এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  দেখেছি পথে যেতে

  • দ্বাদশ গিরিবর্ত্মের দেশে - ৬

    লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | দেখেছি পথে যেতে | ২৬ আগস্ট ২০২৫ | ৭৯ বার পঠিত
  • থিকসে থেকে আমরা গেলাম মধ্যাহ্নভোজ সারতে। একটা ছোট রেস্টুরেন্ট, কয়েকজন লাদাখি মহিলা চালাচ্ছেন। আমি নিলাম থুকপা,  সমরেশদা বৌদিরা দুজনে ফ্রায়েড রাইস। এখানে দেখলাম কাহওয়া পাওয়া যাচ্ছে, কাজেই সেও নিলাম। কাহওয়া হল ড্রাই ফ্রুটস,  এলাচ, জাফরান, লবঙ্গ দেওয়া কাশ্মিরী গ্রিন টি। হালকা মিষ্টি স্বাদের। শ্রীনগরে যে হতচ্ছাড়া টাইপ জায়গায় দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম সেখানে এটা পাই নি। পরেও পাই নি। 


    কাহওয়া 

    আমি সাধারণত স্থানীয় বৈশিষ্ট্যপূর্ণ খাবার দাবার খেতে ভালবাসি। তাই কাশ্মীরে কাহওয়া আর ওয়াজওয়ান খাবার খুবই ইচ্ছে ছিল। কিন্তু সে হয় নি। তো এই দোকানে কাহওয়ায় ড্রাই ফ্রুটস দেয় নি। তবে খেতে মন্দ না। বেশ অন্যরকম একটা স্বাদ।  খেয়েদেয়ে গেলাম হেমিসের দিকে। ‘'এই তো হেমিস'এর গল্প তো হেমিস উৎসবের পর্বে বলেইছি। সেসব বাধাবিঘ্ন ঠেলে হেমিসে গিয়ে পৌঁছানো গেল। 


    হেমিস গোম্পার প্রবেশপথ৷ 

    গাড়ি পার্কিং থেকে সামান্যই উপরে ওঠা। তারপরেই টিকিট কাউন্টার। ৫০/- টাকার টিকিট কেটে ছোট্ট একটা চত্বর পেরিয়ে ১৮ ধাপ সিঁড়ি উঠে  মূল গোম্পায় ঢোকার প্রবেশপথ।  ভারী সুন্দর নানা বৌদ্ধ প্রতীক আঁকা কাঠের গেট, একটা ছোট্ট চাতাল পেরিয়ে মূল প্রাঙ্গণ। হেমিসের ওই বিশাল গোম্পা রাস্তা থেকে একেবারেই দেখা যায় না কারণ অন্যান্য গোম্পার মত এই গোম্পা পাহাড়ের উপরে তৈরী নয়। 


    হেমিসের টিকিট (সামনের দিক) 


    হেমিসের টিকিট (উলটো পিঠ) 

    মূল লেহগামী রাস্তা থেকে অনেকটা উঠে মস্ত এক পাহাড়ের পিছনে দুটো পাহাড়ের ভাঁজে স্থাপিত। এর লুকোনো অবস্থানের কারণে যথেষ্ট ধনী হওয়া সত্ত্বেও হেমিস তেমন আক্রমণের শিকার হয় নি যেটা লামায়ুরু ইত্যাদি হয়েছে।  টিকিটটা বেশ কাজের। সামনের পিঠে হেমিস গোম্পা আর মিউজিয়ামের ছবির সাথে খুব সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া,  উল্টোপিঠে গোম্পার ম্যাপ আর কোন কোন জায়গা দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত তার তালিকা দেওয়া।  


    হেমিস মূল মন্দির 

    যদিও যীশুখ্রীস্টের এখানে থাকা নিয়ে গুজব ও নানা বইপত্র আছে, তবে হেমিসের বর্তমান স্থাপনা  ১৬৩০ খ্রীস্টাব্দে গিয়ালপো সিঙ্গে নামগিয়ালের রাজগুরু কুশক শম্ভুনাথ তৈরী করেন। নামগিয়াল বংশ লাদাখে দীর্ঘকাল রাজত্ব করেছেন, এঁরা মহাযান শাখার দ্রুকপা কাগিউপা উপশাখার অনুসারী। মূল প্রাঙ্গণে ঢুকে সামনে তাকালেই সুবিশাল গোম্পা। পাশাপাশি দুটো মন্দির,  বাঁদিকে দুখাং ডাইনে ৎসোখাং। মন্দিরদ্বয়ের নীচে একসারি জপযন্ত্র বসানো। 


