এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • মেট্রো রেলের গপ্পো 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৩ আগস্ট ২০২৫ | ২১ বার পঠিত
  • আপনারা ভুলে গেছেন, বোধহয় বছর খানেক আগেই উনি বলেছিলেন, অপু-দুগ্গা যেমন ট্রেন দেখতে যেত, ছোটোবেলায় উনি কলকাতার মেট্রো দেখতে আসতেন। ওদিকে ওঁর জন্ম ১৯৫০ সালে, কলকাতা মেট্রো চালু হয় ১৯৮৪ তে। অপু-দুগ্গার ব্যাপারটা অবশ্য বলেননি, ওটা বিবেকের পরের সিনেমায় থাকবে। উনিজি হাপ্প্যান্ট পরে ধোকলা খেতে খেতে হাঁ করে পার্কস্ট্রিট মেট্রো স্টেশন দেখছেন। দূর থেকে কু-ঝিক-ঝিক করে ট্রেন আসছে। স্টেশনের দেয়ালে লাল অক্ষরে লেখা বামফ্রন্টের স্লোগান "বাংলাদেশী লাও, বাংলা বাঁচাও"। সেই লেখা মুছে "মা ভারতী"র ছবি আঁকছেন এক বিখ্যাত চিত্রকর। তিনি অরিন্দম চ্যাটার্জি, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ভাই। দূর থেকে দেখতে পেয়ে সিপিএম মোল্লাবাহিনী মার মার বলে দৌড়ে আসছে। ডায়রেক্ট অ্যাকশন। তাদের তাতে অস্ত্র, থুতনিতে লম্বা দাড়ি, লেনিনের মতো না চেঙ্গিজ খানের মতো বোঝা যাচ্ছেনা। অকুতোভয় অরিন্দম নড়ছেন না, ছবি এঁকেই চলেছেন। মরেই যেতেন সেদিন। কিন্তু হঠাৎ লম্বা চুল আর দাড়িওয়ালা তান্ত্রিকের মতো একটা লোক, হাতে খাঁড়া নিয়ে ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে অরিন্দমের সামনে দাঁড়াল। মুখে জয়-মা-কালী বলে পরিত্রাহী চিৎকার। এই লোকটির নাম গোপাল। ভয় পেয়ে মোল্লাবাহিনী ল্যাজ গুটিয়ে হাওয়া। এবার ট্রেন থেকে নেমে এলেন স্বয়ং গুরুদেব। গোপাল তাঁকে প্রণাম করল। গুরুদেব বললেন, জানিসই তো আমি সকলেরই নামকরণ করে থাকি। চিত্তরঞ্জনকে বলেছিলাম দেশবন্ধু, গান্ধিকে মহাত্মা। তোর নাম দিলাম পাঁঠা, আর শিয়ালদা স্টেশনের নাম দিলাম শ্যামাপ্রসাদ। 

    উনিজি হাপ্প্যান্ট পরে দূর থেকে এই দৃশ্য হাঁ করে দেখছিলেন। আর আরও দূর থেকে দেখছিলেম আরেকজন। তিনি এক তরুণ ছবি-আঁকিয়ে। নতুন একটা মুভি ক্যামেরা পেয়ে টেস্ট করতে বেরিয়েছিলেন। পুরো ট্রেন দেখার দৃশ্যটা শুট করে রাখেন। লোকটির নাম সত্যজিৎ রায়, তিনি লালা লাজপত রায়ের ভাই। আর পরে এই নিয়ে যে সিনেমা হয়, সেটার নামই পথের পাঁচালি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন