এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • এই ফাটকাবাজির দেশে স্বপ্নের পাখিগুলো বেঁচে নেই: তুমি কে আমি কে? (পর্ব ৬)

    জোনাকি পোকা ৭১ লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ২৮ বার পঠিত
  • | | | | |
    রাজনীতির মাঠে স্লোগান খুবই মারাত্মক ১টি অস্ত্র। এই অস্ত্রে কারো রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা নেই। মানে স্লোগান দিয়ে তো আর কাউকে রক্তাক্ত করা যায় না। তবে হ্যা, স্লোগানের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করা যায়।  এবং ক্ষেত্রবিশেষে সেই উদ্বুদ্ধ জনতার অতি উৎসাহ'কে পূঁজি করে রক্তক্ষরণের অবস্থা সৃষ্টি করা সম্ভব। পাঠক নিশ্চয়ই এতক্ষণে ওয়াকিবহাল হয়ে গেছেন, আজকে আমাদের বাহাস হবে এই স্লোগান বিষয়ে! চলুন শুরু করা যাক! 
     
    স্লোগানের ধারণা 
     
    মানব ইতিহাসে মানুষ ঠিক কবে থেকে স্লোগান ব্যবহার করছে, তা সঠিক দিনতারিখ মেপে বলা কঠিন। স্লোগান তো আদতে এক রকমের নীতিবাক্য কিংবা আপ্তবাক্য। যে বাক্যে মূলত ৪টি বৈশিষ্ট্য থাকে। স্মরণীয় কথা, প্রভাবশালী অভিব্যক্তি, পুনরাবৃত্তিমুলক ছান্দসিক বাক্য এবং সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য। 
     
    স্লোগান শব্দটি স্কটিশ গ্যালিক শব্দ sluagh-ghairm থেকে এসেছে। এখানে sluagh শব্দের অর্থ "সেনাবাহিনী" বা "দল" এবং ghairm শব্দের অর্থ "কান্না" বা "চিৎকার"। যা মূলত যুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীর মাঝে উৎসাহ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
     
    ইংরেজিতে এই শব্দটি প্রথম ১৭০৪ সালে ব্যবহৃত হয়। এটা কিন্তু শুধু 'শব্দটি' ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। কারণ মানব ইতিহাসে যুদ্ধের ঘটনা নতুন নয়। মানুষ যখন গুহাবাসী ছিল তখনও তারা যুদ্ধ করতো। গোষ্ঠীর সাথে গোষ্ঠীর যুদ্ধ। রাজার সাথে রাজার! স্লোগানের ব্যবহার সেই তখনও হতো।   
     
    সাধারণত প্রাচীনকালে যুদ্ধের ময়দানে সেনাসদস্যদের যুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে স্লোগান দেয়া হতো। এতে তাদের মাঝে সাহস সঞ্চিত হতো। 
     
    স্লোগান'কে এখন নানাবিধ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। রাজনৈতিক, বানিজ্যিক, ধর্মীয় ইত্যাদি ক্ষেত্রে তো আমরা হরহামেশাই স্লোগান শুনে থাকি। যাকে আমরা আধুনিককালে 'ব্র্যান্ডিং' বলে থাকি! 
     
    ধীরে ধীরে স্লোগানকে মানুষ নিজেদের অধিকার আদায়ের হাতিয়ারে রূপান্তর করেছে। আর স্লোগানের এই বিবর্তিত রূপ আধুনিক সমাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মাধ্যমে এক রকমের সচেতনতা ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব। বহু মানুষের মাঝে দার্শনিক চিন্তাকেও পৌঁছে দেয়া সম্ভব।
     
    তুমি কে আমি কে 
     
    তুমি কে আমি কে
    বাঙালি বাঙালি 
     
    এই স্লোগানের জন্ম ১৯৪০ সালে। স্লোগানটি প্রথম ব্যবহার করেন বাঙলার বাঘ খ্যাত শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক। ১৯৪০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলার মানুষের স্বাধীকার কথা বলতে গিয়ে তিনি এই স্লোগানটি ব্যবহার করেন।
     
    অথচ সেই স্লোগান ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে ঈষৎ বিকৃত করে ব্যবহার করা হয়। কেন আমি 'অথচ' বললাম এই আর্গুমেন্টে?  এবং কেন বললাম 'বিকৃত' করা হয়েছে? 
     
    তুমি কে আমি কে বাঙালি বাঙালি। এই স্লোগানটা আমাদের বাঙালিদের আত্মপরিচয়ের কথা বলে। এই আত্মপরিচয়ের আর আত্মসম্মানের পথ ধরেই আমরা রীতিমতো যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলাম। এমনকি রীতিমতো ডিক্লেয়ারেশন অফ ওয়ার মানে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। আমরা বলেছিলাম, আমরা বাঙালি।  আমরা বলেছিলাম, আমাদের ন্যায্য অধিকার চাই। আমরা বলেছিলাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
     
    আর ২৪'র জুলাই আন্দোলনের প্রথম বিকৃত এবং বিক্রিত স্লোগান এই
     
    'তুমি কে আমি কে?
    রাজাকার রাজাকার? 
    কে বলেছে কে বলেছে? 
    স্বৈরাচার স্বৈরাচার!' 
     
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হল থেকে যখন এই স্লোগান দেয়া শুরু হয়, তখন রাতের অন্ধকার ছেঁয়ে ছিল আকাশে আকাশে। কেন এই স্লোগান? পাঠকেরা যদি কনটেক্সট না জানেন কিছুটা বিপদগ্রস্ত হবেন। তাই অতি সংক্ষেপে বলি।
     
    সেদিন একটি প্রেসব্রিফিং ছিল। তৎকালীন সরকারপ্রধান আওয়ামী লীগের চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা'কে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন। কোটা সম্পর্কিত। এগজাক্টলি কী প্রশ্ন ছিল তা বিদ্বজ্জনেরা গুগল/ইউটিউব করলে পেয়ে যাবেন। সাংবাদিকের প্রশ্নটা এমন ছিল যে, একই পরিমাণ মেধা নিয়ে যদি মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজাকারের ঘরের সন্তানেরা চাকরিপ্রার্থী হয়ে থাকে, তবে কে/ কারা অগ্রাধিকার পাবে। শেখ হাসিনা কোনো রাখঢাক না করে বলেছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানের অগ্রাধিকার থাকবে। তাঁর কথাটায় একটু শ্লেষ ছিল। তিনি আদতে প্রশ্নের প্রেক্ষিতে প্রশ্নের মাধ্যমে জবাব দিয়েছিলেন। 
     
    আর তারপরই ঢাবি'র হোস্টেলগুলো ফুঁসে উঠে। তারা তুমি কে আমি কে স্লোগানের বিকৃত ভার্সন ব্যবহার করে। প্রথম দিকে আমার মতন অনেকেই মুখোশে ঢাকা মুখ চিনতে পারে নাই। অনেকেই ভেবেছিল হয়তো এটা স্যাটায়ারিক অভিব্যক্তি। তারা হয়তো রাজাকারের মনস্তত্ত্বকে সাপোর্ট করে না। কিন্তু আমাদের বুঝতে ভুল হয়েছিল। যে ভুলের খেসারত আমরা এখন জাতিগত ভাবেই দিচ্ছি। যে কারণে বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠ অতি ডানপন্থীরা দখল করে নিয়েছে। যারা আদতে একসময়ে ঐ রাজাকারদেরই অঙ্গসংগঠন ছিল। 
     
    রাজাকার হওয়া কি পাপের? এই তর্ক ঐতিহাসিক। তবে বাঙালি জাতিসত্বার জন্য রাজাকার ধারণাটা হুমকিস্বরূপ। কেননা ১৯৭১'র থেকে ঐতিহাসিক ভাবেই রাজাকারেরা বাংলাদেশ পরিপন্থী!  
     
    বাংলাদেশের স্লোগানে সেকাল একাল
     
    বাংলাদেশের জন্ম যদিও ১৯৭১ সালে তবুও এদেশে স্লোগানের জন্ম কিন্তু তারও বহু আগে। আবার বলা যায়, স্লোগানের পথ ধরেই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। কেননা ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর বৃটিশরা চলে গেলে, যে মুসলিম দেশ হিসেবে পাকিস্তানের সৃষ্টি হয়েছিল, সেই পাকিস্তানে বাঙালি জাতিসত্বার উপর প্রথম আঘাত এসেছিল বাংলাভাষা'কে কেন্দ্র করে। আর বাংলাদেশের সেই সময়কার প্রধান স্লোগান ছিল
    রাস্ট্রভাষা বাংলা চাই।
     
    এরপর রাস্তায় নেমে আসে জোয়ার। আর একের পর এক স্লোগানের জন্ম হয়। যেসব স্লোগান এখনো আমাদের রক্তে আগুন জ্বালে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বাঙালী'কে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। যেহেতু সকলের প্রাণের দাবী ছিল একটাই। রাস্ট্রভাষা বাঙলা চাই। সেই গণদাবী'র মধ্য দিয়ে বাঙালির রক্তে ১টি আন্দোলনের জন্ম হয়েছিল, যে আন্দোলন বাঙালির মাঝে জাতিসত্তা'র বোধকে খুবই কার্যকরি উপায়ে গোষ্ঠীবদ্ধ হতে সাহায্য করেছিল। 
     
    মুক্তিযুদ্ধের সময় সকল বাঙালিকে যে স্লোগানগুলো সবচেয়ে বেশি উদ্বুদ্ধ করেছিল সেগুলো হলো: 
     
    ১) জয় বাংলা, বাংলার জয়
     
    ২) তোমার আমার ঠিকানা 
    পদ্মা মেঘনা যমুনা 
     
    ৩) তুমি কে? আমি কে? 
    বাঙালি বাঙালি 
     
    ৪) তোমার নেতা আমার নেতা
    শেখ মুজিব শেখ মুজিব 
     
    ৫) বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো
    বাংলাদেশ স্বাধীন করো 
     
    এখানে আমাদের মনে রাখতে হবে, জয় বাংলা স্লোগানটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম ব্যবহার করেন তাঁর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে। পুরানো দিনের সেইসব স্লোগান এখনো রক্তে আগুন ধরায়। সেই সব স্লোগানের যে দার্শনিক অভিব্যক্তি তা এখনো প্রাসঙ্গিক। সেই কারণেই হয়তো এখনো বিলীন হয়ে যায়নি। 
     
    ৯০'র দশকে এরশাদ'র একনায়কতন্ত্র পতনের সময় জনপ্রিয় হয়েছিল 'গণতন্ত্র মুক্তি পাক'। এই স্লোগানের সাথে বাংলাদেশের ইতিহাসে শহিদ নূর হোসেনের হাড় জিরজিরে শরীরের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। কেননা নূর হোসেন তাঁর বুকে ও পিঠে এই স্লোগান লিখেই রাস্তায় নেমেছিল। আর সেই বুক ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল পুলিশবাহিনি!  
     
    কিন্তু ২৪'র আন্দোলনের স্লোগান বিষয়ে অন্যরকম অভিব্যক্তি জন্মায়। প্রধানত যে স্লোগানটা দিয়ে তারা জেনজি'কে আকর্ষণ করেছিল, সেই 'তুমি কে আমি কে? রাজাকার রাজাকার' এই স্লোগানকে আমরা যতই স্যাটায়ারিক বলি, এতে কিন্তু স্লোগানের মূল বৈশিষ্ট্য ক্ষুন্ন হয়েছে। যদিও এটা কার্যকরি ভূমিকা রেখেছে প্রাসঙ্গিকতার কারণে। তবে একদিকে স্লোগানটা যেমন বড়, তেমনি অস্পষ্ট।  কেননা শুধু প্রথম অংশটুকু যদি কেউ ব্যবহার করে তবে ভিন্ন রকমের ম্যাসেজ পৌঁছে সমাজের নিকটে। সম্পূর্ণ ব্যবহৃত না হলে পুরো মতাদর্শিক সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। আর পুরোটা মানে শেষ ২ লাইন 'কে বলেছে কে বলেছে? স্বৈরাচার স্বৈরাচার' ব্যবহৃত হলেই কেবল বক্তব্য সুস্পষ্ট হয়। 
     
    স্লোগান কখনোই এত বড় হয় না। স্লোগান হতে হয় ১/২ লাইনে। যাতে বক্তব্য স্পষ্ট থাকে। দাবি পরিষ্কার ভাবে জানানো গয়।
     
    এছাড়া ২৪'র জুলাইতে 'ভুয়া ভুয়া' বলেও স্লোগান দেয়া হয়। যা আদতে সেরকম স্লোগানের বৈশিষ্ট্য মন্ডিত নয়। এছাড়া ইনকিলাব জিন্দাবাদ স্লোগান'কেও ব্যবহার করা হয়েছে। যে 'ইনকিলাব জিন্দাবাদ'র বাংলা মানে হলো, বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক। এটা খুবই পুরাতন স্লোগান। যদিও এই বিপ্লব ছিল সাজানো নাটক। বিপ্লবের কথা বলে জনগণকে ধোঁকা দেয়ার সরল সমীকরণ ছিল ইনকিলাব জিন্দাবাদ। এই স্লোগান যেহেতু অতীতে বিভিন্ন সময়ে বামপন্থী'রা বহুলাংশে ব্যবহার করেছে, তাই এর ব্যবহারে আমরা ডানপন্থী'র ব্যাপক উত্থানের সম্ভাবনা'কে আঁচ করতে ব্যর্থ হয়েছি। ডানপন্থীদের জন্য এটা ছিল মুখোশের আড়ালে লুকানোর মতন ঘটনা। এরপর যে স্লোগানকে জনপ্রিয় হতে দেখেছি তা হলো, 'ঘরে ঘরে খবর দে, শেখ হাসিনার কবর দে'। এই স্লোগানটি কোনো ভাবেই দার্শনিক অবস্থান থেকে সঠিক হতে পারে না। এটাকে আমরা ব্যক্তি আক্রমণ বলতে পারি।
     
    ২৪'র আন্দোলনে রাজনৈতিক ভাষার ক্ষেত্রে খুবই অবনতি ঘটেছে। ২৪'র পর যে ধরনের স্লোগান দেয়া হচ্ছে তা বেশ আপত্তিকরও। এগুলো সেরকম কোনো দার্শনিক বয়ান'কেও সমর্থন করে না। ইদানিং তো স্লোগানের ভাষা এরকম: 
     
    ক) ১ ২ ৩ ৪ অমুকের পুটকি মার
    খ) টিনের চালে কাউয়া অমুক আমার শাউয়া
     
    এসবই মূলত ব্যক্তিকেন্দ্রিক আক্রমণ। এবং আমার মতে শিল্পগুণহীন। এগুলোর মাধ্যমে হিংসার প্রকাশ ঘটে তবে জাতিসত্বার পরিচয় পাওয়া যায় না। বক্তব্যও এখানে অস্পষ্ট। অস্পষ্ট বলছি এই কারণে যে, এসব স্লোগানে রাজনৈতিক অভিসন্ধি প্রকাশ পায় না। এবং অবশ্যই একরকমের ফেটিশ চিন্তাধারাকে ইগনাইট করে। 
     
    প্রফেসর জনাব সলিমুল্লাহ খান বলেছিলেন, ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল নাকি 'তুমি কে আমি কে? রাজাকার রাজাকার' স্লোগানটির শ্লেষের অংশটুকু ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। কেননা যেদিন এই স্লোগান ঢাবি'তে দেয়া হয়েছিল, সেদিন জনাব জাফর ইকবাল ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি তাঁর জীবদ্দশায় আর ঢাবি'তে যেতে চান না। কেননা ঢাবি'র ছাত্রসমাজ নিজেদের রাজাকার বলে পরিচয় দিয়েছে। জনাব সলিমুল্লাহ তাই বলেছিলেন জাফর সাহেব নাকি স্যাটায়ার বোঝেন না, যারা স্যাটায়ার বোঝে না তারাই নাকি স্বৈরাচার কিংবা স্বৈরাচারের দোসর। জুলাই আন্দোলনের ১ বছর মাথায় আমাদের কাছে এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে, সেই স্লোগানের মর্মার্থ।  আমরা বুঝে গেছি জনাব জাফর ইকবাল সাহেবই ঠিক ছিলেন। প্রফেসর জনাব সলিমুল্লাহ সাহেব আমাদের ভুল ইন্টারপ্রেটেনশন তুলে ধরেছেন, যা তিনি হরহামেশাই করেন। যারা সাধারণত দ্রুত ছন্দে কথা বলেন, তারা একটু প্যাচের লোক হন। সলিমুল্লাহ সাহেবও এদিক থেকে ব্যাতিক্রম নন। নানান তথ্যের উপস্থাপনে সলিমুল্লাহ সাহেব সাধারণত ধীরে ধীরে অপ্রাসঙ্গিকতার দিকে চলে যেতেন। ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল যেমন আশঙ্কা করেছিলেন সেরকমই, দেশের ক্ষমতা এখন আদতেই স্বাধীনতাবিরোধী পাকিপ্রেমীদেরই হাতে! 
     
    ০৫/ ০৯ / ২৫
     
    [আগামী পর্বে আবার কথা হবে। ধন্যবাদ।] 
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | |
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 2601:84:4600:5410:d127:ac86:572e:***:*** | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২১:০২733932
  • পড়ছি 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন