আমরা আধুনিক মানচিত্রের সাহায্যে কিছুটা আন্দাজ করার চেষ্টা করছি হেনরি মর্টান স্ট্যানলে-র যাত্রাপথ। নইলে পাঠকের পক্ষে বোঝাই মুশকিল এইসব কাণ্ড ঘটছে কোথায়। কাজটা কঠিন। কারণ, এই পথে এমন অনেক জায়গার নাম রয়েছে যার আজ কোনো অস্তিত্বই নেই। যেমন বহু খুঁজেও পাওয়া গেল না কিঙ্গারু গ্রাম। বাগামোয়োথেকে ‘উসেগুহহা’-র রাজধানী সিম্বামওয়েন্নিতে পৌঁছোনোর লক্ষ্যে চলেছে স্ট্যানলের কাফেলা। উসেগুহহা বলে কোনো স্থান বা প্রদেশ আজ আর নেই। এমনকি বোঝাও মুশকিল সেই অঞ্চলের বিস্তৃতি ঠিক কী ছিল। তবে সিম্বামওয়েন্নি নামে একটি ক্যাম্প-সাইট এখনও রয়েছে তানজানিয়ার মোরোগোরো শহরের কাছে। আন্দাজ করা যেতে পারে এই সিম্বামওয়েন্নি-র কথাই স্ট্যানলে বলছেন। কাজেই এখানে বর্ণিত যা-কিছু ঘটছে সবই মানচিত্রে নীল বুটি দেওয়া পথের আশেপাশেই।—সম্পাদক
সবে আধ ঘণ্টা মাত্র পার হয়েছে, রাত ন-টা মতো বাজে, শিবিরের সবাই আধা-ঘুমন্ত, এমন সময় কোনো একটা প্রাণী আর্তস্বরে কঁকিয়ে উঠল। কোন্ প্রাণী এত কষ্ট পাচ্ছে তা খোঁজ নিতে গিয়ে অবাক হয়ে শুনলাম যে আমার পিঙ্গল ঘোড়াটাই কাতরাচ্ছে। একটা বুলস-আই লণ্ঠন১ নিয়ে আমি ঘোড়াটাকে দেখতে গেলাম, বুঝলাম ব্যথার উৎস পেট, তবে চারণের সময় কোনো বিষাক্ত উদ্ভিদ খেয়ে ফেলেছিল, নাকি অন্য কোনো ঘোড়ার রোগ হয়েছিল, তা বুঝতে পারলাম না। বহুল পরিমাণে তরল মল ত্যাগ করল, তবে মলের রঙের তো কোনো আলাদা কিছু দেখলাম না। খুবই ব্যথা পাচ্ছিল, কারণ ভয়ানক জোরে মোচড় দিচ্ছিল। সারা রাত জেগে রইলাম, খুব আশা করছিলাম যে কোনো অচেনা বিষাক্ত গাছের সাময়িক প্রভাব; কিন্তু পরের দিন ভোর ছ-টায়, অল্প কিছুক্ষণ অসহ্য যন্ত্রণা পেয়ে সেও মারা গেল; তার সঙ্গীর মারা যাওয়ার ঠিক পনেরো ঘণ্টা পরে।
পেট কাটার পরে দেখা গেল যে পেটের মধ্যে একটা বড়ো ক্যান্সার ফেটে মৃত্যু হয়েছে, পেটের অর্ধেকের বেশি আবরণ আক্রান্ত এমনকি সে ক্যান্সার স্বরযন্ত্রের দিকেও এক-দুই ইঞ্চি চলে গেছে। ক্যান্সারের থেকে বেরোনো হলদে চটচটে তরলের বন্যায় পেট আর অন্ত্রের সবকিছু ঢেকে গেছে।
এইভাবে আমি দুটো ঘোড়াই হারালাম, তাও আবার মাত্র পনেরো ঘণ্টার মধ্যে। ঘোড়ার পেট কেটে পাওয়া বাস্তব আর স্পষ্ট প্রমাণ আমার হাতে থাকলেও, আমার পশুচিকিত্সাবিজ্ঞানের সীমিত জ্ঞানের সাহায্যে আমি জোর করে বলতে পারি না যে ঘোড়াগুলো উন্যানয়েম্বে অবধি বাঁচত বা পূর্ব আফ্রিকার এই অংশে তারা আরামসে চলে যেতে পারত। তবে আমার যদি ভবিষ্যতে আবার যাওয়ার সুযোগ ঘটে, তাহলে আমি আমার সঙ্গে চারটে ঘোড়া নিয়ে যেতে দ্বিধা করব না, যদিও কেনার আগেই দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব তারা পুরোপুরি সুস্থ আর স্বাস্থ্যবান কি না। আর যে সকল অভিযাত্রীরা ভালো ঘোড়া পছন্দ করেন, তাঁদের বলব, “একবার চেষ্টা করুন”, আমার দুর্ভাগ্যজনক অভিজ্ঞতায় হতাশ হবেন না।
এপ্রিল মাসের এক, দুই, তিন তারিখ কেটে গেল, পিছিয়ে পড়া চতুর্থ কাফেলার কোনো খবর নেই। ইতিমধ্যে ক্ষতির তালিকা বাড়ছে। মূল্যবান সময় তো নষ্ট হচ্ছেই, চার নম্বর কাফেলার প্রধানের বদমাইশির জন্য আর আমার দুটো ঘোড়াও হারিয়েছি। এ ছাড়াও একজন নৌকার অংশাদি বহনকারী কুলি সুযোগের সদ্ব্যবহার করল আর পালাল। সেলিম পালাজ্বরের তীব্র আক্রমণে কাবু হয়ে পড়ল, তারপরেই আমাদের রাঁধুনি অসুস্থ হল, আর তারপরে সহকারী রাঁধুনি-কাম-দরজি আবদুল কাদেরও। অবশেষে, তৃতীয় দিন শেষ হওয়ার আগেই, দেখা গেল, বোম্বে বাতে কাবু, উলেদির (গ্রান্টের পুরাতন ভ্যালে) গলা ফুলে ঢোল, জায়েদির পেট খারাপ, কিঙ্গারু মুকুনগুরু্তে আক্রান্ত; খামিসি, একজন কুলি, কোমরের ব্যথায় কাবু; ফারজাল্লার পিত্তজ্বর হয়েছে; এবং রাত ফুরানোর আগেই মাকোভিগার ডায়েরিয়া শুরু হল। উন্যানয়েম্বের দিকে দ্রুত ধেয়ে যাওয়ার সংকল্প আর এই ভয়ানক উপকূল অঞ্চল যতটা সম্ভব দ্রুত পেরিয়ে যাওয়ার ইচ্ছেটা মনে হচ্ছে, আবিসিনিয়ার স্যার রবার্ট নেপিয়ারের বিশেষ অনুরোধে লন্ডন টাইমসের ডা. অস্টিন যে ম্যাগদালা অভিযান করেছিলেন, তার মতো করেই শেষ হবে। পঁচিশ জন লোকের বাহিনীর মধ্যে একজন পালিয়েছে, দশজন অসুস্থ, কিঙ্গারুর আশেপাশের বিচ্ছিরি-দর্শন এলাকা যে বিপজ্জনক হবে সেই পূর্বাভাসটা একদম মিলে গেল।
চৌঠা এপ্রিল মাগাঙ্গা ও তার লোকরা এসে পৌঁছাল। এদেশের যেমন নিয়ম, বন্দুকের গুলি ছুড়ে, শিঙা ফুঁকে আগমন ঘোষণা করতে করতে এল। তার দলের অসুস্থ লোকদের অবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে, তবে তাদের কিঙ্গারুতে আরও একদিন বিশ্রামের দরকার। বিকেলে সে আমার উদারতার সুযোগ নিতে এল, সুর হাদজি পাল্লু তাকে কেমন হৃদয়হীন ভাবে ঠকিয়েছে সেই গল্প শোনাতে থাকল; তবে আমি তাকে সাফ জানিয়ে দিলাম, যেহেতু বাগমোয়ো ছেড়ে চলে এসেছি, তাই আমি আর কিছু করতে পারব না; আমরা এখন যেখানে সেখানে কাপড় খুবই মূল্যবান; নিজের ও দলের লোকদের খাবারদাবারের জন্য যতটুকু কাপড় লাগে তার চেয়ে বেশি কাপড় আমার কাছে নেই; তারও তার কাফেলার জন্য এমনিতেই আমার অন্য তিনটে কাফেলার থেকে বেশি খরচ হচ্ছে আর বেশি ঝামেলাও হচ্ছে, যেটা অবশ্য একদম সত্যি। এই পালটা উত্তর শুনে সে সন্তুষ্ট হতে বাধ্য হল। তবে আমি আবারও তার টাকা-পয়সা নিয়ে সন্দেহ নিরসনের জন্য প্রতিশ্রুতি দিলাম যে, যদি সে তার কাফেলাটি দ্রুত ইউন্যানয়েম্বে নিয়ে যায়, তবে আমি তাকে পুষিয়ে দেব।
৫ এপ্রিল আমাদের সামনে চতুর্থ কাফেলাটি দ্রুত রওনা দিল, আর কথা দিয়ে গেল যে, আমরা যত তাড়াতাড়িই যাই না কেন, সিনবাময়েন্নির এই দিকে আর তাদের দেখা পাব না।
আমার লোকেরা একটা অসুস্থ কর্মহীনতার মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল। তার থেকে তাদের বের করার জন্য পরের দিন সকালে, একটা লোহার হাতা দিয়ে একটা টিনের পাত্রের গায়ে ঝমাঝম বাজনা বাজাতে থাকলাম, জানিয়ে দিলাম খুব শিগগির যাত্রা শুরু হবে। সবাই যেমন অসামান্য তৎপরতার সঙ্গে সাড়া দিল তাতে বুঝলাম যে এটা খুব কাজের কাজ হল। সূর্য ওঠার আগেই আমরা রওনা দিলাম। কিঙ্গারুর গ্রামবাসীরা আমাদের ফেলে যাওয়া টুকরোটাকরার জন্য বাজপাখির বেগে চক্কর দিতে থাকল।
ইম্বিকি পনেরো মাইল দূরে। সে জায়গার উদ্দেশে আমাদের দীর্ঘ যাত্রা প্রমাণ করল যে কিঙ্গারুতে আমাদের দীর্ঘ বিশ্রাম সৈন্য ও কুলিদের পুরোপুরি হতোদ্যম করে দিয়েছিল। তাদের মধ্যে মাত্র কয়েকজনেরই রাতের আগে ইম্বিকি পৌঁছানোর মতো শক্তি ছিল। বাকিরা, মাল-বোঝাই গাধাগুলোর দেখভাল করতে করতে পরের দিন সকালে এসে পৌঁছাল, তাদের শরীর ও মনের তখন খুবই খারাপ দশা। খামিসি—কোমরের ব্যথাওলা কুলিটি পালিয়েছে, সঙ্গে নিয়ে গেছে দুটি ছাগল, মালপত্রের তাঁবু আর উলেদির যা কিছু ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছিল সব। এমনকি উলেদির যে ভালো আলখাল্লা মানে আরবি ধরনের লম্বা শার্টটা ছিল সেটাও নিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে গেছে দশ পাউন্ড পুঁতি আর কিছু ভালো কাপড়, যা কিনা উলেদি ভালোমানুষি করে ওর হাতে দিয়ে নিয়ে খামিসির ৭০ পাউন্ড বুবু পুঁতি নিজেই বয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। এই চুরিটাকে তো ছেড়ে দেওয়া যায় না, আর খামিসিকেও ধরার চেষ্টা না করে পালাতে দেওয়া যায় না। অতএব উলেদি আর ফেরাজ্জিকে খামিসিকে ধরে আনতে পাঠানো হল। আমরা সেই সময়টা ইম্বিকিতে ঘাঁটি গাঁড়লাম, বিধ্বস্ত সৈন্যদল ও প্রাণীদের ফের পথ চলার শক্তিসঞ্চয়ের সময় দিতে হবে।
আট তারিখেও পথ চলতেই থাকলাম আর মসোয়ায় পৌঁছালাম। যদিও মাত্র দশ মাইলের পথ, তবু আমাদের কাফেলার সবাই এই রাস্তাটাকে সব থেকে ক্লান্তিকর পথ হিসাবে মনে রাখবে। শুধু মাঝে মাঝে তিন ফালি ঘাসজমি ছাড়া প্রায় পুরোটাই টানা জঙ্গল। মরা গাছপালা থেকে চড়া, ঝাঁঝালো গন্ধ বেরোচ্ছিল; পচা ডালপালা-পাতার থেকে ওঠা পূতিবাষ্প এতই ঘন যে, প্রতি মুহূর্তে ভয় হচ্ছিল, এই বুঝি আমি বা দলের কেউ তীব্র জ্বরের আকস্মিক প্রকোপে উলটে পড়ি! একটাই সুখের কথা যে আগে যেমন গাঁটরিগুলো রাস্তায় দুমদাম খসে পড়ছিল, এই পর্বে অন্তত সেটা হয়নি, বার বার করে তোলা আর ফিরে বাঁধার পরিশ্রমটা বেঁচে গিয়েছিল। এই জঙ্গলের পথে সতেরোটা মাল বোঝাই গাধা সামলানোর জন্য মাত্র সাত জন সৈন্য, সংখ্যাটা খুবই কম—পথটা মাত্র ফুটখানেক চওড়া, দু-পাশে কাঁটাতারের দেয়াল আর খোঁচা খোঁচা লতাপাতা বেরিয়ে আছে, পথের একপাশের গাছের শাখাপ্রশাখা পৌঁছে গেছে রাস্তার অন্যপারে, আর তাদের থেকে গোছা গোছা পেরেকের মতো শক্ত কাঁটাওয়ালা শুকনো ডাল বেরিয়ে আছে, ফুট চারেকের উপরে যা কিছু আসবে তাকেই আঁকড়ে ধরবে! গাধা দাঁড়ালেই চার ফুট আর তার পিঠে চাপানো বোঝা আরও চার ফুট উঁচু, অতএব মালবোঝাই গাধাদের যে খুবই সমস্যা তা বলাই বাহুল্য। বারে বারেই এই ঝামেলাটা হচ্ছিল, প্রতি কয়েক মিনিট অন্তর আমাদের আবার সব ঠিকঠাক করার জন্য থামতে হচ্ছিল। এতবার একই কাজ করতে হচ্ছিল যে লোকজনেরা একেবারে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল, কড়া ধমক দিলে তবেই তাদের দিয়ে কাজ করানো যাচ্ছিল। যখন মসোয়ায় পৌঁছোলাম তখন শুধু দশটা গাধা ছাড়া আর কেউ আমার সঙ্গে ছিল না, একমাত্র ব্যতিক্রম মাবরুক দ্য লিটল। সে এমনিতে নির্বিকার হলেও সাচ্চা মরদের মতো নিজের কাজটুকু করেছিল। বোম্বে আর উলেদি অনেক পিছনে ছিল, সবথেকে ক্লান্ত গাধাগুলোর সঙ্গে। শ ছিল ঠেলাগাড়ির দায়িত্বে, তার অভিজ্ঞতাই সবথেকে বাজে। নাবিকদের জঘন্য গালাগালির শব্দভাণ্ডার পুরো উজাড় করে দিয়েছিল, এমনকি তাৎক্ষণিক নতুন গালাগালও আবিষ্কার করেছিল। সে এসে পৌঁছোল পরের দিন বেলা দুটোরও পরে, একদম হাক্লান্ত অবস্থায়। আমার সত্যিই সন্দেহ যে, অতীব ধার্মিক দিব্যাত্মাকেও যদি এই ভাবে এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়, সেই সঙ্গে এইসব উৎপাত বারবার সামলাতে হয় আর সিসিফাসের২ মতো পরিশ্রম করতে হয়, তাহলে তিনিও কি আর নিজের এখানে আসার বোকামিকে গালাগাল দিতেন না? এই কঠিন পথ চলতে চলতে আমি আমার আগের সহজ জীবন, আমার মাদ্রিদের আরামকেদারার নরম আসনটির অভাব যে কী ভীষণ অনুভব করেছি! যে মানুষটা প্রথম বলেছিল যে ভ্রমণ আসলে নির্বোধের স্বর্গ, সে নিশ্চয় এই রকম একটা দিনের অভিজ্ঞতা থেকেই কথাটা বলেছিল।
এম্সুওয়া পরের বিশ্রামের জায়গা স্থির করা হয়, যাতে আমরা আর আমাদের প্রাণীরা সবাই ধকল সামলে উঠতে পারি। সেই গ্রামের প্রধানের গায়ের রং ছাড়া আর সব কিছুই সাদা। সে আমাদের সকলের জন্য তার ভেড়ার দলের সব থেকে মোটা, চওড়া-ল্যাজের ভেড়াটা পাঠিয়েছিল। আর সেই সঙ্গে পাঁচ মাপের মাতামা। ভেড়ার মাংস দারুণ, অতুলনীয়। এই সময়োপযোগী ও কাজের উপহারের জন্য আমি তাকে দুই ডটি কাপড় দিলাম, সেই সঙ্গে আমার ব্রিচলোডিং রিভলবার আর উইনচেস্টার রাইফেলের আশ্চর্য কলকবজা দেখিয়ে তাকে আনন্দ দিলাম।
প্রধান আর তার দলবলের মাথায় যথেষ্ট বুদ্ধি, তাই বিপদের সময় এই অস্ত্রগুলোর কার্যকারিতা বুঝতে তাদের কোনো অসুবিধা হল না। বর্শা-ধনুকধারী একদল লোকের বিরুদ্ধে এই অস্ত্রগুলোর যে কত ক্ষমতা সেটা তারা স্পষ্ট মূকাভিনয় করে দেখাল—কাল্পনিক বন্দুক বাগিয়ে ধরে, একটা ফাঁকা গোল দেখিয়ে সুন্দর বুঝিয়ে দিল। বলল, সত্যি! সাদা মানুষেরা ওয়াসেনসিদের থেকে কত বেশি বুদ্ধিমান! কী পরিষ্কার মাথা! কী দুর্দান্ত জিনিসই না বানিয়েছে! দ্যাখো, তাঁদের তাঁবু, বন্দুক, ঘড়ি, জামাকাপড়, এমনকি ওই গড়িয়ে চলা জিনিসটাও কী সুন্দর, (আমাদের টানাগাড়িটার কথাই বলছিল) পাঁচটা মানুষের থেকেও বেশি জিনিস বইতে পারে!
(ক্রমশ…)
স্বীকার করি, আজকাল লেখাপড়ার সময় খুব কম। তাই বিচ্ছিন্নভাবে পড়ছি। কি দুর্দান্ত একটি অভিযান!