এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  রাজনীতি

  • বিহারের ডায়েরি- কী হতে পারে সামনের নির্বাচনে?

    সুমন সেনগুপ্ত
    আলোচনা | রাজনীতি | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৩৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ৩১শে আগস্ট ২০২৫ যখন আমাদের ট্রেন পাটনা স্টেশনে পৌঁছল, তখন রাত সাড়ে দশটা। পরেরদিন অর্থাৎ ১ লা সেপ্টেম্বর, পাটনার ঐতিহাসিক গান্ধী ময়দান থেকে ভোটার অধিকার যাত্রার শেষ মিছিল বেরনোর কথা। ১৬ দিনের ১৩০০ কিলোমিটারের যাত্রা শেষ হবে পাটনার আম্বেদকর পার্কে ডাঃ বি আর আম্বেদকরের মূর্তিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে একটা সভার মধ্যে দিয়ে। পাটনা স্টেশন থেকে বেরোতেই, বোঝা যাচ্ছিল চারিদিকে উন্মাদনা তুঙ্গে। বিভিন্ন ট্রেন থেকে মানুষজন নামছেন, গন্তব্য গান্ধী ময়দান। অনেক রাত হয়েছে, আলো ঝলমল পাটনা স্টেশনের বাইরের চত্বর, এবং মানুষজন দলবদ্ধ হয়ে ‘ভোট চোর গদ্দি ছোড়’ শ্লোগান দিতে দিতে চলেছেন। আমরাও আর উত্তেজনা রাখতে পারছিলাম না। গত ১৬ দিন ধরে বিহারের ২২টি জেলা পরিক্রমা করতে করতে পরেরদিন ঐ সমাবেশের জন্য মানুষ কীরকম প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তার একটা ধারণা পেতে আমরাও একটি টোটো ধরে নিলাম।
    টোটো চালকের সঙ্গে কথা বলতে বলতে একটু আন্দাজ করার চেষ্টা করছিলাম যে এই ভোটার অধিকার যাত্রা এবং সমাবেশ তাঁর মতো একজন টোটোচালকের মনে কতটা প্রভাব ফেলেছে। রাস্তায় অজস্র বড় ছোট হোর্ডিং। বিভিন্ন নেতাদের ছবি দেওয়া হোর্ডিং, প্রত্যেকটিতে লেখা ঐ একটাই শ্লোগান। টোটো চালক বলছিলেন, নীতিশ কুমার হয়তো নরেন্দ্র মোদীর বিকাশের শরিক হয়ে শহরের উন্নয়ন করেছেন কিন্তু যুবকদের কাজের বিষয়ে তাঁর তেমন কোনও সদর্থক পদক্ষেপ দেখা যায়নি। প্রশ্ন করলাম এই ‘ভোট চোর’ কার উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে ? প্রায় সঙ্গে সঙ্গে উত্তর এলো রাহুল গান্ধী তো সাংবাদিক সম্মেলন করে দেখিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন আর শাসকদল যৌথভাবে মানুষের ভোট চুরি করেছে। এবার আমাদের অবাক হওয়ার পালা।

    কথা বলতে বলতে পৌঁছে গেলাম গান্ধী ময়দানে। পুরো এলাকা আলোয় আলোকিত। চারিদিকে তাঁবু পড়েছে। বিভিন্ন মাপের ছাউনি। কোথাও মহিলারা বিশ্রাম নিচ্ছেন, কোথাও পুরুষেরা খাবার খাচ্ছেন। কথা হলো সার্বান পাসওয়ানের সঙ্গে। উনি দ্বারভাঙ্গা থেকে ভোটার অধিকার মিছিলে হাঁটছেন। পরদিন সকালে মিছিলের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। বললেন আপাতত হয়তো এই ভোটার অধিকার যাত্রা শেষ হবে, কিন্তু লড়াই চলবে। ভোট চুরির বিরুদ্ধে। দেখছিলাম উনি খাবার খাচ্ছেন, আরও কিছু মানুষদের সঙ্গে। জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কোন দল করেন? লাল পতাকাটা দেখিয়ে বললেন, ‘হাম লোগ মালে পার্টি করতে হ্যায়’। বিহারে সিপিআইএমএলকে মালে বলে সেটা আমরা জানতাম। প্রশ্ন করলাম, আর সঙ্গে যাঁরা খাচ্ছেন, তাঁদের হাতে তো লাল পতাকা নেই। তাঁরা কী করেন? উত্তর দিলেন রাজু যাদব, ‘হাম লোগ রাহুল গান্ধীকে সাথ হ্যায়’। প্রশ্ন করলাম, কেন? বললেন, ‘এক ও হি দেশ কো বাঁচা সাকতা হ্যায়, ও হি সাচ্চা ইমানদার নেতা হ্যায়, জো উনকা পোল খোল দেগা’। কথা বলতে বলতে দেখি পাশ দিয়ে বেশ কিছু আদিবাসী মানুষ ঐ রাত ১১টায় বাজনা বাজাচ্ছেন, হাতে কংগ্রেসের পতাকা। যখন মহাত্মা গান্ধী বিহারের চম্পারণ থেকে ১৯১৭ সালে সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে যাঁরা হেঁটেছিলেন, তাঁরা তো এই অন্ত্যজ, পিছিয়ে পড়া মানুষজনই। আজকে আবার তাঁরা রাস্তায় নেমেছেন, বিহারের প্রান্তে প্রান্তরে। কারও হাতে লাল পতাকা, আবার কেউ হাতে তুলে নিয়েছেন কংগ্রেসের পতাকা। নরেন্দ্র মোদী কিংবা নীতিশ কুমার যতই বলুক, তাঁরা গরীব মানুষের উন্নতি করছেন, আদপে এই মানুষদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিলে, তাঁদের কাছে কোনও অধিকার কি অবশিষ্ট থাকে? মনে পড়ে গেল, এই যাত্রা চলাকালীন বিহারের আরা শহরে রাহুল গান্ধীর একটি বক্তব্যের কথা। প্রথমে ওঁরা মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেবে, তারপর রেশন কার্ড কেড়ে নেবে, তারপর জমি জায়গা কেড়ে নিয়ে আদানি আম্বানিকে দিয়ে দেবে। সবশেষে বাতিল হবে সংরক্ষণ। এই যে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ৬৫ লক্ষ মানুষের নাম বাদ যাচ্ছে, তাঁদের নাম কি তাহলে জনগণনাতে অন্তর্ভুক্ত হবে না? এই প্রশ্নটা মাথায় এলো, কিন্তু এখনও সুস্পষ্ট কোনও ছবি নেই। আগামী দু’মাস পরে ভোট। ততদিনে অনেক কিছু ঘটবে, তা বোঝা যাচ্ছে। রাহুল গান্ধী হয়তো চেষ্টা করছেন, নিজের দলের চেহারাটা বদলাতে, কিন্তু তাঁর দলের সমস্ত ছোট বড় নেতারা কী বিষয়টা ধরতে পারছেন। বড় বড় বাতানুকুল গাড়ির পাশে ঐ আদিবাসী এবং গরীব মানুষজন তাই যেন একটু বেমানান।
    পরদিন সকালে ঠিক করলাম, দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে যে মিছিল গান্ধী ময়দান ঢুকবে, সেই মিছিলে থাকবো, কারণ ঐ মিছিলে বিহারের সবচেয়ে গরীব অংশের মানুষজন থাকবেন। মহিলারা যাঁরা বিহারের দুরদুরান্ত থেকে আসছেন, তাঁদের ছোট ছোট লড়াইকে এই বড় ভোট চুরির লড়াইয়ের সঙ্গে মিলাতে তাঁরাও থাকবেন। এই সিপিআইএমএল বা মালে পার্টি দীর্ঘদিন বঞ্চিত শোষিত মানুষের অধিকারের দাবীতে লড়েছেন বিহারে দাঁড়িয়ে। আজ তাঁদের ১১ জন বিধায়ক এবং দু’জন সাংসদ হয়েছে, কিন্তু তাঁরা লড়াই ছাড়েনি। আজ যে মানুষেরা বাদ যাচ্ছেন, তাঁদের নিজস্ব কাজের অঞ্চলগুলোতে সেখানে তাঁদের রাজনৈতিক কর্মীরা সহায়তা করছেন, যাতে পুনরায় নাম তোলা যায়। সকাল ৮টায় ব্রিজেশ পাটেল মার্গে মালে’র বিধায়ক দলের অফিসের সামনে পৌঁছে দেখি, অসংখ্য মানুষ ইতিমধ্যেই উপস্থিত হয়ে গেছেন। আলাপ করলাম, নওয়াদা থেকে আসা কিছু মানুষের সঙ্গে। গতকাল রাত পাটনা স্টেশনেই ছিলেন। এই মিছিল যাবে গান্ধী ময়দানে তাই এখান থেকেই তাঁরা যাবেন। তারপর সেখান থেকে মূল মিছিল হবে ভোট চুরির বিরুদ্ধে। বদ্রী রাজবংশী বলে এক মালে কর্মীকে বললাম, এবার কি নওয়াদায় সিপিআইএমএল প্রার্থী দেবে? উনি বললেন, ‘বিজেপিকে হারাতে হবে, তার জন্য যদি আমাদের কিছু স্বার্থত্যাগ ও করতে হয়, মহাগঠবন্ধনের প্রার্থী যদি দেওয়া হয়, তাহলেও রাজি। বিহার থেকেই বিজেপির পতনের শুরু হবে। বদলো বিহার বদলো সরকার’। স্পষ্ট উচ্চারণ, স্পষ্ট ধারণা।
    মিছিলের অনেক মুখের মধ্যে চোখে পড়লো, জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সংসদ সভাপতি ধনঞ্জয়ের সঙ্গে। সাসারাম থেকে এই ভোটার অধিকার যাত্রায় যেমন আছেন, তেমনি নিজের অঞ্চলে যাঁদের নাম কাটা গেছে এই বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর ফলে, তাঁদের পাশে আছেন। তাঁদের নাম কী করে, পুনরায় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তার জন্য অন্যান্য মালে কর্মীদের পাশে নিয়ে বাড়ি বাড়িও ঘুরছেন। একই ঠিকানায় বহু ভোটারের নাম তোলা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দিকে প্রশ্ন তুলছেন। গান্ধী ময়দানে অন্যান্য সঙ্গীদের মাঝে বসে ছিলেন, অপেক্ষা করছিলেন। তার মাঝেই এক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করলেন, কী মনে হচ্ছে, এই রাহুল গান্ধী পারবেন, বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলে বিহারে নীতিশকুমার এবং বিজেপিকে পরাজিত করতে? স্পষ্ট উত্তর দিলেন, এটা শুধু রাহুল গান্ধীর ভোটার অধিকার যাত্রা নয়, এটা মানুষের ঐক্যবদ্ধ লড়াই। মানুষ যেমন নাম তোলার জন্য লড়ছেন, তেমনই যে মানুষদের নাম তালিকায় আছে, তাঁরা পণ করে নিয়েছেন এবার বিহার থেকে এই বিজেপি’র ডবল ইঞ্জিন সরকারকে বিদায় দিয়ে তবেই থামবেন। এটাই লড়াই, এটাই রাস্তা।
    তখনও প্রশাসন থেকে অনুমতি দেয়নি, মিছিলের। তাও প্রতিটি মানুষ অপেক্ষা করছেন মিছিল করে রাহুল, দীপঙ্কর, তেজস্বী, মুকেশ সাহানিদের সঙ্গে যাবেন গান্ধী ময়দান থেকে আম্বেদকর পার্ক। কেউ খালি পায়ে এসেছেন, কারও কোলে শিশু। এঁরাই তো গান্ধীর ভারতের মানুষ। রাহুল গান্ধী চেষ্টা করছেন, এই মানুষদের আবার কংগ্রেসের ছাতার তলায় সামনের সারিতে নিয়ে আসার, কিন্তু তাঁর দলের অন্য নেতারা কি বুঝতে পারছেন, রাহুলের এই আকাঙ্খার কথা। বড় বড় বাতানুকুল গাড়ি করে আসা কংগ্রেসের রাজ্য স্তরের বা জেলা স্তরের নেতারা কি ধরতে পারছেন, রাহুলের এই স্বপ্নটাকে। দীপঙ্কর ভট্টাচার্য যেভাবে নিজেকে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বিহারের নানান জায়গায় লড়াই করছেন বা মুকেশ সাহানির ১২ শতাংশ মাল্লা’রা এইবারের নির্বাচনে একটা বড় ভূমিকা যে রাখতে চলেছেন তা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। রাহুল গান্ধী কিংবা তেজস্বী যাদব নতুন প্রজন্মের মানুষদের ছোঁয়ার চেষ্টা করছেন, কিন্তু নীচের তলায় যে উন্মাদনা যে আকাঙ্খা তৈরী হয়েছে, তাকে রূপ দিতে হবে তো বিহারের নীচের তলার নেতা কর্মীদের। কংগ্রেসের তাকিয়ায় বসা রাজনীতির থেকে বেরিয়ে আসতে পারলে, কিন্তু বিহার নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে পারে।

    আম্বেদকর পার্কের কাছে ডাকবাংলো মোড়ের সংক্ষিপ্ত সভায়, রাহুল গান্ধী তাই বারংবার ধন্যবাদ দিলেন, বিহারের অগণিত সাধারণ মানুষদের, যাঁরা ছাড়া এই ভোটার অধিকার যাত্রা সফল হতো না। ঐ সভায় দীপঙ্কর ভট্টাচার্য একটা দামী কথা বললেন। কয়েক বছর আগে যখন রাফাল চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, তখন সারা দেশে শ্লোগান উঠেছিল "চৌকিদার চোর হ্যায়"। সেই শ্লোগানকে ব্যর্থ করতে, পুরো বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবারের সবাই শ্লোগান দিয়েছিল "ম্যায় ভি চৌকিদার"। এবার যখন শ্লোগান উঠেছে, "ভোট চোর গদ্দি ছোড়"। আজকে যখন ভোট চুরি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে ওরা বলছে না কেন, "ম্যায় ভি ভোট চোর"। সমস্যাটা কী? বললেই হয়। কারণ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বোঝাপড়া তৈরি করে নিয়েই তো ওরা জিতছে, কিন্তু সেটা বলে উঠতে পারবে না। রাহুলের বক্তব্যের মধ্যেও কটাক্ষ ছিল নরেন্দ্র মোদী’র প্রতি। তিনি বললেন, আগের ভোট চুরি’র যে উদাহরণটা তিনি দিয়েছেন, তা যদি পারমানবিক বোমা হয়, তাহলে আগামী দিনে তিনি একটি হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণ করতে চলেছেন, যে বিস্ফোরণের পরে প্রধানমন্ত্রী আর নিজের মুখ দেখাতে পারবেন না।
    এই ভোট চুরি এবং আইনমাফিক ভোটার বাদ দেওয়ার নির্বাচন কমিশনের বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর বিরুদ্ধে মানুষ তাঁদের প্রতিবাদ ধ্বনিত করবেন, এই আশা যেমন করা গেল পাটনার এই সমাবেশ থেকে, কিন্তু কিছু খটকাও রয়ে গেল। ফেরার সময়ে এক রিকশাচালকের সঙ্গে দেখা হলো। মাথায় হলুদ টুপি, তাতে মহাত্মা গান্ধীর ছবি। প্রশান্ত কিশোরের নতুন দল ‘জন সুরাজ’ দলের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। টুপির দিকে দেখিয়ে উনি বললেন, ‘ইয়ে আসলি গান্ধী হ্যায়, আজ যো গান্ধী ময়দান আয়া হ্যায়, ও তো নকলি গান্ধী হ্যায়’। বুঝলাম এটাই জন সুরাজের প্রচার। এটাই বকলমে বিজেপি’র প্রচার। শুনলাম, বিভিন্ন দল থেকে যেমন লোক ভাঙাচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর, তেমনই নিজে একটা সামাজিক মেরুকরণেরও চেষ্টা করছেন। যদি তাঁর দলের পক্ষ থেকে উঁচু জাত পাতের প্রার্থী দেওয়া হয়, তাহলে তা বিজেপি জেডিইউ’র ভোটে প্রভাব ফেলবে, কিন্তু যদি বেছে বেছে বিরোধীদের জেতা আসনে নীচু, পিছিয়ে পড়া জাতি’র প্রার্থী দেন প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর নতুন তৈরী করা দল, তাহলে কিন্তু বিরোধীদের সমূহ বিপদ। যতই মুখে তিনি বলুন না কেন, তিনি জাত পাতের রাজনীতি করছেন না, কিন্তু সমাবেশের বাইরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে এটাই মনে হলো। ২০১৪ সালে যাঁকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে যে প্রশান্ত কিশোরের সখ্যতা ভালো তা বিহারের সাধারণ মানুষের কথা শুনে বোঝাই যাচ্ছে।

    এই বিষয়টাকে কী করে সামলায় বিরোধীরা, তার দিকেও চোখ থাকবে, আর চোখ থাকবে, কী করে রাহুল গান্ধী কিংবা দীপঙ্কর ভট্টাচার্যরা নীচের তলায় মানুষের ভোটার তালিকায় নাম তোলার অসুবিধাটাকে ধরে কাজ করতে পারেন, কারণ প্রশান্ত কিশোর এই বিষয়টা নিয়ে কোনও কথা বলছেন না। সামনে আরো জোর লড়াই, সামনে আরো রাস্তার লড়াই। প্রতিবার অমিত শাহ প্রতি নির্বাচনে একটা কোনও সামাজিক চাল দেন, যা সামলাতে বিরোধীরা হিমশিম খান, এবার তাঁর অন্যতম বোড়ে প্রশান্ত কিশোর এবং আসাদউদ্দিন ওয়েইসি, কিন্তু মানুষের মধ্যে যে প্রত্যয় দেখলাম, তার সামান্য অংশও যদি সাংঠনিকভাবে প্রতিফলিত করা যায়, তাহলে এই দুই বোড়ের চালও যে সামলানো যাবে, সেই আশা এই সমাবেশ দিয়েছে। রাজা মন্ত্রীকে পরাজিত করা বা কিস্তি মাত দেওয়া তখনই সম্ভব হবে। বিহার দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের মাটি, সেই মাটির মানুষ কিন্তু হারতে শেখেনি। তাঁরা জিতবে, অবশ্যই জিতবে। কর্পুরি ঠাকুরের বিহার, জয়প্রকাশ নারায়ণের বিহার কিন্তু হারতে শেখেনি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন