এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • এই ফাটকাবাজির দেশে স্বপ্নের পাখিগুলো বেঁচে নেই: জুLie বিপ্লব (পর্ব ২)

    জোনাকি পোকা ৭১ লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৮ আগস্ট ২০২৫ | ১১১ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • |
    জুLie বিপ্লব এর আগে কয়েকটা কথা  
     
    আমাদের বাংলাদেশে বারংবার বিপ্লবের অপমৃত্যু ঘটেছে। এই দেশে বিপ্লব অভিশপ্ত।  এ যেন সেই স্বাধীনতার আগে থেকেই একই রকম একঘেয়ে। ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের আগে ১৯৪৭ সালে দেশভাগ যেমন হয়েছিল ধর্মকে কেন্দ্র করে, মুসলমানদের পাকিস্তান, হিন্দুদের হিন্দুস্তান; সেই বিপ্লবও ছিল এক মরীচিকা।  যে জন্য ৪৭'র দেশভাগের পরপরই রাজপথে লোকের মুখে মুখে স্লোগান উঠেছিল 'ইয়ে আজাদী ঝুটা হ্যাঁয়'। 
     
    বিপ্লবকে কেন অভিশপ্ত বলছি? ভেবে দেখেন, মাস্টারদা সূর্য সেন, প্রীতিলতা, বাঘা যতীন, ক্ষুদিরাম, ভগত সিং, নেতাজি সুভাস প্রভৃতি ঐতিহাসিক ব্যক্তিরা বিপ্লব করেছিলেন ইংরেজ কলোনির বিরুদ্ধে। ইংরেজ চলে গেছে ঠিক। কিন্তু তারা 'ডিভাইড এন্ড রুল' ফর্মূলা প্রয়োগ করে এখনো আমাদের তাদের ছায়ার নিচেই রেখে দিয়েছে। সেই মহান বিপ্লবীদের স্বপ্ন আংশিকভাবে পূরণ হলেও পুরোপুরিভাবে তা কোনোদিনই বাস্তবায়িত হয় নাই। যে জন্য এখনও দিকে দিকে বৈষম্যের অপচ্ছায়া দাঁত বের করে হাসে। সে যাক। ধান ভানতে আর শিবের গীত গাইবো না এখন। 
     
    বাংলাদেশের রাজনৈতিক কপালে হয়তো স্থিতিশীল অবস্থা বলে কিছু নেই। ৭১র স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই প্রতি ৫/১০ বছর পরপর ঘটেছে ইতিহাসের কলঙ্কিত সব ঘটনা। ১৯৭৫ সালের আগষ্টে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়। তারপর সেই বছরই নভেম্বরে আওয়ামী লীগের জাতীয় ৪ নেতাকে জেলের ভিতর নির্মমভাবে খুন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের কে ফোর্সের সর্বাধিনায়ক মেজর খালেদ মোশাররফ'কে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। সেই বছরই প্রহসনের বিচারে কর্নেল তাহের'কে ফাঁসি দেন মেজর জিয়াউর রহমান। সবিস্তারে আমি এখন ইতিহাস আওড়াতে যাবো না। শুধু ঘটনাগুলোকে একটি সূত্রে বেঁধে দিচ্ছি। ১৯৭৫ সালটা হয়তো বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অভিশপ্ত সময়। 
     
    ৭৫'র পর দেখেন ১৯৮১ সালে মেজর জিয়াউর রহমান, যিনি তখন রাষ্ট্রপ্রধান, তাকেও হত্যা করা হয়েছিল। এবং এরপর টানা ১০ বছর ক্ষমতায় ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এই সবগুলো ঘটনায় অনেক কিছুই ভিন্ন থাকতে পারে তবে অবাক করার মতন শুধু যে বিষয়টিতে মিল পাওয়া যায় তা হলো, সবগুলো ঘটনা ঘটিয়েছে বাংলাদেশ আর্মি! সবগুলো ঘটনার পরিকল্পনাকারী এবং বাস্তবায়নকারী বাংলাদেশ আর্মি। বাংলাদেশের ইতিহাসে যতবার অস্থিতিশীল পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছে ততবার আমরা সেনাবাহিনী'কে দেখেছি বিপদের সময়ে উদ্ধারকারী ত্রাতা বনে যেতে! সেনাবাহিনী কি সত্যি তা, যা তারা দেখায়? 
     
    প্রস্তাবনা লিখতে গিয়ে আমাকে পুরানো কাসুন্দি ঘাঁটতে হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে একটু আলোচনা না করলে বর্তমান প্রেক্ষাপটে পৌঁছানোটা মুশকিল। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ একনায়ক হয়ে ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার পর 'গণতন্ত্রের মুক্তির দাবিতে' গণ-আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেন। এই আন্দোলনের ইতিহাসও রক্তে রঞ্জিত ইতিহাস। এবং এরপর বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বলা যায়, ১৯৯১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক ধারা অব্যহত থাকে। 
     
    কিন্তু ২০০৬ সালে আবারো ক্ষমতা কুক্ষিগত করে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। এরপর ২০০৮ সালে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে। এবং প্রচন্ড কর্তৃত্ববাদী মনোভঙ্গি নিয়ে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামীলীগ ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখে।
     
    জুLie বিপ্লব 
     
    জুলাই কেন বিপ্লব নয়?  এইটা নিয়া ২টা কথা বলতে হয়। যদিও এখন কেউই আর এইটাকে বিপ্লব বলে না। গণআন্দোলন বলে। কেন জুলাই বিপ্লবের সম্মান অর্জন করতে ব্যর্থ হলো? কারণ ১টা বিপ্লব যদি সত্যিই ঘটে তবে তা জাতির উপর থেকে নিচের সকল মহলেই পরিবর্তনের হাওয়ায় উদ্ভাসিত হবে। আরেকটা কারণে একে আমরা বিপ্লব বলা থেকে নিজেদের সংযত করেছি। সেটা হল, মাত্র ২০ দিনে কখনো কোনো বিপ্লব হইতে পারে না। হওয়া সম্ভব নয়। 
     
    এছাড়া ১টা বিপ্লব হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে জনগণের প্রতি সৎ হতে হবে। বিপ্লবের উদ্দেশ্য জনগণের ভিতরে আলোর সঞ্চার করবে। জনগণ জানবে তারা কী চায়? তাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হবে অভিন্ন। শুধুমাত্র রিজিম পরিবর্তন নয়, রিজিম পরিবর্তন করার পর কী কী করতে হবে সেই সম্পর্কেও তাদের পরিকল্পনা থাকবে। 
     
    কিন্তু জুলাইয়ের আন্দোলনে আদতে এগুলার কোনাটাই ছিল না। তাই আমি এখন থেকে জুলাইকে বিপ্লব নয়, আন্দোলন বলা শুরু করলাম। এটা যেহেতু ১টা মিথ্যে কথায় ঠাসা আন্দোলন ছিল, তাই আমি একে জুLie বিপ্লব শিরোনামে ডাকা শুরু করেছি।
     
    জুLie এর প্রেক্ষাপট
     
    বিদ্ব্যৎজনেরা সবাই জানেন এই আন্দোলন প্রথমে কোটা সংস্কারের আন্দোলন ছিল। যখন কোটা নিয়ে কথা চলছিল, তখন আমিও সেই সংস্কারের পক্ষেই ছিলাম। কিন্তু জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে আওয়ামীলীগ ভীষণ কর্তৃত্ববাদী আচরণ করতে শুরু করে। ১৬ তাং থেকে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করে আওয়ামী রিজিম দেশের ভিতর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। জনগণের টাকায় যে পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং এরকম সকল এলিট ফোর্সগুলো চলে; সেই সরকারি গুন্ডা দিয়েই আন্দোলনকে রুখে দিতে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করে। রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাইদ মারা গেলে যেন এই আন্দোলন আরো বেগবান হয়। 
     
    যে কোনো আন্দোলনেই লাশ ১টা বড় টার্নিং পয়েন্ট। লাশ পড়লেই সেই আন্দোলন হয় স্তিমিত হবে ধীরে ধীরে নয়তো বেগবান হবে চক্রবৃদ্ধি হারে। আর এই ক্ষেত্রে লাশ আন্দোলনকে বেগবান করতে সমানুপাতিক হারে কাজ করেছে।
     
    ২০২৪ সালের ১৭ তাং এর পর থেকে ঢাকার রাজপথে যেন ধুন্ধুমার কান্ড শুরু হয়ে গেছে। তৎকালীন সরকার বাধ্য হয়ে সেনা মোতায়েন করে। কিন্তু আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো, এমনি সেনাবাহিনী রাস্তায় নামলে বিগত সময়ের অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায় সব কিছু ঠান্ডা হয়ে যায়। এইবার তা হলো না। বাংলাদেশ আর্মি কার্যত নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় থেকে আরো ১টি নিরব ক্যু হয়তো সংগঠিত করলো। 
     
    ওদিকে পুলিশ এবং বিজিবি মিলে নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করতে শুরু করে। আমি আজকেই ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই এর ১টি রিপোর্ট দেখলাম। ঢাকার রামপুরায় ঘটে যাওয়া ১৯ তারিখের ঘটনাগুলোকে এই প্রতিবেদনে গুছিয়ে সাজিয়েছে। ডেইলি স্টার প্রকাশ করেছে। যা নির্মম, শ্বাসরুদ্ধকর । বাকরুদ্ধ করে দেবার মতন ঘটনা। ইউটিউবের ভিডিও লিংক আমি এখানে যুক্ত করে দিলাম। কারো আগ্রহ জাগলে দেখতে পারেন। 
     

     
    সামান্য কোটা সংস্কারের জের ধরে এত ভয়াবহ ঘটনা তখনই ঘটতে পারে, যখন একটি বিশেষ রাজনৈতিক মতাদর্শের সাথে আরেকটা বিশেষ রাজনৈতিক মতাদর্শের সংঘাত সৃষ্টি হয় এবং এই সংঘাতে কেউ কাউকে ছাড় দেয় না। প্রথমে আমরা এই ব্যাপারটা না বুঝতে পারলেও গত এক বছরে তা হারে হারে টের পেয়েছি। 
     
     
    বি:দ্র: পরবর্তী পর্ব আগামী সপ্তাহে... ধন্যবাদ। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    |
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 2601:84:4600:5410:64f9:8e4e:cbc1:***:*** | ০৮ আগস্ট ২০২৫ ২৩:১৬733133
  • আবু সাইদ এর মৃত্যু কি পুলিশের রবার বুলেটের আঘাতে নাকি কোন স্নাইপারের গুলিতে ? এটা নিয়ে দ্বিমত ছিল, মনে হয় 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:64f9:8e4e:cbc1:***:*** | ০৯ আগস্ট ২০২৫ ০০:৩৯733136
  • ডেইলি স্টার - এর ভিডিও টা দেখলাম। মর্মন্তুদ, ভয়াবহ। ৯৭২ রাউন্ড প্রাণঘাতী গুলি চালানো হয়েছিল !! :-(
  • জোনাকি পোকা ৭১ | ০৯ আগস্ট ২০২৫ ০১:৩৬733138
  • aranya, 
    আবু সাইদের মৃত্যু রহস্যে ঘেরা। হিন্দি থ্রিলার মুভির মতো। এই রহস্য নিয়ে হয়তো আলাদা ভাবে লিখতে হবে এক সময়। 
     
    ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনটা একেবারে বাকরুদ্ধ করে দেবার মতন। যেন ভিডিও গেম দেখেছি। প্রশ্ন জাগে। মানুষ এতটা হিংস্র কীভাবে হয়? কেন হয়? 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন