তেরো বছর আগের একদিন। হিথরোতে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের লাউঞ্জে বসে বিনে পয়সার ব্রেকফাস্ট ধ্বংস করছি এমন সময়ে রোদিকা বললে ‘দ্যাখো, উনি রিচারড গোল্ডস্টোন না?’
২০০৮-২০০৯ সালে ইসরায়েল ও হামাসের তিন সপ্তাহ ব্যাপী এক সংঘর্ষ চলে, হামাসের রকেট বনাম ইসরায়েলি গোলাগুলি। কোন সন্ধি চুক্তি হল না কিন্তু দু পক্ষই দু পা পিছিয়ে গিয়ে পরস্পরকে নিরীক্ষনের কাজে লেগে রইল। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবিক অধিকার পরিষদ (UNHRC) ইসরায়েল ও হামাসকে মানবিক অধিকার উল্লঙ্ঘনের জন্য নিন্দা জানালেন। সাধারণ পরিষদে উত্তেজিত আলোচনা চলল, তারপর তাঁরা এই সিদ্ধান্তে এলেন যে মানব জাতির প্রাণ ও সম্মান রক্ষার্থে আমাদের কিছু করা দরকার। তার আগে জানতে হবে সেখানে ঠিক কি ঘটেছে কে কতটা অপরাধী। সেই তথ্য সংগ্রহের মানসে একটি তদন্ত কমিশন নিযুক্ত হলো (Fact finding mission)। এই মিশনের প্রধান দক্ষিণ আফ্রিকার রিচার্ড গোল্ডস্টোন, আইনজ্ঞ, খ্যাতনামা বিচারক, দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ভিটওয়াটার্সরানডের ছাত্র যেখানে আপারথাইডের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে দাঁড়িয়েছিলেন, মাত্র ৪২ বছর বয়েসে ট্রান্সভালের সুপ্রিম কোর্টের জাজ, ইউগোস্লাভিয়া ও রুয়ান্ডার যুদ্ধ অপরাধের তদন্ত করেছেন এবং তিনি ইহুদি! দুই পুরুষ আগে তাঁর পিতামহ লিথুয়ানিয়া থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় আসেন। মিশনের অন্য সদস্য ক্রিস্টিন চিঙ্কিন, ইয়েল থেকে পাশ করেছেন, আইনজ্ঞ, প্রফেসর অফ ইন্টারন্যাশনাল ল, লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিকস ও মিশিগান ল স্কুল; হীনা জিলানি লাহোর সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট, মানবিক অধিকারের প্রখর প্রবক্তা এবং ডেসমনড ট্রাভারস, অবসরপ্রাপ্ত আইরিশ কর্নেল, দি হেগে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি তদন্ত ইনসটিটিউটের ডিরেক্টর। রোদিকা ও আমি আপন কৌতূহলে এই কমিশনের বিষয়ে খবর রেখেছি। কমিশনের কাজ চলাকালীন টেলিভিশনে রিচারড গোল্ডস্টাইনকে দেখা গেছে, চেহারা চেনা।
এ হেন মানুষ আমাদের দু হাত দূরে দাঁড়িয়ে কফি খাচ্ছেন একা! রোদিকা বললে ‘আগে তুমি গিয়ে কথা বলো’। মুশকিল হচ্ছে খ্যাতনামা মানুষের মুখোমুখি হলে কিভাবে বাক্যালাপ শুরু করা যায়? তাঁকে তো বলা যায় না একটা বিবাদিত বিষয়ের ওপরে কি দারুণ রিপোর্ট লিখেছেন! একবার মুম্বাই থেকে কলকাতা যাচ্ছি, প্লেন থামলে পরে দেখি আমার সামনের রো তে দিলীপ কুমার উঠে দাঁড়িয়েছেন সীটের ওপরের খোপ থেকে নিজের ছোটো আতাচি কেস উদ্ধার করতে। দিলীপ কুমার আমার সামনে! কি বলব? নিজের জীবনের এক কঠিন সময়ে একজন কেমন আছি জিজ্ঞেস করলে বলেছিলাম, ‘মুঝে ঘর সে বেঘর কর দিয়া রে মুন্না!’ গঙ্গা যমুনার অমর সংলাপ, রেল লাইনের এপারে দাঁড়িয়ে দিলীপ কুমার বললেন ওপারে ঘোড় সওয়ার ভাই নাসির খানকে। মনে হয়েছিল এখুনি পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে ফেলি।বলে ফেললাম, ‘সর, ম্যায় উতার দুঁ?’ স্মিতমুখে বললেন, ‘শুকরিয়া, আই ক্যান ম্যানেজ’!
কফির কাপ হাতে নিয়ে রিচারড গোল্ডস্টোনের সামনে হাজির হয়ে সুপ্রভাত জানিয়ে জিজ্ঞেস করলাম কোথায় যাচ্ছেন? বললেন কেপ টাউন। ইতিমধ্যে রোদিকা যোগ দিয়েছে বলতে শুরু করলো সে তাঁর রিপোর্ট পড়েছে, তার মনে হয়েছে অনেক স্পষ্ট কথা সেখানে বলে হয়েছে। বাকি সময়টুকু তিনি আমাদের কথা নিয়ে কাটিয়ে দিলেন, আমরা কে, কোথাকার, কখনো দক্ষিণ আফ্রিকা গেছি কিনা। এই সুযোগে জানালাম কাজে কর্মে তো বটেই, এমনকি ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখতে জোহানেসবুরগ গেছি। বিনীত অনুরোধ জানালাম, আপনার সঙ্গে আমার স্ত্রীর ছবি তুলতে পারি কি? তখুনি রাজি হলেন। তারপর আমরা ফ্রাঙ্কফুর্ট, তিনি কেপ টাউনের পথে। রোদিকা বললে কিছু জিজ্ঞেস করাই হলো না! বললাম দুঃখ পাবার কারণ নেই। আমাদের সঙ্গে কথা বললেন এই ঢের। অমন ডাকসাইটে আইনজ্ঞ বলে কথা।
গোল্ডস্টোনের ইসরায়েল গাজা সংঘর্ষ বিষয়ক প্রতিবেদন কতজন পড়েছেন জানি না। তবে আজকের ইসরায়েল গাজা যুদ্ধ প্রসঙ্গে এই রিপোর্টটি উল্লেখ করা সমীচীন বলে মনে করি।
গোল্ডস্টোন রিপোর্ট দীর্ঘ, ৫৭৫ পাতার; তার সারাংশ টুকু আমরা পড়েছিলাম।
ডিসেম্বর ২০০৮- জানুয়ারি ২০০৯; প্রমাণ মাফিক এই বাইশ দিন ব্যাপী যুদ্ধের সময় গাজাতে ইসরায়েল বহু যুদ্ধ অপরাধ এবং আন্তর্জাতিক মানবতার আইন ভাঙার জন্য দোষী, একই সময়ে নিরস্ত্র ইসরায়েলি নাগরিকদের ওপরে রকেট বর্ষণের জন্য সমদোষী প্যালেস্টাইনের হামাস।
অসম সংগ্রাম। গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৩০০, ইসরায়েলে ১৩।
কমিশন অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘এই তদন্তে আমরা জেনেছি বাইশ দিনের লড়াইতে ইসরায়েল শুধু যুদ্ধ অপরাধ (ওয়ার ক্রাইম) নয়, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী – ইসরায়েল ডিফেন্স ফোরস - মানবিকতার উল্লঙ্ঘন করার কারণেও অপরাধী। জেনেশুনে তাঁরা জেনিভা কনভেনশনের চতুর্থ ধারার (ইচ্ছাকৃত নরহত্যা এবং সুরক্ষিত মানুষ বা প্রতিষ্ঠানের ওপরে বেপরোয়া আক্রমণ) সম্পূর্ণ অবমাননা করেছেন, যেমন গাজার নাগরিকদের জল সরবরাহ ব্যবস্থা, হাসপাতালের ওপরে বোমা বর্ষণ। অন্তত এমন ৩৬টি ঘটনা ঘটেছে যাকে আকস্মিক বা যুদ্ধের উত্তেজনাজনিত (হিট অফ দি ব্যাটল) বলা যায় না। একটি উদাহরণ – একটি মুসলিম পরবে মসজিদে প্রার্থনারত মানুষের ওপরে ইসরায়েল মরটার আক্রমণ চালালে ১৫ জন মারা যান, বহু সংখ্যক আহত হন। যদি ধরেও নেওয়া যায় যে সেই মসজিদটি হামাসের অস্ত্রপাতির গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল তাহলেও আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুযায়ী প্রার্থনার সময়ে ধর্মস্থানে আক্রমণ কোনমতেই যুক্তিযুক্ত হতে পারে না’। হামাস বহুভাবে আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে ইসরায়েলি নাগরিকদের ওপরে রকেট ছুঁড়েছে তার সম্যক তদন্ত হওয়া উচিত, সে দায়িত্ব প্যালেস্টিনিয়ান অথরিটির।
ইসরায়েল রাষ্ট্রসংঘের এই কমিশনকে কোন প্রকার সহায়তা করে নি, এমনকি তাদের চারটে চেক পোস্ট থাকা সত্ত্বেও অধিকৃত গাজায় কমিশন প্রবেশের অনুমতি পান নি। শেষ অবধি মিশরের রাফা বর্ডার দিয়ে তাঁরা গাজায় আসেন, প্যালেস্টাইন অথরিটি পূর্ণ সহযোগিতা করেন, দুঃসাহসে ভর করে কয়েকজন প্যালেস্টিনিয়ান জেনিভায় সাক্ষ্য দেন।
মূল সুপারিশ;
এক। নিরাপত্তা পরিষদ ইসরায়েল সরকারকে অনুরোধ করবেন তাঁরা যেন আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আগামী ছ মাসের মধ্যে যুদ্ধ অপরাধের অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত করান।
দুই। ইসরায়েল এ বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা সেটা পর্যবেক্ষণের জন্য নিরাপত্তা পরিষদ একটি কমিটি নিযুক্ত করুন।
তিন। ইসরায়েল সেটি না করলে নিরাপত্তা পরিষদ এই যুদ্ধ অপরাধের বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের কাছে তুলবেন।
চার। নিরাপত্তা পরিষদ যেন প্যালেস্টাইন অথরিটিকে হামাসের আচরণের তদন্তের জন্য একটি এক্সপার্ট কমিটি নিয়োগের অনুরোধ জানান।
ফলং:
নিরাপত্তা পরিষদে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নি। ভেটো নামক জুজুটি বিরোধিতা করে; এ এক বিচিত্র অঙ্ক এক বনাম একশো, কিন্তু সেই এক ভণ্ডুল করে দিতে পারে একশোর প্রস্তাব।
ইসরায়েলি প্রতিক্রিয়া
রিপোর্ট পাওয়া মাত্র ইসরায়েল একটি ৩২ পাতার প্রতিবাদ পেশ করে। মূল বক্তব্য এটি একপেশে, এই রিপোর্টের প্রস্তুতিতে অনেক গলদ আছে। এর মন্তব্যে আন্তর্জাতিক আইনকে এক রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে (সেপ্টেম্বর ২০০৯)।
ইসরায়েলি সুরক্ষা সংস্থা, শিন বেটের চিফ ইউভাল দিসকিন ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে প্যালেস্টিনিয়ান রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে তাঁর রামাল্লার অফিসে গিয়ে দেখা করে জানান তিনি যেন এই রিপোর্টের ওপরে রাষ্ট্র সঙ্ঘে কোন ভোটাভুটির দাবি না করেন। অন্যথায় ইসরায়েল ওয়েস্ট ব্যাঙ্ককে “দ্বিতীয় গাজা”য় পরিণত করবে এবং ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের নাগরিকদের চলাফেরার ওপরে আরও কড়াকড়ি বাড়াবে (অক্টোবর ২০০৯)।
ইসরায়েলের হুমকি যে শূন্য আস্ফালন নয় সেটা বোঝার ক্ষমতা মাহমুদ আব্বাসের ছিলো। তাঁর ঘাড়ে একটাই মাথা। তিনি রাষ্ট্রসঙ্ঘকে এই রিপোর্টের ওপরে কোন ভোটাভুটি স্থগিত রাখার আবেদন জানালেন।
নভেম্বর ৫, ২০০৯
তবু গোল্ডস্টোন রিপোর্ট ও তার সুপারিশ গ্রহনের ওপরে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সমিতিতে যে ভোট নেওয়া হলো তার পক্ষে ১১৪ বিপক্ষে ১৮ (ইউ এস এ, ইসরায়েল, মার্শাল আইল্যান্ড, ফিজি ইত্যাদি) ভোট পড়ল। মতদানে বিরত রইলেন ৪৪টি দেশ।
রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত বা সুপারিশ একটা পরামর্শ, আইনের দণ্ডে তার কোন বৈধতা নেই। সেটা মেনে নিয়ে সদাচার সমিতিতে নাম লেখানোর ইচ্ছে কোন বলশালী দেশের থাকে না, হাইতি বা সিয়েরা লিওনের মতো কিছু হতদরিদ্র দেশ মানেন যদি এই গুড কনডাকটের দরুন কোন উন্নয়নের কাজে সহায়তা মেলে। তবু দিনের সময়টা ভরানোর জন্য সাধারণ পরিষদ দুনিয়ার সকল বিষয়ে চা কফি বিস্কিট সহযোগে বিস্তর আলোচনা করেন, নানা প্রস্তাব দেন, সেগুলো বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়, পুস্তিকা ছাপা ও প্রচারিত হয়। তাছাড়া রাষ্ট্রসংঘের আরও অনেক কাজ, আজ বন্ধুত্ব দিবস কাল তুলো দিবস, পোস্ট অফিস দিবস; এক মার্চ মাসে উদযাপিত হয় ১৯টি বিশেষ দিন।
কমিশনের সামনে যে প্যালেস্টিনিয়ানরা সাক্ষ্য দিয়েছিলেন তাঁদের কিছু দিন ইসরায়েলি জেলখানায় ভরে রাখা হয়। এরপরে অবশ্য ইসরায়েল ডিফেন্স ফোরস সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় এক আভ্যন্তরীণ তদন্ত চালায়, যার টার্মস অফ রেফারেন্স গোল্ডস্টোন রিপোর্ট মোতাবেক ছিল কিনা জানা যায় নি। কিছু ক্ষেত্রে যে গাজার নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপরে অতিমাত্রায় বল প্রয়োগ হয়েছে তা স্বীকৃত হয়। ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোরস তাদের বাহিনীর কাউকে সেদিন কোন শাস্তি দেয় নি। আজ অবধি আই ডি এফের কোন কর্মী আন্তর্জাতিক তদন্ত বা প্রেসের সম্মুখীন হন নি।
প্রসঙ্গত, সেটা আবার দেখা গেলো – গত বছর মে মাসে জেনিন থেকে রিপোর্ট করার সময়ে আল জজিরার টি ভি রিপোর্টার শিরীন আল আকেহ ইসরায়েলি গুলিতে নিহত হলেন; রাষ্ট্রসংঘের নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশনের সামনে আই ডি এফের কোন সদস্য হাজিরা দেন নি।
আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের অপরাধে ইসরায়েলকে কোন কাঠগড়ায় উঠতে দেখা যায় নি। হামাস নিন্দিত হয়েছে, তাদের কোন তদন্ত বা দণ্ড হয় নি।
কিছু ইউরোপীয় প্রতিক্রিয়া
• ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ইউনিয়নের সকল দেশের কাছে আবেদন জানালেন তাঁরা যেন এই রিপোর্টের সুপারিশগুলিকে কার্যকরী করার দাবি রাখেন।
• ফরাসিরা দু পক্ষকে পুনরায় নিরপেক্ষ তদন্তের আবেদন জানান।
• স্পেনের প্রধানমন্ত্রী বললেন ইসরায়েলকে তাঁরা কোন কাঠগড়ায় তুলতে চান না।
• রাষ্ট্রসংঘে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বললেন এই রিপোর্টে ইসরায়েলের টিকে থাকার অধিকার এবং হামাসের সন্ত্রাসবাদ কোনটাই তেমন খতিয়ে দেখা হয় নি। পক্ষপাতদুষ্ট।
ইহুদি হয়েও ইসরায়েলের নিন্দা করার কারণে রিচারড গোল্ডস্টোন ইসরায়েল তথা দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং বাকি বিশ্বের ইহুদি সমাজে নিন্দিত হয়েছেন। কুইসলিং আখ্যা দিয়ে তাঁকে ব্রাত্য, কার্যত একঘরে করা হলো। দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁর নাতির বারমিতসভাতে (কনফারমেশন) সিনাগগে ঢুকতে দেওয়া হয় নি।
রিপোর্ট প্রকাশের দু বছর বাদে এক সাক্ষাৎকারে রিচারড গোল্ডস্টোন বললেন তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরে যে সব অতিরিক্ত তথ্য তাঁর হাতে এসেছে সেটা আগে পেলে তিনি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কার্যকলাপের নিন্দা করতেন না।
পুঃ
প্রায় চার শতাব্দী আগের কথা। আঠাত্তর বছর বয়েসি প্রায় চলৎ শক্তিহীন গৃহবন্দি মানুষ রোমে ধর্মীয় বিচারকের সামনে কোনমতে হাঁটু গেড়ে বসে বলেছিলেন, ‘ধর্মাবতার এ যাবত যা বলেছি, যা লিখেছি তা ভুল। সূর্য পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে’
তাঁর নাম গালিলেও গালিলেই। সেদিন শুক্রবা, ১৬ই জুন, ১৬৩৪।