টেল থেকে বেরোনো বন্ধ, লোকজনের মুখ দেখিনা, ফুট খানেক দাড়ি হয়েছে, সেই নিয়েই সাপ্তাহিক অন কল করতে যাই। তার আবার সুবিধে ও আছে!

    সেই বাসি দাড়ির শোনা গল্প; আমাদের এক সিনিয়র ডিউটিতে, সেদিন নার্সিং হোম এ তুলকালাম শুরু হয়েছে কি একটা কারণে, আগুন টাগুন লাগিয়ে দেয় আর কি! কই ডাক্তার, শুয়োরের বাচ্চা ডাক্তার কোথায়! এইসব হাকডাক চলছে। সেই দাদা হেলথ সার্ভিস করা লোক, বাঘা বাঘা জায়গায় একা নাইট ডিউটি করে এসেছে, যেখানে দিনের বেলা লোকে দল বেঁধে চলে সমাজবিরোধীদের ভয়ে। তাকে এই শহুরে শখের ঝামেলাবাজরা কি করবে?
    তো সেই দাদা, শার্ট টার্ট আউট করে, চুল উস্কো খুস্কো করে, ১৫ দিনের না কাটা দাড়ি নিয়ে লিফট দিয়ে না নেমে সিঁড়ি দিয়ে নামতে শুরু করবে যেই, দেখছে হুড়হুড় করে বানের জলের মত বিষখ্যাত জায়গার লোক ঢুকছে ওয়ার্ডে। হাতে পেলে একটা মার ও মাটিতে পড়বেনা, কার ভুল, কি গন্ডগোল, কিচ্ছু বলার জো নেই। বেশ কিছু লোক সন্দিগ্ধ দৃষ্টিতে সেই দাদাকে দেখলো বটে, দামী শার্ট প্যান্ট, যদিও আউট করা। কিন্তু ওই যে বাঁচিয়ে দিল ১৫ দিনের অশৌচ মার্কা দাড়ি।

    এর মধ্যে খবর নেওয়া হয়নি ডায়াপার এর। সে অন্য হোস্টেলের অন্য উইং এ থাকে। ওদের হোস্টেলের নাম BCRoy হোস্টেল, ফিচেল ছেলে পুলে নাম টার অকথ্য একটা অপভ্রংশ বানিয়ে দিয়েছে। ওদের উইং টা বেশ খালি খালি, কারণ ঐদিকের উইং এর aquaguard টা জন্মগত ভাবে খারাপ।
    ডায়াপার এর রুমে আরেকটি ছেলে থাকে, সেও আমাদেরই ব্যাচের। একেবারেই অজ গ্রামের ছেলে। হয়তো তার বংশের প্রথম জেনারেশন যে স্কুলের গণ্ডি টপকে এসেছে। অতি গরীব এবং মধ্যমানের মেধা। তারও কিছু একটা নাম ছিল পিতৃদত্ত। Anatomy এর প্রথম পরীক্ষা, তার একটা গাল ভরা নাম হলো পার্ট। হ্যাঁ ফার্স্ট বা সেকেন্ড পার্ট না, শুধুই পার্ট। যুগ যুগান্তর ধরে এই নাম গুলোই চলে আসছে। সেই ছেলেটি ডাক্তারি পড়তে এসে আবিষ্কার করেছে বাংলায় পড়লে সে যতটা চটপট মাথায় তুলে নিতে পারে, ইংরিজিতে পারেনা। এনাটমির প্রথম পার্ট দিতে গিয়ে আবিষ্কার করেছে, ইংরিজি তাও সোজা, এখানে সমস্ত লাতিন, এবং তাও মান্ধাতার আমলের। আমাদের ডায়াপার তাকে রোজ সন্ধ্যেতে বাংলায় সরল ডাক্তারি করে পড়িয়ে প্রত্যেকটা বছর পার করে দিয়ে এসেছে। হোস্টেলের ছেলেরা তার বন্ধু ভক্তি দেখে নামকরণ করেছে 'চ্যালা'। আসল নাম টা কি ছিল সেটাও কালের অতীত।

    সন্ধ্যের দিকে ফোন করলাম। সন্ধ্যেটা PG Aspirant দের জন্য heterogenous একটা সময়, কেউ বিকেল ৫ টা থেকে শুরু করে পড়াশুনো, আমার এক বন্ধু আবার হেলে দুলে মুড়ি টুরি খেয়ে ৮ টা থেকে ভোর ৪ টে অব্দি পড়তো। ডায়াপার প্রথম দলের ছেলে, সেটা জেনেও কল করলাম।
    চ্যালা ফোন ধরলো,
    - ওই বাঁ, ডায়াপার কে দে। কি পড়ছিস আজ?
    - ওই যে, ফিজিওলজি। কালও পড়বো।
    - আচ্ছা পড়।
    - কিন্তু, অদ্ভুত লাগছে রে পড়তে?
    - কেন? কি হল?
    - এই যে, ধর পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেম। কত শাখা প্রশাখার মত চালাচ্ছে আমাদের বল তো। তারপর muscle contraction পড়ছিলাম যখন, মনে হচ্ছে ঠিক বুঝতে পারছিনা, চোখের সামনে দেখতে হতো muscle contraction, কোথায় ঢুকছে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম চ্যানেল কোথায় রয়েছে..
    - বালের কথা বলিসনা, অত detail দরকার নেই এক্সাম এর জন্য।
    - না রে, এক্সাম এর জন্য না, মনে হচ্ছে কিছু যেনো মিসিং। এভাবে পড়াশুনো করে লাভ হবেনা। Cherry picking হচ্ছে। আরো detail এ জানতে হবে, গভীরে দেখতে হবে।
    - হ্যাঁ ভাই, তুই হ্যাজ দে, আমি রাখলাম।

    ********

    আরো কিছু মাস কেটে গেছে, পরীক্ষার আগের সপ্তাহ, সিনিয়র ব্যাচের পরীক্ষা, জুনিয়র রা সিটিয়ে আছে। যে ব্যাচ ভলি আর শর্ট ক্রিকেটের চ্যাম্পিয়ন, সেই বাঘা হাউস স্টাফ দের ব্যাচ। চিৎকার করলে গালাগাল, টিভি রুমে জোরে B4U চালালে কেউ গিয়ে সুইচ অফ করে দিয়ে আসছে না না প্লিজ প্লিজ উপেক্ষা করে।
    গামছা জড়িয়ে বিড়ি ফুকছেনা কেউ করিডোর এ, গান গাওয়া গিটার বাজানো সব বন্ধ।
    মেসে খেতে গেলে সবাই তটস্থ, জুনিয়ররা চেয়ার ছেড়ে দিচ্ছে, যাদের খাপ বেশি, তাদের জন্য হাতের সামনে থালায় খাবার ও বেড়ে আনছে। PG পেয়ে গেলে মনে রেখো কিন্তু দাদা! ইসিজি পড়িও আমাদের!
    - হ্যাঁ হ্যাঁ হবে , আগে পাই তো। ওই পরীক্ষিত কে ধর, ইসিজি গুলে খেয়েছে।

    এই সময় আমিও ব্যস্ত, রুটিন বানানো, পুরোনো প্রশ্ন ঝালানো, JIPMER, AIIMS, PGI. যে টপিক গুলো ভবিষ্যতে জীবনেও আর চোখে দেখবনা, সেগুলোই বেশি ইম্পর্ট্যান্ট।

    এর মধ্যে ডায়াপার এর খোঁজ নিতে পারিনি। ডিউটি ও আপাতত বন্ধ আমাদের, ইন্টার্ন রাই চালাচ্ছে। চ্যালাকেও দেখছিনা।
    কান্ড টা ঘটলো ঠিক দুদিন পরে। সেই দুপুর টা মনে পড়লে এখনো আমি স্থানু হয়ে বসে থাকি। ওয়াক পাড়ি কখোনো কখোনো। হাত পা কাঁপতে থাকে। তারপর থেকে আমি মোটিভেশনাল ভিডিও গুলোকে ঘৃনা করি। করতে পারবোনা, করতে হবেনা। মাথার দিব্যি দিলে..

    সেদিন দুপুর আড়াইটার কাছাকাছি। Lunch হয়ে গেছে সবার, ৫ টা মিনিট ও নষ্ট করার মতো নেই কারো কাছে। একটা বিড়ি ধরানো মানে বিলাসিতা।
    খটকা টা অনেকের ই লেগেছিল। ডায়াপার আর চ্যালা আসেনি মেসে বেশ কিছু দিন। ফোন করিনি আমিও রিসেন্টলি। জুনিয়ররা কাল সকালে গেছিল wish করতে পরীক্ষার জন্য, দরজা বন্ধ ভেতর থেকে, অদ্ভুত একটা নাড়ি ভুঁড়ি মার্কা নর্দমার গন্ধ। যদিও ডায়াপার ভেতর থেকে বলেছিল পরে আসতে, এখন ও ঘুমোচ্ছে।

    জুনিয়ররা বলার পর, আমরা মেসের খাতা উল্টে দেখলাম, দুজনের কেউই খেতে আসেনি শেষ ৩ দিন। অথচ এখানেই রয়েছে, বেরোয়নি। সে সময় swiggy zomato ছিলনা, যে ঘরে এসে খাবার দিয়ে যাবে।

    আমরা জনা সাতেক ছেলে চললাম, ওর ঘরে। দেখবো কি এত গাঁতাচ্ছে , radiology নেবার শখ ঘুচিয়ে দেব এবার।
    দরজা বন্ধ ভেতর থেকে, একটা পচা পচা টক টক গন্ধ, লোহা লোহা গন্ধ দরজার ওপাশ থেকে। পুরো খালি করিডোর ভারী হয়ে আছে খুব চেনা চেনা গন্ধে। এই গন্ধ টা আমি পেয়েছিলাম সেবার। যেবার গন্ধেশ্বরী তে বাস উল্টে গেছিল, বাসের ছাদ ভর্তি লোক নদীর জলে পড়ে যায়। ডিউটি থাক আর না থাক, আমরা সবাই চলে গেছিলাম এমার্জেন্সি তে সাহায্য করতে। গিয়ে আমাদের বেশ কয়েকজনের vasovagal হয়ে গেলো, চোখে অন্ধকার দেখে বসে পড়লো মাটিতে। কাতারে কাতারে আহত মানুষ, আর সার দিয়ে শোয়ানো মৃতদেহ। প্লাস্টিকের ওপর রাখা শ দুয়েক কাটা হাত পা, রক্তে কাদা হয়ে গেছে মেঝে।

    সেবারে এই গন্ধটা মাখামাখি হয়ে গেছিলো সোয়েটার এ। মানুষের পেট কাটলে যে গন্ধটা বেরিয়ে আসে অপারেশন থিয়েটারে, সেই গন্ধটা। Planned OT না, যেখানে খালি পেটে রেখে করা হয়েছে, এমার্জেন্সি OT, এক পেট খাবার ওয়ালা অন্ত্র।

    দরজার ভেতর থেকে গুনগুন শব্দ আসছে, কেউ খুব মন দিয়ে পড়ছে, কান খাড়া করলাম, ডায়াপার এর গলা। পড়ছে abdominal aorta, তার branches।

    - ওই বাঁ, দরজা খোল!
    গলা টা কেঁপে গেলো। বাকিরা দরজায় লাথি মারলো, আমি না করার আগেই।

    হাট করে খুলে গেলো দরজা। একজন দেওয়াল ধরে সামলে নিল নিজেকে। দুজন দৌড়ে নিচে চলে গেলো চিৎকার করে বাকিদের ডাকতে।

    আমি আর দুজন রয়ে গেলাম সেই অতিপ্রাকৃত দৃশ্যের সামনে। দেখলাম ডায়াপার পড়ছে, anatomy পড়ছে। হাতে কলমে পড়ছে। সামনে ক্যাডাভার শুয়ে রয়েছে, পেট টা dissect করা। ঠিক যেমন ভাবে পড়ার কথা, ঠিক সেভাবেই। কিন্তু দৃশ্য টা এরকম বেখাপ্পা কেন, মাথা কাজ করছেনা যেন আমার। স্বপ্নের মধ্যে চলেছি, পা ফেলছি কোথায় জানিনা।
    Tubular vision হয়ে গেছে, আশ পাশের কিছু বুঝতে পারছিনা, কারণ cadaver টা যার, তাকে আমি খুব ভালো করে চিনি। আমি কেন, আমার সাথে আমার বন্ধুরাও চেনে। ওটা চ্যালা শুয়ে আছে, কিন্তু ওর পেট টা লম্বালম্বি কাটা, ঠিক sternum এর নিচ থেকে নাভি কে বাইপাস করে পিউবিক বোন অব্দি। একদম ছবির মত incision.

    - আয় আয় বোস; ডায়াপার বললো।
    এই যে abdomen পড়ছি, সমর মিত্র পড়ে কিছুই বুঝিনি, এবার বুঝতে পারছি। আর এই যে চ্যালার চিরকালই anatomy তে ভয়, সেই প্রথম পার্ট থেকে।
    জানিস কি বললো, বললো দেখ ভাই, আমি তো PG পাবনা, তুই সব সময় আমাকে সাহায্য করে এসেছিস, এবার আমি তোকে হেল্প করি! তুই আমাকে মেরে ফেল, atracurium এর দুটো vial চুরি করে আনতে হবে OT থেকে। তারপর anatomy টা পড়ে নে ভাল করে। জানিস বলেছে এরপর ফরেনসিক টাও পড়তে পারবি, decomposition chapter থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। মাল টা পাগল কিনা বল?

    আমার মনে নেই, আমরা কি উত্তর দিয়েছিলাম, কি করেছিলাম ওই মুহূর্তে। শুধু ওই দৃশ্যটা শেষ অব্দি চোখ বুজলেই দেখতে পারব।

    মৃত বন্ধুর লাশ, পেট টা কাটা, অন্ত্র লুটোচ্ছে মাটিতে। আর অন্ধকার ঘরে একজন দুলে দুলে পড়ছে .. As part of the aorta, it is a direct continuation of the descending aorta...


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • গপ্পো | ১০ নভেম্বর ২০২৪ | ২৯০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PRABIRJIT SARKAR | ১০ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৫০539354
  • বীভৎস গল্প!
  • Madhabi Bijuli | ১১ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬539395
  • কি নৃশংস। 
    অপ্রকৃতস্থ, ভয়ঙ্কর এই মানুষগুলোর চিকিৎসা প্রয়োজন।
  • কৌশিক চট্টোপাধ্যায় | 49.47.***.*** | ১২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:৩৯539425
  • Psychopath দের গল্প লিখতে গেলে একটা psycho analysis দেওয়া উচিত। The chaotic mind needs to be revealed, না হলে গল্প হয়না, একটা বিভৎস ঘটনার বর্ণনা হয়। তা ছাড়া কোনভাবে এটা justified হয় নি। যেখানে ক্যাডাভার ডিসেকশন এর সুবিধা আছে, তার album ও art plate ওলা বই পাওয়া যায়, সেখানে জ্যান্ত মানুষ কাটার কোনো justification নেই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন