এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  দেখেছি পথে যেতে

  • হিমাচলের ইতি উতি - ২

    লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | দেখেছি পথে যেতে | ২২ নভেম্বর ২০২৫ | ১১১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • সিমলা | সিমলা থেকে কল্পা
    ক্যাফে ১০৩এ পেটপুরে খাওয়া দাওয়া করে বেরিয়ে একেবারে বোঁ বোঁ করে চলে যাবো,  এই পরিকল্পনা সারথীমশাইকে জানাতেই জানা গেল তিনি খাওয়া দাওয়া করেন নি কারণ নাকি আশেপাশে বিশেষ কিছু খুঁজে পান নি। ওমা সে কি কথা, চলুন চলুন শীগগির  কোথাও বসে খেয়ে নিন বলে টলে সিমলা শহর ছাড়িয়ে বেরিয়ে এক পেট্রোল পাম্পে হাজির হওয়া গেল। 


    সিমলা ছাড়িয়ে প্রথম বরফচুড়া 

    দূরে বরফচুড়াদের দেখে ইমনবাবু বেজায় উত্তেজিত। গাড়ি এবং সারথীমশাই যতক্ষণে ট্যাঙ্ক ও পেট ভর্তি করলেন আমরা ততক্ষণ ঘুরে ফিরে ছবি টবি তুললাম। উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় সিমলা থেকে  কিন্নরদেশ গিয়েছিলেন এই পথেই। তখন বাস চলত রামপুর অবধি। তারপর পাহাড়ের গা বেয়ে বেয়ে পায়ে হেঁটে চলা। শতদ্রুর ধার ঘেঁষে পথ সবে তৈরী হচ্ছে তখন। 


    সময় কাটাতে ছবিই তুলি

    সে সময় কল্পার নাম ছিল চিনি। উমাপ্রসাদ যখন নারকান্ডায় পৌঁছান চিনি যাবার ব্যবস্থা করতে, পথ চলার গাইড এবং মাল নেবার খচ্চর ইত্যাদির ব্যবস্থা করে দিয়ে সরকারি আধিকারিকের সহকারি তাঁকে জানান যে তিনি পৌঁছাতে পৌঁছাতে চিনির নাম বদলে কল্পা হয়ে যাবে। স্বাধীন ভারতে হিমাচলপ্রদেশ রাজ্য গঠিত হবার সামান্য পরের কথা এইসব। 

    সিমলা থেকে মাসোবরা, কুফরি,  ফাগু হয়ে নারকান্ডার পথে এগিয়েছেন উমাপ্রসাদ। আজকাল যখন বিভিন্ন ভ্লগে মাসোবরাকে দারুণ অফবিট জায়গা বলে উপস্থাপন করতে দেখি তখন খানিকটা মজাই লাগে। উমাপ্রসাদের লেখায় মাসোবরার উল্লেখ বেশ কয়েকবার আছে, সিমলা থেকে কোথাও যেতে হলে মাসোবরা হয়েই গেছেন বারবার। 


    সিমলা কল্পা পুরোন ম্যাপ 

    আমরা অবশ্য এযাত্রা মাসোবরা ছুঁয়ে যাই নি। সরাসরি সিমলা বাইপাস দিয়ে নারকান্ডা হয়ে এগোন। ২০২৩ এ থেকে যাওয়া "শ্যাম রেসিডেন্সি" হোটেলের পাশ দিয়েই গেলাম এবারেও। হোটেলটা ভাল লেগেছিল তখন।  শতদ্রু পাশে পাশে চলতে শুরু করেছে ইতোমধ্যে। তা রামপুর পৌঁছাতে প্রায় পৌনে চারটে বাজল। রামপুরের রাস্তায় বেদম জ্যাম। কোথাও একটা মেলাগোছের কিছু হচ্ছে, রাস্তার ধারে অজস্র জামাকাপড়, শীতবস্ত্রের দোকান বসেছে। 


    শতদ্রু চলেছে পাশে পাশে 

    স্থানীয় লোকজন সেজেগুজে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বা কোথাও রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে,  বসে নীচের দিকে কিছু দেখছেন। সীমন্তিনী উঁকি মেরে দেখে বলল কিছু একটা খেলা হচ্ছে মনে হয়। আমার তখন কিছু একটা আবছাভাবে মনে পড়ি পড়ি করেও ঠিকঠাক মনে পড়ল না। বাড়ি ফিরে উমাপ্রসাদ নামিয়ে দেখলাম। কার্তিক মাসে রামপুরে লাভি মেলা হয়। মস্ত উৎসব এ অঞ্চলের। 

    গোটা কিন্নৌর অঞ্চল থেকে বহু মানুষ আসেন নিজেদের হাতে বোনা পশরা, নাচগানের দল নিয়ে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এক মস্ত আকর্ষণ। এই বছরে এই মেলার দিন ১৪ - ১৫ নভেম্বর। তার আগে ৩রা নভেম্বর আমাদের যাত্রার দিনে লাভি মেলার প্রস্তুতি হিসেবে ছিল ঘোড়া ও ঘোড়সওয়ারদের প্রদর্শনী। তাতেই অমন জ্যাম। আমাদের রামপুর এলাকা ছাড়তে প্রায় ৪৫ -৫০ মিনিট লেগে গেল। 

    পাহাড়ের পাথর ক্ষয়ে ঘষে  গিয়ে প্রাকৃতিকভাবে তৈরী হওয়া সেই বিখ্যাত কিন্নর গেট, বসে থাকা বাঘের আকৃতির সাথে সাদৃশ্যের জন্য যাকে টাইগার গেটও বলেন অনেকে, সেখানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় অন্ধকার হয়ে গেল।  আনকোরা চাঁদ উঠে আসছে পাহাড়চুড়াদের পাশ কাটিয়ে। আরো দুই আড়াইঘন্টার রাস্তা বাকী। সারথীমশাই অবশ্য অকুতোভয়। 'সব ঠিক হো জায়গা ম্যাডামজি।' 


    কিন্নৌর গেট 

    অন্ধকার নেমে আসছে দ্রুত, অতি দ্রুত। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চাঁদের ঔজ্জ্বল্য।  মস্ত রূপোর থালার মত চাঁদ চলেছে সামনে পথ দেখিয়ে, যেন হাত বাড়ালেই ছুঁয়ে ফেলা যাবে। অনেকটা নীচ থেকে শতদ্রুর কলকল আবছামত কানে আসে। একটা নাকি দুটো ড্যাম পেরিয়ে গেল, পেরোল কি একটা টেক্সটাইল সেন্টারও। পথ তো আর ফুরোয় না। মাঝে মাঝে একটা অল্টো বোঁ করে পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যায়। 

    https://youtube.com/shorts/Dugs_44C9Wg?si=gVXCu6uSPIrEoruP
    কিন্নৌর গেট - ভিডিও 

    বুঝি এঁরা স্থানীয় বাসিন্দা, এ পথ এঁদের প্রতিদিনের আসা যাওয়ার। তাই প্রতিটা খাঁজ বাঁক চেনা এঁদের। রেকংপিওর একটু আগে এক জনপদে চৌমাথার মোড়ে পুলিশ আটকায় গাড়ি। সারথীমশাইয়েরও সীটবেল্ট পরা নেই,  কেস তো দেবেই। অত:পর চলল দরাদরি। ২০০/- তে রফা। এদিকে পুলিশ ইউপিয়াইতে ফাইন নিতে পারে না, সারথীমশাইয়ের কাছে ক্যাশ নেই।

    অতএব সারথীমশাই চললেন সামনের এক দোকানকে ইউপিয়াই করতে যাতে তাঁকে মানে পুলিশকে ২০০/- ক্যাশ দিয়ে দেয়। মোটামুটি মিনিট পনেরো বাদে ফিরলেন তিনি। কিরকম হুতোমথুমো এই সারথীমশাই ভেবেই বিরক্ত লাগছিল। কিন্তু স্টিয়ারিং যার হাতে তাকে এখন ঘাবড়ে দেওয়া চলবে না, আমরা চুপচাপই এগোই। সাড়ে সাতটা নাগাদ রেকংপিও চওকে পৌঁছানো গেল। 

    কল্পা আরো ৯ কিমি। হোটেলে ফোন করে পথনির্দেশ নিয়ে সেও একসময় পৌঁছানো গেলো। রাস্তা থেকে হোটেল বেশ খানিকটা উতরাই।  পরে দেখেছিলাম প্রায় ৪৫ ডিগ্রি খাড়া ঢাল। পরে ওঠার সময় হুতোমথুমোবাবু আরো ছড়িয়েছিলেন। যাক সে কথা, হোটেলে ঢুকে চেকইন করে দেখা গেল আমাদের ফ্যামিলি স্যুটখানি এমনি ভালই। তবে দুখানি ঘর মিলিয়ে অ্যামেনিটিজ কিঞ্চিৎ কম। 

    রুম সার্ভিস দিতে যে ছোকরা এলো তার কাছে যাই চাওয়া যায় সে বলে হবে না। উপর্যুপরি 'না' শুনে সীমন্তিনী খোকার নাম দিল 'না -বাবু'।  হোটেল মালিক ললিত ভার্মা উপস্থিত থাকলে অনেকটাই ম্যানেজ করে নেন। নাহলে ওই না-বাবু ভরসা। যাই হোক সেসব সামান্য ব্যপার, আসলে হোটেলটা বেশ ভাল। ঘরের জানলা দিয়ে কিন্নর কৈলাশ দেখা যাচ্ছে। সে অবশ্য একটা ঘরের জানলা খোলা যায়, অন্যটার কাচের জানলা শক্ত করে আটকানো।jpg


    চাঁদের আলোয় কৈলাশ - প্রথম দর্শন 

    এদের দোতলায় একটা খোলা ছাদ আছে, তাতে কতগুলো টেবিল চেয়ার পাতা। আর সামনে খোলা কিন্নর কৈলাশ রেঞ্জ। ইতোমধ্যে আমি দেখে নিয়েছি আগামী দুদিন মেঘ বৃষ্টি থাকবে এ অঞ্চলে।  কোনমতে মালপত্র নামিয়েই দৌড়ানো গেল ছাদে। আহাহা চাঁদ এতক্ষণে অনেকটাই উঠে  গেছে,  হাত বাড়ালেই ছুঁয়ে ফেলা যাবে দূরত্বে নেই আর। কৈলাশের মাথার বরফ ধুয়ে যাচ্ছে অনাবিল জ্যোৎস্নায়। 


    দেখে দেখে আঁখি না ফিরে

    কিছুক্ষণ দেখে অনিচ্ছাসত্ত্বেও নামতে হল, রাতের খাবার  পাওয়া যাবে না বেশী রাত হলে। আমি অর্ডার করেছিলাম চিকেন গার্লিক রাইস আর বুন্দি রায়তা। সীমন্তিনীরা চিকেন ফ্রায়েড রাইস আর চিকেনেরই একটা পদ। রান্না বেশ ভাল। খেয়েদেয়ে আবার ছাদে। ততক্ষণে চাঁদমামা মাঝ আকাশে উঠে গেছেন। তারপরের একঘন্টা শুধু মুগ্ধ হয়ে দেখে যাবার। 


    চন্দ্রাহত 
    (আকাশ এত পরিস্কার যে এত আলোতেও কিছু তারা দিব্বি দেখা যাচ্ছে।)

    কৈলাশশিখর ছেয়ে আছে গলানো প্ল্যাটিনামে,  ছেয়ে আছে অন্যান্য শৃঙ্গগুলো। চাঁদের আলোর যে এত রংবদল হতে পারে, বরফশৃঙ্গে তার আলো ছায়ার এত বৈচিত্র‍্যময় শেড দেখা যেতে পারে তা হয়ত কল্পা না গেলে জানাই হোত না। ঠান্ডায় হাত ঠোঁট অসাড় হয়ে যাচ্ছে, তবু চোখ সরে না। এই ক্ষুদ্র অকিঞ্চিৎকর জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা হয়ে থাকল এই রাত।


    পুরো কিন্নর কৈলাশ রেঞ্জ 

    (চলবে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    সিমলা | সিমলা থেকে কল্পা
  • ভ্রমণ | ২২ নভেম্বর ২০২৫ | ১১১ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বেলুর - %%
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • %% | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:৪২736026
  • দারুণ 
  • kk | 2607:fb91:4c21:664d:a9bc:c63c:7c5b:***:*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ২১:১৩736032
  • আহা! এসব জায়গা কেমন নির্বাক করে দেয়।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:148d:a109:906a:***:*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ২১:২০736033
  • একদম শেষের ছবিটা দেখে ক্লোজ এনকাউন্টার্স অফ দ্য থার্ড কাইন্ড এর সেট এর কথা মনে হলো। এসব জায়গায় নিশ্চয়ই ঝাঁকে ঝাঁকে ইউএপি নামে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন