ছোটবেলায় কী প্রাণোচ্ছল ছেলে ছিল সৌরভ! ওর সাথে দৌড়ে কেও পারত না। স্কুলে স্পোর্টসে প্রতিবছর তিনটে প্রাইজ ওর বাঁধা থাকত! হান্ড্রেড মিটার রেস, লং জাম্প আর হাই জাম্প। এরপর অবশ্য অন্য কোন ইভেন্টে নাম দিলে সেই প্রাইজটাও ওর হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় এমন সাধ্য আর কারোর ছিলনা। টিচাররা বলতেন,"সৌরভ তুই এই তিনটের বেশি ইভেন্টে নাম দিলে সব প্রাইজগুলো তো তুইই নিয়ে যাবি! বাকিরা কেও কিচ্ছু পাবে না!"
পড়াশোনায় যে সৌরভ খুব খারাপ ছিল, তেমনটা নয়। এক থেকে পাঁচের মধ্যে থাকতই সে। একটু চঞ্চল হয়ত ছিল, তবে একেবারেই যে খারাপ তা বলা যাবেনা! তাছাড়া খেলাধুলোয় বরাবরই স্কুলের নাম উজ্জ্বল করায় পড়াশোনা নিয়ে ওকে আর বেশি চাপ কেউই দিতনা। টিচাররা ওকে যথেষ্ট স্নেহ করতেন। আর এজন্য ক্লাসের ফার্স্টবয় অয়ন আবার সৌরভকে একটু হিংসেই করত। মাঝে মাঝে সৌরভকে নিয়ে সবার এত মাতামাতি অয়নের পছন্দ হতনা। তাছাড়া ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সৌরভ বেশ জনপ্রিয় ছিল। ইন্টারস্কুল ফুটবল ম্যাচে সৌরভ যখন বলে বলে গোল মারত, তখন গোটা স্কুল ছুটি হয়ে যেত! মাঠের চারিধারে শুধু একটাই চিৎকার শোনা যেত,' সৌরভ! সৌরভ!'।
সৌরভ যখন ক্লাস টেনে স্পোর্টসে চার চারটে প্রাইজ পেল, তখন ওদের হেড মাস্টার তপন বাবু সৌরভের বাবাকে ডেকে বলেছিলেন,"আপনার ছেলে একটা হীরে মশাই! পড়াশোনা আর খেলাধুলাকে এইভাবে ব্যালেন্স করতে আমি এর আগে আর কোন বাচ্চাকে দেখিনি।"
উত্তরে তপন বাবু হাতজোড় করে বলেছিলেন,"ছেলেটার মাথায় আপনার হাতখানা একবার রেখে দেন স্যার! আশীর্বাদ করুন, ও যেন একটা চাকরি পায়।"
সেদিন হেডমাস্টারের দেওয়া আশীর্বাদ হয়ত সত্যিই ফলেছিল বলেই আজ সৌরভ একজন সরকারি কর্মচারী! অবশ্য ক্লাস টেনে ওর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই কেমন গুমরে গিয়েছিল সে! আসলে পরিবারের পুরো দায়িত্বটা এসে পড়েছিল সৌরভের কাঁধে। কতইবা বয়স তখন? সংসারের অর্থ বুঝতে না বুঝতেই সংসারের দড়ি টানতে হয়েছিল তাকে! মায়ের সাথে গ্রামের স্কুল ছেড়ে শহরের একটা সরকারি স্কুলে ভর্তি হয় সৌরভ। সেখানে লোকের বাড়িতে কাজ করে, কাগজের ঠোঙা বানিয়ে, দোকানে কাজ করে ছেলেকে মানুষ করেছেন মা কমলাদেবী। এই সময়টা অত্যন্ত কষ্টের সঙ্গে অতিবাহিত করেন তিনি। অবশ্য ছেলেকে এর কোনোটাই বুঝে উঠতে দেননি তিনি।
কলেজ পাশ করেই একটা ক্লার্কের চাকরি পেয়ে যায় সৌরভ। আর তারপরেই অবস্থার একটু হলেও উন্নতি হয় ওদের। বছরদুয়েকের মধ্যে শ্রেয়া বলে একটি মেয়ের সাথে বিয়ে হয় সৌরভের। শ্রেয়া খুব ভাল, সাপোর্টিং আর সুন্দরী। ওদের সংসার আরও ভরে উঠল যখন পরেরবছর ওদের একটা ফুটফুটে বাচ্চা হল! আদরের শ্রেয়ান খুব তাড়াতাড়ি বড় হয়ে গেল। এই মাঝের সময়টা হুট করে পেরিয়ে যাবে তা ওরা বুঝতেই পারেনি। বুঝতে পারল হয়ত সময়টা বেঁধে রাখা যেত!
শ্রেয়ান এখন স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলে ক্লাস ফোরে পড়ে। সৌরভের মতই শ্রেয়ান খেলাধুলোয় খুব ভাল। প্রতিবছর বাবার মতোই স্পোর্টসে ওর প্রাইজ বাঁধা। অবশ্য বেসরকারি স্কুলে তো আর খালি পায়ে দৌড়ানো হয়না, সেখানে চাই দামী স্পোর্টস শু! চাই হাউস জার্সি! মোজা! জুতো বাদে সবই অবশ্য স্কুল থেকেই কিনতে হয়!
সকাল থেকে খুব বৃষ্টি আজ! অফিসে আজ তেমন কেও আসেনি। সৌরভের শরীরটা আজ একটু খারাপ থাকায় প্রথমটায় ভেবেছিল অফিস যাবেনা কিন্তু স্যারের দেওয়া কাজ কমপ্লিট করতে অফিসে আজ যেতেই হবে। কোনরকমে কাঁধে ব্যাগটা নিয়ে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে গেল সৌরভ!
বাবাকে বেরিয়ে যেতে দেখে এক ছুটে বাইরে বেরিয়ে শ্রেয়ান পিছন থেকে বলল,"বাবা, জুতোটা আজ আনবে। নাহলে কাল স্পোর্টসে আমাকে নামতে দেবে না বলেছে স্কুলে।"
সাইকেল টা থামিয়ে পিছনে এসে ছেলেকে জড়িয়ে ধরে একটা হামি খেয়ে বলল,"আনব বাবা, তুমি দুষ্টুমি করবে না একদম। স্কুলে গুড বয় হয়ে পড়াশোনা করবে কেমন?"
রুমালটা বের করে কপালের ঘামটা মুছে শ্রেয়াকে ' আসছি ' বলে আবার প্যাডেলে জোর লাগাল। কে বলবে এই সৌরভ ছেলেবেলায় দাপিয়ে বেড়াত গোটা পাড়া! বড় হয়ে সংসারের চাপে কেমন যেন দমে গেছে সে! হবে নাই বা কেন? মধ্যবিত্তের সাধ আর সাধ্যের মধ্যে যে বিস্তর ফারাক! মধ্যবিত্ত এমন এক জাতি যা সবার চেয়ে আলাদা! এরা না পারে কাওকে তেল দিতে, না পারে কাওকে কষ্ট দিতে! এদের খবর কেও রাখেনা! সমাজের চোখে এরা যেন অচ্ছুত!
কপাল আর গলার ঘাম মুছতে মুছতে অফিসে ঢুকল সৌরভ। ফ্যানটা অন করে এক ঢোঁক জল খেয়ে টেবিলে রাখা ফাইলগুলো ঝটপট সেরে গুরুদাকে ডেকে বলল,"গুরুদা, এই ফাইলগুলো একটু স্যারের টেবিলে রেখে দাও তো?"
"স্যার তো এখনো ঢোকেন নি! স্যারের আজ একটা ভিজিট আছে। সেকেন্ড হাফে ঢুকবেন।", গুরুদা বললেন।
ইসস! আজ স্যার কে বলে একটু আগে বেরিয়ে বাজার যাবে ভেবেছিল! ছেলের জুতো, মায়ের ওষুধ, শ্রেয়ার জন্য একটা অ্যানিভার্সারি গিফট!
সেকেন্ড হাফে স্যার ঢুকে ডেকে পাঠালেন সৌরভকে।
"মে আই কাম ইন স্যার?"
"আরে, আসুন আসুন! মনটা কোনদিকে থাকে? চারটে ফাইলে কোন স্ট্যাম্প নেই! দুটোতে ক্যালকুলেশন গণ্ডগোল! আর একটা.... কী যে বলি আপনাকে! এই দেখুন.....কে ওয়াই সি ডকুমেন্টস গুলো কোথায়? আমি একটাও সই করব না! যান নিয়ে যান! কাল ফার্স্ট হাফের মধ্যে আই নিড অল দিস ফাইলস কমপ্লিটেড!"
ফাইল গুলো নিয়ে বেরিয়ে এল সৌরভ। টেবিলে বসে প্লাস্টিকের জলের বোতলটা খুলে আবার এক ঢোঁক জল খেল। এইজন্য চাকরি পেয়েছিল সে? কোনদিকটা সামলাবে? অফিস না বাড়ি? ছেলের জুতো না মায়ের ওষুধ? ফ্ল্যাটের ই এম আই নাকি হলিডে ট্রিপ? মনে হচ্ছিল ফাইলগুলো স্যারের মুখের ওপর ছুঁড়ে একছুটে বেরিয়ে এসে বৃষ্টিতে ভিজতে পারলে ভাল হত! মনে হচ্ছিল অফিস থেকে বেরিয়ে শ্রেয়ার হাত ধরে পাহাড়ি কোন এক জায়গায় বসে থাকতে পারলে আর কিছু চাইনা! ইচ্ছে হচ্ছিল রেসিগনেশন দিয়ে শ্রেয়ানকে নিয়ে মাঠে গিয়ে প্র্যাকটিস করতে পারলেই জীবনের শ্রেষ্ঠ সুখ! কিন্তু সময়ের কাছে হার মানতে হয় সবাইকেই! পরিস্থিতি মানুষকে নাছোড়বান্দা করে ছাড়ে! চাইলেও সবকিছু পাওয়া যায়না! ঠিক যেমন পাওয়া যায়না ফেলে আসা ছেলেবেলা!
ফাইলগুলো শেষ করে যখন অফিস থেকে সৌরভ বেরোলো তখন সন্ধ্যে হয়ে গিয়েছে! গুরুদা ছাড়া আর কেও নেই!
গুরুদা এগিয়ে এসে বলল,"পাঁচশ টাকা দেবেন স্যার? ছেলেটা রাতে মাংস খাবে বলেছে....আমার কাছে যা ছিল বউটার ওষুধ কিনে নিয়েছি। আমি পরের মাসে মাইনে পেলে আপনাকে দিয়ে দেব স্যার!"
গুরুদার হাতজোড় করা হাতদুটো নামিয়ে সৌরভ মানিব্যাগ থেকে পাঁচশ টাকা বের করে গুরুদার হাতে দিল। গুরুদা নমস্কার করতেই তাঁর কাঁধ চাপড়ে হাসতে হাসতে বেরিয়ে গেল সৌরভ।
বর্ধমান লোকাল টা যেন আজ একটু বেশিই ফাঁকা! বৃষ্টিটা আবার পড়ছে মনে হয়! গায়ে তীরের মত বিঁধছে ফোঁটাগুলো! মোবাইলটা বের করে টাইমটা দেখতে গিয়ে ডেটা অন করতেই টুং টুং করে খান কয়েক মেসেজ উঁকি দিল মোবাইলের স্ক্রিনে। প্রথমটা শ্রেয়ার, "আজ তাড়াতাড়ি ফিরো। তোমায় ফোন পাচ্ছিনা কেন? আমার গিফটটা মনে আছে তো? স্মাইল ইমোজি। ও হ্যাঁ, মায়ের ওষুধগুলো নিয়েছো তো?" পরেরটা শ্রেয়ানের ভিডিও মেসেজ! "বাবা আমার জুতোটা নিয়েছো? কী রঙের নিয়েছো? জানো আমি আজ গৌরব কে বলেছি আমার বাবাও আমার জন্য নতুন স্পোর্টস শু কিনে আনবে। তাড়াতাড়ি এসো, আমি তোমার সাথে নতুন জুতো পরে প্র্যাকটিস করব।"
একবার মানিব্যাগটা বের করে দেখল সৌরভ। সামনের দিকটায় ওদের তিনজনের একটা ফটো আটকানো। ফটোটায় হাত বুলিয়ে ভিতরটা ফাঁক করতেই সে দেখল গোনাগুন্তি ১৮০০ টাকা পড়ে রয়েছে ব্যাগে। মোবাইলটা আবার বের করে ডেটটা দেখল, আজ ২৭ তারিখ। মাইনে হতে এখনো তিনদিন! কীকরে চলবে এই তিনদিন! কী কিনবে সে? কোনদিকে যাবে সে? ছেলের নতুন জুতো? নাকি মায়ের ওষুধ! নাকি শ্রেয়ার গিফট! সবগুলোই যে তার কাছে অত্যন্ত দামী! অত্যন্ত মূল্যবান!
সৌরভ কী করবে ভেবে পেলনা! হাসতে হাসতে চোখের জল মুছে ট্রেনের দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়াল। বৃষ্টির ফোঁটা গুলোও কেমন স্বাধীন! ইচ্ছে হলেই ঝরে পড়ে! সাংঘাতিক হওয়ায় চুল, জামা উড়তে লাগল সৌরভের! একবার নিজেকে দোষ দিল, কী জন্য বিয়ে করেছে সে! কী জন্য বাবা হয়েছে! কারোর একটা আবদার মেটানোর সামর্থ্য নেই তার! ছেলেবেলাটাই ভাল ছিল বোধহয়! সবাই পিঠে হাত দিয়ে বলত এগিয়ে যা, পাশে আছি। এখন তো পাশে কেও নেই! সে শুধু একা! একা হেঁটে চলেছে অজানা পথ ধরে! একা সংগ্রাম করে চলেছে প্রতিদিন! এ যুদ্ধের খোঁজ রাখে না কেও! এ মনের খবর নেয়না কেও!
ষ্টেশনে নেমে যখন সৌরভ সাইকেল নিয়ে বাড়ির দিকে আধভেজা হয়ে রওনা দিল তখন রাত প্রায় সাড়ে নটা! ছেলেকে মুখ দেখাবে কীকরে? শ্রেয়াকে কী বলবে? মায়ের ওষুধ তো আজও নেওয়া হলনা! শ্রেয়ান কী কাল স্কুলে খেলতে পারবে না? এসব ভাবতে ভাবতে সে যখন বাড়ি ঢুকল তখন মা কমলা দেবী ঘুমিয়ে পড়েছে! শ্রেয়ানও একটু আগে ঘুমোলো!
সে যেন শান্তি পেল! হাঁফ ছেড়ে বাঁচল! আর এখনকার মত ওদের মুখ দেখাতে হবে না! যা হবে পরে দেখা যাবে! কিন্তু শ্রেয়াকে কী বলবে সে? এই শান্তি তো ক্ষণিকের! এই মুখ না দেখানোর মধ্যেই কী লুকিয়ে রয়েছে ভবিষ্যতের সাংসারিক কলহ! এইজন্যই কী মধ্যবিত্তরা আজ বিচ্ছিন্ন! বাবা আর ছেলের মধ্যে কী এইজন্যই তৈরী হয় অলিখিত এক দূরত্ব! যা কোন স্কেল দিয়ে মাপা না গেলেও বেশ বোঝা যায় এর মারাত্মক পরিণাম! বেড়ে ওঠে নাম না জানা এক হতাশা! প্রতিযোগিতার দৌড়ে হার মেনে যায় আর্থিক দুর্বলতা! পিছিয়ে আসে শ্রেয়ানরা! শারীরিক সক্ষমতা থাকলেও শুধুমাত্র একজোড়া জুতো পিছনে ফেলে দেয় শ্রেয়ানদের মত খেলোয়াড়দের! ওরা গুরুদাদের পাঁচশ টাকা দিয়ে সাহায্য করলেও ওদের নিজেদের পাশে কাওকে পায়না! পায়না মন খারাপের সঙ্গী! মনের মধ্যে জমে থাকা রাশি রাশি দুঃখের পাহাড়গুলো ছুঁড়ে ফেলার মত কোন সুবৃহৎ স্থান পায়না! পকেটের মাত্র ১৮০০ টাকা মাসের শেষ সম্বল নিয়ে ঘুরে বেড়ানো অক্লান্ত শ্রমিকটি মনের মধ্যে যে কী বিরাট পাথর নিয়ে রোজ হাসিমুখে এগিয়ে চলেছে গন্তব্যের দিকে তার হিসেব কেও রাখে না! দিনশেষে কেও খোঁজ রাখে না যে সে নিজে কেমন আছে! তারপর গভীর রাতে যখন দুঃস্বপ্ন গুলো তাড়া করে ঘুম ভাঙিয়ে দেয়, কপালে জমা হয় বিন্দু বিন্দু ঘাম! বুকটা ধড়ফড় করে! উঠে একগ্লাস জল খায়! তারপর শ্রেয়ার দিকে তাকায়! কী নিশ্চিন্ত মুখ! কী সুন্দর দেখাচ্ছে তাকে! ওর মুখের সামনে থেকে চুলগুলো সরিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়! পাশেই ঘুমোচ্ছে ছোট্ট শ্রেয়ান! ওদের ভালোবাসা! ওদের একমাত্র সন্তান! পায়ের নীচে গুটিয়ে থাকা চাদরটা টেনে ছেলের গায়ে দিয়ে দেয় সৌরভ! আবার শুয়ে পড়ে! ঘুম আসে না তার! এপাশ আর ওপাশ করতে থাকে সে! রাতটা কোনমতে কাটলেও সকালে যদি শ্রেয়ান আবার বায়না ধরে! মা যদি ওষুধের কথা আবার জানতে চায়! শ্রেয়া যদি......!
বিছানা থেকে উঠে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে একটা সিগারেট ধরাল সৌরভ! কী নিশ্চিন্ত এই রাত! কী সুগভীর এই অন্ধকার! কোলাহল নেই, তাড়া নেই, ব্যস্ততা নেই, আবদার নেই!
জীবনটাও যদি এরকম হত? মধ্যবিত্তের জীবন?
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।