আমার প্রিয় সহৃদয় পাঠক, আমি যদি এই অধ্যায়ে বা পরের কোনো অধ্যায়ে আপাতদৃষ্টিতে তুচ্ছ ও গুরুত্বহীন বিষয়ে আমার ধারণাগুলো বলি, ভাববেন না যে, সেগুলো বাদ দেওয়াই উচিত ছিল। এই অভিযান সম্পর্কিত প্রতিটি ছোটখাটো বিষয়ই এক-একটি তথ্য, এবং সেই তথ্যটি জানা মানে জ্ঞান অর্জন করা। একজন অচেনা মানুষ প্রথম এদেশে এসেই যেসব দুঃখজনক ঘটনায় নিদারুণভাবে বিভ্রান্ত হয়ে যান, সেই সব দুঃখের বিবরণ বিশদে না লিখে আমি কীভাবে আমার অভিজ্ঞতা বিবৃত করতে পারি? আমি যদি সরকারি কর্মচারী হতাম তো একবার আঙুল নাড়াতাম আর আমার দরকারমতো কুলির দল এক সপ্তাহের মধ্যেই পেয়ে যেতাম। তবে কোনো সরকারি পরিচিতিহীন, সরকারি প্রভাবহীন একজন ব্যক্তি হিসেবে, আমাকে নিজ লক্ষ্যে স্থির থাকতে হয়েছিল, ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছিল, চোঁয়া ঢেকুরের মতো উঠে আসা বিরক্তির দলাগুলো আবার চুপচাপ গিলে নিতে হয়েছিল। সমস্ত অভিজ্ঞতাটা বড়োই তিক্ত।
‘স্ট্যানলে অ্যান্ড লিভিংস্টোন’ ছবির একটি দৃশ্য। হেনরি মর্টান স্ট্যানলের ভূমিকায় স্পেনসর ট্রেসি
শ্বেতাঙ্গরা, শ ওফারুকুহর শণের ক্যানভাস দিয়ে ওয়াটার-প্রুফ তাঁবু তৈরির কাজে নিরবচ্ছিন্নভাবে ব্যস্ত ছিল। কদিন আগে ‘মাসিকা’, মানে বর্ষাকালের আগমন ঘোষণা করে বৃষ্টি হয়েছিল। সেই পুর্বাভাস-দেওয়া বৃষ্টিপাতের থেকে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, সাধারণ পাতলা কাপড়ের তাঁবুতে সব ভিজে স্যাঁতসেতে হয়ে যাবে, জিনিসপত্রে ছাতা ধরবে। না জানার জন্য বা তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আমার পরিকল্পনাতে যে সমস্ত ভুল হয়েছিল, আমার মনে হয়েছিল, সেগুলো সময় থাকতে থাকতে সংশোধন করা দরকার। ভুলগুলো নিজে থেকেই শুধরে যাবে বলে আশা করে বসে থাকা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। যদিও মাত্র তেরো মাসের স্বল্প সময়ের মধ্যে তেইশ বার জ্বরে ভুগেছিলাম, তবু এই যে আমি অক্ষত অবস্থায় ফিরে এসেছি, প্রথমেই বলি ঈশ্বরের করুণা ছাড়া তা সম্ভব হত না; দ্বিতীয়ত, কাজের প্রতি আমার উত্সাহ যা আমাকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সজীব রেখেছিল; তৃতীয়ত, কোনো বদভ্যাস বা অসংযমে নিজের স্বাস্থ্যকে নষ্ট না হতে দেওয়া; চতুর্থত, আমার প্রকৃতিদত্ত কর্মশক্তি; পঞ্চম, একটি সহজাত আশাবাদী মনোভাব যা কখনও হার মানে না; আর ষষ্ঠত, নিজের জন্য একটি প্রশস্ত ওয়াটারপ্রুফ ক্যানভাসের তাঁবু তৈরি করা। আর এখানে, আমার অভিজ্ঞতা হল যে তাঁবু প্রস্তুতকারকেরা নিজেদের তৈরি দারুণ দেখতে কাপড়ের তাঁবু গছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে। সেগুলো মোটেই সব জায়গার জন্য উপযুক্ত নয়। ভ্রমণার্থীদের উচিত হবে তাঁবু-প্রস্তুতকারকদের মন্ত্রণায় নিজের বিবেচনাবোধ না খুইয়ে নিজের বুদ্ধি কাজে লাগানো আর বাজারে যে সবথেকে ভালো আর শক্তপোক্ত যে কাপড় পাওয়া যায় তাই কেনা। শেষ পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে সস্তা প্রমাণিত হবে এবং সম্ভবত এর জন্যেই তার জীবন বাঁচবে।
একটা ব্যাপারে আমি হেরে গেছি, এবং সে কারণে আমার আনন্দ অনেকাংশে বিঘ্নিত হয়েছে। পাছে নতুন এবং তরুণ অভিযাত্রীরা একই ভুল করেন, তাই এই অনুচ্ছেদটি লিখছি। শিকারের জন্যই হোক বা প্রতিরক্ষার জন্যই হোক, অস্ত্রশস্ত্র পছন্দের ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকতে হবে। একজন যাত্রীর কমপক্ষে তিনটে বিভিন্ন ধরনের বন্দুক থাকা উচিত। একটা পাখি-শিকারের বন্দুক, দ্বিতীয়টা একটা দশ বা বারো নম্বরের ডাবল ব্যারেলযুক্ত রাইফেল আর তিন নম্বরটা প্রতিরক্ষার জন্য ম্যাগাজিন-রাইফেল। পাখি-শিকারের জন্য আমি ১২ নম্বরের বোরের পরামর্শ দেব, ব্যারেল কমপক্ষে চার ফুট লম্বা। বড়ো জন্তু শিকারের জন্য যে রাইফেল, সে বাবদে আমি আগের শিকারিদের যথাযথ শ্রদ্ধা জানিয়ে বলব, অবশ্যই, আফ্রিকায় শিকারের জন্য সেরা বন্দুক হল ইংলিশ ল্যানকাস্টার ও রাইলি রাইফেল; এবং যুদ্ধাস্ত্রের জন্য, আমি বলব যে এখনও অবধি যা আবিষ্কার হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো হল লন্ডনের এলির গুলি সহ আমেরিকান উইনচেস্টার রিপিটিং রাইফেল, বা যাকে বলে ‘সিক্সটিন-শ্যুটার’। যখন যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে আমেরিকান উইনচেস্টার নিয়ে যাওয়ার কথা বলছি, আমি কিন্তু আক্রমণের উদ্দেশ্যে এটা নেওয়া দরকার বলে বলছি না, বরং উপযুক্ত প্রতিরক্ষার সেরা উপায় হিসাবে বলছি। আফ্রিকার দস্যুদের আক্রমণের সময়, যেটা যে-কোনো সময়ই ঘটতে পারে, নিজের জীবন বাঁচাতে এটা সঙ্গে নিতে বলছি।
আফ্রিকার অন্দরমহল থেকে ফিরে আসার অব্যবহিত পরেই আমার সঙ্গে এক যুবকের দেখা হয়েছিল, যিনি ঘোষণা করেছিলেন যে তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস এতাবত উদ্ভাবিত সব অস্ত্রের মধ্যে আফ্রিকার জন্তু শিকারের জন্য ‘এক্সপ্রেস’ রাইফেল সব থেকে ভালো। খুব সম্ভবত তিনিই সঠিক এবং তিনি যেমন বলেছিলেন ‘এক্সপ্রেস’ রাইফেল হয়তো ততটাই ভালো, তবে তিনি সেটা নিয়ে আফ্রিকান জন্তুর মুখোমুখি হননি। আমি নিজেও কখনোই সে চেষ্টা করে দেখিনি, তাই তার এই দাবির বিরুদ্ধে আমার কিছু বলার নেই... তবে আমি আমার অস্ত্র বাবদে সব অভিজ্ঞতার নিরিখে বলতে পারি যে এক্সপ্রেসের গুলি জন্তুদের শরীরের অনেক গভীরে প্রবেশ করলেও, প্রথম গুলি প্রায় কোনো সময়ই জন্তুকে পেড়ে ফেলতে পারে না।… অন্যদিকে, আরও জানাতে পারি যে, ড. লিভিংস্টোনের সঙ্গে ভ্রমণ করার সময় ডাক্তার আমাকে তাঁর ভারী রেইলি রাইফেলটা ধার দিয়েছিলেন, যার সাহায্যে আমি প্রায় সবসময়ই একটি–দুটি প্রাণী শিবিরে শিকার করে আনতে পেরেছি—কদাচিৎ ব্যর্থ হয়েছি, আর দেখেছিলাম যে ফ্রেজারের গুলিগুলো যে উদ্দেশ্যে তৈরি সেই সব ক্ষেত্রেই সেগুলো খুব কাজের। ক্যাপ্টেন স্পেক ও স্যার স্যামুয়েল বেকারের যেসব কৃতিত্বের গল্প শোনা যায়, এখনকার তরুণ শিকারিদের কাছে তা এমন কিছু অবাক-করা ব্যাপারই না, যদি কারও হাতে একটা ল্যানকাস্টার বা রাইলি থাকে। যদি তার হাত না কাঁপে, তাহলে কয়েকবার শিকারের পরেই তাঁদের কৃতিত্বকে ছুঁয়ে ফেলা সম্ভব, এমনকি ছাড়িয়ে যাওয়াও। আর যে কথাটা বলার জন্য এই অনুচ্ছেদটি লিখলাম, আফ্রিকায় শিকার করতে গেলে ‘বোন-ক্রাশার’ দরকার; যদিও সাধারণ বন্দুকের চামড়া-মাংস গভীরে ভেদ করার গুণ থাকেই, তবু জন্তুদের থামিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা কি সে বন্দুকের আছে? শিকারে সফল হতে হলে আফ্রিকার অভিযাত্রীর হাতে তেমন ধরনের রাইফেল থাকা খুবই দরকার।
১৮৭০-এর দশকের ব্রিটিশ ল্যাঙ্কেস্টার রাইফেল
লিভিংস্টোনের সাহায্যার্থে ব্রিটিশ রাজদূত ১৮৭০ সালের নভেম্বর মাসে একটি কাফেলা পাঠিয়েছিলেন। সেই ‘লিভিংস্টোন কাফেলা’ দেখতে আমি যখন মুসৌদির শিবিরে গেলাম, তখনও আমার বাগামোয়োতে বাসেরবেশিদিন হয়নি। পঁয়ত্রিশ খানা বোঁচকা, উন্যানয়েম্বেতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কুলিও লাগবে পঁয়ত্রিশজন। এই কাফেলার রক্ষী হিসেবে যাদের বাছা হয়েছিল, তারা সব জোহানিস ও ওয়াহিও, সংখ্যায় সাতজন। সাতজনের মধ্যে চারজন ছিল দাস। তারা এখানে আরামে ছিল—যে কাজ করতে তাদের পাঠানো হয়েছে তা নিয়ে কোনো চিন্তা-ভাবনাও নেই আর ফলাফল সম্পর্কেও তারা নির্লিপ্ত। কুঅভ্যাসে ডুবে থাকা ছাড়া এরা যে এতদিন বাগামোয়োতে কী করছিল তা আমি কখনোই বুঝে উঠতে পারি না। কোনো কুলি পাওয়া যায়নি এটা খুব ভুল কথা; কারণ আমি জানি যে রমজানের সময় থেকে (১৫ ডিসেম্বর, ১৮৭০) কমপক্ষে পনেরোটি কাফেলা আফ্রিকার গভীরের জন্য যাত্রা শুরু করেছিল। তবুও লিভিংস্টোনের কাফেলাটি নভেম্বরের ২ তারিখে বাগামোয়োর ছোট্ট শহরে এসেছিল আর ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এখানেই বসে ছিল, মোট ১০০ দিন ধরে, মাত্র পঁয়ত্রিশজন কুলির অভাবে, রাষ্ট্রদূতের প্রভাব ব্যবহার করে যে সামান্য সংখ্যার কুলি দু-দিনের মধ্যেই সংগ্রহ করা যেতে পারে। ব্রিটিশ রাজদূত যদি বলেন যে তিনি জানতেন না যে লিভিংস্টোনের জিনিসপত্রগুলো বাগামোয়োতেই আটকে আছে, তবে এটাই প্রমাণিত হবে যে একজন ব্রিটিশ প্রজা এবং ভ্রাতৃপ্রতিম আধিকারিকের প্রতি কর্তব্য পালনের ব্যাপারে তিনি নিন্দনীয় রকমের অবহেলা করেছেন, বিশেষত যেখানে মানুষটি সামান্য বেঁচে থাকার উপায়ের জন্যও তাঁর উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। কারণ আমার জাঞ্জিবারে আগমনের প্রথম সন্ধ্যাতেই আমাকে জানানো হয়েছিল যে ড. লিভিংস্টোনের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নিয়ে আফ্রিকার অন্দরে যাত্রা শুরু করার জন্য বাগমায়োতে একটি কাফেলা অপেক্ষা করছে; তখনও আমি জানতাম না যে আফ্রিকার অভ্যন্তরে কোনো কাফেলা পাঠানোর কাজটা কতটা সহজ বা কতটা কঠিন বিষয়। আমি যখন জানতে পেরেছিলাম যে ব্রিটিশ রাজদূতের পাঠানো এই কাফেলাটি—মাত্র পঁয়ত্রিশজন লোক দরকার ছিল সেখানে— ১৮৭০ সালের পয়লা কি দোসরা নভেম্বর জাঞ্জিবার ছেড়েছিল আর ১৮৭১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তারিখে তখনও তারা বাগামোয়োতে বসে, একশো দিন ধরে, আমি যে কী ভীষণ অবাক হয়েছিলাম! আমি নিজেকে জিজ্ঞাসা করেছি, ‘‘যদি ব্রিটিশ রাজদূতই একশো দিনের মধ্যে মাত্র পঁয়ত্রিশ জন মানুষের একটা ছোট্ট দল জোগাড় না করতে পারেন, তবে আমার মতো একান্ত সাধারণ বেসরকারি মানুষের একশো চল্লিশজন লোক সংগ্রহ করতে কত যুগ লাগবে?’’ ১০ ফেব্রুয়ারির আশেপাশে বাগামোয়োর বাজারে একটা গুজব ছড়িয়ে গেল, আমার শিবিরেও তা এসে পৌঁছেছিল, যে লিভিংস্টোনের কাফেলাটিকে যাত্রা শুরু করানোর জন্য ‘বাল্যুজ’—যার সঠিক মানে ‘রাষ্ট্রদূত’—বাগামোয়োতে আসছেন। সেদিনই সন্ধ্যায় বা পরের দিন সকালে ভয়ের চোটে লিভিংস্টোনের কাফেলাটি চারজন রক্ষী ছাড়াই আফ্রিকার গভীরের দিকে যাত্রা শুরু করল।
তার দু-দিন পর এইচ.এম.এস. কলম্বাইন ক্যাপ্টেন টাকারকে নিয়ে বাগামোয়ো উপস্থিত হল। জাহাজে ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ রাজদূত এবং রাজশক্তির প্রতিনিধি ড. কার্ক ছিলেন। যে সন্ধ্যায় কলম্বাইন আমাদের আফ্রিকান বন্দরে এসে পৌঁছাল সেদিনই আমি ফরাসি মিশনে গেলাম। মিশনের সুপিরিয়র পেরে হর্নারের আন্তরিক নিমন্ত্রণে ডক্টর কার্ক, ক্যাপ্টেন টাকার ও তার কার্যনির্বাহী কর্তারা ফরাসি রাজদূত এম দ্য ভিয়েনের সঙ্গে সেখানেই গিয়েছিলেন। আমি নৈশভোজের সময় গিয়েছিলাম ও তাঁদের সাথে ওয়াইন গ্রহণের জন্য ডাক পেলাম। তাঁরা একটি শিকারের বন্দোবস্ত করছিলেন। সেই শিকারে কী কী মজা হবে সেই নিয়েই অনেক গল্প হল।
পরদিন সকাল ছটায় ডক্টর কার্ক, ক্যাপ্টেন টাকার, তাঁর নির্বাহী কর্মকর্তা, রাজদূত দ্য ভিয়েন এবং পেরে হর্নার কিঙ্গানি নদীর দিকে যাত্রা শুরু করলেন; পরের দিন আমিও জলহস্তী শিকারের জন্য ফারকুহর, শ এবং সায়েদ বিন সাইফের সঙ্গে কিঙ্গানির দিকে গেলাম। কিঙ্গানির সমতলের শিবিরের দিকে যখন ফিরে যাচ্ছিলাম, পেরে হর্নারের সঙ্গে দেখা হল, তিনি জানালেন যে তিনি কিকোকা অবধি শিকারিদের সঙ্গে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে ফিরছেন। সেখানে বাগামোয়ো থেকে উন্যানয়েম্বের পথের প্রথম শিবির।
পরের শুক্রবার সন্ধ্যায় ইংরেজ রাজদূতের দল শিকার থেকে ফিরল। সেদিন সন্ধ্যায় তাঁদের সঙ্গে নৈশভোজ সারলাম। মূলত কিঙ্গানির সীমানার বাইরে জঙ্গলে তাঁদের অভিজ্ঞতার বাবদেই কথোপকথন হল। ড. কার্ক জানিয়েছিলেন যে কলম্বাইনের আধিকারিকরা তাদের পি-রাইফেল দিয়ে কোনো কিছুই শিকার করতে পারেননি। একমাত্র যে প্রাণীটা মারা গেছে সেটাকে তিনি গুলি করেছিলেন। আর যে-কোনো শিকার পেতে তাঁকে একা জঙ্গলে যেতে হয়েছিল। ‘এবার ওরা জানে’, অফিসারদের কথা উল্লেখ করে ড. কার্ক বলেছিলেন, ‘আফ্রিকার জন্তুর মুখোমুখি দাঁড়াতে হলে স্নাইডারের উপর কতখানি ভরসা করা যায়...’
পরদিন সকাল 9 টায় ড. কার্ক ও একজন ফরাসি পাদরি আমার সঙ্গে দেখা করতে আমার শিবিরে এলেন। ড. কার্ক কেবল এক কাপ চা খাওয়ার সময়টুকুই থাকলেন, তিনি তখন লিভিংস্টোনের কাফেলার খোঁজখবর নিতে যাবেন এমনটাই বলেছিলেন। প্রায় এগারোটার সময় শুনলাম যে ড. কার্ক কলম্বাইনে উঠে গেছেন আর ফরাসি মিশনের বাচ্চারাও তাদের পুরো বাজনার দল নিয়ে সেখানে গেছে নাবিকদের মনোরঞ্জনের জন্য। বেলা তিনটে থেকে চারটের মধ্যে কলম্বাইন জাঞ্জিবারের উদ্দেশ্যে রওনা হল।
(ক্রমশ... পরের কিস্তি পড়ুন পরের বৃহস্পতিবার)
আফ্রিকার বিপুলসংখ্যক প্রাণী সম্পদ কিভাবে নির্বিচার শিকার করা হয়েছে যুগের পর যুগ, এই দলিলে তার কিছু প্রচ্ছন্ন ধারণা পাওয়া যায়।
ধারাবাহিকটি মন দিয়ে পড়ছি
দারুণ!