মিশরের দাসত্ব হতে মুক্ত করে মোসেস ইহুদিদের প্রথমে নিয়ে এলেন সিনাই পর্বতের পাদদেশে। সেখানে পেলেন ঈশ্বরের দশ আদেশ। মরুভূমিতে চল্লিশ বছর যাবত হাঁটলেন প্রতিশ্রুত দেশের সন্ধানে যেখানে বইছে দুধ ও মধুর ধারা। এই ভ্রাম্যমাণ জনতা একদিন ক্লান্ত হয়ে পড়েন – কতদূর, আর কতদূর, বলো, মোসেস? মোসেস বললেন আস্থা রাখো, স্মরণ করিয়ে দিলেন কুলপিতা আব্রাহামের প্রতি ঈশ্বরের আদেশ:
“আব্রাম, তোমার দেশ (উর, আজকের ইরাক) পরিজন, পিতার আশ্রয় ছেড়ে তুমি সেই দেশে যাবে যা আমি তোমাকে দেখাবো।” (জেনেসিস ১২:১)
“আব্রাম তুমি হবে এক মহান জাতির, রাজন্যবর্গের পিতা আর তোমার সন্ততিকে দেবো এক দেশ, কানান, মিশরের ওয়াদি হতে মহা নদী ইউফ্রেতিস অবধি যেখানে এখন কেনাইট কানানিট কেনিযাইট হিতাইত পেরিজিত জেবুসিত গিরগাশিট, আমোরিটের বাস।” (জেনেসিস ১৫:১৮-২১)
এই শ্রান্ত জনতাকে এবার ঈশ্বর স্বয়ং অভয় দিলেন
‘তোমরা আমারই লোক, আমি তোমাদের ঈশ্বর, জেনো, তোমাদের প্রভু। আমিই তোমাদের মিশরের দাসত্ব থেকে মুক্তি দিয়েছি। আমি তোমাদের নিয়ে যাব সেই দেশে যার শপথ করেছি। কেন না আমি তোমাদের প্রভু।” (একসোডাস ৬:৭-৮)
কোথা সে দেশ, যেখানে তাঁদের বাসভূমির ল্যান্ড রেজিস্ট্রি করা আছে, ই এম আই দেওয়ার প্রশ্ন নেই?
“সে দেশের সীমান্ত নির্দেশিত লোহিত সাগর হতে ভূমধ্যসাগর, মরুভূমি থেকে ইউফ্রেতিস নদী অবধি। তোমাদের হাতে তুলে দেবো সেই সব মানুষকে যারা এখন সেথায় বাস করে, তোমরা তাদের বিতাড়িত করবে সেখান থেকে। তোমাদের জমিতে কখনো তাদের বাস করতে দেবে না।” (একসোডাস ২৩:৩১-৩৩)
ঈশ্বরের বাক্যে বলীয়ান হয়ে মোসেস তাঁর অনুগামীদের নিয়ে চললেন সেই দেশের দিকে কিন্তু ঈশ্বরেরই শাপে কানানে তিনি নিজে প্রবেশ করতে পারবেন না।
মরুভূমিতে একদিন দেখা দিয়েছিল ভয়ঙ্কর জলকষ্ট। ম্যাঘ দাও, পানি দাও বলে মোসেস ঈশ্বরের কাছে জানালেন আকুল আর্তি। ঈশ্বর বললেন এই নাও ছড়ি। এটি হাতে নিয়ে তোমার ভাই আরন এবং দলের সকল মানুষকে পাশে নিয়ে দাঁড়াও এই পাথরের সামনে, প্রার্থনা জানাও। তবেই পাথর থেকে জল বেরিয়ে আসবে, তোমাদের প্রাণ বাঁচবে। মোসেস ভাবলেন জল যদি এই পাথরের ভেতরেই আছে, তাহলে তার সঙ্গে কথা বার্তা না বাড়িয়ে ছড়ি দিয়ে দু ঘা দিয়েই দেখা যাক কি হয়। তিনি দু বার আঘাত করলেন পাথরে, ঝর্নার মতো শুষ্ক ধরিত্রীর ওপরে উৎসারিত হলো জলের ধারা।
সকলে মোসেসকে ধন্য ধন্য করলেন। কিন্তু ঈশ্বর ক্রুদ্ধ হলেন। জলদানের জন্য পাথরের সঙ্গে আলাপ আলোচনা না করে মোসেস সরাসরি তাকে আঘাত করে জল আদায় করলেন এবং তাঁর আপনজনদের কাছে পুরো ক্রেডিটটা নিজেই নিলেন। এহেন ধৃষ্টতার শাস্তি ঈশ্বর তৎক্ষণাৎ নির্দিষ্ট করলেন- প্রতিশ্রুত ভূমিতে মোসেসের প্রবেশ নিষিদ্ধ হলো। তিনি ইহুদিদের নেতৃত্ব দেবেন কানানের সীমান্ত অবধি। পাহাড়ের ওপরে দাঁড়িয়ে অঙ্গুলি নির্দেশে বলবেন, ওই দেখা যায় সেই প্রতিশ্রুত ভূমি, ইসরায়েল, তোমরা অগ্রসর হও।
এত বলি তিনি সেই পাহাড়ে আপন প্রাণ বিসর্জন করলেন।
(ডিউতেরোনমি – দ্বিতীয় আইন বা পুনরুক্ত আইন - ৩২: ৫১-৫২)
লোহিত সাগরের জলরাশিকে চিরে মোসেস যাঁদের মরুভূমিতে আনলেন তাঁদের মধ্যে কয়েকজন মাত্র কানানের দোরগোড়ায় পৌঁছেছিলেন। মোসেসের মৃত্যুর পরে ইসরায়েলিদের নেতৃত্ব দিলেন তাঁদেরই একজন, জশুয়া (ডিউতেরোনমি – দ্বিতীয় আইন বা পুনরুক্ত আইন – ৩১:১-৮)।
এবার ইসরায়েলিদের কানান প্রবেশ, নতুন অধিনায়কের নাম জশুয়া।
দলবল নিয়ে জশুয়া সে দেশে ঢুকে তো পড়লেন - ঈশ্বর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কোন কাগজের প্রয়োজন নেই, সে সব জমি খামার ইহুদিদের। কিন্তু তাঁরা দেখলেন সেখানে কোন বাড়ি জমি খালি পড়ে নেই, সেথায় বহু মানুষের বসবাস। কেউ তাঁদের আসুন, বসুন ঈশ্বরের অভিলাষ পূর্ণ করুন বলে সদর দরোজা খুলে দিলেন না। কার ঈশ্বর কাকে কোন কথা দিয়েছেন তার তোয়াক্কা না করে সিদন, টায়ার* থেকে গাজা অবধি সাড়ে ছশো মাইল ব্যাপী সমুদ্রতীর বরাবর বহু মানুষ বাসা বেঁধেছেন হাজার বছর আগেই। তাঁরা ব্যবসা বাণিজ্যে অত্যন্ত তুখোড়, তাঁদের নৌকো, জাহাজ পাড়ি দেয় বন্দরে বন্দরে বাইবেল তাঁদের বলেছে সমুদ্র মানুষ। ফিলিস্তিনরা (যা থেকে প্যালেসটাইন শব্দটা এসেছে) সেই বাণিজ্যে সফল, উন্নত জাতি। গাজা ফিলিস্তিনদের বৃহত্তম বন্দর। দক্ষিণ পশ্চিমের মরুভূমি থেকে হঠাৎ হাজির হয়েছেন একদল মানুষ – এটা নাকি তাঁদের প্রতিশ্রুত দেশ। এখানে তাঁরা ডেরা বসাবেন। এ কোন আবদার? বললেই চলে যাবেন তাঁদের বাপ পিতেমোর ভিটে ছেড়ে?
কানানের মানুষ আপন বাসভূমি ছেড়ে যাবেন কেন? কোথায় যাবেন?
মোসেস তাঁর জীবৎ কালেই বলে গিয়েছিলেন, কানান প্রবেশ ও অধিকার সহজ হবে না, সেখানে সংগ্রাম আসন্ন! সেই সংগ্রামে তোমাদের তরবারির ডগা দিয়ে নিহত করো কানানের অধিবাসীদের। কেড়ে নাও সে জমি যা তোমাদের জন্য ঈশ্বর নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, আমাদের পিতা আব্রাহামকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি তোমাদের সঙ্গে আছেন, থাকবেন। মা ভৈ!
এই মাত্তর কয়েক বছর আগে সিনাই পাহাড় থেকে নেমে, একটা পাথরের সেলেট দু হাতে উঁচু করে ধরে সৎ জীবন যাপনের জন্য ঈশ্বর প্রদত্ত দশটি আদেশ জানিয়ে দিয়েছিলেন মোসেস – সেখানে ঈশ্বরের চতুর্থ আদেশ: প্রাণনাশ করিবে না।
এই আদেশ সবার জন্য যে প্রযোজ্য নয় এমন কোন ফুটনোট হয়তো সেই সেলেটের কোণায় লেখা ছিল, আমরা দেখিনি।
উত্তর থেকে দক্ষিণ, টানা লম্বা এই দেশ কানান, যার একদিকে সমুদ্র অন্যদিকে পর্বত মালা। এই দেশে বাস করেন অনেক জন জাতি, তাঁদের শহর, দুর্গ ছিল দেওয়াল দিয়ে ঘেরা। কানানের মানুষ আপন দেশ জমি বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ করলেন (জেরিকো ছাড়া, যাকে আজ পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো শহর মানা হয়ে থাকে, এগার হাজার বছর তার বয়েস)। ঈশ্বরের আদেশে প্রবুদ্ধ ইসরায়েলি বাহিনী “তাদের তরবারির ডগায় মেরে ফেলে নির্বিচারে পুরুষ, মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ, গোরু ছাগল গাধা” (জশুয়া ৬:২১)।
জেরিকোতে আচান নামের এক সৈন্য শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের ভয় দেখিয়ে একটা ব্যাবিলনিয়ান শাল, দু শো শেকেল আর এক টুকরো সোনা আত্মসাৎ করেছিলো। ক্ষিপ্ত হয়ে ঈশ্বর বললেন লুটপাটের সামগ্রী কারো ব্যক্তিগত ভোগে যাবে না, সবটা জমা পড়বে ঈশ্বরের কোষাগারে (All the silver and gold and articles of bronze and iron are sacred to the Lord and must go into his Treasury – Book of Joshua 6:19)। ভগবানের ট্রেজারিতে কিভাবে মানি ট্রানসফার হতো তা জানা যায় না।
আচানের শাস্তি হলো- সপরিবারে পাথরের ঢিলের ঘায়ে তাদের মৃত্যু।
তাঁদের সংগ্রামে ঈশ্বর সর্বদা পাশে থেকেছেন। সময় কখনো বিরূপ হলে, ইসরায়েলি সৈন্যদের বিপর্যয় ঘটলে, ঈশ্বর স্বয়ং অভয় দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরায়েলের মানুষ ঈশ্বরের সঙ্গে বাঁধা চুক্তির (কভেনানট) সম্মান রক্ষা করবে, ততদিন ঈশ্বর সতত তাঁদের সঙ্গে থাকবেন। বিস্তীর্ণ এই অঞ্চলে কানানের বিভিন্ন জাতির বিরুদ্ধে কঠোর সংগ্রাম চলে নানান রণক্ষেত্রে। সব সময় ইসরায়েলিরা সফল হন নি। আবার যখন রুখে দাঁড়িয়েছেন, যেমন হেবরনের যুদ্ধে, সেখানে সকল মানুষকে সবংশে নির্বংশ করেছেন। তবু যখন সংশয় জেগেছে, জর্ডান নদীর তীরে দাঁড়িয়ে ইসরায়েলি প্রশ্ন করেছেন দেবদূতকে- এই যুদ্ধে ঈশ্বর কার পক্ষে, ইসরায়েল না কানান? তিনি অভয় দিয়েছেন সৎ পথে থাকো, আমি তোমাদের সঙ্গে আছি (জশুয়া ৫: ১৩-১৫)।
ঈশ্বর যাঁদের সহায় তাদের মারে কে? ফিলিস্তিন এবং অন্য জাতির ভগবান নিশ্চয় ছিলেন, কিন্তু তিনি বা তাঁরা সামাল দিতে পারলেন না। একদিন কানানদের আদি পুরুষের বাসভূমি থেকে তাঁদের উৎখাত করে সেই ঈশ্বর প্রতিশ্রুত ভূমিতে আপন আস্তানা গাড়লেন ইসরায়েলিরা। তারপর একদিন গৌরব গাথা গাওয়া হবে, ডেভিড জয় করবেন জেরুসালেম। সেখানে গড়ে উঠবে সলোমনের মন্দির যার অবশেষ, পশ্চিম প্রাচীর, আজ ইহুদিদের পবিত্রতম তীর্থ ক্ষেত্র।
একটা প্রশ্ন মনে থেকেই যায় – কানানের মানুষ গেলেন কোথায়? সকলেই কি মৃত্যুমুখে পতিত হলেন? তাঁদের কিছু কি পরিযায়ী হয়ে হেঁটে বা নৌকো ধরে ইউরোপের দেশে দেশে অ্যাসাইলাম খুঁজলেন? আজকের মতন?
হিব্রু বাইবেলে ঈশ্বরের কিছু উক্তি
• আমি গাজায় লাগাবো আগুন আর সেই আগুনে চুরমার হবে গাজার প্রতিরোধ (আমোস ১:৭)
• গাজা হবে জনশূন্য, আশকেলন এক ধ্বংসস্তূপ (অ্যাকটস ৮:২৬)
• ঘিরে ফেলবে গাজা, সেখানে রাখবে না বাঁচার কোন সামগ্রী, গোরু ছাগল বা গাধা (জশুয়া ১৫:৪৭)
• আশকেলন এই সব লক্ষ করবে, ভয় পাবে। গাজা এক যন্ত্রণায় জর্জরিত হবে (আমোস ১:১৫)
• ঈশ্বরের দৈববাণী হলো – দামাস্কাস শহরের অস্তিত্ব ঘুচে যাবে, পরিনত হবে এক ধ্বংসস্তূপে, তার রাজত্ব হবে শেষ। সিরিয়ার বাকি অংশ ভোগ করবে ইসরায়েলের সন্তান (জেনেসিস ১০:১৭)
• যাও, আঘাত করো আমালেকদের, তাদের যা কিছু সম্পদ আছে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করো। ছেড়ো না তাদের, হত্যা করো পুরুষ নারী, শিশু এমনকি দুগ্ধপোষ্য শিশু, গোরু বলদ ভেড়া, উট, গাধা (সামুয়েল ১৫:৩) **
• গাজা আজ শূন্যস্থান, এশকেলন চূর্ণ (জাজেস ১৬:২৩)
• দেবদূত ফিলিপকে বললেন, ওঠো, জাগো, জেরুসালেম থেকে দক্ষিণের পথ ধরে যাও গাজা, যা এখন মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে (সামুএল ৬:১৭)
• এবার ঈশ্বর বললেন দেখো, ফিলিস্তিনদের শায়েস্তা করতে বাড়িয়েছি হাত। আমি ধ্বংস করব বাকি সমুদ্রতটবর্তী অঞ্চল (ক্রনিকল ২১:১৬)
• ঈশ্বর বললেন আমি আশদোদের মানুষকে দূর করে দেবো আর তাকেও যার হাতে আজ আশকেলনের রাজদণ্ড আছে। একরন, ফিলিস্তিনরা হবে ধ্বংস (ডানিয়েল ৪:১৫)
• গাজার রাজা বাঁচবে না, আশকেলন হবে জনশূন্য (জেফানিয়া ২:৪)
সূত্র : কিং জেমস বাইবেল (হিব্রু বাইবেল/ ওল্ড টেসটামেনট)
সংযোজন
কানান দখলের যুদ্ধ শুরু হয় খ্রিস্ট পূর্ব ১৪০০ সালে। কানান বিজয় সম্পূর্ণ হতে দুশ বছর।
হিব্রু বাইবেলে পাঁচটি ফিলিস্তিন শহরের নাম বারবার উল্লিখিত হয়েছে, একত্রে এঁরা গড়ে তুলেছিলেন এক ধরনের সমবায় সঙ্ঘ - তাদের মধ্যে সমুদ্র তটবর্তী গাজা, আশদোদ, আশকেলনে মানুষ বাস করেছেন নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কয়েক হাজার বছর যাবত, এদের নাম আজও অপরিবর্তিত। অন্য দুটি শহর এক্রন (আজকের তেল মিকনে, এক সময়ের আরব গ্রাম, আকির, বর্তমানে জনশূন্য) এবং গাথ (আজ একটি ধ্বংসস্তূপ) মিলে এই পাঁচটি শহরকে বলা হয়েছে গাজা পটি (স্ট্রিপ)।
* টায়ার বন্দর, আজকের লেবাননের তৃতীয় বৃহৎ শহর। হিব্রু বাইবেল রচনার কয়েক হা জার বছর আগে থেকেই সেখানে মানুষের বাস (জীবনানন্দের কবিতায় আমরা এই টায়ার পেয়েছি)। গ্রিক ইতিহাস অনুযায়ী টায়ারের অধিবাসী কাদমুস গ্রিসে বর্ণমালা (আলফাবেট) প্রচলন করেন। কাদমুসের কন্যার নাম ইউরোপা – যা থেকে এক মহাদেশের নামকরণ হয়েছে। টায়ারের আরেক রাজকন্যা এলিসা আজকের টিউনিসিয়া জয় করে কার্থেজ স্থাপনা করেন (মৎপ্রণীত আমার আফ্রিকা দ্রষ্টব্য!)। টায়ার এখনও এক প্রাণবন্ত শহর।
বাইবেলে লেবাননের উল্লেখ আছে অন্তত সত্তর দফা।
সিদন, বর্তমানে সাইদা, ফিনিশিয়ানরা (যারা টাকার প্রচলন করেছিলেন প্রথম) এই বন্দর শহরের স্থাপনা করেন, সাড়ে পাঁচ হাজার বছর যাবত মনুষ্য অধ্যুষিত।
সম্ভবত জেরিকোর পরেই সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাচীনতম শহর। জিহোভার অভিশাপ সত্ত্বেও দামাস্কাস এখনও দাঁড়িয়ে আছে।
** ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গত সপ্তাহে তাঁর এক ভাষণে গাজা অভিযানে ইসরায়েলি সৈন্য বাহিনীকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য জশুয়ার বই থেকে আমালেক জাতিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার এই আহ্বানকে স্মরণ করেছেন।
পরিশেষে
হিব্রু বাইবেলের ভাষ্য অনুযায়ী মিশরের দাসত্ব মুক্তি থেকে ইসরায়েলে অধিবাসী জনজাতিকে উচ্ছেদ করে ইহুদিদের পাকাপাকি বসবাসের একটি সংক্ষিপ্ত সময় রেখা বা টাইম লাইন টানবার চেষ্টা করেছি মাত্র।
গাজা তথা ইসরায়েলের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে তার কোন মিল খোঁজা সম্পূর্ণ অর্থহীন প্রচেষ্টা বলে মনে করি।