আমরা আধুনিক মানচিত্রের সাহায্যে কিছুটা আন্দাজ করার চেষ্টা করছি হেনরি মর্টান স্ট্যানলে-র যাত্রাপথ। নইলে পাঠকের পক্ষে বোঝাই মুশকিল এইসব কাণ্ড ঘটছে কোথায়। কাজটা কঠিন। কারণ, এই পথে এমন অনেক জায়গার নাম রয়েছে যার আজ কোনো অস্তিত্বই নেই। যেমন, আগের কিস্তিতে আমরা পেয়েছি, এমপোয়াপোয়া থেকে রওনা হয়ে বিহোয়ানা পার করে কিদিদিমো হয়ে এমসালালো-র (দ্বিতীয় মানচিত্রে) দিকে এগিয়ে যাওয়ার বর্ণনা। কিন্তু এ কিস্তিতে মুকনডোকু ও অন্যানা যে সব জনপদের কথা বলা হচ্ছে তার বর্তমান অস্তিত্ব খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। তবে এখানে বর্ণিত যা-কিছু ঘটছে সবই (ওপরের) মানচিত্রে নীল দাগ দেওয়া পথের আশেপাশেই।— সম্পাদক
মুনিয়েকা নামের গ্রামে যে গাছটার চারপাশে হামেদের মালপত্র গুছিয়ে রাখা ছিল, থানির লোকেরা সেই গাছের খুব কাছেই থানির তাঁবু খাটিয়েছিল। সৎ বুড়ো থানি তার বস্তার থেকে একটা চুরি করতেই পারে এমনটা আমাদের ছোটখাট শেখ ভেবেছিল কিনা তা জানা যায়নি, তবে এটা নিশ্চিত যে যতক্ষণ না থানি নিজের তাঁবুকে শতখানেক গজ দূরে সরানোর হুকুম দেয় ততক্ষণ হামেদ নিজের প্রিয় বন্ধুর তাঁবুর কাছেপিঠে দাপিয়ে বেড়িয়েছে আর চেঁচিয়েছে! এমনকি তাতেও মনে হয়, হামেদ সন্তুষ্ট হয়নি, কারণ থানি পরে গল্প করেছিল যে, সেদিন মাঝরাতে আবার হামেদ তার কাছে এসেছিল, থানির হাতে-পায়ে চুমু খেয়ে, হাঁটু গেড়ে বসে ক্ষমা চেয়েছিল। যে-কোন মানুষের মতই, ভাল আর মহৎ-হৃদয় থানি স্বেচ্ছায় তাকে ক্ষমা করে দিয়েছিল। তাতেও হামেদ খুসি হয়নি, নিজের দাসদের সাহায্যে, আবার তার বন্ধুর তাঁবুটি প্রথমে যেখানে পোঁতা হয়েছিল সেখানেই ফের পৌঁছে দেওয়ার পরে তবে তার শান্তি হয়।
মুনিয়েকাতে জল পাওয়া যায় স্যেনাইটের কুঁজের মধ্যের একটা খোঁদল থেকে, স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ, বরফ-ঠান্ডা - সিম্বামওয়েনি ছাড়ার পর থেকে এইরকম জলবিলাস আমাদের কপালে জোটেনি।
আমরা এখন উয়ানজি সীমান্তে। এই জায়গাটা 'মাগুন্ডা এমকালি' বলে বেশি পরিচিত— কথাটার মানে হল গরম-মাটি বা তপ্ত-মাঠ। আসার সময় গোগোদের গ্রাম পেরিয়ে এসেছি, উগোগোর ধুলো পা থেকে ঝেড়ে ফেলার সময় প্রায় হয়ে এসেছে। অনেক আশা নিয়ে উগোগোতে প্রবেশ করেছিলাম, ভেবেছিলাম একটা দারুণ জায়গা হবে— দুধ ও মধুতে প্লাবিত দেশ। ভয়ানক রকমের হতাশ হয়েছি; এ এক পিত্তি-চটকানো, তেতো অভিজ্ঞতার এলাকা! ঝামেলা আর হয়রানিতে ভরা, পদে পদে বিপদ অনিবার্য— মত্ত সুলতানদের খামখেয়ালিপনার মুখোমুখিও হতে হয়েছে এখানে। কাজেই এটা কী আর এমন আশ্চর্য যে এই মুহূর্তে সকলেই আনন্দিত! সামনের জায়গাটাকে অনেকেই সত্যিকারের নির্জন প্রান্তর বলে বর্ণনা করেছে। তা সত্বেও আমাদের উৎসাহে বিন্দুমাত্র ভাঁটা পড়ে নি, বরং আরও বেড়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে আফ্রিকার জনবসতির চেয়ে নির্জন প্রান্তর বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ!
উগোগোতে থাকার সময় যেমন বাজাত, আজ কিরনগোজির কুডুর শিঙায় সে তুলনায় অনেক বেশি আনন্দের সুর বেজে উঠল। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা মাগুন্ডা এমকালিতে ঢুকব। মুনিয়েকা ছাড়ার তিন ঘন্টা পরে, উগোগোর শেষ সীমা পেরোনোর দু ঘন্টা পরে, সকাল ন’টায়, মাবুনগুরু খালের ধারে থামা হল। উগোগোর থেকে মাগুন্ডা এমকালিকে যে পাহাড়টা আলাদা করে রেখেছে, তার থেকে বেরিয়ে এই খালটা দক্ষিণ-পশ্চিমে ছুটেছে। নদীখাত এতই বেশি রকমের ঢালু যে বর্ষাকালে পারাপার করা প্রায় অসম্ভব। নদীখাতের স্যেনাইট আর ব্যাসল্ট পাথরের গায়ে জলের তীব্র গতির দাগ আঁকা। ঘষা খেয়ে খেয়ে পাথরের তীক্ষ্ণ কোনাগুলি মসৃণ হয়ে গেছে, পাথরগুলো যেখানে মাটির থেকে বেরিয়েছে তার পাশ দিয়ে দিয়ে গভীর গর্ত হয়ে গেছে, শুখা মরসুমে সেগুলো জলাধার হিসেবে কাজ করে। যদিও সেখানকার জলটা একটু আঠা-আঠা, কেমন একটা সবজেটে রংএর, আর ব্যাঙে থিক থিক করছে, তবু বিস্বাদ নয় কোনওভাবেই।
দুপুরে আমরা ফের হাঁটতে শুরু করলাম, ন্যাময়েজিরা উল্লসিত, চিৎকার করছে, গান গাইছে, এনগওয়ানা সৈন্যরা, চাকর কুলির দল গলার জোরে আর চেঁচামেচিতে তাদের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে। যে হালকা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি , সেটা যেন এত সব শব্দের ভারে কাঁপছে।
বাগামোয়ো ছাড়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত যা কিছু দেখেছি, এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্যপট তার চেয়ে অনেক বেশি নয়নাভিরাম। মাটিতে বড় বড় ঢেউ উঠেছে , এখানে ওখানে পাহাড় ঠেলে ওঠা, স্যেনাইট পাথরের দুর্গ দেখা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে জঙ্গলটার একটা অদ্ভুত, ছমছমে চেহারা। পাথরগুলোর এমনই আশ্চর্য চমকপ্রদ আকার, দূর থেকে দেখে মনে হবে যেন আমরা এক টুকরো সামন্ততন্ত্রের যুগের ইংল্যান্ডের দিকে এগোচ্ছি। গোল গোল পাথরগুলো একটা আরেকটার উপর চড়া, বাতাসের প্রতিটা ঝাপটার মুখে শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে; এই তারা ভোঁতা-মাথা স্মারকস্তম্ভের মতো মাথা উঁচু করে খাড়া হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, লম্বা লম্বা গাছেদেরও মাথা ছাড়িয়ে; আবার পরমুহূর্তেই তারা কাঁচের মতন জমাটবাঁধা বিশাল ঢেউ এর আকার নিচ্ছে; এই এখানে ভাঙ্গা টুকরো, খন্ড খন্ড হওয়া পাথরের ঢিবি আবার সেখানে খাড়া উঠে যাওয়া মহিমাণ্বিত পাহাড়।
বেলা পাঁচটা নাগাদ আমাদের কুড়ি মাইল মত হাঁটা হয়ে গেছে, তখন থামার সংকেত শোনা গেল। এরপর রাত একটার সময়, আকাশে তখন চাঁদ উঠেছে, স্তব্ধ শিবির জুড়ে হামেদের গলা ও শিঙার আওয়াজ শোনা গেল। কুলির দলকে জাগানোর জন্য ডাক দিচ্ছে সে, এখনই চলা শুরু করতে হবে। শেখ হামেদ দেখি পুরো বদ্ধ পাগল হয়ে গেছে, নইলে এত তাড়াতাড়ি রওনা দেওয়ার জন্য ক্ষেপে উঠবে কেন? প্রবল শিশিরপাত হচ্ছে, এত ঠান্ডা যেন বরফ পড়ছে, এই ডাকের উত্তরে একটা গভীর অসন্তোষের অশুভ গুঞ্জন চারদিক থেকে শোনা গেল। শেখ থানি আর আমি ধরে নিলাম যে হামেদ নিশ্চয় আরও কিছু খবর পেয়েছে যা আমাদের কাছে নেই। কাজেই তার কথা শুনে চলাই ভাল। সে ঠিক কি ভুল তা পরের ঘটনাই প্রমাণ করবে।
সবার ঘোর অসন্তোষের কারণে এই রাতের হাঁটা গভীর শব্দহীন। থার্মোমিটার দেখাচ্ছে ৫৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা, সমুদ্রের স্তর থেকে প্রায় ৪৫০০ ফুট উপরে রয়েছি আমরা। প্রায় নগ্ন কুলিরা নিজেদের গরম রাখার জন্য জোরকদমে চলছে আর তাই করতে গিয়ে নাছোড়বান্দা শিকড়ে, পাথরে হোঁচট খেয়ে, কাঁটার উপর পা দিয়ে ফেলে পায়ে লাগাচ্ছে। সকাল তিনটের সময় আমরা উন্যামবোগি গ্রামে পৌঁছালাম, সেখানে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য থামা হল। আগে তো সকাল অবধি ঘুমানো যাক, তারপর দেখা যাবে যে এই রকম কঠোর ব্যবহার সহ্য করা কাফেলার কপালে আর কী কী আছে!
যখন ঘুম ভাঙ্গল তখন রোদ চড়ে গেছে; সূর্যের তপ্ত ছটা এসে পড়ছে আমার মুখে। তার পরপরই শেখ থানি এসে খবর দিল যে হামেদ দুঘন্টা হল কিটির দিকে রওনা দিয়েছে; তাকেও সঙ্গে যেতে কিন্তু থানি পরিষ্কার 'না' বলেছে। আর এও বলেছে যে কাজটা ঠিক হচ্ছে না, নেহাতই অপ্রয়োজনীয়। আমার পরামর্শ জানতে চাইলে, আমি পুরো ব্যাপারটাকেই নিছক মূর্খামি হিসাবে চিহ্নিত করলাম। আর, তাঁকে পাল্টা জিজ্ঞাসা করলাম যে 'টেরেকেজা' ব্যাপারটা তাহলে কীসের জন্য? কথাটার মানে কি অপরাহ্নে দীর্ঘ হাঁটা যাতে কাফেলাগুলো জল ও খাবারের কাছে পৌঁছাতে পারে, তাই নয়? থানি বলল, হ্যাঁ তাই তো। জানতে চাইলাম, উন্যামবোগিতে কি কোনও জল বা খাবার পাওয়া যায় না? থানি জবাব দিল যে সে খোঁজ নেওয়ার তেমন একটা চেষ্টা করেনি। তবে গ্রামবাসীদের থেকে শুনেছে যে তাদের গ্রামে প্রচুর মাতামা, হিন্দি, মাওয়েরি, ভেড়া, ছাগল ও মুরগি আছে, আর সেসব এতই সস্তা যে উগোগোতেও তেমন নয়।
"তাহলে তো ঠিকই আছে, তবে", আমি বলেছিলাম, ‘‘হামেদ যদি বোকা হতে চায় আর নিজের কুলিদের মেরে ফেলতে চায়, তাতে আর আমাদের কী! শেখ হামেদের মত তাড়াহুড়ো করার যথেষ্ট কারণ আমারও আছে। তবে উন্যানয়েম্বে তো এখনও অনেক দূর, আর পাগলামি করে নিজের মালপত্র ক্ষতি করতে আমি চাই না।’’
থানি যেমনটা বলেছিল, গ্রামে প্রচুর পরিমাণে খাবারদাবার পাওয়া গেল আর কাছের কিছু ডোবা থেকে ভাল মিষ্টি জলও। একটি ভেড়ার দাম এক 'শুক্কা'; ছটা মুরগিও ওই একই দামেই কেনা; ছ’ মাপের মাতামা, মাওয়েরি, বা হিন্দিও পাওয়া যেত ওই একই মাপে; মোদ্দা কথা, অবশেষে আমরা এক প্রাচুর্যের দেশে এসে পৌছেছি।
দশই জুন সাড়ে চার ঘন্টা হেঁটে আমরা কিটিতে এসে পৌঁছালাম, সেখানে দেখা গেল অদম্য হামেদ গুরুতর সমস্যায় ফেঁসে আছেন। যার কিনা সিজার হওয়ার কথা, তাকেই হতে হয়েছে অস্থিরমতি অ্যান্টনি। পছন্দের এক দাসীর মৃত্যুর শোক পেতে হয়েছে তাকে, পাঁচটা ডিস-ড্যাস (আরব জামা) হারানোর দুঃখও, সেই সঙ্গে আরও হারিয়েছে তার রূপোর হাতা-ওলা, জরির কাজ-করা জ্যাকেট, তার মত ব্যবসায়ীর পক্ষে মানানসই যে জ্যাকেট পরে সে উন্যানয়েম্বেতে প্রবেশ করবে বলে ঠিক করে রেখেছিল। তিনটে চাকর পালানোর সময় সে সব নিয়ে উধাও। সেই সঙ্গে পলাতক এনগওয়ানা চাকররা নিয়ে গেছে তামার ট্রে, চাল, পোলাও-এর থালা আর দুই গাঁটরি কাপড়। আমার আরব চাকর সেলিম তাকে জিজ্ঞাসা করল, “আপনি এখানে কী করছেন, শেখ হামেদ? আমি তো ভেবেছিলাম আপনি এতক্ষণে উন্যানয়েম্বের রাস্তায় অনেকদূর চলে গেছেন।” সে বলল , "আমি কি আর বন্ধু থানিকে ফেলে রেখে যেতে পারি?”
কিটিতে অজস্র গবাদি পশু আর অঢেল শস্য। আর খাবার মেলেও খুব সস্তায়। উররির কাছের উকিম্বু থেকে আসা কিম্বুরা শান্তিপ্রিয় জাতি, যুদ্ধ করার থেকে চাষবাষ করতে বেশি ভালবাসে বা রাজ্যজয়ের থেকে পছন্দ করে পশুপালন করতে। যুদ্ধের বিন্দুমাত্র গুজব শোনা গেলেই তারা জিনিসপত্র আর পরিবার নিয়ে পালিয়ে দূর প্রান্তরে চলে যায়, যেখানে আবার তারা জমি পরিষ্কার করতে শুরু করে আর দাঁতের জন্য হাতি শিকার করে। তবু আমরা তাদের একটা দারুণ জাতি হিসেবেই দেখেছিলাম, যথেষ্ট অস্ত্র-শস্ত্রওলা। সংখ্যা আর অস্ত্রের দিক দিয়ে দেখলে তো যে কোন উপজাতির সঙ্গে প্রতিযোগিতার নামার জন্য তাদের বেশ সমান বলেই মনে হয়। তবে এখানে, অন্য সব জায়গার মতই, একতার অভাব হল তাদের দুর্বলতা। তাদের গ্রামগুলো সব নেহাত ছোট ছোট, প্রতিটার আলাদা আলাদা সর্দার; যদি তারা ঐক্যবদ্ধ হত, তাহলে শত্রুর সামনে একটা বিশাল বাধা খাড়া করতে পারত।
আমাদের পরের গন্তব্য এমসালালো, কিটি থেকে পনেরো মাইল দূরে । হামেদ তার পলাতক চাকর ও হারানো দামি সামগ্রীর খানিক বৃথা সন্ধান চালাল। তারপর আমাদের পিছন পিছন এল আর আমাদের এমসালালোতে থামতে দেখে আবার আমাদের কাটিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করল; কিন্তু সে এতই লম্বা হাঁটা যে তার কুলিরা তার সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিল।
পৌনে চার ঘণ্টা চলার পরে ১৫ তারিখে কুয়ো-ওলা এনগারাইসোতে পৌঁছালাম। এটা একটা ছোট সমৃদ্ধিশালী জায়গা, এখানে খাবারদাবারের দাম উন্যামবোগিরর অর্ধেক। দক্ষিণ-মুখে দু'ঘন্টার হাঁটাপথে জিওয়েহ লা এমকোয়া, পুরোনো রাস্তার উপর— বাগামোয়ো থেকে বেরিয়ে আমরা যে নতুন রাস্তা ধরেছিলাম, সেটা দ্রুত সেই পুরোন রাস্তার দিকেই ছুটেছে।
উন্যানয়েম্বের কাছাকাছি চলে আসায়, সম্প্রতি যে সব লম্বা লম্বা পদযাত্রা করছিলাম, আমার কুলি ও সৈন্যরা সেসময় দারুণ ব্যবহার করছিল। আমি তিন ডটি দিয়ে একটা ষাঁড় কিনলাম আর সৈন্যদের ভোজের জন্য সেটাকে জবাই করলাম। যেটুকু যা প্রমোদের ব্যবস্থা এখানে মেলে তা উপভোগ করার জন্য আমি সকলকে এক খেটে করে লাল পুঁতিও উপহার দিলাম। দুধ ও মধু প্রচুর পরিমাণে মেলে, তিন শুক্কা, মানে যা কিনা আমাদের মুদ্রায় প্রায় ৪০ সেন্টের সমান, তাই দিয়ে তিন ফ্রাসিলা মিষ্টি আলুও কিনলাম।
১৩ জুন, পৌনে নয় মাইলের একটা ছোট্ট পদযাত্রার পরে আমরা পৌছালাম জিওয়েহ লা সিঙ্গা জেলার মাগুন্ডা এমকালির সর্বশেষ গ্রামে। আরবরা যাকে বলেন কুসুরি। স্থানীয় বাসিন্দা কিম্বুরা বলে কনসুলি। আরবরা অবশ্য অনেক দেশীয় গ্রাম বা জেলার নামই বিকৃত করেছে বা উল্টেপাল্টে দিয়েছে— এটা তার একটা মাত্র উদাহরণ।
ক্রমশ...
এইত্তো এসেছে। এটাকে গত সপ্তাহে খুঁজছিলাম।