এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • এই ফাটকাবাজির দেশে স্বপ্নের পাখিগুলো বেঁচে নেই: ৭১ বনাম ২৪ (পর্ব ৪) 

    জোনাকি পোকা ৭১ লেখকের গ্রাহক হোন
    ২২ আগস্ট ২০২৫ | ২১ বার পঠিত
  • | | |
    চেতনা বিষয়ক প্রস্তাবনা 
     
    আলোচনার প্রথমে আমরা খোলা মনে চেতনা বিষয়ক ২টা কথা ঝটপট শেষ করতে চাই। প্রথমত,  'চেতনা' হচ্ছে এমন বিষয়, যার মাধ্যমে ব্যক্তিগত, সমষ্টিগত, রাজনৈতিক এবং ঐতিহাসিক জ্ঞানসমৃদ্ধ এক রকমের প্রজ্ঞাপ্রসূত সচেতনতা সমাজের প্রান্তিক পর্যায়ে 'সংক্রামিত' হয়। সংক্রমণের কথা বলার প্রধান কারণ, এই চেতনা ঠিক ভাইরাসঘটিত রোগের মতনই সমাজে ছড়িয়ে পড়ে।  দ্বিতীয়ত, চেতনা কখনোই ব্যক্তি পর্যায়ে থেমে থাকে না। যদি থেমে থাকে, যদি সমাজের দশ জনের বিবেচনাবোধের উপর প্রভাব বিস্তারে ব্যর্থই হয় তবে তাকে আমরা 'চেতনা'  বলতে পারি না। চেতনা বস্তুত বহুরৈখিক এবং প্রায়োগিক সমষ্টিগত উপলব্ধি। 
     
    ৭১'র বয়ান
     
    ১৯৭১ ছিল আদতে বাংলাদেশে বাঙালি এবং অপরাপর জাতিগোষ্ঠীর মুক্তির সনদ। যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নিজের পরিচয়'কে গোটা পৃথিবীর সামনে উপস্থাপন করেছিল। এবং যুদ্ধ জয়ের মধ্য দিয়ে সেই পরিচিতি'কে অর্জন করেছিল। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভের পর বাংলাদেশের নিজস্ব সংবিধান রচিত হয়েছিল। কিংবদন্তী বুদ্ধিজীবীগণ সেই সংবিধানের ৪টি মূল স্তম্ভ নির্মাণ করেছিলেন। স্তম্ভগুলো কী কী? 
     
    ১/ জাতীয়তাবাদ 
    ২/ গণতন্ত্র 
    ৩/ সমাজতন্ত্র 
    ৪/ ধর্মনিরপেক্ষতা 
     
    এই স্তম্ভগুলোকে আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক বলতে পারি। এগুলোই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অন্তরীণ দর্শন। আর এই দার্শনিক বয়ান'কে আমরা ৭১'র চেতনা  বলে থাকি।
     
    ১৯৭১ তো বাংলাদেশের ইতিহাসে বিনা মেঘে বজ্রপাত নয়। ১৯৪৭ সালে ইংরেজ কর্তৃক ধর্মভিত্তিক বিভাজনের দরুন বাংলার আকাশে যে 'অসমাপ্ত বিপ্লব' ঘনায়মান ছিল, পাকিস্তানের ২৩ বছরের অত্যাচারে আর বৈষম্যের নাগপাশে সেই বিপ্লবই ১৯৭১'র জন্ম দিয়েছিল। 
     
    আমাদের ভুলে গেলে চলবে না; ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এই সকল ঐতিহাসিক ঘটনা মিলেই ১৯৭১ সালের বয়ান সৃষ্টিতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছিল। এবং আরো যে কথা বারংবর মনে রাখা কর্তব্য, ১৯৭১ সালে আমরা ১টি ভিনদেশী জাতিগোষ্ঠীর অত্যাচার, লুন্ঠন এবং আগ্রাসন বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিপ্লব করেছিলাম। এবং প্রায় ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা লাল-সবুজের পতাকাকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম। এই কথাটা হয়তো ইদানিং এক কুচক্রী মহল খুবই ঠান্ডা মাথায় জাতীয় বিবেক'কে ভুলিয়ে কিংবা গুলিয়ে দিয়ে বিপথে নিতে চাচ্ছে।
     
    ২৪'র বয়ান
     
    ২০২৪ সালে মূলত ১টি আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল। কীসের আন্দোলন?  কোটাসংস্কার আন্দোলন। সেই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল সরকারি চাকরির অবকাঠামোতে যে কোটাব্যবস্থা প্রচলিত আছে, সেই ব্যবস্থাকে আমূল বদলে দেয়া। স্বাধীনতার এই ৫৪ বছর পরেও 'মুক্তিযোদ্ধার পরিবার' ক্যাটাগরিতে একটা বিশাল সংখ্যক কোটার প্রচলন আছে। এর সাথে আরো যে যে ক্যাটাগরি বর্তমান আছে তা হলো: নারী, প্রতিবন্ধী, আদিবাসী/নৃগোষ্ঠী ইত্যাদি। তবে অন্যান্য কোটার তুলনায় 'মুক্তিযোদ্ধা' কোটা শতকরা হারে অধিক ছিল। যা আদতেই অপ্রয়োজনীয়। কেননা, এই কোটাব্যবস্থার সুফল যারা ভোগ করতো, তারা আদতে শিক্ষাজীবন থেকে চাকরিজীবন সকল পর্যায়েই এই ব্রহ্মাস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ পেত। অথচ স্বাধীনতার এত বছর পর, আদতে সকল ক্ষেত্রেই একই সার্টিফিকেট ব্যবহার করে কেন তারা এই সুবিধা ভোগ করবে? এটা ছিল অন্যতম প্রশ্ন। 
     
    অন্যদিকে, এমন অনেক জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের পাওয়া যায়, যারা নিজের আখের গোছানোর কথা চিন্তা করে যুদ্ধে গিয়েছিলেন, কিংবা সেই কোটা'কে ব্যবহার করে বিশেষ সুবিধা নিবেন এমন ভাবনা লালন করেন, তা নিজেদের আত্মাভিমান থেকেই মেনে নিতে পারেন না। সহজ ভাষায় 'কোটা' নামক বিশেষ সুবিধা পাবার আশায় কেউ যুদ্ধ করেনি। মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১ সালে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন নিজের মা-মাটি-মোহনা'কে বিদেশির অছ্যুৎ সর্বগ্রাসী অত্যাচারী হাত থেকে রক্ষা করতে।
     
    ফেসবুকে কিছুদিন আগে ১টি ভিডিও খুব ভাইরাল হয়েছিল। ভিডিওতে আমরা ১জন মাঝবয়স অতিক্রান্ত শ্রমজীবী  লোককে দেখতে পাই। যাঁর ভাষ্যে তিনিও ১জন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ভিডিওতে তিনি মুখে শব্দ করে দেখান, কীভাবে গুলি করে পাকিস্তানিদের তিনি হটিয়ে দিয়েছিলেন। এবং তাঁর সরল ভাষ্যে তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় যুদ্ধে তিনি অন্য কোনো কিছু পাওয়ার আশায় যান নাই। গিয়েছিলেন মোটা ভাত, মোটা কাপড় আর একটু আরাম-আয়েশ; স্রেফ এতটুকুর জন্যই। 
     
    তো আমরা এখানে ২৪'র বয়ানে প্রথম দিকে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা'র আমূল পরিবর্তনের কথাই শুনেছিলাম। যে কারণে, দেশের অধিকাংশ মানুষই এই কোটা-আন্দোলন'কে সমর্থন জানিয়ে ছিল। 
     
    তারপর এই আন্দোলনের উপর তৎকালীন আওয়ামী-সরকার অযাচিত কর্তৃত্ববাদী শক্তিপ্রয়োগ শুরু করে। যার ফলে লাশ পড়ে। মৃত্যু বা লাশ যে কোনো আন্দোলনের জন্য বিশেষ অনুঘটক হিসেবে কাজ করে, এটা আমরা সবাই জানি। ২৪'র আন্দোলনেও ঠিক তাই হলো। আগ্নেয়গিরি'র লাভার মতো জনগণের মনে সাধারণ মানুষের মৃত্যু এক ভীষণ বিতৃষ্ণার উদ্রেক ঘটালো। 
     
    ২৪'র আন্দোলনে কেন এত লাশের কাফেলা? এর পেছনে কি শুধুমাত্র তৎকালীন সরকার আওয়ামী লীগেরই হাত ছিল? নাকি আরো কোনো গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ? 
     
    এরকম হাজারো প্রশ্ন থাকা স্বাভাবিক। তবে জুলাইয়ের ১৫ থেকে আগস্টের ২ তাং পর্যন্ত এই আন্দোলন স্রেফ কোটা সংস্কারের আন্দোলনই ছিল, যেখানে সাধারণ ছাত্র এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ৯টি দাবি সরকারের সামনে পেশ করা হয়েছিল। এবং ততদিনে আওয়ামী সরকারও কোটা সংস্কারের দাবি আমলে নিয়ে, তা সংস্কার করার কথা ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আগস্টের ৩ তাং এসে সেই আন্দোলন রূপ নিলো সরকার পতনের আন্দোলনে। সবশেষে ৫তাং সরকারের পতন ঘটলো এবং শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করে প্রাণে বাঁচলেন।  
     
    গোড়া থেকেই এই আন্দোলনটি ছিল সাধারণ শিক্ষার্থী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন'র ব্যানারে ঢাকা। যদিও সাধারণ শিক্ষার্থী বলে আদতে কিছু নেই। যা সাংবাদিক নবনীতা চৌধুরী তার বয়ানে বারবার বলেন। আমিও তাই মনে করি। কোনো রকম রাজনৈতিক এজেন্ডা ছাড়া ছা-পোষা মধ্যবিত্ত ছাত্র কিংবা জনতা কখনোই কোনো আন্দোলনের সৃষ্টি করতে পারে না। যারা আন্দোলনের সূত্রপাত করে, তাদের নিশ্চিতভাবেই একটি বা একাধিক রাজনৈতিক এজেন্ডা থাকে। তা সেই এজেন্ডা গুপ্তই থাকুক অথবা প্রকাশ্যই থাকুক। আর ২৪'র আন্দোলনে রাজনৈতিক এজেন্ডা গুপ্ত/ সুপ্ত ছিল। যে কারণে এই আন্দোলন কিংবা অভ্যুত্থান'কে আমরা বিপ্লব বলতে পারি না। একই যুক্তিতে অভ্যুত্থানকারীদের বিপ্লবী আখ্যা দিতে পারি না। এদিক থেকে ২৪'কে আমরা কেবল রিজিম পরিবর্তনের আন্দোলন বলেই মনে করি। 
     
    ২৪ কি প্রতিচেতনা? 
     
    ২৪'র আন্দোলন কি ৭১'র বিরুদ্ধে প্রতিচেতনা হয়ে উঠতে চাইছে? যখন আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল তখন তা আদতেই কেবল এবং কেবলমাত্র কোটা আন্দলোন ছিল। বলা যায়, আন্দোলন চলাকালীন সময়ে আন্দোলনকারীরা ৭১'কে খুব ভালোভাবে ব্যবহারও করেছে। তাই এর বিশেষ কোনো দার্শনিক বিরাট আকাঙ্খা ছিল কিনা তা তখন প্রকাশিত ছিল না। কিন্তু আন্দোলনে সফল হয়ে রিজিম পরিবর্তনের মাধ্যমে যখন আন্দোলনকারীদেরই একাংশ সরকার গঠনে অংশ হয়ে উঠলো তারপর থেকেই এর অন্য রূপ প্রকশিত হতে শুরু করে। 
     
    কেন বলছি, ২৪ হয়তো প্রতিচেতনা হয়ে উঠতে চাইছে? কারণ, সরকার গঠনের পর এদের কর্মকান্ডই এরকম। তারা চাইছে ২৪ যাতে চেতনার মতন যুগের পর যুগ জীবিত থাকে। চাওয়াটা হয়তো দোষের নয়। কিন্তু তারা মূলত পাকিস্তানি বয়ান'কে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস চালাচ্ছে, যাকে আমরা সন্দেহ করি।
     
    পাকিস্তানি বয়ানকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা
     
    রিজিম পরিবর্তনের পর, দেশের জাতীয় সঙ্গীত থেকে শুরু করে সংবিধান সবকিছুই এই নব্য সরকার ছুড়ে ফেলার কথা ভেবেছিল। আর এই বিতর্কের কারণেই আমরা সন্দেহ করি, তারা হয়তো পাকিস্তানি বয়ান'কে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। 
     
    পাকিস্তানি বয়ান বলতে আমরা কী বোঝাতে চাচ্ছি? আমরা এই বয়ানে বোঝাতে চাচ্ছি, জামাতে ইসলাম কিংবা রাজকারেরা যেমন ৭১'কে সহ্য করতে পারে না, ৭১'র প্রশ্নে তারা গোলমাল করে, যুদ্ধ'কে অস্বীকার করে, শহীদের সংখ্যা আর সংবিধান বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে; বর্তমান সময়ে এইসব ব্যাপারেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। 
     
    ২১আগস্টের 'দৈনিক আজকের পত্রিকা'র তথ্যমতে ভিসা ছাড়াই যাতে বাংলাদেশের সরকারি ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীরা পাকিস্তান সফরে যেতে পারে, এমন চুক্তি হবার কথাও উত্থাপিত হয়েছে। তবে কি আমরা সন্দেহ করতে পারি না, ৭১'কে ম্লান করে ফেলার ষড়যন্ত্রই এখন চলছে? 
     
    মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা বিষয়ে গত কিছুদিন তো কম জল ঘোলা হয়নি। শহীদের সংখ্যা যদি কম হয়, তবে আদতেই কাদের স্বার্থ হাসিল হয়? এ বিষয়ে বুঝতে হলে কি আমাদের রকেট সাইন্টিস্ট হতে হবে?  
     
    জুLie সনদই কি সেই প্রতিচেতনার দলিল? 
     
    জুলাই সনদ নিয়ে বেশ উত্তাপ ছড়াচ্ছে এখন। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কুশীলবদের এখন ১টাই দাবি। সংবিধান'কে ছুড়ে ফেলে জুLie সনদ ঘোষণা করা হোক। কেননা এই সনদ যদি ঘোষিত না হয়, অর্থাৎ আইনত কার্যত না হয়, তবে বর্তমান সংবিধান মতে দেশদ্রোহী আচরণের প্যাঁচে পড়ে কুশীলবদের জীবন ওষ্ঠাগত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা আমরা সবাই জানি এক মাঘে তো শীত যায় না। ক্ষমতাও আজীবন কুক্ষিগত থাকে না।
     
    ২৪'র জুলাই আন্দোলনের কুশীলবদের নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি চায়, যত দ্রুত সম্ভব এই সনদ কার্যকরী করা হোক। অপর দিকে এনসিপি'র বন্ধুস্থানীয়, যাদের প্রচ্ছন্ন সহায়তায় এই আন্দোলন'কে সফল করা গেছে, গুপ্ত রাজনীতির মহানায়ক দল জামায়াতে ইসলাম চায় জুলাই সনদ'কে সংবিধানের উপরে স্থান দেয়া হোক। এবং জুলাই সনদ যাতে প্রশ্নাতীত ভাবে কার্যকর করা হয়। এতে কেউ আর আদালতে জুলাই সনদ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন তোলার অধিকার পাবে না। এই বিষয়ে এনসিপি আর জামায়েত একজোট। তারা সংবিধানের ৭নং অনুচ্ছেদের দোহাই দিয়েই বলছে, 'জনগণের অভিপ্রায় সংবিধানের উপরে'। কিন্তু সেই জনগণ আদতে কারা? সেই জনগণ বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর কত শতাংশ?  
     
    অপর দিকে বিএনপি অবশ্য বলেছে, কোনো রাজনৈতিক সমঝোতার দলিলই সংবিধানের উপরে স্থান পেতে পারে না। এবং তারা চায়, সনদের বিষয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলার অধিকার যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে। বিএনপির এই দাবির কারণে অবশ্যই তারা প্রসংশা'র হকদার। জানা যায়, জুলাই সনদে ৮৪ টি দফা'র উত্থাপন করা হয়েছে। তবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। স্পষ্ট নয় এই কারণে, সাধারণ জনগণ আদতে এ সম্পর্কে কিছুই জানে না।
     
    অথচ বর্তমান সংবিধান মতে বাংলাদেশের আসল মালিক এদেশের জনগণ। আর রাজনৈতিক দলগুলো বারবার জনগণের দোহাই দিয়ে নিজেদের আকাঙ্খাকেই বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যায়। জনগণ আজীবনই যেন অন্ধকারেই থেকে যায়।
     
    রাজনৈতিক ব্যবস্থায় জনগণ নামের শব্দটাকে আমার কাছে কেন যেন গাল ভরা গল্পই মনে হয়! 
     
     
    [ আবার কথা হবে আগামী পর্বে। ধন্যবাদ।] 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | |
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন