এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • এই ফাটকাবাজির দেশে স্বপ্নের পাখিগুলো বেঁচে নেই: মাইলস্টোন ট্রাজেডি (পর্ব ১) 

    জোনাকি পোকা ৭১ লেখকের গ্রাহক হোন
    ০১ আগস্ট ২০২৫ | ১০০ বার পঠিত | রেটিং ৪ (২ জন)
  • মাইলস্টোন ট্রাজেডি 
     
    এ বছরের জুলাই বিদায় নিয়েছে। এখন ঘড়িতে ১টা বেজে ২১ মিনিট। লিখতে বসেছি। মানে আগষ্টের প্রথম প্রহর চলছে। জুলাই কি বাংলাদেশের বুকে এক 'অভিশপ্ত' মাস? প্রতি বছর জুলাই আসে তার লকলকে লাল জিভ বের করে, কিছু না কিছু মর্মান্তিক ঘটনা ঘটাবার জন্যই হয়তো আসে। গত বছরের জুলাইতে বাংলাদেশের জনজীবনে এবং রাজনৈতিক মহলে বিরাট পরিবর্তন হয়েছিল। 
     
    গত বছরের জুলাই, মানে ২০২৪ সালে, 'কোটা সংস্কার আন্দোলন' এর মুখোশে 'সরকার পতনের' আন্দোলনে  আওয়ামী লীগ সরকারের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগে এবং ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণকারীদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে অসংখ্য সাধারণ মানুষ মারা গিয়েছিল। জাতিসংঘের হিসেবে প্রায় ১৪০০ জন। যাক, এখন আমি সেই আলাপ নিয়ে এগোতে চাই না। অন্য একদিন অবশ্যই ২০২৪ এর জুলাই নিয়ে লিখবো। 
     
    আজ কথা বলবো ২০২৫ সালে '২১ জুলাই' এবং অন্যান্য ব্যাপারে। 
     
    আর পাঁচটা সাধারণ দিনের মতনই ২১ জুলাই দিনটা শুরু হয় মহল্লায় মহল্লায় মসজিদের মাইকে ফজর ওয়াক্তের আজানের সুরে সুর মিলিয়ে। গ্রাম, মহল্লা, নগর, বন্দর কিংবা শহর দেশের প্রত্যেক প্রান্তে আমরা এই একই রকমের দৃশ্যের দেখা পাই। 
     
    তারপর জুলাই দিনের সকালের রোদ যখন দোর্দন্ড প্রতাপে ঝলমল করে উঠে, ঠিক তখন স্কুলগামী আর অফিসগামী জনসাধারণ তাদের গন্তব্যে রওনা হয়। যাকে বলে একেবারে প্রাত্যহিক একঘেয়ে দিন। ঢাকা শহর। আমরা বলি জাদুর শহর। সব সম্ভবের শহর। এবং আমাদের এই সব সম্ভবের দেশ! 
     
    এরকম একঘেয়েমির মাঝে হঠাৎই ঢাকা শহরের উত্তরা দিয়াবাড়িতে ঘটে যায় ইতিহাসের মর্মান্তিক এক ট্রাজেডি। দুপুর ১টা ১৬ মিনিটে মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের হায়দার আলী ভবনে বিদ্ধস্ত হয়ে পড়ে এক প্রশিক্ষণরত যুদ্ধবিমান। এই ভবনে মূলত প্লে থেকে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলতো।হৃদয়বিদারক ঘটনা। 
     
    এরপর শুরু হয় উদ্ধারকাজ। প্রাথমিক ভাবে প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং স্কাউট সদস্যরা উদ্ধারকাজ শুরু করে, এরপর ফায়ার বিগ্রেড আর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উদ্ধার কাজে নিয়োজিত হয়। 
     
    মানুষ মানুষের জন্য। জীবন জীবনের জন্য। ভূপেন হাজারিকা'র গানের কথা স্মরণে রেখে এরকম কথা বলতে মন চায়। বলতে ভালো লাগে। কিন্তু বাস্তবতা তো গল্প-কবিতা-গানের থেকেও নির্মম। কেন নির্মম? কারণ মানবতার কথা আমরা মুখে বলি ঢের, কাজের সময় এলে বোঝা যায় মানবতা হয়তো এই পৃথিবীতে কেবল সুখ স্বপ্ন।  
     
    প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকৃত আহতদের যখন হাসপাতালে নেয়া হচ্ছিল, তখন কিছু মানুষরূপী জানোয়ারেরা তাদের আসল পরিচয় প্রকাশ করেছিল। কিছু অসৎ ব্যবসায়ী ৩০ টাকার পানির বোতল ৬০০ টাকায় বিক্রি করেছিল। কিছু রিকশাওয়ালা আহতকে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে ৫০ টাকার ভাড়া ১০০০টাকায় দর তুলেছিল। তাই বলি কি মানবতা শব্দটা হয়তো এই মূর্খের দেশে কেবল শেখানো বুলি। এর কোনো সৎ অর্থ হয়তো এরা বোঝে না। 
     
    যে সুযোগসন্ধানী ব্যক্তিরা এরকম অসৎ আচরণ করেছিল, তারা রাতে কীভাবে ঘুমায়? আমার জানতে ইচ্ছে করে। তাদের কি একবারের জন্যও নিজের সন্তানসন্ততির মুখ মনে পড়েনি? তাদের মনে কি একবারও এই খেয়াল আসেনি, এই পরিস্থিতিতে তো তার নিজের পরিবারের কেউ পড়তে পারতো। 
     
    অথচ এই একই পরিস্থিতিতে মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষিকা মাহরিন চৌধুরী নিজের জীবনের পরোয়া না করে ২০জন শিশুকে উদ্ধার করেছিলেন। তাঁর আত্মত্যাগের বিনিময়ে বেঁচে গেছে ২০টি তাজা প্রাণ। 
     
    'মাহরিন চৌধুরী'র মতন কিছু মানুষ এখনও পৃথিবীর বিভিন্ন কোণায় আছে বলেই হয়তো এখনো কিছুটা আশার প্রদীপ নিভু নিভু করে মানুষের খেয়ালে জ্বলে। এমন মমতাময়ী কিছু মানুষের জন্যই পৃথিবী এখনো বাসযোগ্য একটা গ্রহ। 
     
    এরপর ২২ জুলাই থেকে শুরু হয় অন্য নাটক। উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হবার পর মৃতের হিসাব নিয়ে চলে রাজনীতি। এমনই পঙ্কিল এই রাজনীতি। ২২ জুলাইয়ের দৈনিক 'আজকের পত্রিকা'র সূত্রে জানা যায় মৃতের সংখ্যা ২০ আহত ১৭১।
     
    স্কুল শিক্ষকদের কাছে যখন সাংবাদিকেরা প্রকৃত সংখ্যা জানতে চায়, সেনাবাহিনী সেই কাজে তখন অযথা বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। সেনাবাহিনী এমনকি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উপর অযথা বলপ্রয়োগ করে, লাঠিপেটা করে। একটি দেশের সেনাবাহিনীর কি এরকম কিছু এরকম মুহূর্তে করা উচিত? এটা কি শোভা পায়। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে যেন হীনমন্যতার অন্যতম কারণ আমাদের এই অথর্ব এবং স্বার্থান্বেষী সেনাবাহিনী। এমন বিতর্কিত একশন কেন? এই ব্যাপার নিয়ে জন-অসন্তোষের সূত্রপাত হলেও পরবর্তীতে সেনাবাহিনী এবং সরকার তাদের ভুল সংশোধনে তৎপর হয়ে উঠে।
     
    ৩১ জুলাই পর্যন্ত দৈনিক 'আজকের পত্রিকা'র সূত্রে জানা যায়, এই ট্রাজেডিতে মোট ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। 
     
    সবচেয়ে নিন্দাসূচক ঘটনা হচ্ছে, ২২ জুলাই, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ড.ইউনূসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে আহতদের সাহায্য কামনায় ত্রাণ তোলার ১টি পোস্ট কিছু সময়ের জন্য জনসম্মুখে আসে। একজন সরকারপ্রধান কিংবা তাঁর প্রেস উইং কতটুকু বিবেকহীন হলে এরকম কাজ করতে পারে? কতটা রুচির দূর্ভিক্ষ হলে এই ভিক্ষাবৃত্তিতে তৎপর হয় সরকার? এবারেও জন-অসন্তোষের জের ধরে সরকার তাদের ত্রুটি মার্জনা করার চেষ্টা করে। কিন্তু এইসব ত্রুটির কি মার্জনা হয়? 
     
    নিন্দাজনক ব্যাপারগুলোর অন্যতম ১টা হলো রাজনৈতিক অভিসন্ধি হাসিলে রাজনৈতিক নেতাদের ভিড়। হাসপাতাল এবং মাইলস্টোন স্কুলে বিএনপি, জামাত, এনসিপি এবং ইউনূস সরকারের উপদেষ্টা প্রতিনিধি গিয়ে ভিড় করে। সমবেদনা জানাতে গিয়ে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। কুমিরের কান্না দেখিয়ে মন ভোলাতে গিয়ে উদ্ধারকাজ এবং চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটায়!
     
    অথচ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটগুলো অত্যন্ত সেনসেটিভ জায়গা। এখানে বাইরে থেকে আসা লোকের মাধ্যমে জীবাণু এসে রোগীদের মাঝে সংক্রমিত হলে ব্যাপার ভয়াবহ হতে পারে। হয়তো যে রোগী এমনি চিকিৎসায় বেঁচে যেতে পারতো,  জীবাণুর সংক্রমণে সেই রোগী ভবলীলা  সাঙ্গ করে পরলোকে চলে যেতে পারে। 
     
    ২২ তারিখেরই বিভিন্ন ফেবু পোস্টে ড.ইউনূসকে হাসতে হাসতে বিএনপি, জামাত, এনসিপি এবং ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের সাথে মিটিং করতে দেখা যায়। এমন নির্লজ্জ আচরণ পীড়াদায়ক। এমনকি ইউনূস সরকার এই ঘটনার দায় আওয়ামী লীগের উপর চাপিয়ে দিয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচতে চায়। যেমনটা সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার কিংবা অন্য সব ঘটনায় ইউনূস সরকার করে, এক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম নয়। 
     
    তাহলে এই যে এতগুলো তাজা প্রাণ চলে গেল, এর দায় কার? আমার তো মনে হয় যারা মারা গেছে, তাদেরই দায়। কেননা তারা বাংলাদেশে জন্মেছিল। কেননা তারা স্বপ্ন দেখেছিল, পড়াশোনা করে দুনিয়াতে কিছু ১টা করবে। 
     
    দায়ের কথা উঠলে প্রথমে মিডিয়াতে যে কথাটা উঠে, স্কুল ক্যাম্পাসটা নাকি যখন হয়েছিল তখন এক্স প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা ভেটো দিয়েছিল। কেননা স্কুল ক্যাম্পাস এবং এয়ারক্রাফট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর অবস্থান খুবই নিকটবর্তী ছিল। ব্যাপারটা কতটুকু সত্য বোঝা মুশকিল। কারণ প্রধানমন্ত্রীর ভেটো দেবার পরেও কীভাবে তাহলে সেখানে স্কুল ক্যাম্পাস গড়ে উঠলো। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে আবার নগর পরিকল্পনাকারী প্রতিষ্ঠান রাজুকের কেলেঙ্কারির কথা উঠে আসে। 
     
    ঢাকা শহর এমনই এক অপরিকল্পিত জনবহুল শহর, যেখানে একটা মোটামুটি মানের ভূমিকম্প হলেই হয়তো অর্ধেক শহর মাটির নিচে ধ্বসে যাবে। অপরিকল্পিত হবার কারণে যেমন ট্রাফিক, জলাবদ্ধতা এমন হাজারো দূর্ভোগ জনসাধারণকে সইতে হয়; তেমনি ঢাকা শহরের যে কোনো প্রান্তে যে কোনো সময় আগুন লাগতে পারে। এবং লাগেও। আগুন লাগার নজির অফুরন্ত। চকবাজার থেকে শুরু করে বাংলাবাজার।
     
    দায় হয়তো আমাদের সকলের সম্মিলিত। তা না হলে এমন জনবহুল এলাকায় এয়ারক্রাফট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থাকতে পারে? তা না হলে এই যুগে স্কুল ভবনের ডিজাইন কি এমন হবার কথা, যেখানে ফায়ার এক্সিট নেই? আর মান্ধাতা আমলের এয়ারক্রাফটগুলো কি সঠিক পরিচর্যা এবং তত্ত্বাবধানে চালানো যেত না? ট্রেনিং ইনস্টিটিউট কি জনবহুল এলাকার বাইরে সরিয়ে নেয়া যায় না? হাজার হাজার প্রশ্ন। উত্তর দেবার কেউ নেই।
     
    সবশেষে যে কথা বলে শেষ করতে চাই, যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণরত পাইলট মৃত তৌকির ইসলাম'কে রাষ্ট্রীয় সম্মাননায় গার্ড অফ অনার দিয়ে কবর দেয়া হয়েছে। ছেলেটার তাজা প্রাণ কার দোষে যে গেল এবং কার দোষে যে সে মরতে মরতে আরো ৩৪টি প্রাণ নিয়ে গেল, তা হয়তো প্রশ্নই থেকে যাবে। কিন্তু স্কুলশিক্ষিকা মাহরিন চৌধুরীকে কি একই ভাবে গার্ড অফ অনার দেয়া যেত না? ২০টি প্রাণ বাঁচানোর জন্য কোনো সম্মাননা নেই? 
     
    এইজন্যই হয়তো রিকশাওয়ালারা আহতকে হাসপাতালে নিতে ১০০০ টাকা ভাড়া আর দোকানিরা পানির বোতল ৬০০ টাকা হাঁকতে গিয়ে একবারও দ্বিধা করে না! 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • asim nondon | ০১ আগস্ট ২০২৫ ১২:১৩732879
  • আরো বিস্তারিত লেখা চাই.. 
  • r2h | 134.238.***.*** | ০২ আগস্ট ২০২৫ ০০:৫৮732898
  • এই লেখাটা কালই পড়েছি, মন্তব্য করা হয়নি কিছু, করার আছেই বা কী, এমন মর্মন্তুদ ঘটনা।

    রাজনৈতিক দলগুলি, স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীগুলি, ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলি, নানা বাহিনী, নেতা - এগুলি তো একরকম, এদের কাছে আর কোন নীচতাই অপ্রত্যাশিত না।
    আমি আশ্চর্য হয়েছি জলের কালোবাজারি আর রিক্শাচালকদের আচরনে। সাধারন মানুষ একে অন্যের বিপদে এগিয়ে আসেন - এমনটা হয়ে থাকে। একটা রাষ্ট্র বিপর্যয় হলে কি সাধারন মানুষের নৈতিকতা, ঔচিত্য, সহমর্মিতার বোধও ভেঙে পড়ে?
    বুদ্ধিমান পশুরা নিজের দলের কেউ বিপদে পড়লে এগিয়ে আসে, মানুষ ব্যতিক্রম, যা দেখা যাচ্ছে।

    মৃত পাইলটের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি, কিন্তু উনি ঠিক কী বীরত্বের কাজ করেছেন বুঝলাম না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন