এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  গুরুচন্ডা৯

  • পবিত্র ভূমিঃ ছিন্নসূত্রাবলী

    গুরুচণ্ডা৯
    গুরুচন্ডা৯ | ০১ জানুয়ারি ২০২৪ | ৭৭০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • বহু দিন ধরে ঐতিহাসিকরা, তাত্ত্বিকরা উৎস খুঁজতে চেষ্টা করেছেন এই দশকব্যাপী ভয়ানক, বিষময় সংঘর্ষের। কেউ দায়ী করেন অটোমান সাম্রাজ্যের পতনকে, কেউ ব্রিটিশ চক্রান্ত বা ১৯১৭-র বেলফোর ঘোষণাকে, কেউ বা বারংবার ব্যর্থ হওয়া শান্তিপ্রস্তাব অথবা বহু শতাব্দীর বঞ্চনার ইতিহাসকে। সেইসব কূট তর্কের মধ্যেই দ্রুত বদলে যায় জেরুজালেম, ইতিহাসের চিরস্থায়ী রক্তাক্ত রঙ্গমঞ্চ, যা একইসাথে ক্রিশ্চান, ইহুদি ও ইসলাম ধর্মবিশ্বাসী মানুষের পবিত্র ভূমি। কারুর বধ্যভূমি, কারুর নির্বাসন, কারুর বা প্রতিশ্রুত নিজভূম।

    ইতিহাসের ক্লাস নয়, একজন সাধারণ মানুষের ডায়রির পাতায় ধরে রাখা সেই আমূল বদলের একটুকরো ছবি, হীরেন সিংহরায়ের কলমে।
    এই লেখাটি যখন গুরুর পাতায় নিয়মিত ভাবে প্রকাশিত হতো, সঙ্গে থাকত লেখকের আলোকচিত্র আর প্রতি পর্বে পাওয়া গেছে সুচিন্তিত মন্তব্য। স্থান ও ব্যয় সংকুলানের কথা ভেবে সেই ছিন্ন করা সূত্রগুলির কিছু রইলো এই পাতায়।


    ২১শে অক্টোবর দেবাঞ্জন ব্যানার্জি লিখেছেনঃ
    “... ব্রিটিশ আর ফ্রেঞ্চ ম্যান্ডেটের আগে এই প্যালেস্টাইন লেবানন গাজা ইজিপ্ট ইস্রায়েল সিরিয়া জর্ডন এসব নাম কি আদৌ ছিল? আমি যতদূর জানি অটোমান শাসনে ওই এলাকাতে দুটো এলাকা ছিল ভিলায়েৎ বিলাদ আল মিস্র যেটিকে আমরা এখন মিসর বা ইজিপ্ট বলে জানি আর ভিলায়েৎ বিলাদ আল শাম যেটিকে ভেঙে এখন সিরিয়া লেবানন ইস্রায়েল প্যালেস্টাইন জর্ডন ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক এসব দেশের জন্ম। “

    আমার উত্তরঃ
    “বহু বছর আগে এক জারমান ট্যাক্সি ড্রাইভারের কাছে একটি বইয়ের নাম শুনি - Und die Bibel hat doch Recht লেখক ভেরনার কেলার ইংরেজি অনুবাদের নাম Bible as History - বইটি আমাকে বাইবেলকে ইতিহাস ভূগোল ও ভাষা তত্বের আকর হিসেবে দেখতে শিখিয়েছে। মনে রাখা ভালো হিবরু বাইবেলের ঘটনা গুলি একটি সীমিত ভৈাগোলিক এলাকায় ঘটে। হিবরু বাইবেলে গাজা পাবেন (স্যামসনের গল্প), লেবানন উল্লিখিত হয়েছে অন্তত পনচাশ বার, সিরিয়া বহুবার, জর্ডানের হিবরু উচ্চারণ অন্য রকম শোনায় অবশ্য। ইজিপ্ট নামটা গ্রীকদের দেওয়া কিন্তু হিবরু বাইবেলে মিতসরাইম, আরবিতে মিসর যেটি আমরা গ্রহন করেছি। জেনেসিস থেকে শুরু করে সে দেশের নাম উল্লিখিত হয়েছে অসংখ্য বার। এরেতস ইসরায়েল পাবেন সবচেয়ে বেশি। অতএব আপনি যে কটি দেশের নাম করেছেন, হিবরু বাইবেলে সবাইকে পাবেন। অটোমানরা তাদের ইচ্ছে মতন নাম করণ করেছিল অধিকৃত প্রদেশের।
    আর প্যালেসটাইন উল্লিখিত হয়েছে খানিকটা অন্য নাম বা বানানে ( ফিলিসতিন জাতির দেশ)

    দ, ২৮ অক্টোবর ২০২৩ লিখেছেনঃ
    “...ইহুদীদের এই জেনোসাইডের শিকার হয়ে ওঠাটা খুব ইন্টারেস্টিং। মোটামুটি জেনোসাইডের হিকার যারাই হয় অধিকাংশ জনগোষ্ঠীই প্রায় লুপ্ত হবার মুখেই গিয়ে দাঁড়ায়। ইহুদীরা এত কিছু এত বছর ধরে সহ্য করার পরেও জনগোষ্ঠী হিসেবে লুপ্ত হবার মুখে যায় নি, সেইজন্যই হয়ত ইজরায়েল ধারাবাহিকভাবে জেনোসাইড চালিয়ে যাচ্ছে। হ্যাঁ একেবারে জেনোসাইডের সংজ্ঞা মেনেই করছে। আমি ফলো করছি মোটামুটি ২০০২-০৩ থেকে। রবার্ট ফিস্কের কলামের জন্য দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফলো করতাম। 'পিটি দ্য নেশান' পড়ে বেশ ক'রাত ঘুমোতে পারি নি, মনে আছে। ডালরিম্পোলের কোনও একটা বইতেই ফিস্কের সাথে ঐ অঞ্চলে দেখা হবার কথা আছে। সৈকতের লেখায় দিয়েছিলাম, আপনার এখানেও দিয়ে যাই। এই জিনিষ নির্বিকার হয়ে পড়ার মত স্থৈর্য্য আমি এখনও রপ্ত করতে পারি নি।

    "Robert Fisk, the reputed British journalist, who covered the war said in his book Pity The Nation that most of the victims were Muslims and on the edge of Sabra, the Muslim cemetery was so crowded with dead bodies from the Israeli raids that corpses were being buried thirty feet deep in mass graves, one on top of the other. The bodies in decay were disgusting. The smell of human remains in 100 degrees of heat was nauseating and it contradicted our most deeply held values – love, beauty, gentleness, health, cleanliness, hygiene and life. Both physically and mentally that stench was the manifestation of our fear and revulsion.When we first walked down the stairs of the Sidon elementary school, where refugees from Tire found shelter and were bombed by the Israelis, we faced the smell of those men, women and children killed. Why did they die here? How could such an abomination have taken place?
    He added "as if the carnage by air raids were not enough the Jews began using the US supplied destructive cluster bombs against West Beirut where the mournful exodus of citizens continued. No food was allowed in and the Israeli troops even grabbed baskets of food from Muslim women and threw them into the ditch.
    Describing the Israeli cruelty even in hospitals Dr. Amal Shamma of the Beirut Hospital said "after the Zionists fired phosphorus shells in West Beirut on 29 July, I had to take the babies and put them in buckets of water to put out the flames. When I took them out half an hour later, they were still burning. Even in the mortuary, they smouldered for hours".

    -West Beirut, 29 July ১৯৮২

    syandi | ৩০ অক্টোবর ২০২৩ লিখেছেনঃ
    •@হীরেন সিংহরায়, আপনার লেখা থেকে জানলাম যে এরেতস ইসরায়েলে (দেশ ইসরায়েল) বিশ লক্ষ আরবের বাস- মোট জনসংখ্যার পাঁচ ভাগের একভাগ। এর মধ্যে কি গাজা এবং ওয়েস্ট ব্যাংকের অধিবাসীরা অর্থাৎ প্যালেসটাইনিরা ধরা আছে?

    আমার উত্তরঃ
    না। বিশ লক্ষ বা ২১% শতাংশ পূর্ণ ইসরায়েলি নাগরিক আরব তাঁদের ভোট দেবার ভোটে দাঁড়াবার পার্লামেন্টে বসবার অধিকার আছে। অধিকৃত প্যালেসটাইনের জনসংখ্যা চল্লিশ লক্ষ। ইসরায়েল ঘুরলে আরব ইসরায়েলি শহর গ্রাম এবং অন্য ইসরায়েলের ফারাকটা খুব চোখে পড়েছে। সেটাই আমার হাতি !

    শিবাংশু | ৩১ অক্টোবর ২০২৩ লিখেছেনঃ

    এ ব্যাপারেও বিশ্বগুরু এগিয়ে। গত হাজার খানেক বছর ধরে পুরীর মন্দিরে পণ্ডাদের নিজেদের মধ্যে বখরা নিয়ে মারপিট জনগণ দেখে আসছে । খ্রিস্টিয় তীর্থের পবিত্রতম কেন্দ্রের চাবি যে মুসলিমদের হাতে রাখতে হয়েছিলো, তার সমান্তরাল উদাহরণ এদেশেও রয়েছে। তবে তার কারণটা আলাদা। বৌদ্ধধর্মের পবিত্রতম তীর্থভূমি বোধগয়ার মহাবোধি মন্দির গত সাড়ে চারশো বছর ধরে 'দখল' করে রেখেছেন শৈব মোহান্তরা। বাবা আদম থেকে শুরু করে বাবা ইব্রাহিম পর্যন্ত তাঁদের তিন ধর্মের মধ্যে সমন্বয় আনতে পারেননি। কিন্তু আমাদের পুরাণকাররা হাজার খানেক বছর আগে দারুণ ম্যাজিক দেখিয়ে স্বয়ং বুদ্ধকেই বিষ্ণুর নবম অবতার হিসেবে ফতোয়া দিয়ে দিয়েছিলেন। ভাবা যায়, যে শাক্যমুনি বুদ্ধের সারা জীবনের যুদ্ধ ছিলো বিষ্ণুবাদী ব্রাহ্মণ্য দখলদারির বিরুদ্ধে, তিনিই হয়ে গেলেন বিষ্ণুর নবম অবতার। পুরীতে এসে আবার সেই বুদ্ধ জগন্নাথ হয়ে গেলেন। বোধগয়ার মোহান্তরা বৌদ্ধদের মহাবোধির ধারেকাছে আসতে দিতেন না। ইংরেজরা আসার পর এডউইন আর্নল্ড ও আলেকজান্ডার কানিংহাম সাহেব জানালেন জায়গাটা আদতে বৌদ্ধদের। ১৮৯০ সালে ভিক্ষু অনাগরিক ধম্মপাল তাঁদের কাছে দরবার করলেন। ইংরেজরা ভেবেছিলো এটা বোধ হয় ঠিক হচ্ছে না। তারা একটু চেষ্টা করলো যুক্তি প্রতিষ্ঠার। মারপিট, মামলা মোকদ্দমা শুরু হলো। লাট কার্জন কিছু প্রধান ব্যক্তিদের পাঠালেন সমাধান সূত্রের খোঁজে। তাঁদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ বৌদ্ধদের পক্ষে, ভগিনী নিবেদিতা হিন্দুদের পক্ষে , মধ্যস্থতা করছিলেন জগদীশচন্দ্র। সেসব লম্বা গল্প।
    এখনও মন্দির প্রশাসকদের সাতজনের কমিটিতে তিনজন বৌদ্ধ, তিনজন অ-বৌদ্ধ (পড়ুন হিন্দু )। গয়ার জেলাশাসক তার অধ্যক্ষ। জেরুজালেম বা বোধগয়া, দুয়েরই বরাত একই রকম।

    কল্লোল | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ লিখেছেনঃ

    বাইবেলের দ্বিতীয় খণ্ড? আমি তো জানতাম বাইবেলই দ্বিতীয় খণ্ড। বাইবেলকে বলা হয় নিউ টেস্টামেন্ট। ওলড টেস্টামেন্ট প্রথম খণ্ড। নাকি একটা তৃতীয় স্ক্রিপচার আছে?

    আমার উত্তরঃ
    সরি, ওই নতুন পুরনো বাইবেল কথাটা একটু হালকা চালে বলে ফেলেছি! প্রথম খণ্ড বা পর্ব- ওল্ড টেসটামেন্ট (৩৯টি বই) বা হিব্রু বাইবেল; দ্বিতীয়টি নিউ টেসটামেন্ট (২৭টি ) বা ক্রিস্টিয়ান বাইবেল (বাইবেল গ্রিক শব্দ, অর্থ গ্রন্থ)। ক্রিস্টিয়ানরা দুটি পড়েন, ইহুদি কেবল হিব্রু বাইবেল পাঠ করেন, দ্বিতীয়টি নয়। কারণ সহজেই অনুমেয়। কিন্তু আমার এই জ্ঞান উদয় হয়েছে অতি বিলম্বে, আমার সহকর্মী জশের কল্যাণে।

    Kishore Ghosal | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ লিখেছেনঃ
    যাঃ আপনি তো ঘেঁটে দিলেন। যিশুর জন্ম যে ৩ বা ৪ বিসিই সেটা জানতাম। কিন্তু তিনি যে বিবাহ করেছিলেন, এটা কোন বইতেই পাইনি। আমি তো পড়েছি, তিনি বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হননি এবং জ্ঞানের সন্ধানে স্বদেশত্যাগ করেছিলেন। এটা জেনেও একই রকম ঘেঁটে গিয়েছিলাম।

    আমার উত্তরঃ
    কিশোর, সত্যাসত্য কে জানে ! আপনার লেখা ‘ধর্মাধর্ম’ আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। বড়ো কথা হলো ফিরে দেখা, প্রশ্ন করা, প্রাপ্ত জ্ঞানকে (রিসিভড উইসডম) অভ্রান্ত মনে না করা। দুই বাইবেলের ঐতিহাসিকতা নিয়ে আগেও হয়তো প্রশ্ন উঠেছে কিন্তু চার্চের দাপট তাকে দাবিয়ে রেখেছিল। বর্তমানে সেগুলো সম্ভব হচ্ছে – ড্যান ব্রাউনের দা ভিঞ্চি কোড পড়তে গিয়ে দাভিদের গল্প বারবার মনে পড়েছে পারলে দেখে নেবেন আর উল্লেখ করতে পারি – Jesus Lived in India by Holger Kersten
    আমার নিজস্ব কিছু মতামত আছে, অন্য প্রসঙ্গে বলব।

    রমিত চট্টোপাধ্যায় | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ লিখেছেনঃ
    @হীরেনবাবু, আপনি যে বইটার কথা উল্লেখ করলেন সেই বইটা আমার পড়া নেই কিন্তু এরকম কিছু মতামত বা দাবি শুনেছি যে যীশু নাকি বহুদিন কাশ্মীরের এক মঠে এসে ছিলেন। আবার অনেকে কৃষ্ণ ও যীশুকে এক করে দেখতে চান। একজনের থেকেই নাকি আরেকজনের নাম এসেছে। যুক্তি গত দিক থেকে অনেক ফাঁক আছে হয়তো কিন্তু এই মতটা খুব ইন্টারেস্টিং। আপনার মতামত শোনার অপেক্ষায় রইলাম।

    আমার উত্তরঃ
    রমিত, আপনার প্রশ্নের উত্তরে বলি Jesus Lived in India : Holger Kersten বইটা পড়লে হয়তো কিছু জবাব পাবেন। আমাজনে প্রাপ্তব্য। এ বিষয়ে যিশুর প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা, তাঁর বাণীর প্রতি আস্থা রেখেও বলি ক্রসে তাঁর মৃত্যু হয় নি কিন্তু তিনি জেরুসালেম ত্যাগ করে গেলেন কোথায়? কাশ্মীরে তাঁর উপস্থিতির তত্ত্ব ক্রমশ গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। কৃষ্ণ এবং যিশুর মাঝে দু হাজার বছরের ফারাক। ড্যান ব্রাউন ইত্যাদি লেখকের কারণে সাঁ সাক্র, ব্লাড লাইন, কারোলিঙ্গিয়ান বংশের কাহিনি আজ অনেকে অবিশ্বাসযোগ্য মনে করেন না। আরেকটা প্রসঙ্গ হোলি ফ্যামিলির মিশর প্রবাস। কাইরোতে সেই এলাকায় গিয়ে কপটিক চার্চ, ক্লয়েসটার ঘুরলে মনে হয় কতো বছর তাঁরা সেখানে ছিলেন? তার ইতিহাস কোথায়?

    দ | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ লিখেছেনঃ
    রমিত, হেমিস গুম্ফা। সামনের বছর যাবার ইচ্ছে আছে। হেমিস ন্যাশনাল পার্কে স্নো লেপার্ডের দেখা পাওয়া যায়।
    হীরেনদা, মেরি নাকি যীশু ক্রশবিদ্ধ হবার পরে আনাতোলিয়ার এফেসাসে চলে আসেন এবং বাকী জীবন কাটান। মেরিয়ামানা নামে এটা কি এখন তীর্থস্থান? লোকে বেড়াতে যায় জানি।

    আমার উত্তরঃ
    দ,
    আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে দুটো বাইবেলকে এমনভাবে জুড়ে দিয়েছি যে বাকি ভূগোলটা মাথায় রাখি না! নোয়ার আর্ক তুরস্কের (বাইবেলে আনাতোলিয়া আজকের আনাদোলু) আরারাত পর্বতে বাঁধা হয়েছিল, আসলি ইডেন উদ্যান নাকি সেখানেই ছিল আমার চেনা তুর্কি মানুষের দাবি। তবে এফেসুসের (এফেসুস এখন সেলচুক নামে পরিচিত, ইজমির থেকে ঘণ্টা খানেক ট্রেনে, যাব সামনের বছর) সেই গিরজেকে মাতা মেরির সঙ্গে জড়ালে ওই প্রভাসের কামারগে তিন মেরির গিরজের কোথায় দাঁড়ায়! এফেসুস বেশি চিনি বিয়ারের কারণে একটা দারুণ তুর্কী বিয়ার, রোমানিয়াতেও তাদের ব্রুয়ারি আছে!

    শিবাংশু | ০৫ নভেম্বর ২০২৩ লিখেছেনঃ

    হীরেন স্যার,
    নটোভিচ, অভেদানন্দ, কেরস্টেন, মির্জা গুলাম অহমদ, খ্বাজা মহম্মদ আজম দিদামারি, সুজান মারি ওলসন ইত্যাদি ইত্যাদি এঁরা সবাই মিলে সুস্থ মস্তিষ্ককে বিচলিত করতে যথেষ্ট। 'য়ুজ আসফ', যে নামটি যিশু এবং বুদ্ধ উভয়েরই প্রতি প্রযুক্ত হয়, বার বার আসে। গোদের উপর বিষফোঁড়া অশ্বিন সিংভি। তার সঙ্গে ফলস্তিন, তুর্ক, রেশমপথ সবই আছে। ধরাছোঁয়ার মধ্যে হেমিস আর রওজাবল সশরীর গিয়ে জানার চেষ্টা করেছিলুম। বই লেখার গরজে। লেখার মতো কিছু পাইনি। লিখতে চাইলে শ্রীস্বপনকুমার হতে হবে। আব্রাহামের তিনটি ধর্মবিশ্বাসে 'টুপি পড়লে'ই ২০১৪ সালের পরে ভারতবর্ষের মতো 'আস্থা' কা সওয়াল হয়ে যায়। 'আস্থা' প্রতিষ্ঠার জন্য যে কোনও মাত্রার খুনোখুনিই 'অবৈধ' নয়। মধ্যযুগের অন্ধকারে ফিরে যাওয়া। নটোভিচও এসব গপ্প'ই করেছিলেন। হেমিসের অনূদিত পুথির মূলটি লাসাতে পাওয়া যাবে। সবাই বলে 'বন্দুক লাও'। 'লাও'তো বটে, কিন্তু আনে কে? আমরা সবাই নিজের নিজের হিসেব মতো নির্ণয় করার চেষ্টা করি।

    যাকগে সে কথা। যে জন্য আমার এই পোস্ট, তা 'কৃষ্ণ'কে নিয়ে। আপনি লিখেছেন 'কৃষ্ণ' এবং যিশুর মধ্যে দু হাজার বছরের ফারাক আছে । বুদ্ধের বইয়ের পর হিন্দু দেবতাদের নিয়ে বই লিখতে গিয়ে এ নিয়ে কিছু সন্ধান করেছিলুম। প্রথম কথা, মহাকাব্যের কোনও চরিত্রের সঙ্গে এক জন রক্তমাংসের মানুষের কোনও সমান্তরাল চর্চা চলে না। 'কৃষ্ণ' নামটি একটি বিশেষণ পদ। গাত্রবর্ণ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া। ওই নামে জনা চারেক অনার্য রাজা বা জনজাতির অধিনায়কের খোঁজ পাওয়া যায়। মগধের কৃষ্ণ, মথুরার কৃষ্ণ, দ্বারকার কৃষ্ণ, কুরুক্ষেত্রের কৃষ্ণ, এঁরা সবাই পুরাণের চরিত্র। কখনও মানুষ, কখনও দেবতা। শ্রীমদভগবৎ গীতার কৃষ্ণ এঁদের মধ্যে অর্বাচীনতম। বুদ্ধের অনুগামীদের থেকে যিশুর অনুচররা দুটি বস্তু ঋণ নিয়েছিলেন, প্রথমটি হলো সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ম কৌশল। দ্বিতীয়টি ধর্মবিশ্বাসের ভিত্তি হিসেবে 'করুণা' বা 'কমপ্যাশন' নামক অনুভূতিকে প্রাধান্য দেওয়া। এটা আর্যধর্মে ছিলো না। সেখানে ভক্তি আছে, দয়া আছে, কৃপা আছে, আনুগত্য আছে, অনুগ্রহ আছে, কিন্তু 'করুণা' নেই। 'করুণাহীনতা'ই বর্ণাশ্রমী ধর্মের প্রথম স্তর।

    পড়ছি।

    আমার উত্তরঃ
    শিবাংশু,
    অশেষ ধন্যবাদ। এ বিষয়ে আমার পড়াশোনা অতি সামান্য যেমন গল্প শুনি তেমনি শোনাই ! আমি ক্যালেনডার দেখে দুজনের আবির্ভাব তিথির ফারাক তাই বলেছি। আপনার শেষ লাইনটি বিদ্যুৎ চমকের মতন - করুণাহীনতাই বর্নাশ্রমী ধর্মের প্রথম স্তর। কি অসাধারন।

    রমিত চট্টোপাধ্যায় | ০৫ নভেম্বর ২০২৩ লিখেছেনঃ

    শিবাংশুবাবু, শেষ লাইনটা সত্যিই অসাধারণ। বড্ড বাস্তব।
    কিন্তু একটা কথা হলো মথুরার কৃষ্ণ আর কুরু ক্ষেত্রের কৃষ্ণ কেন এক হতে পারে না ? দ্বারকার কৃষ্ণ আলাদা হতে পারে এটা মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু মগধ, মথুরা, কুরুক্ষেত্রের কৃষ্ণ কি একজন উঠতি যাদব নেতা হতে পারে না যে কুরু বংশের রাজনীতিতে জড়িয়ে কিছুটা কিং মেকার হওয়ার চেষ্টা করেছিল। যে ছোটো বয়সে রাজধানী থেকে দূরে গ্রামীণ পরিবেশে মানুষ হয়েছে। গণসংঘ হিসেবে চলা যাদবদের মধ্যে জরাসন্ধের মদতপুষ্ট কংসের রাজা হয়ে বসা অনেক যাদব নেতা মানতে পারেনি, তাই গোপনে কংসের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রচনা হয় যা কার্যকরী করে কিশোর কৃষ্ণ। যার জন্য পরে বারবার তাকে সমালোচনাও শুনতে হয়।
    বাসুদেব অনেক জন ছিল, কিন্তু কৃষ্ণ এক হতেও পারে বলে আমার মনে হয়।

    শিবাংশু | ০৬ নভেম্বর ২০২৩ লিখেছেনঃ
    @হীরেন স্যার,
    আপনার লেখার অনুগত পাঠক আমি। পড়ি সব সময়। মাঝে মাঝে দু-চার কথা হয়ে যায়।

    @রমিত,
    ভাই, যে সব পুরাণে কৃষ্ণের আদি উল্লেখ পাওয়া যায় তার মধ্যে মহাভারতই প্রধান। মহাভারত 'ইতিহাস' নয়। এই চরিত্রের রচয়িতা কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাসের মতো কৃষ্ণও একটি পৌরাণিক প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি নন। নানা আখ্যানের মধ্যে থেকে উঠে আসা এই নামটি কোনও একক ব্যক্তির কি না, আমার ধারণায় প্রশ্নটিই অবান্তর। মহাকাব্যে উল্লেখিত মহাভারতের কালটি প্রমাণিত নয়। হিসেব মতো সে যুগটি আদি ও মধ্য বৈদিক পর্বের মধ্যে পড়া উচিত। কিন্তু সেকালের কবি বা ঋষিদের এ বিষয়ে কোনও উল্লেখ করতে দেখা যায় না। এতো বিশাল একটা ব্যাপার, যদি ইতিহাস হতো, তবে সরাসরি না হলেও প্রাসঙ্গিক চর্চা অবশ্যই কোথাও থাকতো। যিশুর জন্মের হাজার দুয়েক বছর আগে লোকমুখে শ্রুতি মাধ্যমে এই উপাখ্যানের সূত্রপাত হয়েছিলো। তৃতীয়-চতুর্থ শতক থেকে তা লিপিবদ্ধ হওয়া শুরু হয়। এই আড়াই হাজার বছর এবং তার পরের এক হাজার বছর জোড়া পুরাণযুগে কতো শত কবি-কাহিনিকারের মনের মাধুরী যোগবিয়োগ হয়ে আমাদের 'মহাভারত'-এর নির্মাণ। মহাভারত ইতিহাস না হলেও তার মাহাত্ম্য অনেক অনেক বেশি। এই মহাকাব্যটি ভারত-চেতনার সারসত্ত্বার সংকলন। অগণন প্রতীকী আখ্যানের মাধ্যমে চিরকালীন ভারতীয় মূল্যবোধকে প্রতিষ্ঠা করার মহোত্তম উদ্যোগ। মানবচরিত্রের যাবতীয় পাপপুণ্য, আলোআঁধার, রিপুভাবনার অত্যন্ত সৎ বিশ্লেষণের প্রেক্ষিতে মহাভারত আমাদের যাপন মানচিত্রকে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছিলো। কৃষ্ণচরিত্র এই বিপুল পরিপ্রেক্ষিতের একটি জরুরি অংশ মাত্র।
    মগধ অঞ্চলের আদি পশুপালক জাতিদের রাজা, 'কৃষ্ণ' নামের একজন, বহিরাগত আর্য উপজাতিদের একাধিকবার বিতাড়ন করে সিন্ধুনদের পশ্চিমে পাঠিয়েছিলেন বলে জানা যায়। আর্যরা তাঁর প্রসঙ্গে প্রচুর বিরূপ মন্তব্য করতেন।

    শিবাংশু | ০৬ নভেম্বর ২০২৩ লিখেছেনঃ
    হীরেনস্যার,
    সেমেটিকভাষী আব্রাহামিক ঐতিহ্যের সমস্যা হলো বিভিন্ন কালপর্বে যাঁরা এই জাতিগুলির নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁরা সবাই 'লড়কে লেঙ্গে ' টাইপ লোক। মানুষকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করতে তাঁদের কোনও আপশোস হয় না। সেই ট্র্যাডিশন এখনও চলে আসছে। বেদের কথা ছেড়ে দিচ্ছি, আমাদের উপনিষদ চর্চার শুরুও নেই নেই করে হাজার তিনেক বছর হয়ে গেলো। নৈতিকতার নির্দেশ ( যা আব্রাহামিক ধর্মের ভিত্তি ) যতোটা আইনগত, ততোটা হৃদয়গত নয়। অন্যদিকে বুদ্ধ (যাঁকে উপনিষদের কাল ওভারল্যাপ করেছিলো ) সমানে নৈতিক শক্তির জয়গান গেয়ে গেছেন। যার উৎস ছিলো একান্ত ভাবে হৃদয়গত। কয়েকশো বছর পর পিয়দস্সি অশোক বুদ্ধের বাণী হিসেবে যা প্রচার করেছিলেন তারও মূল ভিত্তি ছিলো অহিংসা ও যুদ্ধবিরোধিতা। 'আইন' করে নয়, 'হৃদয় পরিবর্তন'ই ছিলো তাঁর রণকৌশল। আমাদের সঙ্গে মেলেনা সেমেটিক দুনিয়ার ইতিহাস ও দর্শন। যিশু এসে এই প্রবৃত্তিগুলি বদলাতে চেয়েছিলেন। এই জন্য তাঁর 'গুরু' হিসেবে বুদ্ধকে নিয়ে এতো টানাটানি।মানবতা বোধের দিক থেকে বিচার করলে ভারতসভ্যতার উৎকর্ষ প্রশ্নাতীত। বিপুল বিষয়। আর কিছু লিখছি না এখানে।

    একদেবতাবাদ আর একেশ্বরবাদ এক বস্তু নয়। একেশ্বরবাদের মূলে আছে নিরাকার সর্বশক্তিমানের অস্তিত্ত্ব। সে সব পরবর্তীকালের ব্যাপার।

    আমার উত্তরঃ
    শিবাংশু,
    হক কথা। মোসেসের আইনগত নির্দেশনৈতিকতার সঙ্গেও মেলেনা হৃদয়গত দূর অস্ত। পাহাড় থেকে নেমে তিনি দেখলেন কিছু মানুষ গোল্ডেন কাফের পুজো করছে। তৎক্ষণাৎ আদেশ দিলেন তাদের সকলকে কতল করতে, তিন হাজার মানুষ নিহত হলেন। খানিকটা আগেই তিনি জানিয়েছেন ঈশ্বরের দশ আদেশ – সেখানে বলা আছে হত্যা করিবে না: কানানে ঢুকে জশুয়ার বাহিনী রক্তগঙ্গা বইয়ে দিলেন – স্বয়ং ঈশ্বর তাতে সহায়। তিনি বারবার বলছেন মারো কাটো নির্বিচারে আরও বার্তা দিলেন, তিনি নিজেই গাজাতে আগুন লাগাবেন। আরেক আদেশে বলা আছে অপরের ধনে লোভ করিবে না,, অপহরণ করিবে না। কানান বিজয়ে এর কোনটাই লাগু হয় নি এঁরা হত্যা লুণ্ঠন দ্বারা জমিদারি আত্মসাৎ করলেন, ঈশ্বরের অনুমোদিত পন্থায়। আমি মাত্র কয়েকটি ঐশ্বরিক বাণীর উল্লেখ করেছি এটিকে উপস্থাপিত করতে। আপনার আগের চিঠিতে লিখেছিলেন বর্ণাশ্রমী ধর্মে করুণাভিত্তিক নয় সেটা ভীষণ ভাবে সত্য।
    তাই বুদ্ধের বাণী আমাদের হৃদয় স্পর্শ করে অশোক সত্যিকারের অহিংসার পথ দেখান।
    অবশ্যই মূর্তি বিহীন একেশ্বরবাদ এবং একদেবতার পূজা এক নয় – যেমন জরথুস্ত্র।

    একেশ্বরবাদ | ০৬ নভেম্বর ২০২৩ লিখেছেনঃ

    পাগান ভগবান থেকে একেশ্বরবাদ একটি বিবর্তন। উপনিষদের ব্রহ্ম তার সবচেয়ে ইভলভড রূপ। এরকমই বোধ হচ্ছে।
    বুদ্ধের ধারণা - যা কিনা ভগবানোত্তর - একটি বৈপ্লবিক চিন্তা। কেবল একটা খটকা রয়ে যায় - ঐ ভাবনা পশ্চিমে প্রসারিত হয় নি কেন (টুকে বা না-টুকে)। হয়তবা রাজনৈতিক গভর্নেন্সের জন্য সুবিধাজনক নয় বলে!

    পলিটিশিয়ান |০৬ নভেম্বর ২০২৩ লিখেছেনঃ

    প্যাগান ভগবান থেকে একেশ্বরবাদ বিবর্তন বুঝলাম। কিন্তু তার সাথে কোন ভ্যালু জাজমেন্ট আছে কিনা বুঝলাম না।
    বুদ্ধের ধারণা পশ্চিমে না ছড়ানোর একটা কারণ অবশ্যই বৌদ্ধ প্রচারকেরা পশ্চিমে যখন গেলেন তখন ভারতে বৌদ্ধধর্মের গোল্ডেন ডেজ় শেষ হয়ে গেছে। এখন বৌদ্ধ ধর্ম পশ্চিমে আছে, কিন্তু এলিট ক্লাসের ফ্যাড হিসেবে। যেমন ইসকন আছে। সেদিক দিয়ে দেখলে ইসলামের প্রভাব পশ্চিমে বেশী।

    একেশ্বরবাদ | ০৬ নভেম্বর ২০২৩ লিখেছেনঃ

    পশ্চিমে এখনকার বুদ্ধধর্ম এসেছে মনে হচ্ছে ৬০-৭০ এর দশকে। অবশ্যই প্রাচীনকালে নয়। তবে ডেভিড হিউম অষ্টাদশ শতকে যেভাবে জুডো - ক্রিশ্চিয়নিটির বেনেভোলেন্ট গডের ধারণার বাইরে গিয়ে 'অভিজ্ঞতা'কে মূল্য দিতে শুরু করেন তাতে কেউ কেউ অনুমান করেন উনি বুদ্ধিষ্ট ধারণার সাথে পরিচিত হয়েছিলেন।
    উপনিষদের ব্রহ্মের ধারণা ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে সবচেয়ে অ্যাবস্ট্রাক্ট ও কঠিন। যতদূর জানতাম বুদ্ধবাদী চিন্তার কাউন্টার হিসেবেই পরমব্রহ্ম আসেন উপনিষদে। আর বুদ্ধের ভাবনা যে সেরিব্রাল ও কঠিন তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ তো বৌদ্ধধর্মের মধ্যে দেবতার আগমন।
    ইসলামের আল্লাকে অন্য আব্রাহামিক ধর্মের ভগবানের থেকে আলাদা বলে এখনও জানিনি। চেষ্টা চলতেই থাকে।
    কোন রকম ভ্যালু জাজমেন্ট দেবার ঘোর বিরোধী। অবচেতনের বায়াস লেখায় ফুটে উঠলে দুঃখিত। চেষ্টা করব কাটাবার।

    অরিন | ০৭ নভেম্বর ২০২৩ লিখেছেনঃ

    @একেশ্বরবাদ: "বে ডেভিড হিউম অষ্টাদশ শতকে যেভাবে জুডো - ক্রিশ্চিয়নিটির বেনেভোলেন্ট গডের ধারণার বাইরে গিয়ে 'অভিজ্ঞতা'কে মূল্য দিতে শুরু করেন তাতে কেউ কেউ অনুমান করেন উনি বুদ্ধিষ্ট ধারণার সাথে পরিচিত হয়েছিলেন।"
    এই বিষয়টি নিয়ে Alison Gopnik এর The Atlantic এ লেখাটি পড়ে দেখতে পারেন,
    https://www.theatlantic.com/magazine/archive/2015/10/how-david-hume-helped-me-solve-my-midlife-crisis/403195/

    হিউম ইপোলিতো দেসিদেরি এবং শার্ল দোলুর সূত্রে (অষ্টাদশ শতকে) বৌদ্ধ চিন্তাভাবনার সঙ্গে সম্যক পরিচিত ছিলেন। একটা কথা মনে রাখা যেতে পারে যে বৌদ্ধধর্মের ইউরোপ প্রসার আলেকজান্দারের আমল থেকে।

    "পশ্চিমে এখনকার বুদ্ধধর্ম এসেছে মনে হচ্ছে ৬০-৭০ এর দশকে। অবশ্যই প্রাচীনকালে নয়।"
    না।
    আমেরিকাতে বৌদ্ধধর্ম নিয়ে আসেন চীনারা ১৮২০ নাগাদ, প্রথম বৌদ্ধ মন্দির ১৮৫৩ তে সান ফ্রানসিসকোয়, ১৯০০ সাল নাগাদ প্রায় ৪০০ মন্দির ছিল শুধু west coast এ।
    ১৮৮০ তে এডউইন আর্নোল্ডের "light of Asia" আমেরিকানদের মধ্যে সাংঘাতিক রকমের জনপ্রিয়তা পায়।
    ১৯০৭ সালে দাইসাতসু সুজুকি ইলিনয়তে তাঁর মহাযান বৌদ্ধধর্মের ওপর বইটি লেখেন।
    ১৯৩৪ এ Dwight Goddard, আমেরিকান বৌদ্ধধর্মের একজন প্রধান পুরুষ, এক বছরের জন্য জাপানে একটি জেনডোতে যান।
    ১৯৬০-৭০ সাল অনেক পরে।

    Kishore Ghosal | ০৭ নভেম্বর ২০২৩ লিখেছেনঃ
    হীরেনস্যারের অনবদ্য আলোচনা এবং তৎসহ সকলের আলোচনায় ঋদ্ধ হলাম। সে বিষয়ে নতুন কিছু যোগ করার নেই। তবে আমার মনে হয়, সেটা একটু খুলে বলি-

    নদীবহুল শ্যামল অধিকাংশ উর্বর জমির ভারতবর্ষ, প্রাগার্য ভারতীয় অর্থাৎ অনার্যদের সেভাবে মারকুটে যুদ্ধবাজ বানিয়ে তুলতে পারেনি। বিশাল এই দেশটা শস্য, খনিজ (সোনা-রূপা), নানান মণি-রত্ন সম্পদে সমৃদ্ধ ছিল, অতএব প্রতিবেশীদের মেরে ধরে রক্তগঙ্গা বইয়ে সম্পদ সংগ্রহ করতে হয়নি - তবে প্রতিবেশী মানুষদের দাস হিসেবে চাষবাস করিয়েছে, সোনারূপোর কাজ করিয়েছে, কাঠের কাজ করিয়েছে ইত্যাদি।

    সিন্ধু সভ্যতার মতো এত বড় এবং বিস্তৃত এবং সুদীর্ঘকালীন বাণিজ্যকেন্দ্রিক শহর ও জনপদগুলিতে পারষ্পরিক যুদ্ধের তেমন কোন প্রমাণ প্রত্নতাত্ত্বিক পণ্ডিতেরা আজও পাননি।

    আমার ধারণা ভারতে যুদ্ধবাজি প্রথম নিয়ে এল আর্যরা। তারা যে শুধু অনার্য মানুষদের রাক্ষস, অসুর, দানব, পিশাচ বলে যুদ্ধ করে তাদের এলাকা ও সম্পদ জয় করতে লাগল তা নয় - নিজেদের নানান গোষ্ঠীর মধ্যেও নিত্যিই ঝামেলা পাকাত - সে কথার উল্লেখ ঋগ্বেদে রয়েছে - মহাভারতে তো আছেই! অন্য দলের গবাদি পশু লুঠ করে, তাকে "গবিষ্ঠি" বলে রীতিমতো গর্ব করত।

    তার কারণ আর্যদের পিতৃভূমি ছিল শীতপ্রধান রুক্ষদেশ, তারা টুকটাক কিছু যব -গম চাষ করত আর তাদের মূল পেশা ছিল গরু ভেড়া ছাগল, আর কিছু কিছু ঘোড়া চড়ানো। ভারতে ঢুকেই অনার্যদের সম্পদের এত প্রাচুর্য দেখে লোভ এবং ঈর্ষায় ঝলসে উঠল আর্যদের চোখ - এবং শুরু হয়ে গেল ভারত জুড়ে নিরন্তর খেয়োখেয়ি। আর্যদের সেই যুদ্ধবাজ অহংকারী ও মদ্যপ গোষ্ঠীপতিদের বলা হত ইন্দ্র।
    আর্যদের এই যুদ্ধ-সংস্কৃতি অচিরেই শিখে নিলেন অনার্য গোষ্ঠীপতিরাও - তাঁরাও ওস্তাদ হয়ে উঠলেন যুদ্ধ-রাজনীতিতে, একের পর এক অনার্য গোষ্ঠীপতিকে (হিরণ্যকশিপু, হিরণ্যাক্ষ, রাবণ প্রমুখ অজস্র রাক্ষস ও দানব) পরাস্ত করলেন এমনকি খণ্ডন করলেন আর্য গোষ্ঠীপতি ইন্দ্রদের ক্ষমতা ও গর্ব। কালক্রমে তাঁরাই হয়ে উঠলেন আমাদের প্রধান দেবতা - বিষ্ণু, মহাদেব, চণ্ডী...
    অতএব আর্য নামক হোমোস্যাপিয়েনদের বিশেষ গোষ্ঠীটি শুরু থেকেই যুদ্ধ-রাজনীতিতে দক্ষ। যে কোন কারণে যুদ্ধ লাগাতে না পারলে, আজও বিশ্বের সব গোষ্ঠীপতিদের "ভাত হজম" হয় না।

    আমার উত্তরঃ
    কিশোর,
    অসাধারণ সমীক্ষা আপনার। ঠিক বলেছেন , সম্পূর্ণ সহমত । আমাদের দেশের অনার্য ঘোড়ায় চড়ে বিদেশি শত্রুর মাথা কাটে নি, তার প্রয়োজন ছিল না । ধরিত্রী মাতা তাঁদের অনেক দিয়েছিলেন, পরের ধনে লোভ করতে হয় নি । বর্ণাশ্রম অবশ্যই তাঁদের এক জরুরি ম্যানেজমেন্ট টুল, সমাজে অনেক বিভেদ তবে সেটা ঘরের ভেতরে । আর্য থেকে ইংরেজ সকলেই ছোটো দেশ বা দ্বীপ থেকে এসেছিলেন ধনের সন্ধানে তাঁরা শেখালেন যুদ্ধের টেকনিক – একবার আফ্রিকার কথা ভাবুন , নানা জাতি উপজাতি বাস করেছে মারপিট করেছে অবশ্যই কিন্তু টাঙ্গানিয়াকা থেকে জিম্বাবোয়েতে খনি খুঁজতে যায় নি মানুষের প্রতি মানুষের নির্মমতার আর্ট তাদের শেখালো সভ্য ইউরোপীয়রা কঙ্গোর কথা মনে করুন।
    সিনাই পাহাড়ের মন্ত্র শুনে এক জাতি কানানের পানে ধাওয়া করে বাসস্থানের সন্ধানে, ঈশ্বরের বাণী শুনে ( দিওয়ার সিনেমায় অমিতাভ বচ্চন যেমন রণক্ষেত্রে অবতীর্ণ হলেন ‘মা কা আশীর্বাদ ‘ লেকর )।


    রঙিন ছবি

    এক - তিন দশক আগের একদিন



    ক্রুসিফিকশন ও সমাধি -চারচ অফ দি হোলি সেপালকার




    ডোম অফ দি রক




    ক্রন্দন প্রাচীর





    দুই - অর্থ দফতর, জেরুসালেম



    ইজরায়েলী অর্থ মন্ত্রক - অর্থ দপ্তর - এলিজার কাপলান স্ট্রিট, জেরুসালেম, দূরে Knesset





    তিন - খোঁজ খবর



    হিলটন হোটেলের জানলা থেকে সমুদ্র দর্শন




    ঘরে ফেরার অধিকার/ রাইট টু রিটার্ন

    ইউরি একটি ইউটিউব চ্যানেলের নাম দিলেন, সেটি নিয়মিত দেখলে শুনলে নাকি সাত দিনে যে কোন ভাষায় সরগড় হওয়া যায়।





    বেথলেহেমের দেওয়াল






    কালার কোডেড কন্ট্রোল এলাকা - এ (প্যালেসটিনিয়ান) বি (যৌথ) সি (ইসরায়েলি)। নীলে অজস্র অধিকৃত এলাকায় বেআইনি সেটেলমেনট।

    বার্লিন দেওয়ালের পশ্চিম প্রান্তে ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৯ অবধি দেখেছি প্রতিবাদী দেওয়াল লিখন। আজকের ইসরায়েলে সেই একই ছবি।






    স্থিতাবস্থা এবং একটি মইয়ের গল্প



    মই তুমি কার





    চার্চের নতুন (৫০০ বছর) ও পুরনো অকেজো চাবি হাতে চাবি রক্ষক পরিবারের সদস্য - আদিব ইউদে




    রাতে গিরজেয় চাবি লাগাচ্ছেন নুসবিয়া


    পুজোর অধিকার নিয়ে হাতাহাতি ঠেলা ঠেলি এখনও থামে নি! হালের একটি ভিডিও ক্লিপ দেখুন!




    দাভিদের পাঠশালায় -১


    পথের ধারে ৬৭ সালে আরব ইসরায়েলি যুদ্ধে বিধবস্ত ট্যাংক




    ইসরায়েলি হোসট বিওরন লিসা





    জাফা ট্রেন স্টেশন





    আকো সমুদ্র তীর





    হাইফা বন্দর ( আদানীর এখন)





    দাভিদের পাঠশালায় -২



    খফর কানা - যিশুর প্রথম মিরাকল





    যিশুর শেষ যাত্রা পথ ভিয়া দলোরোসা





    গেথসেমানের অলিভ বাগান





    ঈশ্বরের আদেশ ও প্রতিশ্রুত দেশ



    প্রতিশ্রুত ভূমি কানান




    কানানের অধিবাসীদের নির্মূল করে ইসরায়েল সৃষ্টি করতে সৈন্য বাহিনী সহ জশুয়ার কানান প্রবেশ



    বেথলেহেম


    মেনজার স্কোয়ার ১৯৯১




    বেথলেহেম যিশুর জন্ম স্থান চারচ অফ দি নেটিভিটি





    চারচ অফ নেটিভিটি - বিনম্রতার দ্বার









    ব্রিটিশ প্যালেসটাইনের ব্যাংক নোট হিবরুতে আলেফ উইদে যোগ করা আছে





    বেথলেহেমে স্বাগতম





    শেফার্ডস ইন দি ফিল্ড - গুহায় ভজনার বেদি





    চারণ ক্ষেত্র থেকে দেখা ইসরায়েলি সেটলমেনট





    রেচেলের সমাধি - দেওয়াল দিয়ে ঘেরা





    সুরক্ষা অথবা আপারথেইডের দেওয়াল





    দেওয়াল লিখন





    ব্যাংকসির হোটেল





    দেওয়াল লিখন





    গোল্ডস্টোন রিপোর্ট


    গাজায় বোমাবর্ষণ - ২০০৩




    রিচার্ড গোল্ডস্টোন





    পুরানো জানিয়া


    মাউনটেন অফ টেমপটেশন - জেরিকো




    সাক্ষ্য প্রমাণ সহ - প্রাচীনতম শহর জেরিকো





    সিকামুর বৃক্ষ রক্ষকের সঙ্গে মায়া - জেরিকো





    পবিত্র ভূমির পাগড়ি





    সিটি অফ পামস, স্প্রিং অফ এলিশা





    তফাত যাও, তফাতে থাকো - দুই আপারথাইডের কাহিনি


    ইসরায়েলের চেক পয়েনট




    সবহারাদের পদ যাত্রা - দক্ষিন আফ্রিকা





    আপারথাইডের ফল - কালো মানুষদের শরণার্থী শিবির





    ইরগুন এম্বলেম - বন্দুকের একদিকে প্যালেসটাইন অন্যদিকে জর্ডান। তলায় হিবরুতে লেখা কেবলমাত্র এইভাবেই।




    রাষ্ট্র সংঘের নিদান




    বেআইনি সেটলমেনট





    ইসরায়েলের চেক পয়েনট







    আপারথাইডের ফল - প্যালেসটিনিয়ানদের শরণার্থী শিবির





    হেবরন


    হেবরন - পথ রুদ্ধ




    পিতৃপুরুষের গুহা





    বিভক্ত হেবরন




    বিভক্ত হেবরন





    চেক পয়েনট হেবরন





    হেবরন এইচ টু





    হেবরনের গতকাল ও আজ - সূত্র বি টি সেলেম





    নজরদার





    মুসলিম গোরস্থান এইচ টু




    মুসলিম এক্সিট





    দক্ষিণ আফ্রিকা


    ~


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • গুরুচন্ডা৯ | ০১ জানুয়ারি ২০২৪ | ৭৭০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ১৫ মার্চ ২০২৪ ১৯:২২529401
  • আরে এই জিনিষটা ব্যপ্পক হয়েছে তো। পবিত্র ভূমির শেষ পাতায় কিউয়ার কোড স্ক্যান করে এখানে এলাম। আর এসে খুবই পছন্দ হল। 
    গুরুর রোবটগণকে একঠোঙা কুচো নিমকি আর একঠোঙা ডালের বড়া।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন