এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  রাজনীতি

  • আধারের সঙ্গে ভোটার কার্ড সংযোগ করলে কি ভুয়ো ভোটার কার্ডের সমস্যা মিটবে?

    সুমন সেনগুপ্ত
    আলোচনা | রাজনীতি | ২৫ মার্চ ২০২৫ | ৩০৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)

  • ভুয়ো এপিক নিয়ে বিতর্ক যখন তুঙ্গে, নির্বাচন কমিশন তখন তাঁদের গাফিলতি ঢাকার উদ্দেশ্যে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ডেকে মিটিং করে ঘোষণা করলো, তাঁরা আধারের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযোগ করিয়ে এই ভুয়ো ভোটার কার্ড সমস্যার সমাধান করতে চায়। প্রধান বিরোধী দলের পক্ষ থেকে সমাজ মাধ্যমে এই বিষয়টিকে স্বাগত জানানো হলো। সংসদের বিরোধী দলনেতা নিজে টুইট করে লিখলেন, অবশেষে নির্বাচন কমিশন তাঁদের অভিযোগকে মান্যতা দিল এবং আধারের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযোগ ঘটানোর মধ্যে দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে হয়। সঙ্গে অবশ্য তিনি আরও একটা কথা যুক্ত করলেন, এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে কোনও ভোটার যেন বাদ না পড়েন, তা দেখতে হবে এবং সাধারণ মানুষের এই সংযোগ প্রক্রিয়ায় কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না হন, সেদিকে নজর দিতে হবে।

    ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলার বেশ কিছু মানুষের আধার নিস্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিল। তখন তৃণমুল এবং বিজেপির মধ্যে বেশ কিছু বাক্য বিনিময় হয়েছিল। দেখা গিয়েছিল, যাঁরা এই অসুবিধায় পড়েছেন, তাঁরা মূলত মতুয়া সম্প্রদায়ের পিছিয়ে পড়া মানুষ। সেই সময়ে আধার কতৃপক্ষ কোনও কারণ দেখাতে পারেনি, কেন এই আধার নিস্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিল। কারা এই অসুবিধার জন্য দায়ী তা কিন্তু বোঝা যায় নি। সেটা কিন্তু একটা বড় অশনি সংকেত ছিল, যা অনেকেই বুঝতে পারেননি। এই সমস্যায় কিন্তু যে কোনও মানুষ যে কোনও দিন পড়তে পারেন। আধার কিন্তু যে কোনও সময়ে নিস্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে, যেহেতু এটা কোনও পরিচয়পত্র নয়। তাই আজকে যখন দেশের প্রধান বিরোধী দলনেতা ঐ আধার দিয়ে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজকে সমর্থন করেন, তখন বেশ কিছু কথা আবার বলতে হয়। প্রশ্ন উঠছে আধার নিয়েই যখন এত সমস্যা, সেই আধার দিয়ে ভোটার তালিকা সংশোধন আরও বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে না তো?

    ২০০৯ সালে ইউপিএ সরকার একটি প্রকল্প আনে, যে মানুষদের কোনও পরিচয়পত্র নেই, সেই মানুষদের জন্য আনা হয়- আধার। দেখা গিয়েছিল সেই সময়ে ০.০৩ শতাংশ মানুষদের জন্য এই প্রকল্প আনা জরুরী। তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, এই আধার নামক বিষয়টির কোনও গুরুত্ব নেই। তারপর ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে, সেই নরেন্দ্র মোদীই যেকোনো সরকারি প্রকল্প পাওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার সংযোগ বাধ্যতামূলক করেন। ধীরে ধীরে আধার প্রায় সমস্ত নাগরিকের সবরকম পরিচয়পত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়, এমনকি যেসব ক্ষেত্রে সরকারী সুবিধা যুক্তও নয়, যেমন ব্যক্তিগত ট্যাক্স জমা দেওয়ার জন্য প্যান বা ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনেও আধারকে চাপ দিয়ে যুক্ত করা হয়। সর্বোচ্চ আদালত তাঁদের রায়ে যদিও বলেছেন, যে শুধুমাত্র সরকারি সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্র ছাড়া আর অন্য কোনও কিছুতে আধারকে যুক্ত করা যাবে না, তা সত্ত্বেও এই সংযুক্তির কাজ করা হয়। এই মূহুর্তে আইন করে আধার এবং ভোটার কার্ডের সংযোগের কথা বলা হয়েছে। সংসদের দু কক্ষে, প্রায় কোনও আলোচনা ছাড়াই এই আইনকে পাশ করানো হয়েছে আগেই। এই সময়ে যাঁরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করেন, তাঁদের বেশীরভাগ মানুষই তাঁদের ব্যক্তিগত ফোন থেকে তা ব্যবহার করেন। সেখানে অনেকেই সরকারের সমালোচনা করে থাকেন। ফলে ফোনের সঙ্গে যদি আধার যুক্ত করা থাকে, এবং সেই মানুষটির বাসস্থানও যেহেতু আধারের ডেমোগ্রাফিক তথ্য ভান্ডারে সংরক্ষিত আছে, তাই একজন মানুষকে চিহ্নিত করা এখন অত্যন্ত সোজা কাজ। তাঁদের উদ্দেশ্য অত্যন্ত পরিষ্কার, আধার দিয়ে একটি কেন্দ্রীভূত তথ্য ভাণ্ডার তৈরী করা, এবং ভোটের কার্ডকে তার সঙ্গে যুক্ত করে যাঁরা সরকার বিরোধী, বা যে সমস্ত মানুষ এই সরকারকে ভোট নাও দিতে পারে, তাঁদের বাদ দেওয়া।

    বেশ কিছু বছর আগে আরটিআই করা হয়েছিল ইউআইডিএআইকে, তাতে দুটি প্রশ্ন করা হয়।

    1. আধার দিয়ে কি ঠিকানা, জন্মতারিখ প্রমাণ করা যাবে ? বা আধার কি কোনও পরিচয় বহন করে?
    2. সিআইডিআর বা যেখানে আধার তথ্য সুরক্ষিত থাকে বলে জানা গেছে সেখানে যদি কোনও একজনের বায়োমেট্রিক্স দিয়ে জিজ্ঞেস করা হয়, যে এটা কি সেই ব্যক্তি? তাহলে তাঁরা কি সেই ব্যক্তির আধার নম্বর বার করে আনতে পারে?


    এই দুটো প্রশ্নের উত্তরেই তাঁরা জানিয়েছিল যে তাঁরা বলতে পারেন না আধার কোনও পরিচয়পত্র কিনা। তাঁরা এটাও বলেন যে কোনও ভাবেই এটা বলা সম্ভব নয়, যে কোনও একজন মানুষের আধার নম্বর তাঁর বায়োমেট্রিক্স এর সঙ্গেই যুক্ত করা আছে। তাহলে কি দাঁড়ালো আধার কোনও পরিচয়পত্র নয়, এবং এর মধ্যে কোনও অনন্যতা নেই।
    গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে একটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, বলা হয় যাদের ভোটার লিস্টে নাম আছে কিন্তু ভোটার কার্ড নেই তাদের জন্য প্রথমবার অন্যান্য আরও দশটা পরিচয়পত্রের সঙ্গে আধার দেখিয়েও ভোট দেওয়া যাবে। এতে কোথায় অসুবিধা? আধার কোনও পরিচয়পত্র নয়, কারণ আধার মূলত তৈরি করা হয়েছে অন্তত দুটো প্রাথমিক পরিচয়পত্র দেখিয়ে। কেউ রেশন কার্ড, কেউ বিদ্যুতের বিল, কেউ প্যান কার্ড দেখিয়ে আধার নম্বর পেয়েছেন। দ্বিতীয়ত আধারে কারুর সই নেই, আধার কারুর দ্বারা প্রত্যয়িত নয়, আধার তথ্যভান্ডার পরীক্ষিত নয়। তাহলে এটা কেন করা হল? সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলাকালীন যে হলফনামা জমা দেওয়া হয় তাতে এনরোলমেন্ট এজেন্সির নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর তারা জানাতে বাধ্য নয় বলে জানিয়েছে। এছাড়াও যদি কারুর স্মরণে থাকে মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন ৪৯০০০ আধার এনরোলমেন্ট সেন্টার বাতিল করা হয়েছে বিভিন্ন কারণে। কিন্তু এটা তিনি বলেননি সেই এনরোলমেন্ট সেন্টারের করা আধারগুলো বাতিল হয়েছে কিনা ? যেখানে কত ভুয়ো আধার আছে তাই জানা নেই, সেখানে তা দিয়ে কি করে ভুয়ো ভোটার কার্ড বাতিল করা হবে? তাহলে কি এই ভুয়ো আধার দিয়ে ভোটকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে না আরও গভীর কোনও উদ্দেশ্য আছে?

    আধারের তথ্যভাণ্ডার মানে সিআইডিআর এবং এনপিআর যে এক, সেটা বোঝার জন্য ২০০৯ সালের একটি সরকারী নির্দেশে ফিরে যেতে হবে যেখানে বলা হয়েছে যে এই এনপিআর, তা আপডেট করতে আধার লাগবে, এবং সে কথা সংসদেও আলোচনা হয়েছে। এখন যদি সমস্ত তথ্য একটি কেন্দ্রিভুত জায়গায় আনা যায়, তাহলে যার হাতে এই তথ্য থাকবে, সে কি শুধু চিহ্নিত করে গণহত্যা করবে, না ভোট নিয়ন্ত্রণ করবে সেটা সেই ঠিক করবে। একজন মানুষের সমস্ত তথ্য যদি এক জায়গায় আনা যায় এবং সেটা যদি একটি সংখ্যা হয় তাহলে সেই সংখ্যাকে মুছে ফেলা তো অত্যন্ত সাধারণ বিষয়। যদি খবর নেওয়া যায়, তাহলে দেখা যাবে তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্র প্রদেশের নির্বাচনের সময়ে শুধু ৩৮ লক্ষ এবং ২৩ লক্ষ মানুষের ডেমোগ্রাফিক তথ্য এবং বায়োমেট্রিক তথ্য দিয়ে তাঁদের ভোটার তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। লোকসভার প্রধান বিরোধী দলনেতা কিংবা অন্য বিরোধী রাজনৈতিকদলগুলো এই উদাহরণগুলো ভুলে গেছেন, নাকি বুঝেও বুঝতে চাইছেন না প্রাথমিক একটা কথা আধার কোনওভাবেই নাগরিকত্বের পরিচায়ক নয়, আধার হচ্ছে যাচাই করার উপকরণ মাত্র। একজন মানুষকে চেনার উপায় হচ্ছে, তাঁর বায়োমেট্রিক্স তথ্যের সঙ্গে তথ্যভান্ডারের তথ্যকে মিলিয়ে দেখে তখন একজন মানুষকে চেনার নাম, ‘আধার দিয়ে যাচাই করা’, কিন্তু যদি বায়োমেট্রিক্স না মেলে তাহলে সেই মানুষটার অস্তিত্বই মুছে যেতে পারে, সেটা কি প্রধান বিরোধী দল বোঝে? একজন ভোটার তাঁর আধারের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযোগের পরে যদি তেমন কোনও সমস্যা হয়, তাহলে তো সেই মানুষটিই বেনাগরিক হয়ে যাবেন। তখন তো সেই মানুষটিকেই সরকারি দপ্তরে দৌড়তে হবে, নিজের নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য। যে বিতর্কের সমাধান করার উদ্দেশ্য নিয়ে নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্তে পৌছলেন, সেই ডুপ্লিকেট এপিক বা ভুয়ো ভোটার কি আদৌ এই পদ্ধতিতে বাদ দেওয়া সম্ভব। এই সব সাত পাঁচ না ভেবে, দেশের প্রধান বিরোধী দল যদি এই প্রক্রিয়া নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকেই সাধুবাদ দেয়, তখন তো কথা উঠবেই, প্রধান বিরোধী দল কি আদৌ চায়, শাসক বিজেপিকে ভোটে পরাজিত করতে, নাকি তাঁরা লোকদেখানো বিরোধিতা করার জন্যেই বিরোধিতা করে চলেছে?

    আরও একটা কথা বলা উচিৎ এই আধার সংক্রান্ত বিষয়ে, যা না বললে এই লেখা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। ২০০৯ সাল থেকে আজ অবধি, ভারত তথা বাংলার বেশীরভাগ রাজনৈতিক দল এই আধার নিয়ে কোনও পড়াশুনা করে নি। শুধু তাই নয়, কোনও প্রচলিত গণমাধ্যমের কোনও ছোট বড় সাংবাদিকও মনে করেননি, এই বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা প্রয়োজন। বেশীরভাগ সময়েই দেখা গেছে, সরকারি যা সিদ্ধান্ত, সেগুলোকেই খবর হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। কোনও সাংবাদিকই একটা প্রাথমিক প্রশ্নও করেন নি, যে মানুষদের অন্য পরিচয়পত্র আছে, তাঁদের কেন আধার লাগবে? একজনও নিজেকেও জিজ্ঞেস করেননি, যদি কোনও ব্যক্তি আধার করাতে যান, তাহলে তাঁকে অন্তত দুটো পরিচয়পত্র দেখিয়ে, তাঁর বায়োমেট্রিক্স তথ্য জমা করে আধার পেতে হবে, তাহলে সেগুলোই যদি কোনও ব্যক্তির পরিচয়পত্র হয়, আধারের প্রয়োজনীয়তা কী? আসলে বেশীরভাগ সংবাদমাধ্যম এবং তাঁদের সাংবাদিকেরা আজকাল আর নিজেকে প্রশ্ন করার এই কাজটা করতে চান না। ফলে আধার সংক্রান্ত একটা বিরাট ফানুস সরকার তৈরী করতে পেরেছে। এই বিষয়ে ব্যতিক্রম স্ক্রোল নামক বিকল্প গণমাধ্যম। এই লেখা লিখতে বসে, আরও একবার বিভিন্ন পুরনো লেখা খুঁজতে গিয়ে স্ক্রোলের একটি দু’ মিনিটের একটি ভিডিও চোখে পড়লো, আগ্রহীরা খুঁজে দেখে নিতে পারেন। একটি আধার যা কোনও পরিচয়পত্র নয়, যা যে কোনও সাইবার কাফেতে বসে বানানো সম্ভব, একজনের হাতের ছাপ যেখানে খুব সহজে নকল করা সম্ভব, সেই আধার দিয়ে যদি কোনও অসাধু ব্যক্তি ভোটার কার্ড, পাশপোর্ট বা প্যান কার্ড করে নেন, তাহলে তো তিনি ভারতীয় নাগরিক হয়ে যাবেন সহজেই।(যার সাম্প্রতিক বেশ কিছু উদাহরণ বিভিন্ন সংবাদপত্রে এসেছে)। তাহলে সেই আধারের তথ্যভান্ডারের সঙ্গে অন্য একটি প্রাইমারি বা প্রাথমিক পরিচয়পত্রের সংযোগ করলে কি সমস্যার সমাধান হবে? যে আধারের তথ্যভান্ডারে কত ভুয়ো আধার আছে, যা পরীক্ষিতই নয়, সেই আধার তো নিরাধার ছাড়া কিছু নয়।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৫ মার্চ ২০২৫ | ৩০৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন