এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • SIR -- উস্কানিমূলক এক দাঙ্গা কর্মসূচি

    Barnali Mukherjee লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৮৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • বিজেপির নেতারা আজকাল বৈধ (valid) ভোটার শব্দটি খুব ব্যবহার করছেন। নরেন্দ্র মোদী জানেন আজকাল গরুর মাথা মন্দিরে বসিয়ে দাঙ্গা লাগানো মুশকিল। যে করতে যাবে তাকেই ধরে পিটিয়ে দেবে মানুষ,  হিন্দুরা। ফলে দাঙ্গা লাগানোর জন্য জ্ঞানেশ কুমারকে নামানো হল। যদিও বিহারে বিদেশী, রোহিঙ্গা আওয়াজ তুলেও দাঙ্গা হল না, শেষে ১০ হাজার টাকা দেড় কোটি মেয়েদের দিয়ে তবেই ভোটে জিততে হল তাদের। বাংলা তাদের টার্গেট, বলাই বাহুল্য। এখানে যদি তারা মানুষের মুখে মুখে এই রোহিঙ্গা, বাংলাদেশী, অবৈধ ভোটার … শব্দের ব্যবহার ঘটিয়ে পরস্পরের প্রতি চূড়ান্ত অবিশ্বসের জন্ম দিতে পারে এবং তার ফল হিসেবে ভোটের আগেই দুই চারটে দাঙ্গা বাঁধাতে পারে তবেই তাদের লাভ।

    রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের জনসংখ্যার ০.৪% হল অনুপ্রবেশকারী, উদ্বাস্তু-ঘুষপেটিয়ার তফাৎ রাষ্ট্রসংঘে গ্রাহ্য নয়। অর্থাৎ ১৪০ কোটি সংখ্যার বিচারে এই মুহূর্তে ভারতে ৫৬ লাখ মানুষ অনুপ্রবেশকারী। অন্যদিকে আই এস আই-র প্রাক্তন অধ্যাপক সমীর গুহ রায় বলেছিলেন যে ১৯৮১ থেকে ১৯৯১, এই দশ বছরে প্রতি বছর ৯১০০০ মানুষের অনুপ্রবেশ ঘটেছে ভারতে। সুতরাং দশ বছরে সেটা ৯ লাখ হয়। মুক্তিযুদ্ধের পরের দশকে যত অনুপ্রবেশ ঘটবে তার থেকে পরবর্তী দশকে কম ঘটবে এই সত্যকে পাশে সরিয়ে যদি ধরেও নেওয়া হয় যে ঐ হিসেবেই বার্ষিক অনুপ্রবেশ ঘটেছে তবে ধরতে হয় যে এই ৪৫ বছরে ৪০ লাখ অনুপ্রবেশ ঘটেছে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে যারা এসেছেন বিজেপিও তাদের আর অনুপ্রবেশকারী বলে না। ফলে ঐ ৫০-৫৫ লাখের হিসেবটাই সব দিক থেকে দাঁড়ায়। এই ৫০-৫৫ লাখের মধ্যে অধিকাংশই হিন্দু। সুতরাং মুসলিম (রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশী মিলে) অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা কিছুতেই ১০ লাখের বেশী নয়। ১৪০ কোটির দেশে ১০ লাখ মানুষের ভয়েই কি তবে আজ আমরা সন্ত্রস্ত? বিজেপির নেতারা আবার অভিযোগ করে থাকেন যে অনুপ্রবেশকারীরা নাকি আমাদের ভাতের ভাগ নিয়ে যাচ্ছে!

    অন্যদিকে কেন্দ্রের সরকার ঘোষণা করেছিল যে ২০২৪ পর্যন্ত যে হিন্দুরা এদেশে ঢুকছেন বেআইনিভাবে, তারা কেউই ঘুষপেটিয়া নয়, তারা উদ্বাস্তু। সুতরাং বিজেপির কথা অনুযায়ী ১৯৮১ সালের পরে আসা এবং এদেশে বসবাসকারী ৪০-৪৫ লাখ হিন্দু অনুপ্রবেশকারী আমাদের ভাতের ভাগ নিচ্ছে না, কিন্তু ৫-১০ লাখ মুসলিম অনুপ্রবেশকারী নাকি অন্যায় ভাগ নিচ্ছে!! আর এই হাতে গোনা কয়েক লাখ মুসলিমই নাকি ১৪০ কোটির ভারতের সুরক্ষার বিপদ! সুতরাং এই ৫/১০ লাখকে ডিটেক্ট-ডিলিট-ডিপোর্ট করতে নাকি এই ‘স্যার’ হচ্ছে। দুই বছরের কাজ এক মাসে হচ্ছে। এই প্রায় পরাবাস্তব এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া কর্মকাণ্ডের জন্য কত হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে তার কোনো হিসেব নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেনি। সেই টাকা খরচ করে সরকার আমাদের ভাতের দাম কত বৃদ্ধি করলো সেই হিসেবও তাই আমাদের নেওয়া হয়নি।

    বিজেপির নেতারা প্রশ্ন তুলছে তবে কি অবৈধ ভোটারকে ঝাড়াই বাছাই করবে না কমিশন? অনেকেই ভয়ে ভয়ে উত্তর দিচ্ছেন, নিশ্চয়ই করবেন, কিন্তু ধীরে সুস্থে করুক। কিন্তু সত্যিই কি তাই? সত্যিই কি ইসির প্রথম কাজ বাদ দেওয়া, নাকি তার প্রথম কাজ নতুন লোককে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা? 

    ইসির কাজ কি ঐ ৫০-৫৫ লাখ বর্ডার টপকানো মানুষদের তাদের খোঁজা নাকি এদেশের প্রায় ৯৮ কোটি সাবালককে ভোটের দরজা পর্যন্ত পৌছনো? ভারতের ভোটের হিসেব করলে আমরা দেখি যে গড়ে ৬০% মানুষ ভোট দেন। অর্থাৎ প্রত্যেক ভোটে ৪০% মানুষ বুথ পর্যন্ত পৌঁছনই না! ৯৮ কোটি সাবালককে ভোট দেওয়ানোর ব্যবস্থা করতেই জ্ঞানেশবাবুদের এত মাইনে দেওয়া হয়। অথচ তারা কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করে ৫-১০ লাখ অনুপ্রবেশকারী খুঁজছেন ডিপোর্ট করার জন্য!!

    বাস্তব হল আদপেই তাদের ভোট, ভোটাধিকার নিয়ে চিন্তাই নেই। আসলে যে ৪০% মানুষ ভোটের দরজার বাইরেই থেকে গেছেন তাদের আর কোনদিনই দরজা পর্যন্ত পৌঁছে দিতে চায় না মোদীজি। যদিও ইসি বলেছে যে তারা মোটেই নাগরিকত্ব যাচাই করছে না, তারা কেবল ভোটার বেছে নিচ্ছে। জ্ঞানেশ বাবু বলতেই পারতেন তাদের উদ্দেশ্য হল-- দেশে রেখেই ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া। যদিও তারা মুখে বলছেন এবার দিতে না পারলেও পরের বার দেবেন। আর আমরা জানি এই পরের বার ভোটই থাকবে না। 

    বিজেপি ভোটে বিশ্বাস করে না।ভারতের জনতাকে ভোট বিমুখ করতে চায় বিজেপি। ২০০২ সালে ভোটের দরজায় না পৌছানো ৪০% সাবালকের মধ্য থেকে যত নাম বাদ দেওয়া যাবে ততই তাদের লাভ। দেশের মানুষই তাদের শত্রু, বিদেশীরা নয়। ইংরেজদের দালালরা ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের ভোটাধিকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনবে এতে আর আশ্চর্য্যের কি আছে! ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে যে ফল তারা পেয়েছেন তার স্থায়ী সমাধান বারংবার ভোট চুরি, সরকার চুরি যে হতে পারে না, সেটা তারাও জানে। যে হিন্দু জনতা তাদের থেকে মুখ ফিরিয়েছিল তা শুধু ভোট চুরি, সরকার চুরি করে মোকাবিলা করা যাবে না। তাই নাগরিক থাকো কিন্তু ভোট দিও না ফর্মূলায় তারা যেতে চাইছে। এতে নতুন শ্রম আইনের নীতি কথা অনুযায়ী এই দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকরা নিজ ধর্ম (শ্রম দেওয়া তাদের ধর্ম বলেছে শ্রম কোড) স্বেচ্ছায় পালন করবেন আর দেশের, সমাজের, আদানির মুখ ঊজ্জ্বল করবেন। আদানির মুখ ঊজ্জ্বল করাই যে দেশের মুখ ঊজ্জ্বল করা সেটা কে না জানে! সংসদীয় গণতন্ত্র টিকে থাকলে ভোটে ওঠা পড়া থাকবেই। আজ হারবেন কাল জিতবেন। তাই সংসদীয় গণতন্ত্র বিজেপির পছন্দ নয়। হবসবম আজ বেঁচে থাকলে হয়তো লিখতেন ‘এজ অব্‌ ফল অব্‌ পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি’। সবচেয়্যে বড় কথা আপাতত জ্ঞানেশ বাবুকে দিয়ে দাঙ্গা বাঁধাতে পারলে বাংলা দখল করবে তারা, হয়তো এমনই স্বপ্ন দেখছেন।
    তবে দাঙ্গা বাঁধিয়ে ক্ষমতা দখল করতে পারলেই তাদের লাভ বেশী। তখন স্রেফ হত্যা করেই সন্ত্রাস করেই তারা টিকে থাকতে পারবে। কার ভোটাধিকার আছে আর কার নেই, ওসব নগণ্য বিষয় নিয়ে তাদের ভাবতে হবেনা। 

    সীমান্ত থেকে যে স্মাগলিং হয়, কখনো বন্দর দিয়ে কখনো এয়ারপোর্ট দিয়ে, কখনো আদানীর মুন্দ্রা বন্দরে ধরা পড়ে ৩০০০ কেজি হেরোইন, সেই স্মাগলিং যে প্রক্রিয়ায় মোকাবিলা করে পুলিশ প্রশাসন তার বাইরে অনুপ্রবেশ রোখার কোনো কোনো পন্থা থাকতেই পারেনা। মহিলা পাচার, ড্রাগ-অস্ত্র পাচার দেশের যা ক্ষতি করে ৫-১০ লাখ মুসলিম অনুপ্রবেশ ততটা করে কি? কোনো তুলনা আদৌ চলে কি?

    কয়েক দশক আগেও ‘গঙ্গা আমার মা-পদ্মা আমার মা’ গান ছিল বাঙালির প্রিয়। আর আজ জোর গলায় এই গান আজ গাওয়ার সাধ্য আছে কার? দুই চার দশক আগেও ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীর নাম নিয়ে নানা সংগঠন ছিল, আজ এই নামে সংগঠন থাকলেই তা দেশদ্রোহী হিসেবে বিবেচিত হবে। যদিও সভ্য মানব দুনিয়ায় এখন অনুপ্রবেশ শব্দের বদলে নথিবিহীন প্রবেশ বলা হয় আর আমরা আজ বর্বর কুৎসিত ঘুষপেটিয়া সংস্কৃতি নিয়ে লম্ফঝম্ফ করছি! ভারতের NCERTর মাধ্যমিক স্তরের পাঠক্রমের একটি অধ্যায় ছিল নাগরিকত্ব, যে অধ্যায় স্বাভাবিকভাবেই মোদীদের চক্ষুশূল। সেখানে নাগরিকত্বের রাজনৈতিক সামাজিক সুন্দর ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব শব্দের কোনো চিরস্থায়ী ব্যাখ্যা নেই, একে মানুষ নিজের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পরিবর্তিত করেছে। কানাডা-কুইবেক,  ইজ্রায়েল-প্যালেস্তাইন, সম্পর্কের উদাহরণ টানা হয়েছে। বলা হয়েছিল সীমানা পেরিয়ে যারা আগে আসে তারাই পরের প্রজন্মকে আসতে দিতে চায় না, বেকারত্ব-আর্থিক টানাপোড়েন এর জন্য দায়ী। শেষে বলা হয়েছে, বিশ্বে সেই জনসংখ্যা ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে যারা বিশ্ব নাগরিকত্বের স্লোগান তুলছেন।

    ভাবতে অবাক লাগে আমাদের মত সাধারণ মানুষ SIR আবেদন করতে এত অপমান বোধ করছি, না জানি মমতা ব্যানার্জী বা লালু যাদব বা এম কে স্টালিন কত অপমানিত হচ্ছেনা!! এত বার মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আজ তাদেরও নথি দিয়ে নিজের ভোটের অধিকার প্রমাণ করতে হবে! শুধু তিনি বা কেন মান অপমান বোধ থাকলে নীতিশ কুমার, শচীণ তেন্ডূলকর বা অমিতাভ বচ্চনেরও অপমানিত হওয়ার কথা ছিল।  

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৮৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • MP | 115.187.***.*** | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:৩০736451
  • একেবারেই সময়োচিত ও প্রাসঙ্গিক লেখা | লেখিকাকে অনেক ধন্যবাদ |
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন