শুউ – ন, শুন শুন সর্বজন
শুন দিয়া মন,
‘নমো’মঙ্গলের কথা করিনু বর্ণন।
নয় এ গল্পগাথা।।
নঅ – য় এ গল্পগাথা, সত্য কথা
এই অধম আজ কবে,
দেখে ‘রামের ফানুস’, বলে মানুষ,
‘নমো’-ই আবার হবে।
দেশের প্রধানমন্ত্রী।।
দেএ – শের প্রধানমন্ত্রী, বাদ্যযন্ত্রী
বাজান রাষ্ট্রযন্ত্র,
আর, বেকুব প্রজা শোনে, রাজা
কহেন যে সব মন্ত্র।
শোনে মুগ্ধ হয়ে।।
শোও – নে মুগ্ধ হয়ে, ধৈর্য্য লয়ে
শতেক আশার বাণী,
আর, ভাষণ শেষে ঘরে এসে
গেলে দুই গ্লাস পানি।
তাতে মন ভরে যায়।।
তাআ – তে মন ভরে যায়, পেট কহে , হায় !
এ কি বিষম জ্বালা,
ওরে, নাই যে অশন, শুধুই ভাষণ,
কান যে ঝালাপালা।
আমার চলবে কিসে।।
আআ – মার চলবে কিসে, বাক্য পিষে
বেরোয় না তো আটা,
দিয়ে পেটের ছুটি, বিনা রুটি
যায় কি ভাষণ চাটা ?
শুনে, কহেন নমো।।
শুউ – নে, কহেন নমো, আরে রামোঃ
এ ব্যাটা কি বলে !
শোনো, মন্দির দ্যাখো, রামকে ডাকো,
অযোধ্যায় যাও চলে।
খিদে টের পাবে না।।
খিই – দে টের পাবে না, মন নেবে না
পেটের খবর আর,
রাম নামের ঠ্যালায় ভূতও পালায়,
খিদে তো কোন ছার।
এটাই ‘নমো’ ম্যাজিক।।
এএ – টাই ‘নমো’ ম্যাজিক, ইউনিক লজিক
করো প্র্যাকটিস শুরু,
খাও, খালি পেটে রাম নাম বেটে,
আমরা বিশ্ব-গুরু।
পুণ্য ভারতভূমি।।
পুউ – ণ্য ভারতভূমি, তোমায় নমি
কি বিচিত্র দেশ !
হয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রী আবার, মন্ত্রী
চলিলেন বিদেশ।
করতে দেশের ভালো।।
কঅ – রতে দেশের ভালো, জ্বালতে আলো
অর্থনীতির ঘরে,
তাঁর উড়োজাহাজ দেখে সমাজ
ধন্যি ধন্যি করে।
‘নমো’ জানলা দিয়ে।।
‘নঅ – মো’ জানলা দিয়ে হাত নাড়িয়ে
হাসেন মিটিমিটি,
আর, খিদে ভুলে ‘জয় রাম’ বলে
বেকার বেটা-বেটি।
জাহাজ টেক-অফ করে।।
জাআ – হাজ টেক-অফ করে, গর্বভরে
ভক্তবৃন্দ বলে,
কারো চিন্তা নাই আর, জুটবে রোজগার,
‘নমো’ ফিরে এলে।
তিনি রাম অবতার।।
তিই – নি রাম অবতার, নাম জপো তার
দেন যে ফ্রি-তে রেশন,
আবার উপরি পাওনা, রাম নাম গাওনা,
ধন্যি ‘নমো’-র শাসন।।
ইতি ‘নমো’মঙ্গল।।
ইই – তি ‘নমো’মঙ্গল, কথার দঙ্গল
করি সমাপন,
এবার, দু’হাত জুড়ে, ভক্তিভরে
কহো সুধীজন।
কহো, ‘নমো নমো’।।
________
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।