এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • মোহন ভগবৎ কি হিন্দু জনতার কাছে এক গোল খেলেন?

    Barnali Mukherji লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৫০৯ বার পঠিত
  • কেউ কেউ দাবি করছেন যে মোহন ভাগবত লোকটা পেরেস্ত্রইকা গ্লাসনস্ত পন্থী। তিনি নাকি জাত বিভেদ মানেন না, তিনি নাকি মেয়েদের আর্থিক স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলেন, সংগঠনের কর্মীদের এই প্রশ্নে আধুনিক হতে উপদেশ দেন। তিনিই গুজরাত দাঙ্গার পর হিন্দু মুসলিম সৌহার্দ্য তৈরি করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। তারই উদ্যোগে গড়ে উঠেছে রাষ্ট্রীয় মুসলমান সমিতি। তাহলে কি এই গর্ভাচেভের হাতে সংঘ সাম্রাজ্য ভেঙ্গে পড়তে চলেছে? নাকি 

    পোস্টার বয ভগবৎ হিন্দু দেওয়ালে আর শোভা পাচ্ছেন না? 

    ভারতের সংবিধান ৭৫ বছরের হলেও, ভোটের সাথে এদেশের মানুষের সম্পর্ক ১০০ বছরের বেশি। তাই ইসলামী মৌলবাদ যেমন পাকিস্তান বা বাংলাদেশে এখনো তালিবানি শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি, তেমনই RSS দশ বছর ক্ষমতায় থেকেও এদেশকে এখনও হিন্দু রাষ্ট্র করতে পারেনি। তবে এটাও সত্য যে ৭৫ বছরে ভারত যে ক্রমে বহু দলীয় সংসদীয় গণতন্ত্রে রূপান্তরিত হয়েছে সেই সুযোগ পাকিস্তান বা বাংলাদেশে জনতা পায়নি। ফলে পুরোনো ভোটের অভ্যেস নষ্ট হয়ে গেছে হয়তো, না হলে সেই দুই দেশে জনপ্রতিনিধিদের বিন্দুমাত্র গুরুত্ব নেই কেন? পাকিস্তানে রাষ্ট্রপতিদের যখন তখন জেল হয়ে যায়, অ্যাক্সিডেন্টে মৃত্যু হয়ে যায়, এবং সেটাই গা সওয়া হয়ে গেছে তাদের। যাই হোক নিজেদের দেশের দিকে আবার চোখ ফেরানো যাক। RSS এ যে গ্লাসনস্ত বইছে তার কারণ কি এই যে তারা পরাজিত হল হিন্দু জনগণেরই কাছে? ঈশ্বর যীশু আল্লাহর বদলে তবে কি ভারতের হিন্দু মুসলিম খ্রিস্টান শিখ বৌদ্ধ জনগণই কি সর্বশক্তিমান হলো?

    হিন্দু জনতার সাম্প্রতিক উদার ঐতিহ্য অতুলনীয়

    পরাধীন দেশে ১৯০৯ সাল থেকে ঘোষিতভাবে আর ১৯০৬ সাল থেকে অঘোষিতভাবে মুসলিমদের জন্য পৃথক নির্বাচকমণ্ডলী মেনে নিয়েছিল হিন্দুদের প্রতিনিধিরা, সুরেন ব্যানার্জী আর গোখেলের কংগ্রেস। যদিও ১৯০৫ কংগ্রেস সভাপতি মদনমোহন মালব্য সেটা মানেন নি, গড়ে তুলেছিলেন ছোট ছোট হিন্দু সভা। কিন্তু সম্ভ্রান্ত হিন্দু সমাজের মাধ্যমে হিন্দু সাধারণ কংগ্রেসের সাথেই থাকল। আবার, গান্ধী সেই বিশেষ সংরক্ষণ মেনে নিয়েছিলেন কয়েক বছর পর ভারতে পদার্পণ করেই। ১৯১৬ সালে লখনউ চুক্তির মধ্য দিয়ে ধর্মের ভিত্তিতে পৃথক নির্বাচকমণ্ডলীকে লিখিতভাবে সমর্থন জানালো কংগ্রেস। হিন্দু এলিট সমাজ আপত্তি করেনি। এলিট সমাজ বলছি এই কারণেই যে ভোটাধিকার শুধু তাদেরই ছিল। যদিও ১৯৫০ সালের ভারতের সংবিধানও জনতার ভোটে তৈরি হয়নি। শুধু (১৯৩৫ নির্ধারিত) ধনীদের ভোটেই সংবিধান সভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল। সেটাকেই জনতা মান্যতা দিয়েছে যদি ধরে নিই তবে মুসলীমদের পৃথক নির্বাচকমণ্ডলী মেনে নিয়েছিল হিন্দু জনতা, গোখেল বা গান্ধীর জনপ্রিয়তা থেকেও সেটাই বিশ্বাস করতে হয়। হিন্দু জমিদারের বিরুদ্ধে হিন্দু কৃষক লড়াই করলেও কংগ্রেস নিয়ন্ত্রণ হারায়নি। যদিও লখনউ চুক্তির আভাস পেয়ে বিরক্ত মালব্যরা হিন্দু মহাসভা গড়ে তুললেন। প্রথম নির্বাচন বয়কট করেছিল মুসলিম লীগ, কংগ্রেসের সাথেই, খলিফা কে রক্ষা করার চাহিদায়। খিলাফত আন্দোলন এবং প্রথম অসহযোগ আন্দোলনের কৌশল ছিল ভোট বয়কট। ফলে প্রথম নির্বাচনে পৃথক নির্বাচক মন্ডলীর সুবিধা ভোগ করতে পারেনি লীগ। অথচ তিন বছরের মাথায় যে ভোট হয়েছিল তাতে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে স্বরাজ পার্টি অংশ নিল, বিপুল সাফল্য পেল এবং শেষে তারা কংগ্রেসই ফিরে গেল। সুতরাং কংগ্রেসের ঝুলিতে ১৯২৩/২৪ সালে অনেক আসন আর লীগের কিছুই জুটলো না। ফলে ক্ষুব্ধ লীগে র সাথে কংগ্রেসের একাংশের বোঝাপড়া হল যে যদি তারা পৃথক নির্বাচক মন্ডলীর থেকে সরে আসে তবে তাদের জন্য সিন্ধু প্রদেশ, বাংলা, পাঞ্জাবে আসন সংরক্ষণ হবে। কিন্তু সদ্য গঠিত rss এর প্রভাবে সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষিত হল না, মতিলাল নেহরু রিপোর্ট সেই আসন সংরক্ষণ দিল না, লীগ ১৪ দফা দাবি রেখেছিল, যেখানে এক তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণ ছিল, সাথে ছিল পৃথক নির্বাচকমণ্ডলীও। কিন্তু সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ছিল রাজ্যের স্বশাসন। কংগ্রেস নেতৃত্বে যদি সেদিন সেই স্বশাসন মেনে নিত হিন্দুরা সানন্দেই সাবাশ জানাত। যা আমরা টের পাই চিত্তরঞ্জন দাশ যে বেঙ্গল প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন সেটা বাংলার হিন্দুরা মেনেছিলেন। চিত্তরঞ্জন দাশ ছিলেন জনপ্রিয় নেতা। যদিও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মানেনি, কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তা কমেনি। তিনি মারা না গেলে এবং কংগ্রেস সেই প্যাকেজ মেনে নিলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো। এমনকি ক্যাবিনেট প্রস্তাব যখন কংগ্রেস নেতৃত্ব মেনে নিয়েছিল হিন্দু জনতা আপত্তি করেনি। ফলে শেষ মুহূর্তে অমন ১৮০ ডিগ্রি না ঘুরলেও হিন্দু জনতা মেনে নিত দুর্বল কেন্দ্র, শক্তিশালী রাজ্য আর ভৌগোলিক হিন্দু প্রধান মুসলিম প্রধান রাজ্যে ভাগ করা।

    এহেন ঐতিহ্যশালী হিন্দু জনতাকে সামলানো সস্তা নয়। মোহন ভগবৎ তো কোন্ ছাড়, খোদ সাভারকার কিছু করে উঠতে পারেননি। তিনি ইসলামকে নকল করে হিন্দু ধর্মকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত করতে চেয়েছিলেন। হিন্দু ধর্মকে রাষ্ট্রীয় নীতি করতে হবে এই উৎসাহ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। হিন্দু রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে হিন্দুদের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে এই উগ্রতা চেয়েছিলেন। কিন্তু যে গান্ধীজীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুসলিমরা থেকে গেলেন আর এদেশ হিন্দু রাষ্ট্র হল না, সেই গান্ধীকে হত্যা করার পরেও হিন্দুরা দাঙ্গায় নামল না, ফলে হিন্দু জনতার কাছে হেরে গেলেন সাভারকার। সুতরাং মোহন ভগবৎ কেও যে হারতে হবে সেটাই স্বাভাবিক। হিন্দু জনতার মধ্যে ঘৃণা তৈরি করতে তারা সমর্থ হয়েছে ঠিকই কিন্তু সেই ঘৃণাকে দীর্ঘকালীন পেটে গামছা বেঁধে রাম নাম জপের দিকে তারা নিয়ে যেতে পারেনি। মহারাষ্ট্রে এই জয় লাডলী বেহেনার জয়, শিবদমসেনার জয় কিন্তু কিছুতেই রাম মন্দিরের জয় নয়। লক্ষ্মীর ভান্ডার বা লাডলী বেহেনার মত সংস্কার কর্মসূচি মানেই হিন্দু মুসলীম মেয়েদের এক লাইনে দাঁড় করায়।
    তবে কি 

    মোহন ভাগবতই আসলে ভবিষ্যৎ টের পাচ্ছেন?

    যে হিন্দু জনতা একদিন ধর্মের ভিত্তিতে মুসলিমদের সংরক্ষণ মেনেছিল তারা আজ হিন্দু রাষ্ট্র চাইছে? যে হিন্দু উচ্চ বর্ণের মানুষ তথাকথিত অস্পৃশ্যদের জন্য আসন সংরক্ষণ মেনেছিল সেই বর্ণ হিন্দুদের কাছেও কি তবে পরাজিত আরএসএস?  যার প্রমাণ আমরা দেখেছি আম্বেদকরকে যে কংগ্রেস সংবিধান সভার জন্য নমিনেট করেছিল সেই কংগ্রেস প্রথম সার্বজনীন ভোটাধিকারের নির্বাচনে distinction পেয়ে পাশ করেছিল। যদিও মুসলিম লীগ প্রথম সার্বজনীন ভোটাধিকারকে মোকাবিলা করতে পারেনি। হেরে গেছিল পূর্ব পাকিস্তানে। আসলে সত্যি কথা হল মোহন ভগবৎ জানে যথেষ্ট পরিশ্রম করেনি কামিনী-কাঞ্চন প্রিয় আধুনিক rss।

    সহজে হিটলার হতে হলে মোদির দরকার ছিল একটা ভার্সাই চুক্তি। অথচ জার্মানির মত ভারতের অত বড় অপমানের সুযোগ মোদী পাননি। ফলে হিটলার একতরফা ভার্সাই চুক্তি বাতিল করে যেভাবে গণভোটের মধ্য দিয়ে জোট সরকারের প্রধানের বদলে ফুয়েরার হয়েছিলেন তার চেয়ে অনেক অনেক কঠিন কাজ ছিল rss এর। তাছাড়া ভারতের মত একটি আলগা (জাতীয়তার বোধ অনেক আলগা, আঞ্চলিক পরিচয়ের বোধ অনেক পোক্ত) দেশে, বৈচিত্র্যের দেশে সেই কাজ অনেক কঠিন ছিল। সেই কঠিন কাজ করতে হলে প্রথমত ১০০% বেকার সমস্যা সমাধান করতে হত মোদীদের, যেমনটা করেছিল হিটলার। জার্মানিতে যুদ্ধ অর্থনীতি প্রযুক্ত করে। মোদী সেই প্রাথমিক শর্ত পূরণ করতে পারেনি। মায়ানমারে বৌদ্ধ ড্রাগ কারবারি মৌলবাদী সন্ত্রাসবাদীরা ছিল, পাকিস্তানে ছিল মৌলবাদী শাসক, এমনকি বাংলাদেশে মুসলিম সংবিধান, আফগানিস্তানে ড্রাগ কারবারি কোটিপতি বর্বর তালিবান। ফলে এই উপমহাদেশকে মধ্য প্রাচ্যের বিকল্প যুদ্ধ ক্ষেত্রে পরিণত করতে পারত মোদী, সেটাও পারেনি। আজ তাই মোহন বাবু গর্ভাচভ হলেন।

    বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংয়ের সরকারের গুরুত্বপূর্ণ লোক আদবানি শুরু করেছিলেন রথযাত্রা, কিন্তু লালুর হাতে বন্দী হলেন। হিন্দু দলিত জনতার কাছে হেরে তিনি বিজেপিকে সংসদীয় পথে ফেরাতে চাইলেন। আবার যশোবন্ত সিংহও তাই। এবার মোহন ভগবৎ। ২০১৯ থেকে তাদের আসন সংখ্যা কমেছে ৬০ এর বেশি। দলিত ভোট হাতছাড়া হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গকে কিছুতেই কব্জা করা যাচ্ছে না (যা দেশের হিন্দু রাষ্ট্র কায়েমের প্রাথমিক শর্ত) মহারাষ্ট্র জিততে হচ্ছে লাডলি বেহনা করে। হিন্দু জনতার কাছে হিন্দুত্বের থেকে পেট বড় হয়ে যাচ্ছে।
    ওদিকে রাষ্ট্রের অনির্বাচিত স্তম্ভ, পুলিশ, মিলিটারি, আদালত, আমলাতন্ত্র, কোনো ক্ষেত্রকেই সম্পূর্ণ করায়ত্ব করতে পারেনি rss। 
    এদেশে আঞ্চলিক দলগুলো রুখে দাঁড়িয়েছে। ঝুঠা নির্লজ্জ সরকারি বেসরকারি বামদলগুলির মধ্যে থাকা বামপন্থীরা নিজ নিজ দল ছেড়ে কোথাও কংগ্রেস কোথাও তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে জোট বেঁধেছেন। এদেশে জন্ম নিয়েছে এক অপূর্ব বিন্যাস।  ' ' বাইনারি ন্যারেটিভ ' -এর বিরুদ্ধে বিজ্ঞান বিরোধী মৌলবাদী বুদ্ধিজীবীদের মরিয়া ক্রন্দনকে নস্যাৎ করেছে জনতা। তাই মোহন ভগবৎ এখন আদবানি, যশোবন্ত সিংহ র উত্তরসূরী হতে চাইছেন। 
    সমস্ত মন্দির পরিচালনাকে সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে আনতে নাকি পথে নামবে সংঘের একাংশ। দেখা যাক বিজেপি দলের সক্রিয়তা কতটা হয়? কুম্ভমেলা কে কেন্দ্র করে কারা সক্রিয় হচ্ছে আর কারা হচ্ছেনা সেটাও দেখার।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৫০৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন