আমরা আধুনিক মানচিত্রের সাহায্যে কিছুটা আন্দাজ করার চেষ্টা করছি হেনরি মর্টান স্ট্যানলে-র যাত্রাপথ। নইলে পাঠকের পক্ষে বোঝাই মুশকিল এইসব কাণ্ড ঘটছে কোথায়। কাজটা কঠিন। কারণ, এই পথে এমন অনেক জায়গার নাম রয়েছে যার আজ কোনো অস্তিত্বই নেই। যেমন বহু খুঁজেও পাওয়া গেল না কিঙ্গারু গ্রাম। আবার কয়েকটি জায়গা নিশ্চিত ভাবে চিহ্নিত করা গেছে। সেগুলির নীচে লাল দাগ দেওয়া হল, যেমন বাগামোয়ো বা মিকেসে (স্ট্যানলে লিখেছেন মিকেসেহে)। বাগামোয়ো থেকে ‘উসেগুহহা’-র রাজধানী সিম্বামওয়েন্নিতে পৌঁছোনোর লক্ষ্যে চলেছে স্ট্যানলের কাফেলা। উসেগুহহা বলে কোনো স্থান বা প্রদেশ আজ আর নেই। এমনকি বোঝাও মুশকিল সেই অঞ্চলের বিস্তৃতি ঠিক কী ছিল। তবে সিম্বামওয়েন্নি নামে একটি ক্যাম্প-সাইট এখনও রয়েছে তানজানিয়ার মোরোগোরো শহরের কাছে। আন্দাজ করা যেতে পারে এই সিম্বামওয়েন্নি-র কথাই স্ট্যানলে বলছেন। কাজেই এখানে বর্ণিত যা-কিছু ঘটছে সবই মানচিত্রে নীল বুটি দেওয়া পথের আশেপাশেই।—সম্পাদক
উঙ্গেরেঙ্গেরির উপত্যকাপূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত। সেই উপত্যকা বরাবর হেঁটে, পরের দিন সকালে দু-ঘণ্টার মধ্যেই ইউসেগুহহার রাজধানী সিম্বামওয়েনির প্রাচীরের কাছে পৌঁছালাম। উরুগুরু পাহাড়ের পশ্চিম ঢালের পায়ের কাছে শহরটা। ভারী সুন্দর উপত্যকা। মেঘচুম্বী পাহাড়ের থেকে নেমে আসা দুটি নদীর জলধারায় পুষ্ট। সঙ্গে আছে বেশ কয়েকটি ঝোরার শিশির-ধোয়া জলস্রোত। আর প্রথম দর্শনেই ভারী চমকদার। এমনটা পূর্ব আফ্রিকাতে দেখব বলে ভাবিনি। পারস্যের মাজান্দেরানে এমনটা দেখলে অবাক হতাম না, কিন্তু এখানে এই দৃশ্য সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। শহরে হাজারটা বাড়ি, সব মিলিয়ে প্রায় হাজার তিনেক লোকের থাকার ব্যবস্থা। তবে এমন লোক গিজগিজ করছে যে মনে হয় সম্ভবত ৫০০০-এর কাছাকাছি লোকসংখ্যা ধরলেই বেশি ঠিক হবে। বাড়িগুলো আফ্রিকান ধাঁচের, তবে খুব যত্নে বানানো। দুর্গটি আরব্য-পারসিক ধাঁচের—পারসিক পরিকল্পনার সঙ্গে আরবি পারিপট্যের মিশেলে তৈরি। পারস্য দেশের ভিতর দিয়ে ৯৫০ মাইল যাত্রা করেছি, তাও বড়ো শহরগুলো বাদ দিলে, অন্য শহরগুলোতেও কখনও সিম্বামওয়েন্নির মতো দারুণ দুর্গ দেখিনি। পারস্য দেশের দুর্গগুলি কাদামাটির, এমনকি ক্যাসভিন, তেহেরান, ইস্পাহান এবং শিরাজের দুর্গও মাটির; সিম্বামওয়েন্নির দুর্গ পাথরের, বন্দুক চালানোর জন্য তার প্রাচীরে দু-সারি গর্ত করা। শহরটা চৌকো মতন, আয়তন প্রায় আধা বর্গ মাইল। চার কোণে চারটে পাথরের শক্তপোক্ত গম্বুজ শহরকে পাহারা দিচ্ছে; শহরের প্রধান প্রধান এলাকার মুখোমুখি চারটে ফটক, দুটো করে গম্বুজের মাঝামাঝি জায়গায় বসানো। বাসিন্দাদের যাওয়া-আসা এই চারটে ফটকের মধ্য দিয়েই। আফ্রিকান সেগুনের তৈরি শক্ত চৌকো পাল্লা দিয়ে সে দরজা বন্ধ হয়। অতীব সূক্ষ্ম, জটিল আরবি যন্ত্র দিয়ে খোদাই করা, সেটা দেখেই সন্দেহ হয়েছিল যে দরজাগুলি হয়ত জাঞ্জিবার বা উপকূল অঞ্চলে তৈরি করা আর তারপরে তক্তা ধরে ধরে এখানে নিয়ে আসা। অবশ্য বাগামোয়ো ও সিম্বামওয়েন্নির মধ্যে খুবই ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা। আর বড়ো বড়ো বাড়িগুলোতে, ততটা সূক্ষ্ম না হলেও, একই ভাবে খোদাই করা বেশ কয়েকটি দরজা চোখে পড়ল। তাই এই অলংকরণের কাজ স্থানীয় কারিগরদের হাতের হওয়াও খুবই সম্ভব। সুলতানের প্রাসাদে দীর্ঘ ঢালু ছাদ, প্রশস্ত ছাঁচতলা আর বাড়ির সামনে বারান্দা—উপকূল অঞ্চলের প্রথা মেনে বানানো।
বর্তমান সুলতানা স্বনামধন্য কিসাবেঙ্গোর বড়ো মেয়ে। উদো, উকামি, উকওয়েরে, কিংগারু, উকওয়েন্নি এবং কিরঙ্গা-ওয়ান্না প্রভৃতি প্রতিবেশী দেশ জুড়ে পরাস্বপহরণ প্রবণতার জন্য কিসাবেঙ্গো কুখ্যাত। ছোটো স্কেলে, কিসাবেঙ্গো হল আর-একটি ছোটোখাটো থিওডোর১। খুব সামান্য অবস্থা থেকে উঠে এসে, সে তার ব্যক্তিগত শক্তি, বাতেলাবাজি এবং মজাদার, বহুমুখী বক্তৃতার জন্য লোকের নজর কেড়েছিল। এই সব গুণের জন্যই পলাতক দাসদের উপর তার অসীম প্রভাব—সে তাদের নেতা হয়ে উঠেছিল। জাঞ্জিবারের সুলতানের দেওয়া শাস্তির হাত থেকে বাঁচতে, সে উকামিতে এসে পৌঁছেছিল। সেই সময় সে জায়গাটা উকয়েরে থেকে উসাগারা অবধি ছড়ানো। তারপর সে রাজ্যবিস্তার করতে শুরু করে। যার ফলে ওয়াকামির এক বিস্তীর্ণ উর্বর অঞ্চল উঙ্গেরেঙ্গেরির উপত্যকার অংশ হয়ে যায়। তার মধ্যে সবথেকে পছন্দসই জায়গায় সে নিজের রাজধানী স্থাপন করে। সেখানে প্রাকারের কাছ দিয়েই নদী বয়ে যায়। রাজধানীর নাম হল সিম্বামওয়েন্নি, যার মানে ‘সিংহ বা সবচেয়ে শক্তিশালী শহর’। কিসাবেঙ্গো নামের এমনই কুখ্যাতি রটেছিল যে বুড়ো বয়সে সেই দুর্ধর্ষ ডাকাত ও অপহরণকারী নিজের নাম কিসাবেঙ্গো থেকে বদলে শহরের নামে সিম্বামওয়েন্নি করে নেয়। মারা যাওয়ার আগে সে তার বড়ো মেয়েকে নিজের উত্তরসূরি ঘোষণা করে আর তাকেও সিম্বামওয়েন্নি নামে অভিষিক্ত করে। সেই নামটিই সুলতানা ব্যবহার করে, সে নামেই সে পরিচিত।
আগেই বলেছি প্রাচীরের কাছেই একটা নদী আছে। আমরা যখন সেই স্রোতস্বিনী পার হচ্ছি, সেই সময় সিম্বামওয়েন্নির বাসিন্দারা ‘গ্রেট মুসুঙ্গু’ দেখার কৌতূহল মেটানোর জন্য ভালো সুযোগ পেয়েছিল। মুসুঙ্গুর বেশ কয়েকটি কাফেলা আগেই এসেছিল। অনুমতির তোয়াক্কা না করেই তারা তাদের মুসুঙ্গুর প্রভূত সম্পদ ও শক্তির বাবদে খবর ছড়িয়েছিল। ক্ষমাহীন কাজ! তার ফলে সবার নজর ছিল আমার দিকে। একটা সময় নদীর পাড়ে এক হাজারেরও বেশি লোকের ভিড় জমেছিল, হরেকরকম ভাবে তারা আমার দিকে তাকিয়ে ছিল, কেউ প্রভুত্বব্যঞ্জকভাবে, কেউ ব্যঙ্গের দৃষ্টিতে, কেউ উদ্ধতভাবে, কেউ চতুরভাবে, কেউ লাজুকভাবে, কেউ বা উদ্দেশ্যহীনভাবে। এক হাতে হয় বর্শা, ধনুক আর তিরের গোছ ধরে অথবা গাদাবন্দুক পাকড়ে সুলতানার যোদ্ধারা অন্য হাতে নিজ নিজ বন্ধুদের জড়িয়ে ধরেছিল, ঠিক যেন নিসাস ও ইউরিয়ালাস২, থিসিয়াস ও পিরিথাস৩, দামন ও পাইথিয়াস৪, বা অ্যাকিলিস ও প্যাট্রোক্লাসের৫ মডেল, এঁদের সঙ্গে তারা গোপনে আমার পোশাক এবং রঙের বিষয়ে তাদের বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করছিল। হ্যামলিনের ইঁদুরদের কাছে বাঁশিওয়ালার সুরের যে টান ছিল, ‘মুসুঙ্গু কুবা’ শব্দটির টানও এই লোকদের জন্য ততটাই—সেই টানেই জনতার এক বিপুল অংশ প্রাচীরের বাইরে এসে নদীর পাড়ে জমা হয়েছিল; আমি যখন চার মাইল দূরের উঙ্গেরেঙ্গেরির দিকে চলতে থাকলাম, ভয় হল যে তাদের হাত থেকে আমি ছাড়া পাওয়ার আগে হ্যামলিন বিপর্যয়ের আবার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। তবে সৌভাগ্যক্রমে, শেষপর্যন্ত রোদের তীব্রতা আর সেখান থেকে আমাদের শিবিরের দুরত্বের কাছে তারা হার মেনে ফিরে গেল। আমিও মানসিক শান্তি ফিরে পেলাম।
গাধার জিনগুলি মেরামত করতে হবে । সেই সঙ্গে কয়েকটি প্রাণীর পিঠে এই ক-দিন মাল বয়ে বয়ে ঘা হয়ে গেছে, তাদের চিকিৎসা দরকার, তাই সব মালপত্র নামাতে হবে। অতএব এখানে দু-দিন বিশ্রামের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সিম্বামওয়েন্নিতে জিনিসপত্রের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি হলেও জিনিসের কমতি নেই।
মাকান্দার উদ্দেশ্যে বাঁধা বোঁচকাগুলো খোলার সময়, চিন্তায় ছিলাম। এখন তো পুরো দস্তুর বর্ষা শুরু হয়ে গেছে। পথে যেমন বার বার বস্তাগুলো ভিজে চুপ্পুস হয়েছে, ভেবেছিলাম খুবই খারাপ দশা হবে। দেখলাম আমরা যেমন ভেবেছিলাম তার থেকে জিনিসগুলো অনেকটাই ভালো অবস্থায় আছে। তবে গোলাবারুদ, বন্দুকের বাক্স এবং চা-এর মতো কয়েকটা দামি জিনিস নষ্ট হয়েছিল। সেটা, আমার ধারণা, শ’র না ভেবেচিন্তে কাজ করার ফল। সে গাধাগুলোকে নালার বুকজলের মধ্যে দিয়ে খেদিয়ে এনেছে। সাধারণ বিচারবুদ্ধি বলে এসব সময়ে আগে বোঝা পিঠের থেকে নামিয়ে নিতে হয়। সেসব কিছুই সে করেনি। শ-কে ক্ষতির মাত্রা বোঝানোর জন্য আমার তাঁবুতে ডাকলাম। সে তাই শুনে রেগেমেগে অস্থির! নালিশ করল, আমি নাকি তাকে খাটিয়ে মারছি। আমি খুঁতখুঁতে, আমাকে খুশি করা শিবেরও অসাধ্য। একই সুরে আরও অনেক কিছু বলে গেল। শেষে বলল, সে আমার কাজ ছেড়ে দেবে আর এর পরে প্রথম যে কাফেলার দেখা মিলবে, সেটা ধরেই সে ফিরে যাবে। প্রত্যুত্তরে আমি তাকে বললাম যে, সে অদক্ষ আর অসাবধানী তা তো প্রমাণিত। কাজের চেয়ে আরামই তার বেশি প্রিয়। সে চলে যেতে চাইলে আমি আটকাব না। চাইলে তখনই চলে যেতে পারে। তবে তার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছাড়াই তাকে যেতে হবে, জঞ্জিবারে তাকে যে অগ্রিম দেওয়া হয়েছিল, তার পরিবর্তে আমি তার জিনিসপত্র রেখে দেব। এই ঘোষণা শুনে শ আবার সম্বিত ফিরে পেল। ইতিমধ্যে তার রাগও কিছুটা পড়েছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে আবার কাজে মন দিল। শান্তি ফিরে এল।
দ্বিতীয় দিন প্রথমবার বুঝলাম যে আরকানসাসের কম্পজ্বর-বৃদ্ধিকারী জলাভূমির সঙ্গে আমি সইয়ে নিতে পারলে কী হবে, পূর্ব আফ্রিকার মুকুনগুরুর আক্রমণের সামনে আমার সে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা নেহাতই তুচ্ছ। সকাল দশটা নাগাদ আফ্রিকান অসুখটির প্রাথমিক লক্ষণগুলি আমার শরীরে দেখা দিল। প্রথমত, এমনি ক্লান্তি অনুভব করছিলাম, একটু ঝিমোনো ভাব। তারপর শুরু হল শিরদাঁড়ার ব্যথা। কোমর থেকে শুরু করে, পিঠ বেয়ে ওঠা, আর পাঁজরের চারদিকে ছড়িয়ে পড়া, যতক্ষণ না ব্যথাটা কাঁধে পৌঁছায়। সেখানে এই ক্লান্তিকর ব্যথার ঘাঁটি গেঁড়ে বসা। তৃতীয়ত খুব ঠান্ডা লাগতে শুরু করা, আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মাথা ভার, চোখ ছলছল, কপালের শিরার দপদপানি শুরু। সেইসঙ্গে এল কম্পজ্বরের ঘোর। যা কিছুর উপরেই চোখ পড়ে, সব কিছুই যেন কেমন বিকৃত আর বদলে যাওয়া। পরের দিন সকাল দশটা পর্যন্ত এইরকম চলল। আমার সব শক্তি নিংড়ে বের করে নিয়ে মুকুনগুরু আমাকে ছেড়ে গেল।
অসুখ বাধালে পরপর তিনদিন ওসুধ খেতে হবে। আমার আরকানসাসের অভিজ্ঞতার থেকে যেমনটা শিখেছিলাম। এর সবচেয়ে শক্তিশালী দাওয়াই পনেরো গ্রেন কুইনিন—পাঁচ গ্রেন করে তিনবার। ভোর থেকে সুর্য মাথার উপরে ওঠা পর্যন্ত প্রতি দু-ঘণ্টা অন্তর খেতে হবে—আগের রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় পেট-সাফ করার যে ওষুধ খাওয়া হয়েছিল, তার ফল প্রথম ফলার ঠিক পরেই ওষুধের প্রথম মাত্রা খেতে হবে। এটুকু বলতে পারি যে আমার নিজের আর আমার শিবিরের বাকি যাদের এ ব্যামো হয়েছিল, তাদের ক্ষেত্রে চিকিত্সা পুরো সফল। মুকুনগুরু একবার হলে, এই চিকিত্সার পরে, আবার অসুখে পড়ার ভয় নেই, অন্তত আগামী কিছুদিনের জন্য নিশ্চিন্তি।
সিম্বামওয়েন্নি মাননীয়া সুলতানার দূতেরা তৃতীয় দিন আমার শিবিরে এল। সুলতানার প্রতিনিধি হিসেবে সম্মানী আদায় করতে। সুলতানা সম্মানী দাবি করার জন্য নিজেকে যথেষ্ট শক্তিশালী বলে মনে করেন। তবে তাদের, আর সেই সঙ্গে ম্যাডাম সিম্বামওয়েন্নিকেও, জানানো হল যে আমরা জানি যে কাফেলা মালিকদের থেকে সম্মানী আদায় করা তাদের রীতি, তবে কিনা সেটা একবারই করার কথা। আর যেহেতু মুসুঙ্গু (ফারুকহর) তা ইতিমধ্যেই দিয়েছে, তাই আবার আমাকে দিতে হলে তা ঠিক হবে না। দূতমশাই বলল, ‘এনজেমা’ (খুব ভালো)। আমার উত্তরটি তাদের মালিকের কাছে গিয়ে জানাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিল। যদিও ব্যাপারটা আদৌ ভালো হল না, কারণ পরের অধ্যায়ে দেখা যাবে যে ম্যাডাম সিম্বামওয়েন্নি প্রতিকূল অবস্থার সুযোগ নিয়ে কেমনভাবে আমার থেকে তোলা আদায় করেছিলেন। এই অবধি বলে উপকূল অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময়ের অভিজ্ঞতার অধ্যায়টি শেষ করি।
(এখানেই চতুর্থ অধ্যায় সমাপ্ত। পরবর্তী কিস্তি থেকে শুরু হবে পঞ্চম অধ্যায়)
কোনোরকম কর্পোরেট ফান্ডিং ছাড়া সম্পূর্ণরূপে জনতার শ্রম ও অর্থে পরিচালিত এই নন-প্রফিট এবং স্বাধীন উদ্যোগটিকে বাঁচিয়ে রাখতে
গুরুচণ্ডা৯-র গ্রাহক হোন
ভাল লিখছেন। পড়তে গিয়ে দেখছি সট্যানলি নিজের ইছছে মত সোয়াহিলির অনুবাদ করে চলেছেন। কোন ইংরেজি পাঠক আর তা নিয়ে তরক করবে? সিমবা মানে সিংহ কিনতু সিম্বামওয়েন্নি মানে সিংহের শহর! যেমন সিংগাপুর ! কিসাবেনগো নামের অরথ ভয় পেও না । তাই এ নামে অসুবিধে হবার কারন কি?