    হেমিসের মূল প্রাঙ্গণ 

    বাঁদিকের মন্দির দুখাঙে একটা মস্ত স্তুপের সামনে মস্তবড় শাক্যমুনি বুদ্ধের মূর্তি। দুপাশে আরো দুটো স্তুপ। আর রয়েছে একসারি অতি উজ্জ্বল দেবদেবীর মূর্তি। এর মধ্যে বাঁদিকে তারাদেবী আর ডানদিকে পদ্মসম্ভবকে চিনতে পেরেছি। দেওয়ালে কাচের দরজা দেওয়া আলমারি আর তাতে ঠাসা পুঁথি। একেবারে বেদীর উচ্চতা থেকে ছাদ পর্যন্ত। ডানদিকের মন্দির সোখাঙে গুরু পদ্মসম্ভবের বড় মূর্তি। 

    এখানেও দেওয়ালজোড়া আলমারি আর তাতে ঠাসা প্রাচীন পুঁথি। সম্ভবত তিব্বতী ভাষায়। ভাবতে কেমন লাগে এই সব পুঁথিতে কি না জানি লেখা আছে, কোন সুদূর অতীতে কোন লামা এই সুউচ্চ পর্বতশ্রেণীর মধ্যে লুকানো গোম্পায় বসে ইয়াকের চর্বির তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে লিখে গেছেন একমনে। বাইরে হয়ত তখন বরফের পুরু স্তরে ঢাকা পড়ে আছে গোটা এলাকা।  ছয়মাস থাকবে এমনই, বাইরের পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন। 

    প্রাঙ্গণে ঢুকে সামনেই  মন্দির,  বাঁ পাশে স্যুভেনিয়র শপ আর মিউজিয়াম,  ডানদিকে আর পেছনে দুটো তলাতেই এল আকৃতির টানা বারান্দা, বারান্দার পেছনে ঘর।  মন্দির পেরিয়ে বারান্দার কোণা দিয়ে ছাদে যাবার সিঁড়ি। গতবারে যাওয়া হয় নি, এবারে উৎসবের দিন গিয়েছিলাম। ছাদে বেশ কখানা তিনদিকে কাচের দেওয়ালওলা ছোট ছোট মন্দির আছে, ভেতরের দেওয়ালে রঙীন ফ্রেসকো আর একজন করে দেব বা দেবী। এর মধ্যে একজন অবলোকিতেশ্বর। ভীড়ের চোটে বাকীদের আর নাম পড়ে উঠতে পারি নি। 

    ছাদ থেকে পিছনদিক  দিয়ে নেমে গোতসাঙ গোম্পায় যাবার পথ।  শুনলাম আড়াই তিন কিমি মত হাইক। তবে সামনে যা দেখলাম সে প্রায় ৪০ ডিগ্রি কোণে খাড়া চড়াই।  এই গোম্পায় যাওয়ার কোন রাস্তা নেই। হেমিসের পিছনের পাহাড় চড়েই যেতে হয়। পরে কখনো হয়ত যাবো। বরং মিউজিয়ামের কথা বলি। হেমিসের মিউজিয়াম এক রত্নখনি বিশেষ।  গতবারে মন্দির দেখে আমরা ঢুকেছিলাম স্যুভেনিয়ারের দোকানে। দোকানের ভেতর দিয়ে এগিয়ে গিয়ে পেছনের দিকে মিউজিয়ামের প্রবেশপথ। 

    প্রবেশপথের পাশেই সারি সারি লকার। ব্যাগ মোবাইল সব রেখে চাবি নিয়ে ঢোকা। কার্পেটবিছানো পথ নেমে গেছে ঢালু হয়ে। যে পাহাড়ের পিছনে হেমিস,  সেই পাহাড়টার  পেটের ভেতরেই মিউজিয়াম। ঠিক পাহাড়ের বাইরে যেমন রাস্তা ঘুরে ঘুরে ওঠে, সেরকমই ভেতরে ঘুরে ঘুরে নেমে গেছে। দুই পাশে সারি সারি গ্যালারি। এক একটা লেভেলে এক একরকম জিনিষের প্রদর্শনী।  মূর্তি,  থাংকা, বাজনা, বাসনপত্র,  অস্ত্রশস্ত্র, পুঁথির  উজ্জ্বল সমারোহ। 

    এই সংগ্রহের  অনেক জিনিষই  হেমিস উৎসব সহ অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। ওখানে সাধারণ মানুষের ছবি তোলার অনুমতি নেই। তাই বই থেকে কয়েকটা ছবি তুলে দিলাম। যদিও এর থেকে ওই বিশাল সংগ্রহের ধারণা পাওয়া কঠিন। 


    চিন্তা মণি - অবলোকিতেশ্বরের এক ভিন্ন রূপ 


    সন্ত নারোপা


    সবুজ তারাদেবী। 

    মোটামুটি একুশজন তারাদেবী আছেন। তার মধ্যে সবুজ তারা আর সাদা তারা খুব প্রচলিত। থিকসের তারাদেবী মন্দিরে এই একুশজনের অনেকেই আছেন। 


    Gyaling - রূপোর শিঙে নীচে সোনার জল করা নানা মূল্যবান পাথর বসানো। 

    লাদাখে লাপিস লাজুলি ও অন্যান্য মূল্যবান পাথরের (প্রেশাস ও সেমি প্রেশাস স্টোন)  ব্যবহার প্রচুর। উৎসবের সময় মেয়েদের উষ্ণীষে আর ছেলেদের গায়ের জামায় নানারঙের দামী পাথর দেখা যায়। 


    Chuker  - তামার তৈরী জল রাখার কাশ্মিরী পাত্র। 


    Phokspor  - ১৭১৫ খ্রীস্টাব্দে  তৈরী রূপোর ধুপদানি 


    প্রজ্ঞা পারমিতা পুঁথি - সোনার জলে লেখা।

    নীচে নামতে নামতে একবার মনে হয় এখন যদি একটা ৬ কি ৭ রিখটার স্কেলের ভূমিকম্প হয় তাহলে আমাদের বাঁচার কোন সম্ভাবনা তো নেইই, সহজে কেউ জানতেও পারবে না। তখনই মনে হয় হাজার বছরের বেশী এইসব পাহাড়ের ভেতরে গুহায় থেকেছেন শ্রমণরা, বাইরে -৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস,  তুমূল তুষারঝড় কিছুই বিচলিত করে নি তাঁদের। এই অপূর্ব থাংকাগুলো এঁকেছেন, পুঁথি লিখেছেন, নকল করেছেন। 

    মিউজিয়াম থেকে বেরিয়েও ঘোর কাটে নি আমাদের তিনজনের কারোরই।  আমি স্যুভেনিয়ার শপ থেকে মিউজিয়ামের সংগ্রহের উপরে একটা বই কিনলাম। পরে হোটেলে ফিরে বইটা দেখতে গিয়ে খেয়াল করলাম বিভিন্ন তান্ত্রিক উপাচারের জিনিষগুলোর উল্লেখ নেই বইতে। যেমন একটা পানপাত্র ছিল যেটা  মানুষের মাথার খুলি,  আরো কিছু কিছু মানুষের হাড় দিয়ে তৈরী মালা ইত্যাদি।  ওই মুখোশ,  থাংকা, অস্ত্র শস্ত্র, শিঙে,  ভেরী দেখে  ঠিক করে ফেলি আমাকে সামনের বছর হেমিস উৎসবে আসতে হবে। আসতেই হবে। 


    মুখোশ  - এই মুখোশটা এবারে ছাম নাচের সময় এক লামাকে পরা দেখেছি। 

    হেমিস সেচু বা হেমিস উৎসবের গল্প এখানে 
     
    (চলবে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ২৬ আগস্ট ২০২৫ | ৭৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 2607:fb91:1744:905e:48cc:717c:b9a:***:*** | ২৬ আগস্ট ২০২৫ ১৯:৪৫733653
  • "ভাবতে কেমন লাগে এই সব পুঁথিতে কি না জানি লেখা আছে, কোন সুদূর অতীতে কোন লামা এই সুউচ্চ পর্বতশ্রেণীর মধ্যে লুকানো গোম্পায় বসে ইয়াকের চর্বির তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে লিখে গেছেন একমনে। বাইরে হয়ত তখন বরফের পুরু স্তরে ঢাকা পড়ে আছে গোটা এলাকা।  ছয়মাস থাকবে এমনই, বাইরের পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন। "
     
    এই চিন্তাটার সাথে খুব ভালো কানেক্ট করতে পারলাম। চিন্তামণি অবলোকিতেশ্বরের মূর্তিতে মাথার ওপরে যে আরো দুই রূপ, তার তাৎপর্য জানতে ইচ্ছে করছে। এগুলো কি চিন্তার বিভিন্ন স্তর? সন্ত নারোপার হাতের মুদ্রা নিয়েও একটু কৌতূহল। এটা মনে হয় বরাভয় মুদ্রা, তাই না? কাহওয়া নিয়ে লিখেছো খুব ভালো করেছো। আমি সেদিনই ভাবছিলাম তোমাকে জিজ্ঞেস করবো শেষ  অব্দি কাহওয়া পেয়েছিলে কিনা, কেমন খেতে ইত্যাদি। কোথাও দেখেছিলাম যেন কাহওয়া আরেক রকমেরও হয়। গোলাপী রঙের, সেটা কালো চা, দুধ, জাফরান, আর ঐ মশলাপাতি ও ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে করে। কতকিছু আছে এনজয় করার এই পৃথিবীতে! ভালো লাগছে পড়তে সিরিজটা খুব। চলুক।
  • | ২৬ আগস্ট ২০২৫ ২১:১৯733655
  • চিন্তা মনির মাথার ঠিক উপরে সম্ভবত বজ্রপাশা (মন্ডলার ৪ দ্বাররক্ষীর একজন) ।  আর একদম উপরে তো শাক্যমুনি।  ওই যে গোল গোল মত অনেকগুলো জুড়ে ক্রাউন যাঁর তিনি শাক্যমুনি। শুনলাম   ওই গোল গোল ওগুলো নাকি শামুক। শাক্যমুনি যখন পায়েস খেয়ে ফাইনাল ধ্যানে বসেন তখন আর তাঁর বাহ্যজ্ঞান ছিল না, এদিকে প্রখর সুর্যের তাপে চাঁদি ফাটে ফাটে অবস্থা তখন নদী জলাশয় থেকে দলে দলে শামুক উঠে এসে ওঁর মাথায়  চড়ে মাথা পুরো ঢেকে ঠান্ডা করে দেয়। 
    শুনেই আমার মাথা কিলবিল করে উঠেছিল। বাবাগো! 
     
    সন্ত নারোপার ডান হাতে বরাভয় মুদ্রা।  বাঁ হাত জানি না। 
     
    হ্যাঁ একটা কমলা ধরণের কাহওয়া হয়, চায়ের কালো আর জাফরানের হলুদে মিশে। এছাড়া নুন মাখনের চা যেটা তিব্বতি চা সেটা গোলাপী হয়। সেটা ভারী ভাল খেতে। ট্রাডিশানালি ওটা ইয়াকের দুধের মাখন ( ছুরপি) দিয়ে বানায়। তবে আজকাল প্রায় সর্বত্র আমূল বাটার দেয়। এতে গন্ধটা একটু বদলে যায়। জিভে টেক্সচারটাও একটু স্মুদ লেগেছে আমার। ছুরপি দিয়ে বানালে টেক্সচারটা আলাদা)আরেকটু ভারী লেগেছে।
  • kk | 2607:fb91:1744:905e:48cc:717c:b9a:***:*** | ২৬ আগস্ট ২০২৫ ২১:২৪733656
  • হ্যাঁ, ঐ শামুকের কথাটা আমিও শুনেছি। খুবই বিকট লেগেছিলো। আমি ক্রল করে চলা প্রাণীদের খুব ভয় পাই!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন