রুফিজি বা রুহওহা নামে পরিচিত নদীর মোহনা সংলগ্ন অঞ্চল আর উৎসের কাছাকাছির উশর অঞ্চলের মধ্যে তুলনা করলে, গাছপালার বাড়বাড়ন্তের বিষয়ে একটা উল্লেখযোগ্য বৈপরীত্য পর্যটকের চোখে পড়বে। উংগেরেঙ্গেরি ও ওয়ামি নদীর উপত্যকার মৃত্তিকার উৎপাদন শক্তি চোখে পড়ার মতো। নদীগুলির বহু যুগ ধরে জমানো, সমৃদ্ধ কালো পলিমাটির উর্বরতার কোন সীমা-পরিসীমা নেই। প্রতিটি প্রজাতির গাছপালাই বিশাল আকারের। ঘাসের গোড়া এমন মোটা যেন সাধারণ বাঁশের সমান; এমপারামুসি বা এমভিউল জাতীয় গাছের গুঁড়িগুলো প্রায় একশ ফুট উঁচু। এই উপত্যকায় জন্মানো ভারতীয় ভুট্টা আরকানসাস, মিসৌরি এবং মিসিসিপির সমতলের উৎকৃষ্টতম ফসলকেও ছাপিয়ে যায়। জোয়ার বা মাটামার গোড়া বেড়ের দিক দিয়ে সবথেকে ভাল মানের আখের সঙ্গে পাল্লা দেয়, একেকটা তো লম্বায় প্রায় বারো ফুট পর্যন্ত উঁচু। জঙ্গলের ঘনত্ব বেশ আতঙ্কজনক, আর জঙ্গলে এত বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও বৃক্ষ যে মহাজ্ঞানী উদ্ভিদবিদরাও সকল গাছের শ্রেণীবিভাগ করতে হিমশিম খেয়ে যাবেন।
আমাদের পদযাত্রা এবং অভিজ্ঞতার দৈনন্দিন বিবরণীতে পথচলার সময় সে দেশের প্রকৃতি যেমন ভাবে আমাদের চোখে ধরা দিয়েছে তার একটা ছবি আঁকার চেষ্টা করেছি। ঘোর মাসিকার মরশুমে আমরা উপকূল এলাকা দিয়ে গিয়েছিলাম। বর্ষাকাল যত গড়ায়, আমরাও ঘাসের উপর বৃষ্টির প্রভাব লক্ষ্য করতে থাকি।
মাসিকা ঋতু শুরুর সময়ে কদাচিৎ হাঁটুর উপরে ঘাস দেখা যেত; কিন্তু বর্ষার শেষের দিকে, তারা লকলকিয়ে পুরো বেড়ে উঠেছে। বর্ষাশেষের মাসখানেক পরে, ঘাসেরা যখন বেশ রোদে ভাজা ভাজা হয়ে যায়, তখন দেশীয়রা ঘাসে আগুন ধরিয়ে দেয়, আর এর পরের দিনগুলোতে সারা দেশে শুধু ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের শব্দ শোনা যায়, কাল ধোঁয়ার ঘন আস্তরণে দেশ ঢেকে যায়, এমনকি ধোঁয়ার থেকে রং ধার করে আকাশও কাল হয়ে যায়।
আগুন যখন বনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আর ঘাসগুলোকে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়, সেই সময়ই ভ্রমণের জন্য সর্বোত্তম। ঘন লম্বা ঘাসের বাধা ক্রমাগত ঠেলে এগোনোর থেকে এই সময় পথ চলা অনেক সহজ, আর চলার গতিও প্রায় দ্বিগুণ। ঢেউ খেলানো জমি আর ছোট ছোট পাহাড়ের উপর দিয়ে চোখকে বাধাহীন গড়িয়ে দেওয়া যায়, সৌন্দর্য শুষে নেওয়ার জন্য- ঘন শ্যামল ঘাসবন মনোরম দৃশ্য দেখার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না, পনের ফুট মতো লম্বা না হলে তো আর কেউ সেই বনের মাথার উপর দিয়ে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার আশা মেটাতে পারে না।
মৃমা এবং আরও পশ্চিমের অধিবাসী শেনসিদের মধ্যের নৃতাত্ত্বিক তফাৎগুলি বোঝা ভারি কঠিন। আমি তো খালিই ভাবি যে ক্যাপ্টেন বার্টন কীভাবে ওই সূক্ষ্ম পার্থক্যগুলো ধরতে পেরেছেন- আমার মতো সাধারণ মানুষের চোখে তো সে সব ধরাই পড়ে না।
জাঞ্জিবারের পর, আফ্রিকার মাটিতে আমরা প্রথম পা দিয়েছি বাগামোয়োতে। সেখানে এনগিন্ডো, সোয়াহিলি, রোরি, গোগো, ন্যামওয়েজি, সেগুহহা ও সাগারাদের দেখতে পাই; তবুও শুধু চেহারা আর পোশাক দেখে তাদের তফাৎ করা যে কোনও লোকের পক্ষেই কঠিন। শুধুমাত্র কয়েকটা নির্দিষ্ট নিয়ম রীতি অথবা উলকি, কানের ফুটো, গয়না, চুল বাঁধার কায়দা ইত্যাদি কিছু কিছু স্বাতন্ত্র্যসূচক চিহ্ন দেখেই এক উপজাতির থেকে আরেক উপজাতিকে আলাদা করা যায় । তবে প্রথম দেখায় সেসব বোঝা মুশকিল। উপজাতিদের মধ্যে পার্থক্য অবশ্যই আছে— তবে যতটা বলা হয়, ততটাই প্রকট বা সহজবোধ্য নয়।
সোয়াহিলিরা অর্ধ-সভ্যদের সঙ্গে নিয়মিত মেলামেশা করে বলে এই জাত বা গোষ্ঠীর উপর অর্ধ-সভ্য সমাজের বেশ প্রভাব আছে এবং ফলস্বরূপ, এদের পোশাক-আশাক একটু ভাল। আর বর্বরতর, পশ্চিমা বেরাদরদের তুলনায় এদের অবস্থানও একটু বেশি সুবিধাজনক। যেমন বলা হয় যে সব রাশিয়ার মানুষের চামড়ার নিচেই তাতাররা লুকিয়ে থাকে, তেমনই বলা যেতে পারে যে একজন সোয়াহিলির তুষার শুভ্র জামাকাপড়ের তলায় একজন প্রকৃত বর্বরকে খুঁজে পাওয়া যায়। রাস্তাঘাটে বা বাজারে তাকে দেখলে মনে হয় আধা-আরবীয়; তার বিনম্র ব্যবহার, তার ভক্তিভরে প্রণাম, তার মিশ্র বাচনভঙ্গি সবই তাঁর প্রভু স্থানীয় প্রভাবশালী আরবদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ও নৈকট্য প্রমাণ করে।
কিন্তু একবার উপকূলের শহরগুলোর বাইরে, শেনসিদের গ্রামে গিয়ে পৌঁছালেই, সে তার জামাটি খুলে ফেলে, ওই জামার কারণেই তাকে আধা-সভ্য লাগত আর তার কুচকুচে কাল গায়ের রং, বেরিয়ে থাকা চোয়াল, পুরু ঠোঁট- সব মিলিয়ে, একজন বিশুদ্ধ নিগ্রো এবং অসভ্য বেরিয়ে পড়ে। একজন শেনসির সঙ্গে তার তফাৎ খুব তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সম্পন্ন লোকও খুঁজে পাবে না, যদি না তাকে জানানো হয় যে এই দু'জন আলাদা গোষ্ঠীর মানুষ।
এরপর আমাদের পরিচয় হল কওয়েরে উপজাতিদের সঙ্গে। উজারামো ও উডোর মধ্যে এরা একটা ছোট অংশ দখল করে আছে। উপকূল থেকে মাত্র দুদিন পথ চলার পরে, এরাই হল প্রথম বিশুদ্ধ বর্বরদের প্রতিনিধি যাদের সঙ্গে পথিকদের মোলাকাত হয়। এরা খুব ভীতু, আর লুঠতরাজের জন্য কোন দলের উপর আক্রমণ করা এদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। আরব ও সোয়াহিলি বণিকদের মধ্যে এদের খুব একটা সুনাম নেই। বলা হয় যে এরা অত্যন্ত অসৎ, আর সে বিষয়ে আমার অন্তত কোন সন্দেহ নেই। কিঙ্গারু হেরা ও ইম্বিকিতে শিবির করে থাকার সময় এইসব খবরে বিশ্বাস করার যথেষ্ট প্রমাণ আমি পেয়েছিলাম। উকওয়েরের পূর্বাঞ্চলের গ্রাম প্রধানরা মৃমা অঞ্চলের দেওয়ানদের অনুগত, তবে সে আনুগত্য শুধু নামেই। এরা নিজেদের গ্রাম প্রতিষ্ঠার জন্য জঙ্গলের সব থেকে ঘন এলাকা বেছে নিয়েছে। তাদের এলাকায় ঢোকার প্রতিটা রাস্তা শক্ত কাঠের সরু দরজা দ্বারা সুরক্ষিত, কদাচিৎ চার ফুটের বেশি উঁচু, আর এতই সরু যে কখনও কখনও সেই দরজা দিয়ে শুধু পাশ ফিরেই ঢোকা যায়।
সারা উকওয়েরে জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই ছোট ছোট জঙ্গলগুলো উলঙ্গ শত্রুর পক্ষে একটা বিরাট বাধা। এইসব উদ্ভিদ, ঝোপঝাড়, কচি গাছগুলো সাধারণত কাঁটাওলা, এরাই প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে, এত ঘন হয়ে বেড়ে ওঠে আর একে অপরের সাথে জড়িয়ে থাকে যে সবচেয়ে কষ্টসহ আর মরিয়া ডাকাতরাও এই চতুর্দিকে গজিয়ে থাকা তীক্ষ্ণ কাঁটার ভয়ঙ্কর বিন্যাসকে অগ্রাহ্য করতে সাহস করে না। কিছু কিছু জঙ্গল অবশ্য ডাকাতে ভরা, একা পথিকের দুর্বলতার সুযোগ নিতে এরা কদাচিৎ ব্যর্থ হয়, বিশেষ করে যদি সে পথিক এমগওয়ানা মানে জাঞ্জিবারের স্বাধীন মানুষ হয়। জাঞ্জিবার দ্বীপের প্রতিটি নিগ্রো বাসিন্দাকেই আফ্রিকার অভ্যন্তরের শেনসিরা আলাদা করে চিনতে পারে।
আমার আন্দাজ মতো, উকওয়েরের জনসংখ্যা পাঁচহাজার জনের বেশি হবে না। হিসেবটা এই অঞ্চলে প্রায় শতখানেক গ্রাম ধরে। এলাকাটা লম্বায় তিরিশ মাইল, চওড়ায় তিরিশ মাইলের বেশি নয়, দক্ষিণ সীমানায় রুফু নদী, আর উত্তরে ওয়ামি নদী। এরা সবাই যদি একজন প্রধানের অধীনে একত্রিত হত, তাহলে কওয়েরেরা বেশ একটা জবরদস্ত উপজাতি হতে পারত।
কওয়েরেদের পরে আমরা কামিদের দেশে আসি। আগেকার এক দারুণ দেশের এখন আর সামান্য অবশিষ্ট পড়ে আছে। উঙ্গেরেনগেরি থেকে গ্রেট মাকাটা নদী পর্যন্ত এলাকা এদের দখলে। ডো আর সেগুহহাদের সঙ্গে ঘন ঘন যুদ্ধ তাদের দেশটাকে ছোট করতে করতে একটা সরু এলাকায় পরিণত করেছে- চওড়ায় মাত্র দশ মাইল- বলা যেতে পারে যে পূর্ব দিকে উঙ্গেরেনগেরির উপত্যকার সীমানার, নদীর পূর্ব তীর থেকে মাত্র কয়েকমাইল দূরের পার্বত্য অঞ্চলের থেকে কিরা শীর্ষ পর্যন্ত এলাকাই এদের দেশ।
উঙ্গেরেনগেরি উপত্যকায় এরা মৌমাছির মতোই অসংখ্য। উপত্যকার অসামান্য উর্বরতা এখানকার লোকদের উপজাতি হিসেবে আঁট বেঁধে থাকার একটা বড় কারণ। পাথুরে শৈলশিরার উপর দাঁড়িয়ে, দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে নিচের সুন্দর উপত্যকার দিকে তাকালে, গোটা উপত্যকা জুড়ে অজস্র গাছের ঘন জটলার মাঝে মাঝে একদল করে বাদামী কুঁড়ে দেখা যায়, আর গ্রামের সংখ্যা গুনলে সহজেই একশো ছাড়িয়ে যাবে।
উকামি থেকে আমরা গেলাম দক্ষিণ উডোতে। সেখানে যুদ্ধপ্রিয় সুদর্শন এক জাতের মানুষের দেখা পেলাম। এদের চেহারাপাতি দেখলে অনেক বেশি বুদ্ধিমান মনে হয় আর গায়ের রংও কামি ও কওয়েরেদের থেকে হালকা- জাতিগত ঐতিহ্যে ভরপুর এই গোষ্ঠীর লোকদের একটুখানি জায়গাও যদি অন্য কেউ দখল করে, তাহলে এরা প্রবল বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সেগুহহা ও কামিদের বিরুদ্ধে এরা প্রবল সাহসের সঙ্গে আত্মরক্ষা করেছে। এমনকি উহুম্বার যাযাবর লুঠেরাদের আক্রমণের থেকেও এরা নিজেদের রক্ষা করতে পেরেছে।
প্রাকৃতিক দিক দিয়ে, সমুদ্র থেকে উন্যানয়েম্বের মধ্যে উডো সবচেয়ে মনোরম দেশগুলোর মধ্যে একটা। চিরস্থায়ী বনানীর মাথা ফুঁড়ে সুউচ্চ পর্বত শিখর সোজা ঊর্ধমুখে উঠে গেছে, পেঁজা তুলোর মতো মেঘ শিখর শীর্ষ ছুঁয়ে আছে, মেঘের মধ্যে দিয়ে উষ্ণ উজ্জ্বল সূর্যের রশ্মি বেরিয়ে আসছে-চারিদিক সূর্যালোক-স্নাত, ধাপে ধাপে পাহাড় চূড়ায় উঠে যাওয়া ঘন পাতার রাশের থেকে সূর্যের আলো আশ্চর্য সব রঙ বার করে আনছে- সর্বাপেক্ষা উচ্চাশী চিত্রশিল্পীর অনুকরণের প্রচেষ্টা তার ধারেকাছেও পৌঁছাবে না। সমুদ্র ছাড়ার পর উডোই প্রথম স্থান যা ভ্রমণপিপাসুদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তোলে: এ অঞ্চলের পথ পর্যটককে নিয়ে উঠে গেছে পাহাড়চূড়ার শানিত দাঁড়া বরাবর, উপর থেকে তিনি অরণ্য আবৃত পাহাড়ের ঢাল ধরে নীচের দিকে তাকাতে পারেন, দুপাশে গভীর উপত্যকা নেমে গেছে অতলে, তারপর আবার সবকিছু ছাড়িয়ে আকাশচুম্বী ঊর্ধমুখী পর্বত শিখরের আকার নিয়েছে, অথবা কোথাও বা গভীর সমকেন্দ্রিক ভাঁজ-ওলা, রহস্যে-ঘেরা, সুউচ্চ শৈলশিরার চেহারা ধরেছে- প্রভূত পরিশ্রম হবে জেনেও পাহাড়ের ভাঁজের রহস্য উদঘাটনের উদ্দেশ্যে অভিযান করার জন্য লোককে লোভ দেখায়! বায়রনের মতো কেউ যদি উডোর এইসব দৃশ্যাবলী দেখতেন, তাহলে তিনি হয়তো বলতেন-
ঊষা জাগে। জেগে ওঠে তারই সাথে উডো দেশের কঠোর পাহাড়-সারি
আঁধার পাথুরে উরু-গুরু, কিরাপাহাড়ের চূড়া
কুয়াশার পোশাকে আধেক ঢাকা, বিবিধ জলধারা-সিঞ্চিত
সারি সারি অসংখ্য ধূসর ও অরুণ রেখায়।
এর প্রতিটি শব্দই যে কী ভীষণ সত্যি!
এই গোষ্ঠীর লোকরা দাস-ব্যবসায়ীদের কাজকর্মের বাবদে কত গল্পই না বলতে পারে! পশ্চিম ও উত্তর দিক থেকে সেগুহহার লোকরা আর পূর্বদিকের হুইন্ডে ও সাদানির দাস-ব্যবসায়ীরা যৌথভাবে আক্রমণ করে বারবার ডোদের স্ত্রী-সন্তানদের দাস হিসেবে ধরে নিয়ে গিয়েছে। আর তাদের দেশের জেলার পর জেলা তাদের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে ইউসেগুহহার সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে। হুইন্ডের দাস-ব্যবসায়ীরা ডোদের আক্রমণ করার জন্য ইউসেগুহহার লোকদের ভাড়া করত, তাদের গাদাবন্দুক আর গুলিও জোগান দিত যাতে বারেবারে অনেক অনেক ডো দাস ধরা যায়। এই উপজাতির মানুষরা, বিশেষ করে মেয়ে আর শিশুরা, আশেপাশের অন্যান্য দাস জাতিগুলোর তুলনায় চেহারা ও বুদ্ধির দিকে দিয়ে এতই উন্নত ছিল যে কামুক মহামেডানরা উপপত্নী এবং গৃহপরিচারিকা হিসাবে এদের পেতে খুবই আগ্রহী ছিল।
এই উপজাতির মধ্যেই আমরা প্রথম উপজাতির বৈশিষ্ট্যসূচক চিহ্ন লক্ষ্য করি- মুখের দুপাশে লম্বা হয়ে নেমে যাওয়া সার সার ছিদ্র আর উপরের সারির দুটো মাঝের দাঁতের ভিতরের দুদিকেই খানিকটা চটানো।
এদের অস্ত্রশস্ত্রগুলো কামি ও কওয়েরেদের অস্ত্রের মতোই, অস্ত্র বলতে অবশ্য একটা তীর ধনুক আর ঢাল, দুটো চারটে হালকা বর্শা বা অ্যাসেগাই (লোহার মুখ ওলা হালকা জ্যাভেলিন জাতীয় অস্ত্র), একটা লম্বা ছুরি, একটি সহজে ব্যবহার যোগ্য ছোট কুঠার। আর আছে এক প্রান্তে একটা বড় গোল মাথাওয়ালা মুগুর, যা কৌশলের সাথে শত্রুর মাথায় ছুঁড়ে মারলে শত্রুকে অবশ করে দেয় - কখনও কখনও মেরেও ফেলে।
(ক্রমশ…)